গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

বিলাল হোসেন - দুটি অনুগল্প


 ডা. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

পাড়ার ডাক্তার। বেশ নামডাক আছেকম ভিজিটে দেখে দেনসুতরাং সবাই যান তাঁর কাছেদুদিনের জ্বরে পড়ে আমিও একদিন গেলাম

প্রেশার মাপলেনচোখ দেখলেনতারপর ডা. সাহেব বললেন ঔষধ লিখে দিচ্ছিসাথে পথ্যওনিয়ম করে খাবেনকম খাবেনকম চিন্তা করবেনকম বলবেন । :তাহলে বেশিদিন বাঁচব , ডাক্তার সাহেব ? :অসীম সময়ের কাছে যতদিনই আমরা বাঁচি সে অণুমাত্র , বুঝেছেন !
খশখশ করে লিখে হাত বাড়িয়ে দিলেন ছোট প্রেসক্রিপশনটিআমি দেখলাম মাত্র দুটো ঔষধ ! ব্যস, আর কিছু না ! অক্ষরগুলোও নিতান্তই ছোটছোটঅবাক হয়ে দেখলাম ডাক্তার সাহেবের স্বাক্ষরটাও ছোট – ‘বনফুল’!


গপ্পো সপ্পো

একটা নদী থই থই পানি নিয়ে দুইগ্রামের মধ্যে দিয়ে চিরকাল বয়ে যায়নদীর ডান দিকে কালীমন্দির , তার পাশেই মিনারঅলা মাদ্রাসাএক ঝকঝকে দিনে নদীরএক কামড়েই দুটি শেষকালী ভাসেন , মিনার তার চঞ্চু ডোবায় জলে

নদীর বাম পাশে হাটখোলাসেখানে ছাপরা বেড়ার ঘরে বিড়ি খায় ছানিপরা বিপ্লবীবেড়ায় গোঁজা রাদুগা

এক সন্ধ্যায় ঘাটে পা ধুতে গিয়ে তিনি আর ফিরে আসেননিভরাকটাল জলে তার লাশ ভেসে ওঠে পরদিনজলের ঘূর্ণিতে ড্যাশ ক্যাপিটালের ছেঁড়া পাতা ভেসে যায়এক বেরসিক অজানা পাখি কমরেডের চোখদুটিকে ঠুকরে খেয়ে ফেলেছে । ছানিঅলা চোখ খেতে কী যে স্বাদের হয় !
---এইসব কথা বলে গল্প করছিল এক লেজকাটা ফিঙে পদ্মপাতার ওপর বসে থাকা জল ডাহুকীর সাথেগল্প শুনে হেসে লুটোপুটি খায় বনের হাওয়া , কৃষ্ণবটের ছায়া