লেখকদের জন্য দু একটা কথা -
আগেও বলেছি, আবার
বলছি ।
(১) অনেকে লেখায় অনেক কায়দা করেন । মানে শিরোনামে বা লেখকের
নামে আন্ডার লাইন করলেন বা কিছু চিহ্ন দিলেন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য,
কিংবা ইনভার্টেড কমা । এগুলো অপ্রয়োজনীয়, ব্লগে
তো এইভাবে ছাপা হয় না । এই কায়দাগুলো এডিট করতে আমার অনাবশ্যক সময় অপচয় হয় । অনেকে
নিজের নামটি লেখার পরর দাঁড়ি চিহ্ন দেন কেন? লেখায় লেখকের নামের পরে দাঁড়ি বা কোন চিহ্নই হয় না,
কোন মুদ্রিত পত্র-পত্রিকায় এমন দেখেননি তো ।
কেউবা, লেখাটা মোটা অক্ষরে
লিখলেন, আপলোড করার আগে
আমাকে যথারীতি এডিট করতে হল । মনে রাখুন পত্রিকার দরকার শুধু স্পষ্টাক্ষরে লেখাটা
আর লেখকের নাম, আর
কিছু নয় ।
(২) লেখকরা নানান ফন্টে বা মোবাইল সেটের নির্ধারিত ফন্টে
লেখেন আমার কম্পিউটারে সেইসব ফন্ট সাপোর্ট নাও করতে পারে । আমি আদর্শলিপি ফন্টে
বদল করে নিই । ফলে লেখার পংক্তি এলোমেলো হয়ে যায় । লেখা ওয়ার্ড ফাইলে ডকুমেন্ট করে
পাঠাবেন ।
(৩) অনেকে (বিশেষত নতুন যারা লিখছেন) গল্পের কথোপকথনের অংশে
ডবল ইনভার্টেড কমা ব্যবহার করেন । এই চিহ্নগুলো এলোমেলো হয়ে যায় আমার কম্পিউটারে ।
আমি বলি এইরকম চিহ্ন দেবেন না । সংলাপ বা কথোপকথন বোঝাতে পরের পংক্তিতে একটা
হাইফেন দিয়ে লিখুন । যে কোন মুদ্রিত গল্পের বই বা পত্রিকায় চোখ বোলালেই ব্যাপারটা
বুঝবেন । লেখার মধ্যে খুব বেশি চিহ্নের ব্যবহার পাঠকের চোখে দৃষ্টিকটু লাগে এবং
গল্পের গতিও বাধা পায় । আর একটা কথা কমা চিহ্নের পর স্পেশ দেবেন না,
স্পেশ দেবেন দাড়ি চিহ্নের পরে ।
(৪) অনেকেই লেখার পর তাতে আর চোখ বুলান না বলেই আমার মনে হয়,
ফলে বানান ও বাক্য গঠনে শোধনযোগ্য ভুল থেকে
যায় । অনুরোধ, লেখা
আমাকে পাঠানোর আগে নিজে একবার মনযোগ দিয়ে পড়ুন, অনেক ভুল নিজেই ধরতে পারবেন ।
(৫) শেষ কথাটা একটু কঠিন শোনাবে । তাও বলি,
পরিস্কার লেখার ডকুমেন্ট/ওয়ার্ড ফাইল দিন ।
অনাবশ্যক হাইফেন, অনেকগুলি ডট এবং ইনভার্টেড কমা জর্জরিত এবং অসমান,
এলোমেলো পংক্তির লেখা লেখা গ্রহণ করবো না ।