অযাচিত
কুন
গাঁ থেকে গা তুমরা
এখানে ?
বসিরুদ্দিন জানতে চাইলো দুই অচেনা মানুষের কাছে ।
তাদের একজন হেসে উত্তর দিলো,নাদুপোঁতা গাঁ । সে অনেকদূর ।
নাদুপোঁতা ? সে আবার কুতায় ?
জামাল শেখ বলে উঠলো ।
দুজনের আর একজন অমায়িক-হেসে জবাব দিলো,কত যে গাঁ । কটা চিনি তার আমরা ? দক্ষিণে গা । অই দক্ষিণে ।
কথা শেষ হতেই দুজন আবার হাঁটা শুরু করলো ।
পিছন থেকে বসিরুদ্দিন জানতে চাইলো কাদের বাড়ি যাচ্ছে তারা ।
দুজনে একসাথে বলল,হাসমত মল্লিককে চেনো ? তার বাসায় । আমাদের আত্মীয় তো ।
বলে তারা এক মুহূর্ত দাঁড়ালো না । দ্রুত গ্রামের ভেতরের দিকে পা বাড়াল ।
হাসমত মল্লিক ?
জালাল ভ্রূ-কুঁচকে বলল বসিরুদ্দিনকে ।
আরে চেনো না ? সেই গো হাসমত ভাই । বেশ মেজাজি । কিন্তু ভালামানুষ ।
কিন্তু কোথায় তখন হাসমত মল্লিক ? দুজনের কারো মাথায় নেই তখন ।
বসিরুদ্দিন জানতে চাইলো দুই অচেনা মানুষের কাছে ।
তাদের একজন হেসে উত্তর দিলো,নাদুপোঁতা গাঁ । সে অনেকদূর ।
নাদুপোঁতা ? সে আবার কুতায় ?
জামাল শেখ বলে উঠলো ।
দুজনের আর একজন অমায়িক-হেসে জবাব দিলো,কত যে গাঁ । কটা চিনি তার আমরা ? দক্ষিণে গা । অই দক্ষিণে ।
কথা শেষ হতেই দুজন আবার হাঁটা শুরু করলো ।
পিছন থেকে বসিরুদ্দিন জানতে চাইলো কাদের বাড়ি যাচ্ছে তারা ।
দুজনে একসাথে বলল,হাসমত মল্লিককে চেনো ? তার বাসায় । আমাদের আত্মীয় তো ।
বলে তারা এক মুহূর্ত দাঁড়ালো না । দ্রুত গ্রামের ভেতরের দিকে পা বাড়াল ।
হাসমত মল্লিক ?
জালাল ভ্রূ-কুঁচকে বলল বসিরুদ্দিনকে ।
আরে চেনো না ? সেই গো হাসমত ভাই । বেশ মেজাজি । কিন্তু ভালামানুষ ।
কিন্তু কোথায় তখন হাসমত মল্লিক ? দুজনের কারো মাথায় নেই তখন ।
তারপর
গ্রামের মধ্যে ঢুকে ওই
দুই অচেনা মানুষ দুবার
গ্রামের কয়েকজন মানুষের মুখোমুখি
হল । তারা তাদের ঠিকানা
সেই একই বলল ।
নাদুপোঁতা ।
সে আবার কুতাকার গেরাম ?
জানতে চাইলে প্রায় একই উত্তর দিলো তারা দু'জায়গায় ।
একদলকে বলল,পুবে গো । পুবে । কে আর চেনে কত গেরাম ।
সেখানে তারা হাসমত মল্লিকের বাড়ির কথাই বলে ।
ও,আচ্ছা ।
বলে তারা হাসিমুখে অজান্তে তাদের এগিয়ে দিলো তাদের ।
আর একদলকে তারা বলল,উত্তুরে গো । উত্তুরে । আমরাই চিনি না অত গেরাম
সেই হাসমত মল্লিক আবার ।
তাই বুজি ? তাইলে আয়েন ।
এভাবে তারা এগোতে এগোতে সন্ধে পেরিয়ে দিলো ।
সে আবার কুতাকার গেরাম ?
