আমাদের বলাই, অর্থাৎ পাতিয়ালার বলবিন্দর সিং ওর নতুন কেনা স্করপিওর
স্টিয়ারিং-এর পিছনে বসে সুরেলা গলায় গুনগুন করে রবীন্দ্রসংগীত গাইছে। শান্তিনিকেতন
থেকে বাংলায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বলবিন্দরকে গুরুদেবের গান আর কবিতার একজন বিশেষজ্ঞই
বলা যায়। ওর ভরাট গলার আবৃত্তি শুনে অনেককেই বলতে শুনেছি, ‘বলাইবাবুর দাড়ি আর
পাগড়ি এক্কেবারে ঠিক আসল পাঞ্জাবীদের মত’। বলাই-এর পাশের সিটটা এখনও ফাঁকা, পিছনের
সিটে রেণু, ভানু আর আমি দারুণ উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছি। কারণটা আর কিছুই নয়, একটা
পুরো হপ্তা কেটে গেল অথচ আমরা আমাদের অতি প্রিয় ভুলোদা ওরফে ভোলানাথ সমাদ্দারকে তাতাতে পারিনি। ক’ দিন ধরেই
ভুলোদা যেন একটা হাসিখুশির মুখোশ পরে আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে চলেছেন, আর আমরা
চারজন যেন বাসি মুড়ির মত মিয়ে যাচ্ছি। এভাবে চললে আমাদের এমন আড্ডাটারই যে সাড়ে
বারোটা বেজে যাবে! একটা হেস্তনেস্ত এবার করতেই হবে।
আজ শনিবার। রেণু মানে বিজ্ঞানের
অধ্যাপিকা রেণুকা বসু আর উকিল ভানু মিত্তিরের আজ আধলা ছুটি; শ্যামবাজারে বলাই-এর
শাঁসালো মোটর পার্টসের পৈতৃক ব্যবসা, বিশ্বাসী কর্মচারী আছে, অতয়েব কাজে ফাঁকি
দেবার অভিযোগ ওঠার সম্ভাবনা নেই; আর আমার আর ভুলোদার তো সব বারই রোববার!
বলাই-এর নতুন গাড়িটার উদ্বোধন করতে ডায়মন্ড হারবারের দিকে হাওয়া খেতে যাবার
প্রস্তাবটা ভুলোদাই দিয়েছিলেন। বদ্ধ ঘরে বেশিদিন একনাগারে থাকলে তাঁর নাকি
স্মৃতিশক্তির কম্পিউটারটা হ্যাং করে যায়! ন্যাশানাল লাইব্রেরির সামনে ভুলোদার
দাঁড়ানোর কথা। বাঁক ঘুরতেই ধোপদুরস্ত পাঞ্জাবি-পায়জামা আর চোখে সোনালি রিমলেশ
চশমা-শোভিত বনেদী চেহারাটা চোখে পড়তেই আমরা টানটান হয়ে গেলুম। বলাইও গান থামিয়ে ঘন
দাড়ি-গোঁফের আড়ালে হাসি লুকিয়ে ফেলেছে। ‘ভাজা মাছটি উল্টে খেতে না জানা’ হাসি মুখে
নিয়ে এগিয়ে এসে বলাই-এর পাশে উঠে বসলেন ভুলোদা, গাড়ি ছুটল মোহনার দিকে। মিনিট পাঁচেক
সবাই চুপচাপ। হু হু করে হাওয়া আসছে খোলা জানালা দিয়ে, দেখা যাক এই দখিনা বাতাসে
ভুলোদার কম্পিউটার কি রকম কাজ করে!
বিপক্ষ ফিলডিং টিমের আমরা তিনজন ওৎ পেতে আছি, ব্যাট-প্যাডের মধ্যে একটু
ফাঁক বা একটা হাফ চান্সের ক্যাচও যদি ওঠে! কিন্তু ভুলোদার যা শক্ত ডিফেন্স! --যেন ‘রাহুল
দ্রাবিড় দ্য ওয়াল’। মুখে প্রগাঢ়
গাম্ভীর্যের প্যাড-হেলমেটে মুখ ঢেকে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে বাইরের অপসৃয়মান দৃশ্য
দেখে যাচ্ছেন ভুলোদা; প্ল্যান অনুযায়ী বোলিং শুরু করল রেণু। পিছনে হাত ঘুরিয়ে হট
বক্সটা টেনে নিয়ে বের করল গরম গরম মাছের কচুরি আর কাশ্মিরী আলুর দমের বাউন্সার। ভানু
আর আমি কাগজের প্লেটে সাজিয়ে যত্ন করে এগিয়ে দিলুম। ভুলোদা নির্বিকার চিত্তে
সেগুলো হুক করে যথাস্থানে পাঠিয়ে দিলেন। চশমার পিছনে চিকচিকে চোখদুটো দেখে মনে হল আমাদের স্ট্র্যাটেজি কিছুটা যেন আঁচ করেছেন।
পরের ওভারে ভানুর অমন নকুড়ের জলভরা সন্দেশগুলোও বাউন্ডারি পেরিয়ে চলে গেল।
আচমকা বলাই বাঁ হাতের তিন আঙ্গুলে
নকুড় ঘোরাতে ঘোরাতে আর স্টিয়ারিং-এ দাদরার তাল দিতে দিতে উদাসী গলায় গেয়ে গেয়ে উঠল
‘ আমি চঞ্চল হেএএএ ... আমি সুদূরেরও পিয়াসীইইই ...।’
এবার একেবারে টপ স্পিন! ভুলোদা
নড়েচড়ে বসলেন।
হেসে বললেন, কি হে বলাইচন্দর, হঠাৎ এমন চঞ্চল হয়ে সুদূরের পিয়াস হয়ে উঠলে
যে বড়!
