গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

দীপঙ্কর বেরা

পড়াশুনায় পড়া


উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর অনেকের মত অভিজিৎও সময় বের করে টিউশন পড়াতে শুরু করল । বি এ-এর পরে এম এ-তে ভর্তি হল সেই সাথে চাকরি চেষ্টা করতে লাগল । আর টিউশন । টাকা যোগাড় করার জন্য । 

পাড়ার বিভাসদাকে বলে রেখেছে কিছু ব্যবস্থা হলেই জানাতে । দু একজনের চাকরি করে দিয়েছে । মোটা টাকা নেবে তবে অ্যাপয়েন্টম্যান্ট পাওয়ার পর । বিভাসদা নিজে বি এ পাশ তাও নিজের চাকরি যোগাড় করছে না কেন ? সে প্রশ্ন অনুচিত ।
গ্রামে অভিজিৎ কিন্তু টিউশনে ভাল টাকা পেল না । অনেকে টাকা দেব বলে দেয় না । গবীর মানুষ , বলে ঠিক দিয়ে দেব । তাদের পড়াতে পড়াতে নিজে যেমন শেখা যায় তেমনি ঘরের খেয়ে দেয় যা আয় হয় প্রায় সবটাই জমা থাকে ।
 
বাবা বলেছে নিজের পড়া ছাড়িস না । তাই কলেজেও নিয়মিত যায় । পড়া ধরে রাখার জন্য চেষ্টাও করে । আর মাঝে মাঝে বিভাসদার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে ।
 
ঠিক এম এ ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষার পরেই শুনল গ্রামের স্কুলে বিট্টু মাস্টারি পেয়ে গেছে । বিভাসদার কাছে যেতে বলল - ও পাক না
 ,তুইও পাবি ? 
অভিজিতের মুখ দেখেই বিভাসদা পিঠ চাপড়াল - না রে , টাকা পয়সা তো আছেই , সেই সাথে ......
 , থাক । ভাবিস না । তোর জন্যও দেখছি ! 
বিট্টু টেনেটুনে উচ্চমাধ্যমিক তাও অনেকদিন আগে
 , এখন পান বিড়ির দোকান চালায়  সে এখন শিক্ষক । 
কি আর করা যাবে ? অভিজিৎ বাবাকে বলে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে এল । ঠিক মাথা গুঁজে থেকে গেল । মাঝে মাঝে গ্রামে যায় যারা তার কাছে টিউশন পড়ত তারা সব বিট্টুর কাছে পড়ে
  বিট্টু পান চেবাতে চেবাতে স্কুলে পড়ায় আর ঘরে টিউশন ।   
বিভাসদা আরো বিন্দাস । বেশ গণ্যিমান্যিও বটে ।