জানতে চাইলে প্রায় একই উত্তর দিলো তারা দু'জায়গায় ।
একদলকে বলল,পুবে গো । পুবে । কে আর চেনে কত গেরাম ।
সেখানে তারা হাসমত মল্লিকের বাড়ির কথাই বলে ।
ও,আচ্ছা ।
বলে তারা হাসিমুখে অজান্তে তাদের এগিয়ে দিলো তাদের ।
আর একদলকে তারা বলল,উত্তুরে গো । উত্তুরে । আমরাই চিনি না অত গেরাম
সেই হাসমত মল্লিক আবার ।
তাই বুজি ? তাইলে আয়েন ।
এভাবে তারা এগোতে এগোতে সন্ধে পেরিয়ে দিলো ।
দেখতে
দেখতে রাত এলো ।
রাত ক্রমশ বাড়তে থাকলো । কিন্তু যারা দেখেছে ওই দুই অপরিচিত মানুষকে তাদের মনেই হল না তারা এখন কোথায় । কিংবা গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে গেছে কিনা ।
তখন রাত বারোটা । গ্রামময় চারদিক থেকে চিৎকার ভেসে আসছে । তুমুল বোমার আওয়াজ । যে যার প্রাণ নিয়ে ঘরে । সব থরহরি কম্পিত ।
ওদিকে তখন চলছে আট-আটটা বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি । কি হচ্ছে আর কি হচ্ছে না কারো মালুমই হল না । শুধু মনে হচ্ছে সবার,এত শান্ত গ্রামে এসব কী ? নাকি জিনের দখলে গেলো বড় সাধের গ্রাম ?
প্রায় দশ মাইল দূরে থানা । কেউ এক খবর দিলো থানায় । কিন্তু পুলিশ আসতে আসতে সব শেষ । কারা কোথা দিয়ে বেরিয়ে গেলো কেউ টেরটিও পেলো না ।
ভোরের আলো ফুটতেই গ্রাম-জোড়া হাহাকার । দেহ পড়েছে দু-দুটো । সেই দেহ দেখতে অনেকেই ছুটে গেলো ।
রাত ক্রমশ বাড়তে থাকলো । কিন্তু যারা দেখেছে ওই দুই অপরিচিত মানুষকে তাদের মনেই হল না তারা এখন কোথায় । কিংবা গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে গেছে কিনা ।
তখন রাত বারোটা । গ্রামময় চারদিক থেকে চিৎকার ভেসে আসছে । তুমুল বোমার আওয়াজ । যে যার প্রাণ নিয়ে ঘরে । সব থরহরি কম্পিত ।
ওদিকে তখন চলছে আট-আটটা বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি । কি হচ্ছে আর কি হচ্ছে না কারো মালুমই হল না । শুধু মনে হচ্ছে সবার,এত শান্ত গ্রামে এসব কী ? নাকি জিনের দখলে গেলো বড় সাধের গ্রাম ?
প্রায় দশ মাইল দূরে থানা । কেউ এক খবর দিলো থানায় । কিন্তু পুলিশ আসতে আসতে সব শেষ । কারা কোথা দিয়ে বেরিয়ে গেলো কেউ টেরটিও পেলো না ।
ভোরের আলো ফুটতেই গ্রাম-জোড়া হাহাকার । দেহ পড়েছে দু-দুটো । সেই দেহ দেখতে অনেকেই ছুটে গেলো ।
সে
রাতেই পুলিশ আসে গ্রামে
। কিন্তু তাদের তখন
আর কিছু করার ছিল
না । তাদের কাছে ক্ষোভ
দেখানোর মানুষও পাওয়া গেলো
না একটা ।
থানার সেজোবাবু বলে গেলো,আমাদের বিস্তারিতভাবে জানা চাই । তারপর তদন্ত । সকালে কয়েকজন থানায় যাবেন ।
তা সকালে গেলো । সেই বসিরুদ্দিন সেই দলে ছিল । সঙ্গে আরও তিনজন ।
বড়বাবু বলল,''আপনারা কিছু মনে করতে পারেন ? মানে ডাকাতির আগের কোন ইঙ্গিত ?
