নীলিমার ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের উপর
বিরক্ত হয়ে উঠে জামিল। এই এক ঘুতেমি স্বভাব ওর । মাঝে মাঝে অত্যন্ত তীব্র ভাবে চেনা অচেনা যে কোন নারী ওকে মরণের মত আকর্ষণ করে । এক অদম্য
কৌতুহলে কয়েকদিন ছুটিয়ে মারে। যে কোনভাবে জামিল মেয়েটির কাছে যেতে নিজের করে পেতে চায় ।
কিন্তু খুব কাছে গেলেই ভোদাই টাইপ একটা নিরাসক্তি
নেমে আসে ওর মনের ভেতর থেকে। তখন আর ভাল
লাগে না ঐ নারীকে। সব আকর্ষণ মাটির মত ঠাণ্ডা মেরে যায়। মনের ভেতর যে এরোটিক
কবিতাগুলো ঝুমঝুম করে ওঠে তা পানি পানি
হয়ে ভেসে যায়। তাতে কি ! ওর এই স্বভাব আর বদলায় না। খুঁজেই চলে এক অদ্ভুত অন্ধের
মত। আসলে একা এই মহানগরের জটিলতায় যখন হাঁপ
ধরে যায়, তখন ওর ইচ্ছে করেনা নিজের একলা
ডেরায় ফিরে যেতে। ঘরের সবগুলো দেয়াল, ইঞ্চি ইঞ্চি ফ্লোর,
বিছানার ঝুলে পড়া একপেশে চাদর আর সারাক্ষণ টিপ টিপ করে জলঝরা
বেসিনের কলের ঝরঝরানি ঝাড়া মুখস্থ হয়ে গেছে জামিলের। সেই কবে থেকে নিজের আয়ত্বে
রাখা একঘেয়ে অভ্যাসগুলো এখনো যাপন করে যাচ্ছে । কেউ বলার নেই,
কেউ বলে না, অহ জামিল, প্লিজ চেঞ্জ ইয়োর
হ্যাবিটস। ইটস হার্ম মি। জামিল তাই জামিলের মতই আছে।
মিরপুরের চওড়া রাস্তার বুকে জল জমে যেন পুকুর
হয়ে গেছে । কতদিন পুকুর দেখে না জামিল। ওদের
রাজবাড়ি শহরের বাড়ির পেছনে খুব সুন্দর একটা পুকুর আছে। তার সবুজ মার্বেল রঙা টলটলে
জলে মুখ দেখা যায়। জামিলের শৈশব , কৈশোর
আর যৌবনের কত মুখ জমা আছে সেই পুকুরের কাছে। প্রথম গোঁফ কেটে জামিল যখন অনাস্বাদিত
এক আনন্দে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জলে, বালিকা
বিদ্যালয়ের সদ্য বড় হওয়া কিশোরীর মত লজ্জায় কেঁপে উঠেছিল পুকুরটা । জামিল বুঝেছিল সে পুরুষ
। এইভাবেই উদ্দাম উছ্রাস আর তীব্র ভালোবাসায় জড়িয়ে নিতে হবে কোন নারীকে। নারীর
ভেতরেও এক সমুদ্র আছে। কেবল তল নেই সেই নারী সমুদ্রের! বিশেষ বিশেষ চাঁদরাতে তাতে নোনা জলের ঢেউ উঠে । জামিল সেই ঢেউয়ে
চাইলেও কখনো ভাসতে পারেনি। কিম্বা জামিল হয়ত সুদক্ষ নাবিক নয়। গাঙচিল মাত্র। উপর থেকে সমুদ্র দেখে অসহ্য উন্মত্তায় দু একটা
তীব্র ছোবলে ছুঁয়ে দেওয়া ছাড়া কিছুই পারেনা। কি এক সন্ন্যাস এসে ঘিরে ফেলে। আর ভাল লাগে না ওই নারীকে। কেন যে আলবাট্রোসের মত নিপুণ দক্ষ আর একনিষ্ঠ হতে পারে না জামিল !
আষাঢ় মাসের ক্ষণিক রোদকে হটিয়ে আবার জল ভরা মেঘরা এসে আকাশ দখলে নিয়েছে। জামিলের ইচ্ছা ছিল একটু হাঁটবে । ক্লান্ত না হলে
হেঁটে যাবে যতদূর পারে। এ ও জামিলের এক খেয়াল। শুকনো খটখটে রাস্তায়
হেঁটে হেঁটে জামিল ওর নিজের শহরের রাস্তার গন্ধ খোঁজে! কোথায় যেন পড়েছে সর্ব্বাধিক
জনগণের এই শহরের বাতাসে এত সীসা যে মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকা এক রকম অসম্ভব
ব্যাপার। কয়েকদিন মাস্ক পরেছে জামিল। জীবন খরচের ব্যাপারে ও খুব হিসাবী। কিন্তু রুপাদি
এমনভাবে বলল যে মাস্ক খুলে ফেলতে বাধ্য হতে হল । রমনার সবুজ ঘাসে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে রুপাদি জানায়, ও জামিল তুই যে কলুর বলদ হয়ে গেলি রে!
