রবিবার
প্রতিদিন
পাগলটাকে পাড়ায় দেখা যায় । উলঙ্গ । কোনো হেলদোল নেই । সমাজের নগ্ন রূপ পাছে ধরা
পড়ে তাই ধরে বেঁধে সবাই পোশাক পরিয়ে দেয় । সে আবার ছিঁড়ে ফেলে । পাড়ার ছেলে ছোকরা
মুখ টিপে হাসে । মেয়েরা মুখ ফিরিয়ে পালায় । দোকানদার বিস্কুট ছুঁড়ে দেয় আর মিস্টির
দোকান বাসি সিঙ্গাড়া । পাগল বেঁচে থাকে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই । সেদিন রবিবার ।
সবাই অনেকক্ষণ বিছানায় । উঠতে উঠতে অনেক বেলা । একটা গোল শোনা গেল মোড়ে । বাজার
মাথায় উঠল সবার । মাংসের গন্ধ নেই ব্যাগে । সবাই জড়ো একই চাতালে । সবারই দারুণ কৌতূহল
। সবাই যেন পাগল হয়ে গেছে । ছুটির দিনে ছুটি উঠেছে মাথায় । কি কান্ড ! পাগল জামা
কাপড় পড়ে শুয়ে আছে এক পাগলির পাশে । পাগলির সূতোটুকু নেই ! রবিবার হঠাৎই নীরব হয়ে
গেছে সেই আকস্মিক আঘাতে ।
কান্না
রোজ
রাতে বিপিনবাবু একটি কবিতা লেখেন । পরের দিন তার বউকে শোনান । বউ শোনে ,
হুঁ হুঁ করে । বিপিনবাবু উৎফুল্ল হন এবং পত্রিকা সম্পাদকের কাছে
পাঠিয়ে দেন । একদিন অনেক রাত পর্যন্ত বিপিনবাবু একটি দীর্ঘ কবিতা লিখলেন । বউ চা
দিয়েছেন । বিপিনবাবু পাঠ করছেন আর বউ কেঁদে ভাসাচ্ছে । বিপিনবাবু অবাক । তিনি তো
কোনো বিষাদ কাব্য লেখেন নি । " কি হলো গিন্নি কাঁদছো
কেন ?"
গিন্নি
পা দুটা মেলে আরো কাঁদতে লাগলেন ।
বিপিনবাবু
দেখলেন সেখানে সারিসারি লাল পিঁপড়ে ।