বসিরুদ্দিন অনেকক্ষণ চুপ করে থাকলো । বাকিরা তো হাঁ করে বসে শুধুই ভাবছে ।
হঠাৎ বসিরুউদ্দিনের মনে হল সেই দুই অপরচিত মানুষের মুখ দুটো ।
সে বলল,হুম । কাল সন্ধের আগে দুজন মানুষ এসেছিলো আমাদের গ্রামে । আমি চিনি না । আরও কেউ-কেউ দেখেছে । কেউই চেনে না তাদের । কি এক গ্রাম বলল তাদের বাড়ি । নাদুপোঁতা । নামই শুনিনি কখনো ।
তার কথা শুনে বেশ আগ্রহ বেড়ে গেলো বড়বাবুর ।
সে বেশ উৎসাহের সঙ্গে জিজ্ঞেস করলো,সে যাক । কে কতটুকু জায়গা চিনি আমরা । তা কোথায় এসেছিলো বলেছে কিছু ?
বসিরুদ্দিন মাথা চুলকাতে শুরু করলো তখন । বাকি তিনজন তখন তার দিকে সবিস্ময়ে চেয়ে আছে । বড়বাবু জলের গ্লাসে চুমুক দিয়ে শোনবার জন্য বেশ আগ্রহ নিয়ে বসলো ।
থানার সেজোবাবু বলে গেলো,আমাদের বিস্তারিতভাবে জানা চাই । তারপর তদন্ত । সকালে কয়েকজন থানায় যাবেন ।
তা সকালে গেলো । সেই বসিরুদ্দিন সেই দলে ছিল । সঙ্গে আরও তিনজন ।
বড়বাবু বলল,''আপনারা কিছু মনে করতে পারেন ? মানে ডাকাতির আগের কোন ইঙ্গিত ?
বসিরুদ্দিন অনেকক্ষণ চুপ করে থাকলো । বাকিরা তো হাঁ করে বসে শুধুই ভাবছে ।
হঠাৎ বসিরুউদ্দিনের মনে হল সেই দুই অপরচিত মানুষের মুখ দুটো ।
সে বলল,হুম । কাল সন্ধের আগে দুজন মানুষ এসেছিলো আমাদের গ্রামে । আমি চিনি না । আরও কেউ-কেউ দেখেছে । কেউই চেনে না তাদের । কি এক গ্রাম বলল তাদের বাড়ি । নাদুপোঁতা । নামই শুনিনি কখনো ।
তার কথা শুনে বেশ আগ্রহ বেড়ে গেলো বড়বাবুর ।
সে বেশ উৎসাহের সঙ্গে জিজ্ঞেস করলো,সে যাক । কে কতটুকু জায়গা চিনি আমরা । তা কোথায় এসেছিলো বলেছে কিছু ?
বসিরুদ্দিন মাথা চুলকাতে শুরু করলো তখন । বাকি তিনজন তখন তার দিকে সবিস্ময়ে চেয়ে আছে । বড়বাবু জলের গ্লাসে চুমুক দিয়ে শোনবার জন্য বেশ আগ্রহ নিয়ে বসলো ।
বসিরুদ্দিন
এবার বলে উঠলো,''হাসমত মল্লিক,স্যার ।
সাথে-সাথে উঠে দাঁড়ালো বড়বাবু ।
সে দাঁড়িয়ে মাজায় হাত দিয়ে বসিরুদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলো,সে কোথায় এখন ? গ্রামেই কি ?
আসগর নামে গ্রামের একজন বলল,ওর সাতদিন আগে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা । ও এক বেওয়াকে ফুঁসলেছিল । শালিসিসভা ডেকে ওকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় । জানি না ও গেছে কিনা ।
তার কথা শুনে বেশ অবাক বড়বাবু ।
সে বিস্ময়ের সুরে বলল,ভারী তো এইটুকু গ্রাম । কে আছে আর কে নেই বোঝা যায় না ? রাবিশ ।
হঠাৎ গ্রামের একজন সেখানে এসে বলল,আমি দেখেছি দুদিন আগে হাসমত ওর পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছে । কিন্তু কোথায় ও বলে যায়নি আমাকে । চুপিচুপি কথাও হল । কিন্তু গন্তব্য বলে গেলো না ।
রাবিশ । রাবিশ । তাকে না পেলে কিছুই হবে না । কিচ্ছু না । ছবি আছে তার ?