--- না হয়ে আর উপায় কি বল! পিছন
থেকে কীপার ভানু ওকালতি করল, মাসখানেক হল ওর সর্দারনী গোঁসা করে বাপের বাড়ি
হরিয়ানার গ্রামে গিয়ে বসে আছে। বলাই বেচারা সুস্বামীর মত করে হাফ দিস্তা পাতা
ভর্তি রবি ঠাকুরের গান-কবিতার কোটেশন সমেত সপ্তাহে দুটো করে চিঠি দিয়ে যাচ্ছে, অথচ
নিঠুরা সর্দারণী প্রতি দুটো চিঠির জবাবে একটা করে নিরস এস.এম.এস পাঠাচ্ছে, বোঝো
কাণ্ড!
--- চিঠির চরিত্র বড়ই বিচিত্র, ফার্স্ট
স্লিপ থেকে আমি বেশ কায়দা করে খেলিয়ে বললুম, পিয়নের ঝুলিতে কত যে রহস্য, কত যে
হাসি-কান্না লুকিয়ে থাকে তার ইয়ত্তা নেই। কি বল ভুলোদা!
--- চিঠির মর্ম ভুলোদা কি জানে, যে
বলবে! রেণুর স্লেজিং, একা মানুষ, বে-থা করেননি, তার ওপর চিঠি-পত্তর লেখার মত
আত্মীয়-স্বজনও তো ত্যামন নেই, সারা জীবনে কটাই বা চিঠি পেয়েছেন ভুলোদা! আর এখন এই
হোয়াটসঅ্যাপ আর এফ.বি-র যুগে কে আর চিঠি লিখে সময় নষ্ট করে!
--- কিন্তু ভুলোদা কত বই-পত্তর পড়েন,
কত জ্ঞান, কত ইয়ে..., আমি শিশুর সারল্য নিয়ে ভুলদার যেন পক্ষ নিলুম।
--- আরে ইয়ার, কিতাব পড়ে কি আর
চিটঠির মজা মেলে? চিটঠি হল চিটঠি, ওর মতলবও আলগ আছে। বলাই আড়চোখে ভুলোদাকে দেখে
ফুট কাটল।
--- বলাই ঠিকই বলেছে। ভানু উকিলি
গলায় জ্ঞান ছিটালো, চিঠির ভাষা, হাতের লেখা, মায় কাগজ আর কালির নমুনা দেখেও লেখকের
চরিত্র, মনের ভাব বোঝা যায় তা জানো!
--- তা বলে কি ভুলোদা চিঠির
ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলতে চাস! আমি মুখে চোখে যতটা সম্ভব রাগ ফুটিয়ে বললুম, কত
বিখ্যাত লোকের চিঠি, পত্রাবলী আছে, ভুলোদা কি সে সব কিছু পড়েননি!
--- কি বাজে কথা বলছিস! ভুলোদা
পড়বেন পরের চিঠি! তাহলেই হয়েছে! রেণু মুখ ঘুরিয়ে মুখ ঝামটা দিল, পরের চিঠি পড়া যে
অভদ্রতা এটাও কি জানিস না! কি ভুলোদা ঠিক বলি নি?
বলাই সিং-এর স্পিন, আর তিন দিকে
আমরা ক্লোজ ফিল্ডার শুধু একটা সুযোগের
অপেক্ষায়।
--- ঠিক, আবার ঠিক নয়ও। ভুলোদা
গম্ভীর মুখে মাথা নেড়ে বললেন।
জয় মা! বরফ গলেছে!
