গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

দেবাশিস কোনার

ভাঙ্গাবেড়া  


            এ গল্পের নায়ক খলিল , নায়িকা রিক্তা । গাড়ি চলছিল নির্দিষ্ট গতিতে । গড়ির ভিতরে বসে সদ্য পিছনের সারিতে চলে যাওয়া শিক্ষানবিশ ভাবছিল , ' আমরা চলি সমুখ পানে কে আমাদের বাঁধবে '। কিন্তু মারে হরি তো রাখে কে ? বাপের গাড়ি বলে কথা । সেই গাড়ি চালিয়ে রিক্তাকে খলিলের হাত থেকে ছাড়াতে এসেছিল বকুল । বকুল বড়লোক বাপের একমাত্র সন্তান ।
সে ও রিক্তাকে প্রাণ মন দিয়ে ভালোবাসে । কিন্তু রিক্তা বকুলকে পচ্ছন্দ করে না । তার পচ্ছন্দের মানুষ খলিল ।
         ভাঙ্গাবেড়া অনেক ঘটনার সাক্ষী । তাদের স্কুলের পাশ দিয়ে একটা জলবিভাজিকা বয়ে গেছে । একে নদী , নালা , জামনা , কাঁদর , খাল - যা হোক একটা কিছু বলা যেতে পারে । তো এই খালের পাড়ে পাড়ে ছড়িয়ে আছে বহু স্মৃতি । এ পার থেকে ও পার যাবার জন্য একটি মাত্র সাঁকো । এখন লোকে বাংলার থেকে ইংরাজি ভাষা বেশি পচ্ছন্দ করে । সেজন্য এই সাঁকোটিকে লোকে ভাঙ্গাবে্ড়া ব্রিজ বলে । আমরাও এবার থেকে তাই বলবো ।

          রিক্তা কখনোই খলিলের হতে পারে না । কারণ সে হিন্দু । বকুল ও হিন্দু । সে জন্য বকুল একদল গুন্ডা নিয়ে হাজির হল রিক্তাকে তুলে নিয়ে যেতে । বাদ সাধল একদল মেয়ে । সেদিন ছিল নারী দিবস । ওরা সব একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াল । বকুল ফিরে আসতে বাধ্য হল ।