সরোষে বলে উঠলো বড়বাবু ।
বসিরুদ্দিন ফ্যাকাসে মুখে তাকে বলল,কে আর ছবি তুলে রেখেছে ওর ।
হুম । আমার মাথায় আসছে না কিছু ।
বলে বড়বাবু আবার চেয়ারে গালে হাত দিয়ে বসলো ।
সাথে-সাথে উঠে দাঁড়ালো বড়বাবু ।
সে দাঁড়িয়ে মাজায় হাত দিয়ে বসিরুদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলো,সে কোথায় এখন ? গ্রামেই কি ?
আসগর নামে গ্রামের একজন বলল,ওর সাতদিন আগে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা । ও এক বেওয়াকে ফুঁসলেছিল । শালিসিসভা ডেকে ওকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় । জানি না ও গেছে কিনা ।
তার কথা শুনে বেশ অবাক বড়বাবু ।
সে বিস্ময়ের সুরে বলল,ভারী তো এইটুকু গ্রাম । কে আছে আর কে নেই বোঝা যায় না ? রাবিশ ।
হঠাৎ গ্রামের একজন সেখানে এসে বলল,আমি দেখেছি দুদিন আগে হাসমত ওর পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছে । কিন্তু কোথায় ও বলে যায়নি আমাকে । চুপিচুপি কথাও হল । কিন্তু গন্তব্য বলে গেলো না ।
রাবিশ । রাবিশ । তাকে না পেলে কিছুই হবে না । কিচ্ছু না । ছবি আছে তার ?
সরোষে বলে উঠলো বড়বাবু ।
বসিরুদ্দিন ফ্যাকাসে মুখে তাকে বলল,কে আর ছবি তুলে রেখেছে ওর ।
হুম । আমার মাথায় আসছে না কিছু ।
বলে বড়বাবু আবার চেয়ারে গালে হাত দিয়ে বসলো ।
তারপর
গালে হাত দিয়ে ভাবতে
ভাবতে বড়বাবু বেশ বিজ্ঞের
সুরে বলল,তিরিশটা
বছর পুলিশি লাইনে আছে
। অভিজ্ঞতা তাই আমার
কম না । ওই
হাসমতের কাজ । ওই দুজন
লোক পাঠিয়েছিলো গ্রাম ঘুরে
দেখতে । সব বুঝতে ।
তারাই গোপনে ফোন করে
ডাকাত এনেছিল গ্রামে ।
বুঝলে কিছু ?
তার কথা শুনে সবাই হাঁ । কারো মুখে রা নেই । বড়বাবু তাদের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে থাকলো ।
অনেক পরে প্রায় অস্ফুট-গলায় বসিরুদ্দিন তাকে বলল,কিন্তু এ গ্রামেই ওর জন্ম । পড়াশোনা যা করেছে এখানেই । গ্রামটাকে খুব ভালোবাসতো যে,স্যার । ও এমন কাজ করতে পারে ?
বড়বাবু অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে উঠে দাঁড়ালো তার কথা শুনে ।
সেই আগের মতো মাজায় হাত রেখে বলল,খুব আঘাত পেলে মানুষ খ্যাপা কুত্তা হয়ে যায় । জানা আছে কি ?
বসিরুদ্দিন চুপ করে থেকে-থেকে বলল,এখন উপায় ?
উপায় ওই । হাসমতের ঠিকানা আর গন্তব্য । আমি এখন একটু বাইরে যাবো । কোন ক্লু পেলে আমাকে বল ।
তারপর সে দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো ।
তার যাওয়ার কিছু পরেই চারজন মাথা নিচু করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো ।
তার কথা শুনে সবাই হাঁ । কারো মুখে রা নেই । বড়বাবু তাদের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে থাকলো ।
অনেক পরে প্রায় অস্ফুট-গলায় বসিরুদ্দিন তাকে বলল,কিন্তু এ গ্রামেই ওর জন্ম । পড়াশোনা যা করেছে এখানেই । গ্রামটাকে খুব ভালোবাসতো যে,স্যার । ও এমন কাজ করতে পারে ?
