সুচারুঘাত
হরষিতের ছেলে নেই বলে খুব দুঃখ প্রকাশ করে ওর বন্ধুদের কাছে । ওর মনে হয়,অন্তত একটা ছেলে থাকলে সম্পত্তি রক্ষা হত । জামাই তো পরের ছেলে । সে কেন সম্পত্তির ভাগীদার হবে ? আরও শুনেছে ও,পুত্র থাকলে পুৎ নামক নরক থেকে পিতা নাকি উদ্ধার পায় । সে আর হওয়ার নয় ।
বন্ধুরা শুনে হাসে । ওকে অনেক বোঝায় তারা ।
সেদিন হরষিতের প্রতিবেশী-বন্ধু নরেশ বলছিল হরষিতকে,’’ছেলে না থাকলে কী এসে যায় ? আর ছেলে যদি কুলাঙ্গার হয়,সে ছেলের হাতে কি সম্পত্তি রক্ষা পায় ? আর পুৎ নরকের কথা,ভাবিস তুই ? আরে,সে তো পুরাণের কথা । তার বাস্তব ভিত্তি বলে কি কিছু আছে ? বিপদ থেকে উদ্ধার বাইরের মানুষও করতে পারে নিজে যদি ভালোমানুষ হওয়া যায় । স্বর্গ-নরক সব এখানেই । তাই না ?’’
সেদিন হরষিতের প্রতিবেশী-বন্ধু নরেশ বলছিল হরষিতকে,’’ছেলে না থাকলে কী এসে যায় ? আর ছেলে যদি কুলাঙ্গার হয়,সে ছেলের হাতে কি সম্পত্তি রক্ষা পায় ? আর পুৎ নরকের কথা,ভাবিস তুই ? আরে,সে তো পুরাণের কথা । তার বাস্তব ভিত্তি বলে কি কিছু আছে ? বিপদ থেকে উদ্ধার বাইরের মানুষও করতে পারে নিজে যদি ভালোমানুষ হওয়া যায় । স্বর্গ-নরক সব এখানেই । তাই না ?’’
কিন্তু হরষিতের মন মানে না ।
মুখ-ভার করে উত্তর দেয়,’’কি ভুল হল যে সন্তান হওয়া বন্ধ করে দিয়ে । আরে আমি করিনি । দুই মেয়ে হওয়ার পরে বৌই জোর করলো । তার আর কি ।‘’
হরষিতের কথা শুনে নরেশ হেসে উত্তর দিলো,’’বৌদির বেশ বুদ্ধি বলতে হবে । সে অনেক ভাবে । আর বাচ্চা জন্ম দিলেই হল ? তার বুঝি কষ্ট হয় না ? এটাও বুঝতে হয়,হরষিত । মেয়েদের না হয় ছেলেদের মতো মানুষ করে দেখ । আজ মেয়েদের মধ্যে পুরুষালি ভাব খুব দরকার । চারদিকে যা চলছে । বেশ ভালোই বলতে হবে ।''
মুখ-ভার করে উত্তর দেয়,’’কি ভুল হল যে সন্তান হওয়া বন্ধ করে দিয়ে । আরে আমি করিনি । দুই মেয়ে হওয়ার পরে বৌই জোর করলো । তার আর কি ।‘’
হরষিতের কথা শুনে নরেশ হেসে উত্তর দিলো,’’বৌদির বেশ বুদ্ধি বলতে হবে । সে অনেক ভাবে । আর বাচ্চা জন্ম দিলেই হল ? তার বুঝি কষ্ট হয় না ? এটাও বুঝতে হয়,হরষিত । মেয়েদের না হয় ছেলেদের মতো মানুষ করে দেখ । আজ মেয়েদের মধ্যে পুরুষালি ভাব খুব দরকার । চারদিকে যা চলছে । বেশ ভালোই বলতে হবে ।''
তারপর হরষিত আর কোন উত্তর না দিয়ে শুধু আকাশ-পাতাল ভাবতে থাকলো ।
ওর অবস্থা দেখে নরেশ তখন বলে উঠলো স্মিত হেসে,’’আমার তিন ছেলে । একটা না হয় তোর নামে লিখে দিচ্ছি । হবে ?’’
‘’ধুর’’ বলে তখন হরষিত বেশ বিরক্তির সঙ্গে নরেশের পাশ থেকে উঠে দাঁড়ালো ।
তখন একচোট হেসে নরেশ বলল হরষিতকে,’’সত্যিই তো । পরের ছেলেকে কি কিছু দিতে ইচ্ছা হয় ? যদিও আমি তোর সম্পত্তির দিকে চেয়েই দেখতাম না । তিন ভাইকে সামলে তোর সম্পত্তি রক্ষা হলে হয় । তারা কিন্তু সবাই ছেলে ।‘’
ওর অবস্থা দেখে নরেশ তখন বলে উঠলো স্মিত হেসে,’’আমার তিন ছেলে । একটা না হয় তোর নামে লিখে দিচ্ছি । হবে ?’’
‘’ধুর’’ বলে তখন হরষিত বেশ বিরক্তির সঙ্গে নরেশের পাশ থেকে উঠে দাঁড়ালো ।
তখন একচোট হেসে নরেশ বলল হরষিতকে,’’সত্যিই তো । পরের ছেলেকে কি কিছু দিতে ইচ্ছা হয় ? যদিও আমি তোর সম্পত্তির দিকে চেয়েই দেখতাম না । তিন ভাইকে সামলে তোর সম্পত্তি রক্ষা হলে হয় । তারা কিন্তু সবাই ছেলে ।‘’
নরেশের কথা শুনে তখন হরষিত যেন চমকে উঠলো এবার ।
নরেশের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকাল । ওর তাকানোর ভঙ্গী দেখে নরেশ হেসে মরে তখন ।
হাসতে হাসতে বলে হরষিতকে,’’তুই তো বড়ভাই । তাই না ? তা বড়র ভূমিকাটাও পালন করিস । অন্য ভাইদের ঠকিয়ে সম্পত্তি রক্ষা করা যায় নারে । নিজের ছেলের কথা তো পরের ব্যাপার । আমার কথাগুলো ভাবতে থাক । এখন আসি ।‘’
নরেশের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকাল । ওর তাকানোর ভঙ্গী দেখে নরেশ হেসে মরে তখন ।
হাসতে হাসতে বলে হরষিতকে,’’তুই তো বড়ভাই । তাই না ? তা বড়র ভূমিকাটাও পালন করিস । অন্য ভাইদের ঠকিয়ে সম্পত্তি রক্ষা করা যায় নারে । নিজের ছেলের কথা তো পরের ব্যাপার । আমার কথাগুলো ভাবতে থাক । এখন আসি ।‘’
তারপরেই নরেশ বিদায় নিলো মুচকি-মুচকি হাসতে হাসতে ।
হরষিত দাঁড়িয়ে থাকলো লোপ্পা ক্যাচ ফেলা ফিল্ডারের মতো । চোখেমুখে তখন ওর অনন্ত বিস্ময় । অধিনায়ক সমাজ বুঝি তখন ওর দিকে কটমটিয়ে চেয়ে আছে ।
হরষিত দাঁড়িয়ে থাকলো লোপ্পা ক্যাচ ফেলা ফিল্ডারের মতো । চোখেমুখে তখন ওর অনন্ত বিস্ময় । অধিনায়ক সমাজ বুঝি তখন ওর দিকে কটমটিয়ে চেয়ে আছে ।