---পরের চিঠি আমি পড়িনা ঠিকই, তবে
বিখ্যাত মানুষদের যে সব চিঠি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো কিন্তু পড়তে ছাড়িনা।
--- বিখ্যাত লোকেদের চিঠিও বিখ্যাত
বলতে হবে তাহলে?! আমি বললুম।
--- অবশ্যই। ভুলদা বললেন, ওই যে
ভানু বলল না, চিঠি পড়ে মানুষটাকে বোঝা যায়! একদমখাঁটি কথা। স্বামীজী, কবিগুরু,
নেতাজী, গান্ধিজী, নেহেরু -- এদের চিঠির কথাই ভাবো! কি সব অমূল্য দলিল! আবার এমন
মানুষও আছেন যাঁরা তাদের চিঠির জন্যই শুধু বিখ্যাত হয়েছেন।
--- সেটা কি রকম? রেণু শুধালো।
ব্যস! আর পাশ কাটানোর উপায় নেই,
বেশ ভালো রকমই জড়িয়ে ফেলা গিয়েছে এবারে।
--- বলাই-এর সর্দারণীর অনারে
প্রেমপত্র দিয়েই তাহলে আরম্ভ করা যাক, সাধের রূপোর সিগারেট কেস থেকে সিগারেট বাছতে
বাছতে শুরু করলেন ভুলোদা।
--- ইংল্যাণ্ডের কেন্ট অঞ্চলের
অ্যালান ফোরম্যান নামে এক ভদ্রলোক তাঁর বউ জ্যানেটকে একতা চিঠি লিখতে শুরু
করেছিলেন ১৯৮২ সালের ৩রা জানুয়ারী , লেখা শেষ হয় ১৯৮৫ সালের ২৫শে জানুয়ারী। প্রায়
দু বছর ধরে লেখা সেই চিঠিতে মোট ১৪,০২৩৪৪ (১৪ লক্ষ ২ হাজার ৩ শো ৪৪)-টা শব্দ আছে।
--- ওঃ, কি ভাগ্যবতী বউ গো! পিছন
থেকে রেণুর মন্তব্য।
--- ওটা পড়ে ওর বউ ডিভোর্সের মামলা
করে নি? ভানু উকিল যোগ করল।
--- তা বলতে পারব না, আচ্ছা আর
একটা শোনো, জানালা দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে বললেন ভুলোদা, নরফোকের ডিস শহরের
বাসিন্দা ক্যানন বিল কুক আর তাঁর স্ত্রী হেলেনকে কোন কারণে ১৯৪২ সালের মার্চ থেকে
১৯৪৬ সালের মে মাস পর্যন্ত আলাদা থাকতে হয়েছিল। চার বছরের বেশী এই সময়ে তাঁরা দুজন
দুজনকে ৬ হাজার প্রেমপত্র বিনিময় করেছিলেন, অর্থাৎ গড়ে দিনে চারটে করে চিঠি
লিখেছিলেন দুজনে।
--- ওরে বলাই শোন শোন, এই সব টেস্ট
প্লেয়ারের কাছে তুই তো ব্যাটা একটা দুগ্ধপোষ্য শিশু রে! আমি আর না বলে পারলুম
না।
--- আর একজন প্রেমিক স্বামীর কথা
জানি, ভুলোদা এখন টপ ফর্মে, তিনি হলেন জাপানের অর্থ দপ্তরের এক সময়ের উপমন্ত্রী উ
চি নেদা। ঘরে শয্যাশায়ী স্ত্রী মিৎসু, অথচ
সরকারি কাজে সারা পৃথিবী চষে বেড়াতে হয় তাঁকে। ১৯৬১ সালের জুলাই থেকে ১৯৮৫ সালের
মার্চে স্ত্রীর মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি মোট ১৩০৭টি দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিগুলোতে
অসুস্থ মিৎসুর খবরাখবর ও দাম্পত্য জীবনের সাধারণ কথা ছাড়াও তাঁর কর্মময় জীবনের পরিচিত
অপরিচিত পাঁচ লক্ষ মানুষের কথা লেখা আছে। অমূল্য এই চিঠিগুলো ১২৪০৪ পৃষ্ঠায় মোট
২৫টা খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
একটা কেতাবি কভার ড্রাইভ, একটা স্কোয়ার কাটে বাউণ্ডারি আর লং অনের ওপর দিয়ে
একটা ‘বাপি বাড়ি যা’ মার্কা ওভার বাউণ্ডারি হাঁকিয়ে আমাদের মত চারটে এলেবেলে
ফিল্ডারকে একেবারে শুইয়ে দিলেন ভুলোদা।
মাষ্টারণীর চশমা ঝুলে পড়েছে নাকের ডগায়, ভানু উকিল বিড়বিড় করে কি সব হিসেব কষছে, আমার নিজের মাথাটাকে মনে
হচ্ছে যেন একটা ভীমরুলের চাক, গাদা গাদা সংখ্যার ভীমরুল ভোঁ ভোঁ করছে। অমন যে
দশাসই বলবিন্দর, সেও কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছে। প্রায় ঘাড়ের ওপর গুঁতো মারতে
আসা একোটা গুণ্ডা মিনিবাসকে কোনরকমে পাশ দিয়ে গাড়িটাকে একটা শরবতের দোকানের সামনে
দাঁড় করিয়ে বাংলা ভুলে বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় বলল, চিটঠি কোঈ মামুলি চিজ নেহি হ্যায় জী,
ইয়ে হাম আজ মান গিয়া, অব থোড়া লস্যি উস্যি পিনেকা ইজাজৎ দিজিয়ে দাদা।
ভুলোদা হাসিমুখে মাথা নাড়তে আমরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। এ সময় ড্রিঙ্কসের
বিরতিটা খুবই দরকার ছিল।
দু-গ্লাস করে লস্যি শেষ হলে আবার গাড়ি ছুটল। ভুলোদা মন দিয়ে বাইরের
প্রাকৃতিক দৃশ্য-টৃশ্য দেখছেন। রেণু ফিসফিস করে ভানুকে বলল, কি রে, খেলা কি এখানেই
শেষ না কি?