রুপাদি পারেও। কে কি ভাবল পাত্তাই দেয় না
। জোর করে মাস্ক খুলিয়ে বেশ মা মা ভাব নিয়ে বলেছিল, ওরে গাধা মেয়েরা এই সব পছন্দ
করে না । পুকুর ঘেঁষা রেস্তোরার এক গাদা কাক উড়িয়ে দিয়ে বলেছিল, বি ম্যান। মরলে মরবি। আগে তো বাঁচতে শেখ্!
জলজমা
রাস্তাটা সাবধানে পার হয়ে এক শাড়ির দোকানে ঢুকে পড়ে জামিল। বড় বড় করে দু এক ফোঁটা বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছে। এখুনি আকুল
হয়ে ঝেঁপে নামবে । যে যার মত যেখানে পারছে
শুকনো থাকতে শেল্টার নিয়ে নিচ্ছে। সেলসগার্লরা বিব্রত সতর্ক চোখে দাঁড়িয়ে আছে। ম্যানেজারটি পুরুষ । সেও সতর্ক শৃগালের মত দেখে
নিচ্ছে একেকবার। জামিল ভাবে মেয়েদের চাইতে
কে আর বেশি টাকা পয়সা সামলাতে পারে! তারপরও বহিরাগত আর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার
আশঙ্কায় বেশির ভাগ দোকান ক্যাশ সামলাতে
পুরুষ কর্মী প্রেফার করে। দোকানের গুমোট অপ্রশস্ত জায়গায় দেয়ালে হেলান দিয়ে জামিল
ভাবে কোনটি বেশি দরকার জীবনকে পত্রপুস্পে বাঁচাতে চাইলে, নারীর তীক্ষ্ণ হিসাবী
বুদ্ধি নাকি পুরুষের পেশি শক্তি ?
জামিলের বাবার ক্যাশ বাক্স সারাজীবন তার মা ই সামলেছে। এই স্বচ্ছলতার সময়েও গুনে গুনে টাকা খরচ করে মা।
বাবা বলেন তোমার মা আছে বলে আজ তোমরা এমন
জীবন পেয়েছ। ওরা ভাইবোনরা তা অস্বীকার করে
না। সবাই শিক্ষিত চাকরিজীবী । যে যার মত সুন্দর সংসার করছে। কেবল জামিলের আজও
বিয়ের ফুল ফুটলো না। বাবা মা আগে প্রায়ই বলত , মেয়ে দেখি বাবা। বিয়েটা করে ফ্যাল।
বা, তুই যদি নিজের পছন্দে করতে চাস তো আমাদের আপত্তির কিছু নেই। পাঁচ বছর আগেও
বাবা মা বলে পাঠিয়েছে ও বিয়ে করুক । যে ধর্মের হোক, যেমন হোক । খালাত ভাই টুকু
কথাটা বলে শয়তানি হাসি দিয়ে রুপাদির দিকে ইংগিট করেছিল। সিঁটকে উঠেছিল জামিল। রুপাদি? অসম্ভব!
বরের সাথে ঝগড়া করে কিছুদিন ওর সাথে ওর বাসায় এসে উঠেছিল রুপাদি । সেই কদিন কেমন যেন একটা সংসার সংসার ভাব এসেছিল
জামিলের একলা ফ্ল্যাটে। জামিল যাও ত আটা নিয়ে এসো । আজ তোমাকে লুচি বেগুন ভাজা করে
দিই। ধুর এই তেল খাও কেন? কোলেস্টরল ফ্রী
তেল খাবে। এই জামিল জুতা ওখানে কেন রাখছ ?
