কথাসাহিত্য
আপনাদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই, ও হলো আমার কমরেড দেবারতি। আমরা কলেজ লাইফ থেকে পাশাপাশি কাঁধাকাঁধি। ওই ফুটফুটে মেয়েটা হল আমার মেয়ে। ওর মা ওকে যত্নআত্তি করে। আমার তো সময় নেই। সকাল থেকে রাত নানারকম মানুষ জন বিড়ি কেঁদুলি খালাসিটোলা গিটার পথে এবার নামো সাথী... ইত্যাদি ইত্যাদি। বঞ্চিত সহ বাসীদের হয়ে প্রতিবাদ কবিতা আলোচনা ওই যা হয় আর কি অনুভবী মানুষদের! ওরই ফাঁকে এক আধবার লাদাখ তোশালি হয়ে গেছে। খরচ আমি কোত্থেকে পাবো মশাই? মেয়ের মা একটা চাকরি করে। তাতেই আমার মুখে ভাত আর পাঁইট ওঠে। বুঝলেন মশাই, আমার খইনি আর তাড়ি বেঁচে থাক! আমাকে শ্রদ্ধা করছেন ? হাহাহা আপনার বাঁশ আপনি নিলেন।
দেবারতির স্বভাব কবিতা লেখা। বুঝলেন...আমার আপত্তি নেই এতে। আফটার অল ও তো টিভিসাবান গুলো গেলে না। হ্যাক থু... কোন বুদ্ধির ছাপই নেই ওগুলোতে। তবে হ্যাঁ বয়স হলেও আমাদের সম্পর্ক টা খুব শক্ত । ও ধসকে যায় নি, আর আমিও হে হে...।
কাল রাতে একচোট হয়ে গেছে। মেয়েটা বড় হয়েছে। ওকে তো এখন বোঝাতে হবে সমাজ দেশ পৃথিবী অসহায় মানুষের কান্না । মেয়েরা যে কিভাবে অত্যাচারিত পুরুষদের কাছে তার বিরুদ্ধে তো নতুন প্রজন্মেরই রুখে দাড়াতে হবে। দিল্লির ওই নির্ভরা, বা হরিয়ানার খাপের বিধান, বা ভ্রুণ হত্যা, আফ্রিকার উপজাতির মেয়েদের বলপূর্বক সতীচ্ছদ করা... এইসব ও যদি না জানে, লোকে তাহলে আমার মেয়ে বলে ওকে চিনবে ? আমরা কবি সাহিত্যিকরা যদি কলম না ধরি তবে এ দায় কে নেবে ? আমরা কি বড়লোকদের মত নিজেরটা গুছিয়ে জীবন কাটাবো ? মাল খেয়ে মেয়েকে একটা দুটো জিনিষ বোঝাতে গেছি বলে ও চটে কাঁই। আরে বাবা আমার বাড়ি আমি মাল খেয়েছি, তোর শালী কি ? মেজাজ টা খুব খিঁচড়ে গেছিলো। আমার আবার ভোরের দিকে ওকে না পেলে চলে না। অভ্যেস মত হাত বাড়াতেই ফোঁস করে উঠল। যেন আমি পরপুরুষ। তারপর আর কি। একটু ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে হলো। মেয়েটা পাশের ঘরে ঘুমোলে কি হবে, বড় হতে চললো তো । শুনতে পায় যদি আমার আওয়াজ! হি হি হি... তাই আর বেশি জোর করতে হয় নি। জিনিষটা ঢালার পরই আমার বড্ড ঘুম পেয়ে গেলো। এই এক স্বভাব আমার। না ঘুমোলে পোষায় না তারপর।
পাক্কা ৫ ঘন্টা ঘুমিয়ে এখন ঝরঝরে লাগছে শরীরটা। দেখি একটু ফেসবুকটা খুলি। মালিনী মিত্রকে অনেকক্ষণ দেখি নি। কালকের কবিতাটা মাইরি হেভি লিখেছে! পড়েই আমার খাড়া হয়ে গেছিল আর কি! খিক খিক খিক...। দেখি একটা মেসেজ করি। এই প্রগতিশীল মালগুলো না বহুত টেঁটিয়া হয়। কবে থেকে ঠুনুক ঠুন চালিয়ে যাচ্ছি। মেয়েছেলেগুলো বুদ্ধি খাটালেই চাপ হয়ে যায় ! মালটাকে ঠিক ধরতে পারছি না কদ্দূর এগোব। আমিও শালা হাতবাক্স পাবলিক। আর একবার চেষ্টা করে দেখি ... যে করেই হোক ওই মালিনী মিত্র কে সামনের সাহিত্যবাসরে আনা যায় কি না। ভুলিয়ে ভালিয়ে একবার এনেই নিই না ... গল্পের শেষটা তাপ্পর আমি লিখব । চুলে আমার নুনের গুঁড়ো কি এমনি এমনি লেগেছে ?