এ গল্পের নায়ক খলিল ,
নায়িকা রিক্তা । গাড়ি চলছিল নির্দিষ্ট গতিতে । গড়ির ভিতরে বসে
সদ্য পিছনের সারিতে চলে যাওয়া শিক্ষানবিশ ভাবছিল , ' আমরা
চলি সমুখ পানে কে আমাদের বাঁধবে '। কিন্তু মারে হরি তো
রাখে কে ? বাপের গাড়ি বলে কথা । সেই গাড়ি চালিয়ে রিক্তাকে
খলিলের হাত থেকে ছাড়াতে এসেছিল বকুল । বকুল বড়লোক বাপের একমাত্র সন্তান ।
সে
ও রিক্তাকে প্রাণ মন দিয়ে ভালোবাসে । কিন্তু রিক্তা বকুলকে পচ্ছন্দ করে না । তার
পচ্ছন্দের মানুষ খলিল ।
ভাঙ্গাবেড়া অনেক ঘটনার সাক্ষী । তাদের
স্কুলের পাশ দিয়ে একটা জলবিভাজিকা বয়ে গেছে । একে নদী ,
নালা , জামনা , কাঁদর , খাল - যা হোক একটা কিছু বলা যেতে পারে
। তো এই খালের পাড়ে পাড়ে ছড়িয়ে আছে বহু স্মৃতি । এ পার থেকে ও পার যাবার জন্য একটি
মাত্র সাঁকো । এখন লোকে বাংলার থেকে ইংরাজি ভাষা বেশি পচ্ছন্দ করে । সেজন্য এই
সাঁকোটিকে লোকে ভাঙ্গাবে্ড়া ব্রিজ বলে । আমরাও এবার থেকে তাই বলবো ।
রিক্তা কখনোই খলিলের হতে পারে না । কারণ
সে হিন্দু । বকুল ও হিন্দু । সে জন্য বকুল একদল গুন্ডা নিয়ে হাজির হল রিক্তাকে
তুলে নিয়ে যেতে । বাদ সাধল একদল মেয়ে । সেদিন ছিল নারী দিবস । ওরা সব একজোট হয়ে
রুখে দাঁড়াল । বকুল ফিরে আসতে বাধ্য হল ।