যাও যাও হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা খাও। একটা মাস
জামিল যেন সংসার করেছিল রুপাদির সাথে। রুপাদি এমনিতেই ডাকাবুকো টাইপের মহিলা তার উপর লেখে
টেখে । যারা জানত তারা কত রকমের কত যে কথা বলেছে। জামিলও তখন রুপাদির সাহসে সাহসী
। এক কান দিয়ে শোনে আর অন্য কান দিয়ে বের
করে দেয়। সিনিয়র এক কবি আর এক সিনিয়র লেখক বন্ধুকে নিয়ে জামিলকে উইশ করে জানায় ,
আমাদের একটু মধুপানের সুযোগ করে দাও হে। পার্টি টার্টি কবে দিচ্ছ? আমরা না হয়
গ্লাসে খাবো তুমি ভায়া বোতলটাই রেখো । জামিল চমকে উঠেছিল। এরা সবাই রুপাদির বন্ধু।
কতদিন অই লেখককে দেখেছে রুপাদির টিপ ঠিক করে দিচ্ছে। হাত ধরে রাস্তা পার করাচ্ছে। রুপাদিও
অবশ্য বলেছে , তোর অসুবিধা হলে বল্ জামিল। জামিল
হা হা করে উঠেছে। আমার বড় বোনও এসে
থাকে তো মাঝে মাঝে । কিসের অসুবিধা! রুপাদি খুব স্পস্ট করে জানায় , আমি কিন্তু তোর
বোন নই। হতেও চাই না। তোর যদি ভাত , মাছ, মাংস খেয়েও আমাকে খেতে ইচ্ছে করে তো
জানাস। জামিল লজ্জা পায়। রুপাদি ! ধুস শালা কেমন মা মা লাগে । তার চে বেশি বড়বুর
মত আচরণ । জামিল ধুর হতে পারবে না।
ঝেঁপে
বৃষ্টি নেমেছে। জামিল যখন খুব ছোট তখন বৃষ্টি নামার গন্ধ পেত। ও মার কাছে গিয়ে বলত মা বৃষ্টি দেখো এখুনি নামবে । প্রথম
প্রথম সবাই হাসলেও পরে সত্যি সত্যি বৃষ্টি নামতে দেখে অবাক হয়ে জিগ্যেস করেছে , কি করে কি করে বুঝিস তুই ?
জামিল খুব সাধারণভাবে বলেছে ও বৃষ্টির গন্ধ পায়! যে হুজুর ওদের আরবী পড়াতো তিনি জামিলকে ব্যঙ্গ করে বলেত
অই তুই কি নবী হইছস নাকি ? বৃষ্টির গন্ধ
পায় অ্যা ! এই হুজুরকে প্রথম প্রথম জামিল
ভয় পেত। পরে ভীষণ ঘেন্না করতে শুরু করে। মামা বলে ডাকত ওরা ভাই বোনেরা। অন্য ভাই বোনদের থেকে জামিলকে মামা একটু বেশি
আদর করত। অন্য রকম আদর। সেই শিশুকালের স্মৃতিতে একটি আস্ত উত্থিত পুরুষাঙ্গ এখনো
ভয় দেখায় জামিলকে। ও তাই যতটা সম্ভব নিজের উত্থানকেও চেপে রাখে। অসহ্য প্রেম অনল কালে
তীব্র ক্ষোভে চোখে জল নিয়ে ব্যঙ্গ করে
বলেছিল শিখা, আগুনহীন পুরুষ। তোমার কোন
ইয়ে নাই! ধুস ভেজ প্রেম আমার ভাল লাগে না। গুটিপোকার মত সেদিন আরো গুটিয়ে গেছিল জামিল।
শিখা ঝাঁপ
দিয়েছিল অন্য প্রেমে। কলেজ মোড়ের শশী ক্যান্টিনে শিখাকে দু একদিন বড়দার সাথেও
ঘনিষ্ঠ হতে দেখেছে জামিল। কাজে কর্মে প্রেমে অপ্রেমে বড়দা খুব প্রাক্টিক্যাল।
ইশকুল মাস্টার বাবার মেয়ে শিখাকে ছেড়ে স্টেশন মাস্টারের শিক্ষিত চাকুরীজীবী মেয়েকে
বিয়ে করে ঢাকায় চলে আসে বড়দা। এর কিছুদিন পরেই শিখার বিয়ে হয়ে যায় এক প্রবাসী বাঙ্গালীর সাথে। সেই শিখা
এখন কানাডা থাকে। কবিতা লিখে। দুই ছেলে আর স্বামী নিয়ে বেশ আছে । জামিলকে দেওয়া শিখার
বইগুলো আর নেই। খুব সুন্দর সুন্দর কথা লিখে বই প্রেজেন্ট করত শিখা। পুরানো বইয়ের
ভিড়ে হয়ত কখনো কেউ পেয়ে যেতে পারে , “জামিকে এক আকাশ ভালবাসা দিলাম” কিম্বা “এখনো
লেগে আছে ভালোবাসার সুগন্ধ” লেখা বইগুলো
হারিয়ে গেছে।
