গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮

সম্পাদকীয়

লেখকদের জন্য দু একটা কথা -

আগেও বলেছি, আবার বলছি ।
(১) অনেকে লেখায় অনেক কায়দা করেন । মানে শিরোনামে বা লেখকের নামে আন্ডার লাইন করলেন বা কিছু চিহ্ন দিলেন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, কিংবা ইনভার্টেড কমা । এগুলো অপ্রয়োজনীয়,  ব্লগে তো এইভাবে ছাপা হয় না । এই কায়দাগুলো এডিট করতে আমার অনাবশ্যক সময় অপচয় হয় । অনেকে নিজের নামটি লেখার পরর দাঁড়ি চিহ্ন দেন কেন? লেখায় লেখকের নামের পরে দাঁড়ি বা কোন চিহ্নই হয় না, কোন মুদ্রিত পত্র-পত্রিকায় এমন দেখেননি তো । কেউবা, লেখাটা মোটা অক্ষরে লিখলেন, আপলোড করার আগে আমাকে যথারীতি এডিট করতে হল । মনে রাখুন পত্রিকার দরকার শুধু স্পষ্টাক্ষরে লেখাটা আর লেখকের নাম, আর কিছু নয় ।

(২) লেখকরা নানান ফন্টে বা মোবাইল সেটের নির্ধারিত ফন্টে লেখেন আমার কম্পিউটারে সেইসব ফন্ট সাপোর্ট নাও করতে পারে । আমি আদর্শলিপি ফন্টে বদল করে নিই । ফলে লেখার পংক্তি এলোমেলো হয়ে যায় । লেখা ওয়ার্ড ফাইলে ডকুমেন্ট করে পাঠাবেন ।

(৩) অনেকে (বিশেষত নতুন যারা লিখছেন) গল্পের কথোপকথনের অংশে ডবল ইনভার্টেড কমা ব্যবহার করেন । এই চিহ্নগুলো এলোমেলো হয়ে যায় আমার কম্পিউটারে । আমি বলি এইরকম চিহ্ন দেবেন না । সংলাপ বা কথোপকথন বোঝাতে পরের পংক্তিতে একটা হাইফেন দিয়ে লিখুন । যে কোন মুদ্রিত গল্পের বই বা পত্রিকায় চোখ বোলালেই ব্যাপারটা বুঝবেন । লেখার মধ্যে খুব বেশি চিহ্নের ব্যবহার পাঠকের চোখে দৃষ্টিকটু লাগে এবং গল্পের গতিও বাধা পায় । আর একটা কথা কমা চিহ্নের পর স্পেশ দেবেন না, স্পেশ দেবেন দাড়ি চিহ্নের পরে ।

(৪) অনেকেই লেখার পর তাতে আর চোখ বুলান না বলেই আমার মনে হয়, ফলে বানান ও বাক্য গঠনে শোধনযোগ্য ভুল থেকে যায় । অনুরোধ, লেখা আমাকে পাঠানোর আগে নিজে একবার মনযোগ দিয়ে পড়ুন, অনেক ভুল নিজেই ধরতে পারবেন ।

(৫) শেষ কথাটা একটু কঠিন শোনাবে । তাও বলি, পরিস্কার লেখার ডকুমেন্ট/ওয়ার্ড ফাইল দিন । অনাবশ্যক হাইফেন, অনেকগুলি ডট এবং ইনভার্টেড কমা জর্জরিত এবং অসমান, এলোমেলো পংক্তির লেখা লেখা গ্রহণ করবো না ।