দুএকটি কথা বলা প্রয়োজন । সংশয় নেই, গল্পগুচ্ছর এক
বিপুল সংখ্যক পাঠকমন্ডলী আছে, আর সেই জন্যই নবীন গল্পকাররাও গল্পগুচ্ছ পত্রিকার
তাদের লেখা প্রকাশে আগ্রহী । তারা লেখা
পাঠিয়ে পত্রিকার নিয়মিত প্রকাশ সম্ভব করছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই । লেখার গুণমান
বিচারের দায় পাঠকমন্ডলীর । আমি মাননীয় লেখকদের কাছে দু একটি কথা বলি, একটু মনযোগ
দিয়ে পড়ুন । অনেকেই লেখা পাঠাচ্ছেন বেশ অযত্নের সঙ্গে, যে কোন ‘ফন্ট’এ । তাদের
জানাই - ‘অভ্র’ কি-বোর্ডে টাইপ করা টেকস্ট ওয়ার্ড ফাইল ভিন্ন লেখা প্রকাশ করা
সম্ভব নয় । তারা লেখা পাঠাবেন না ।
অনেকে সঠিক কি-বোর্ডে হয়তো পাঠাচ্ছেন কিন্তু বেশ
অযত্নের সঙ্গে । স্তবক বিন্যাস থাকছে না । এলোমেলোভাবে টাইপ করেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন ।
সম্ভবত নিজেও একবার দেখছেন না, কি পাঠালেন । থাকছে নানান কায়দা, কারুকার্য ।
লেখকদের উদ্দেশ্যে অতয়েব কয়েকটি কথা বলে নিতে হচ্ছে ।
(১) অভ্র বাংলায় টাইপ করবেন। ওয়ার্ড ফাইল পাঠাবেন
।
(২) লেখা – যেটি ছাপা হবে সেখানে নাম, ঠিকানা,
ছবি ইত্যাদি দেবেন না । দেবেন প্রয়োজনে, পৃথক চিঠিতে ।
(৩) নতুন যারা লেখা পাঠাবেন তারা অবশ্যই একটা ছবি
পাঠাবেন ।
(৪) লেখার শিরোনামে বা লেখকের নামে কোন যতি চিহ্ন
দেবেন না, দেওয়া চলে না ।
(৫) গল্পের কথপকথনের অংশ লিখতে ইনভারটেড কমা দেয়া
যায় অথবা নাটকের সংলাপের মত পংক্তি বিন্যাস করে লেখা যায় । সে ক্ষেত্রে ইনভারটেড
কমা হয় না, একটি হাইফেন দিতে হয় । কিন্তু দুটো একসঙ্গে হয় না । অনেকে ইনভারটেড
কমাও দিচ্ছেন হাইফেনও দিচ্ছেন এটা ভুল । এই সংখ্যায় তাপসকিরণ রায়ের গল্পটি দেখুন ।
যতি চিহ্নের সঠিক ব্যবহার হয়েছে ।
(৬) বাক্যে যেখানে কমা দেবার প্রয়োজন দেবেন,
কিন্তু স্পেশ দিয়ে তারপর নয় । কমা দিয়ে স্পেশ দেবেন । কিন্তু যেখানে দাঁড়ি দিচ্ছেন
অর্থাৎ বাক্য শেষ হয়ড়ি, সেখানে স্পেশ দিয়ে দাড়ি দেবেন । এটাই সঠিক ।
লেখক নিশ্চয়ই আশা করেন তাঁর লেখা পাঠক পড়ুন
সাবলিলভাবে এবং গল্পগুচ্ছ – যেখানে লেখাটা প্রকাশিত হচ্ছে সেটিও পাঠকের কাছে
দৃষ্টিনন্দন হোক । সে জন্য এই ক’টি কথা বলা ।