মাতৃ হৃদয়
খুব গরম । ভাদ্র এসে বুঝিয়ে দিচ্ছে
তার নাম । ঘুম ভাঙতেই দেখলাম ভোর পাঁচটা বাজে । যথারীতি তৈরি হলাম আর বেড়িয়ে পড়লাম
প্রাতভ্রমনের উদ্দেশে্য । রাস্তায় বেড়িয়ে নদীর ধার দিয়ে হাঁটছি আর হেডফোনে শুনছি
একটা প্রিয় কবিতা । মন বিরাজ করছে কবিতার জগতে । হঠাৎ সামনে দেখি বেশ কিছু লোকজনের
জটলা ! সবাই নিচু হয়ে কি যেন এটা দেখছে ! একবার ভাবলাম এড়িয়ে যাই । কি
আছে ওখাানে কে জানে । কি দরকার অযথা ঝামেলায় জড়ানো । কিন্তু কৌতুহলী মন মানলো না ।
কাছে গিয়ে দেখতে গেলাম । কয়েকজন মানুষ সরে গিয়ে দেখবার সুযোগ করে দিলো ।
যা দেখলাম তাতে আমার সারা শরীর মন
জুড়ে বেদনার ছায়া নেমে এল । কাগজে পড়েছি ও শুনেছি অনাকাঙ্খিত সন্তানকে ফেললে দেবার
ঘটনা । আর মাঝে মাঝে আশ্চর্য্য হয়ে ভেবেছি কেমন করেে মায়েেরা আত্মজকে ফেলে দেয় ! কিন্তু সেটি
ছিল ভাবনা মাত্র । চোখের সামনে নিষ্ঠুর বাস্তব দৃশ্য
দেখে শিউরে উঠলো সারা শরীর । সাদা কাপড়ে জড়ানো ছোট্ট শিশু । সকালের একফালি রোদ এসে
পরেছে ওর কচি মুখে । মুষ্টিবদ্ধ হাতদুটি তুলে মনে হয় যেন মায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
জানাচ্ছে । অথচ মুখে লেগে রয়েছে অনাবিল হাসি । মনে হচ্ছিল দুহাতে বুকে চেপে ধরে
মাতৃস্নেহে ভরিয়ে দিই ওর সারা শরীর । কিন্তু কারা যেন ইতিমধ্যে পুলিশকে খবর দিয়েছে । পুলিশ
এসেই ঘিরে ফেললো জায়গাটা । আমাকে বললো - "দিদি সরে দাঁড়ান" আরারান্ত মন, ব্যাথাতুর মাতৃহৃদয় নিয়ে ফিরে চললাম বাড়ির পথে
।