--- আরে নাহ! ভানুও চাপা গলায় বলল,
চাম্পিয়ান ব্যাটসম্যান, খেলতে যখন নেমেছে অত সহজে ছাড়বে বলে মনে হয় না।
হঠাৎ পিছন আর পাশে মুখ ঘুরিয়ে সেই চিকচিকে চোখে আমাদের মুখগুলো দেখে নিয়ে
ভুলোদা শুরু করলেন, --- চিঠি দেওয়ার কথা তো শুনলে, চিঠি পাওয়ার কথাও একটা শোনো।
আমেরিকার পোস্টাল ডিপার্টমেন্টের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী , বিখ্যাত বেসবল খেলোয়াড়
হাঙ্ক অ্যারোঁ ১৯৭৪ সালে ৯ লক্ষ চিঠি পেয়েছিলেন। আর দামী চিঠির কথা যদি বল তো ১৮১৮
সালে ইহুদীদের কুসংস্কারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট টমাস
জেফারসনের সই করা চিঠিটার কথা বলতে হবে। ১৯৮৬ সালে ২৯শে অক্টোবর নিউইয়র্কে সথবীর
নিলামে ৩,৬০০০০ (৩ লক্ষ ৬০ হাজার) ডলার মানে আজকের টাকার অঙ্কে প্রায় ১৮ কোটি
টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
আমাদের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে বোধ হয় একটু মায়া হল ভুলোদার। বললেন, একটা
ছোট্ট চিঠির কথা বলে এবারের মত ছেড়ে দিচ্ছি তোমাদের। বিখ্যাত ফরাসী নাট্যকার ও
ঔপন্যাসিক ভিক্টর হুগোর নাম তো তোমরা শুনেছো! ১৮৬২ সালে হার্স্ট অ্যাণ্ড ব্রাকেট
কোম্পানি তাঁর সুবিখ্যাত ‘লা মিজারেবল’ উপন্যাসটি প্রকাশ করে। সে সময়ে ছুটি কাটাতে
শহরের বাইরে গিয়েছিলেন হুগো। পাঠকেরা উপন্যাসটি কি ভাবে গ্রহণ করেছে বা বিক্রি কেমন
জানার জন্য প্রকাশককে একটা চিঠি লিখলেন তিনি। কি লিখেছিলেন সেই চিঠিতে জানো? শুধু
একটা জিজ্ঞাসার চিহ্ন (?)। প্রকাশক মশাইও সমান রসিক, তিনি জবাব দিয়েছিলেন একটা
বিস্ময় চিহ্ন (!) লিখে।
গাড়ি ডায়মন্ড হারবারে ঢুকছে, ভুলোদাও একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে আপাতত ডিক্লেয়ার
করে দিলেন। আর আমরা চারজন গুণমুগ্ধ অনেকক্ষণ পরে প্রাণ খুলে হাসতে হাসতে হাততালি
দিলাম।
(এই লেখার প্রতিটি তথ্যই ‘গিনেস
বুক অব রেকর্ড ১৯৯১’ থেকে নেওয়া। বিঃদ্রঃ- ২০০১ সালে সাহিত্য তীর্থ (প্রকাশক)-র
প্রকাশিত আমার লেখা জানা-অজানা ১০০১ বইটি এ ধরণের বহু তথ্যে সমৃদ্ধ।)