শুনে
যা ও সখী
অমলতাস ।
ওই কাঁচা হলুদ থোকা
থোকা ঝুলন্ত ফুলগুলোর নাম । বাহারের ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার। অমিতা মুগ্ধ হয়ে চেয়ে
থাকে।
ফার্স্ট ইয়ারের প্রথম দিনে ,কলেজের ফার্স্ট বেঞ্চে পাশাপাশি বসার দৌলতে
আলাপ হয়েছিল দু জনের ।
অমিতা নেহাত মধ্যবিত্ত
ছাপোষা যৌথ পরিবারের রোগা কালো সেফটিপিন দিয়ে ওড়নাপিনকরা সাধারন মেয়ে ।
বাহারের বাবা মা দুজনেই
বিদেশী ব্যাঙ্কের উপরতলার অফিসার ।
অমিতা প্রথমদিন ওর
পাশে বসেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিল ।
একটু হিংসেও খোঁচা
দিচ্ছিল অমিতার বুকের মাঝখানটায় ।
যে পায়,সে কি সবই পায় একসাথে ? আমি রোগা,কালো,না
হয় বাড়ি গাড়িওয়ালা বাবামাকেই পেতাম ?
কিন্তু রাজেন্দ্রাণীর
মত গ্রীবাভঙ্গি নিয়ে বাহার ওর দিকে তাকিয়ে হেসে কথা বলতেই গলে জল হয়ে গিয়েছিল অমিতা।
সেই থেকে এরা জুটি
।
আগ্রহী ছেলেরা খোঁচা
দিয়েছে অনেক সময় ।
-ওকি তোর পোষা ডগি নাকি রে
?
-ছাড় না বলে হালকা হেসে এড়িয়ে
গেছে বাহার ।
জীবনটা এই প্রথম বড়
সুন্দর মনে হয় অমিতার । বাবার লাগাতার খ্যাচখ্যাচ,
জবাব না-আসা
সম্বন্ধের চিঠিরা, রড
দেওয়া জানালায় পুরোনো শাড়ির পর্দা,সব
ভুলে যায় অমিতা,যেই মনে পড়ে ক্লাসে
গেলেই বাহারের সংগে দেখা হবে ।
বাহারকে নিতে গাড়ি
এসেছিল সেদিন কলেজে ।
ও বলল, “ যাবি মিতা আমার সংগে ?”
বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ
করছিল অমিতার । সত্যি বাহার নিয়ে যাবে ওকে
? স্বপ্ন দেখছে না তো
?
দুবার ঢোঁক গিলে, “হ্যাঁ যাবো”
বলে ঘাড় কাত করেছিল ।
কেউ ছিলনা বাড়িতে
দুপুরবেলা । মস্ত বাথরুমের বাথটবে প্রথমবার বাবল বাথে ডুব দিল অমিতা । তার শরীরের খাঁজগুলোতে
আলতো ঘুরতে থাকল টাবের পাশের ম্যাটে বসা বাহারের সাবানমাখা আঙ্গুল ।
সেতারের মত রিন্ রিন
করে বেজে উঠছিল অমিতা,গলে
যাচ্ছিল ভাললাগায় ।
“ভালবাসি বাহার,ভীষণ
ভালবাসি তোকে” ।
আত্মসমর্পনকরা একটা
পুতুল পেয়ে হেসে উঠেছিল সুন্দরী ।
বুকের চূড়ায়,পাশে,নাভি বেয়ে আরও নীচে স্পর্শেরা ছুঁয়ে যেতেই শিউরে শিউরে উঠছিল অমিতার
অনাদরে বেড়ে ওঠা কুমারী শরীর । বাহারের আঙ্গুল ততক্ষণে পৌঁছে গেছে অমিতার স্নায়ুকোষের
গর্ভগৃহে ।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টের
মত টানটান হয়ে গিয়েই তীব্র শীৎকারে চরম শিখর ছুঁল অমিতা জীবনে প্রথমবার। চোখ মেলতেই
বাহারের সংগে চোখাচোখি ।
“কিরে আবার অন্যকারো আদর খেতে পালিয়ে যাবি নাতো” ?
শক্ত করে বাহারকে
জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ওঠে অমিতা, “ আমি কোনদিন আর কাউকে আমার গায়ে হাত রাখতে দেব না বাহার । কিন্তু তুই
প্লিজ আমায় ছেড়ে চলে যাসনা, প্লিজ” –
পাশে রাখা নরম তোয়ালে
দিয়ে যত্নে অমিতাকে জড়িয়ে নেয় বাহার ।