আটেনশন
শক্তিবাবুর মেজো ছেলেকে নিয়ে ওদের সমস্যার অন্ত নেই। উনার তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে ও ছোট মেয়েকে নিয়ে উনি এবং ইলা যতটা গর্বিত মেজো ছেলে পুলককে নিয়ে ততটাই লজ্জিত। তার কীর্তি কলাপের জন্য আসে পাশের বাড়ি থেকে রোজই নালিশ আসে। কখনো সে বল ছুড়ে পাশের বাড়ির ধরা জল নষ্ট করে বা কলসী উল্টে দেয়। কখনো আবার বন্ধ জানালায় ঢিল ছুড়ে পালিয়ে যায়। ঘুমন্ত দাদার খোলা মুখে পাখির পালক ঢুকিয়ে বা শুয়ে থাকা বোনের চুল কেটে ফেলার জন্য পুলক যে পরিমানে মার খায় তার প্রমান ওর প্যান্ট খুললে ই দেখা যায়।
ডাক্তারের মতে এই আচরণের
কারণ পুলক সবার কাছ থেকে আটেনশন চায় । না মেরে আটেনশন দেওয়া ই এই রোগের ওষুধ । রোববার
দুপুরে তেল কৈ বেছে দেওয়ার অনুরোধ অস্বীকার করে নিজে মাছ বেছে খেতে গিয়ে গলায়
কাঁটা ঢুকিয়ে কেঁদে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ি মাথায় তুললো। ধৈৰ্য হারিয়ে শক্তিবাবু , কে এখন তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে
যাবে বলে পিঠে এতো জোরে কিল দিলেন যে পুলকের কান্নার সাথে সব বমি হয়ে বেরিয়ে গেলো সেই সঙ্গে কাঁটাটাও । ইলাকে জড়িয়ে ধরে
কেঁদে পুলক বললো “রাতের মাছটা তুমি বেছে দিয়ো মা” l শক্তিবাবু
ইলার কানে ফিস ফিস করে বললেন
করলেন, এটা কোন ধরণের আটেনশন
ঠিক বুঝলাম না ।