বড়বাবু অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে উঠে দাঁড়ালো তার কথা শুনে ।
সেই আগের মতো মাজায় হাত রেখে বলল,খুব আঘাত পেলে মানুষ খ্যাপা কুত্তা হয়ে যায় । জানা আছে কি ?
বসিরুদ্দিন চুপ করে থেকে-থেকে বলল,এখন উপায় ?
উপায় ওই । হাসমতের ঠিকানা আর গন্তব্য । আমি এখন একটু বাইরে যাবো । কোন ক্লু পেলে আমাকে বল ।
তারপর সে দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো ।
তার যাওয়ার কিছু পরেই চারজন মাথা নিচু করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো ।
তারপর
দুদিন সুজাপুর গ্রাম থমথমে
থাকার পর তৃতীয়দিন সকালে
ভেসে উঠতে দেখা গেলো
এক ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মোল্লা
আরিফের এঁদো-পুকুরে
।
একে-একে অনেকেই ছুটে এলো সেই মৃতদেহ দেখতে । দেখে সবাই যারপরনাই অবাক হল হাসমত মল্লিকের নিথর দেহ দেখে ।
নানা মনে প্রশ্ন উঠলো । হাসমত তো গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে । ও এখানে এলো কীভাবে ? আর কে বা কারা ওকে খুন করলো ?
বসিরুদ্দিন সহ কয়েকজন ছুটল থানায় । থানার সেই বড়বাবু জানামাত্র ছুটে এলো সুজাপুর গ্রামে ।
সে বেশ গম্ভীরভাবে হাসমতকে নিরীক্ষণ করার পর ফিক-ফিক করে হেসে বলল,হাসমত আরও বোঝাতে ডাকাত-দলের সঙ্গে এসেছিলো নির্ঘাত । কিন্তু ওকে ডাকাতরা বিশ্বাস করেনি । তাই ওকে ওরা মেরে এ গ্রামেই ফেলে গেছে । ব্রিটিশদের মতো আর কি । যে নিজের গ্রামের ক্ষতি করে,সে ওদের আরও বড় ক্ষতি করতে পারে । এই ভেবেই বুঝি...
তার ঠিক পরেই হাসমতের মৃতদেহ একটা পাটিতে মুড়িয়ে একটা ভ্যানে চাপিয়ে থানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হল ।
প্রথম থেকে সব দেখে কাঁদল শুধু হাসমতের বুড়ী পিসি । তার কান্না আর থামে না । কিন্তু তাকে কেউ সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এলো না ।
তার কান্নার সাথে ভাব করতে এলো শুধু উত্তুরে কনকনে হাওয়া ।
একে-একে অনেকেই ছুটে এলো সেই মৃতদেহ দেখতে । দেখে সবাই যারপরনাই অবাক হল হাসমত মল্লিকের নিথর দেহ দেখে ।
নানা মনে প্রশ্ন উঠলো । হাসমত তো গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে । ও এখানে এলো কীভাবে ? আর কে বা কারা ওকে খুন করলো ?
বসিরুদ্দিন সহ কয়েকজন ছুটল থানায় । থানার সেই বড়বাবু জানামাত্র ছুটে এলো সুজাপুর গ্রামে ।
সে বেশ গম্ভীরভাবে হাসমতকে নিরীক্ষণ করার পর ফিক-ফিক করে হেসে বলল,হাসমত আরও বোঝাতে ডাকাত-দলের সঙ্গে এসেছিলো নির্ঘাত । কিন্তু ওকে ডাকাতরা বিশ্বাস করেনি । তাই ওকে ওরা মেরে এ গ্রামেই ফেলে গেছে । ব্রিটিশদের মতো আর কি । যে নিজের গ্রামের ক্ষতি করে,সে ওদের আরও বড় ক্ষতি করতে পারে । এই ভেবেই বুঝি...
তার ঠিক পরেই হাসমতের মৃতদেহ একটা পাটিতে মুড়িয়ে একটা ভ্যানে চাপিয়ে থানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হল ।
প্রথম থেকে সব দেখে কাঁদল শুধু হাসমতের বুড়ী পিসি । তার কান্না আর থামে না । কিন্তু তাকে কেউ সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এলো না ।
তার কান্নার সাথে ভাব করতে এলো শুধু উত্তুরে কনকনে হাওয়া ।