জামিল আগে বুঝতে
পারত না মেয়েরা কি চায় ? শরীর, টাকা নাকি অন্য কিছু ? এখন বোঝে মেয়েরাও মানুষ।
জীবনকে চালিয়ে নিতে অর্থ এবং শরীর অপাংতেও নয় কোনোটাই । জামিলের টাকা হয়েছে কিন্তু
শরীর যে আধচলা রেল ইঞ্জিন! গন্তব্য আসার আগেই থমকে থেমে যায়। কেউ তা জানে না। তবে
আজকাল মা বাবা বুঝে গেছে হয়ত। গেল পাঁচ বছরে আর বিয়ের কথা বলে না কেউ। কিন্তু জামিলের খুব ইচ্ছা বিয়ে করার। সংসার আর সন্তান নিয়ে একটি ব্যস্ত জীবন
আজকাল জামিলের স্বপ্নে খুব হানা দেয়। যখন কোন ছোট্ট শিশু জামিলের কোলে উঠে বুক
ছুঁয়ে এটা ওটা আবদার করে তখন জামিলের সুপ্ত ইচ্ছাটা জেগে উঠে তীব্ররকম। মুহুর্তেই ও বাবা হয়ে যায় শিশুটির। কিন্তু শিশুটি যখন
উপহার নিয়ে নিজের বাবা মার কাছে ছুটে যায় তীব্র কষ্ট ছেয়ে ফেলে জামিলকে। মনে পড়ে
রুপাদি তো একেবারে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে ফেলেছিল জামিলের সাথেই থাকবে বলে। যার যার তার তার ব্যবস্থা। লেখা লেখি করেই বাকী জীবন
কাটিয়ে দেবে ওরা । কিন্তু যেদিন রুপাদির বর দুটি বাচ্চা পাঠিয়ে দিয়ে নীচে গাড়িতে
বসেছিল সেদিন রুপাদি বাচ্চাদের জড়িয়ে কেঁদে কেঁদে বলেছিল, যাচ্ছি রে জামি। কেবল এই
সন্তানদের জন্যে ফিরে যাচ্ছি অই নরকে। এর দুই দিন পরে একটি সুন্দর পাঞ্জাবী গিফট
করে রুপাদি আর রুপাদির বর গ্র্যান্ড খাইয়ে দিয়েছিল জামিলকে।
সেদিন সারারাত জামিলের খুব একা লেগেছিল। রুপাদিকে দেখে ভেবেছিল তাহলে নরকেও এত সুখ
থাকে ! আজকাল জামিলের খুব ইচ্ছা করে অই নরকটি পেতে।
ম্যানেজারের পাশের মেয়েটিকে শিখার মত দেখতে। শিখার মতই উদাস ব্যাকুল ছায়া
মুখের ভেতর খেলা করছে। অনুন্নত বুকে হাত রেখে কাঁচের বাইরে থেমে যাওয়া বৃষ্টিতে
লোকেদের চলে যাওয়া দেখছে। জামিলের মনে এক তরুণ অ্যালবাট্রোস পাখা মেলে দেয়। জামিল
শাড়ি দেখার ছল করে এগিয়ে যায়। মেয়েটির আরো
কাছে গিয়ে কথা বলে দেখবে তার শরীরে আলোড়ন ওঠে কিনা। শিরা উপশিরার শৃঙ্গটি ফণা তুলে
অবাধ্য হয় কিনা। অভ্যস্ত অভ্যাসে মেয়েটি শাড়ি দেখায়। নিপুন দক্ষ হাতে ভাঁজ খুলে রঙ
ডিজাইন আর দাম বলে যায়। জামিল আলটপকা বলে উঠে অনেকদিন ধরে আছেন এখানে ? থমকে যায়
মেয়েটি । ট্রেনিং পাওয়া সন্দেহ চোখে প্রশ্ন করে, কোন শাড়িটা নিবেন ? জামিল বুঝতে
পারে। সে যে ফালতু কাস্টমার নয় সেটা বোঝাতে দুটো শাড়ি পছন্দ
করে ফেলে ঝটপট। ক্যাশ কাউন্টারে শাড়ি পাঠিয়ে মেয়েটি এবার জানায় , সে স্টুডেন্ট । জামিল
ওর কার্ড দিয়ে নরম ভাবে জানায়, ফোন করলে খুশী হব। আমরাও মাঝে মাঝে স্টুডেন্টদের
কাজ দিই। কার্ড নিয়ে মেয়েটি উলটে দেখে দুবার তিনবার। কার্ডের চাইতে জামিল অনেক
হালকা পলকা। মেয়েটি এবার স্বাভাবিক হেসেই মাথা নাড়ে। হাতের মুঠোয় জামিলের কার্ডটি উষ্ণ হচ্ছে।
গজদাঁতে আলো পড়ে ঝিকিয়ে উঠলে জামিলের শরীর মুচড়ে আনন্দ নেমে আসে। বৃষ্টির গন্ধ
পাওয়া সরল আনন্দ। সিওর, শিখার মত দেখতে মেয়েটি ওকে ফোন দিবে। দেবেই। এবার আর দেরি
করবে না জামিল ।