ছেলেধরা
মোরশেদউল্লাহ
যখন কবিতার নেশায় ঢাকা এসে এক সাহিত্যঘন আড্ডায় শিরীনের সাথে পরিচিত হল তখন সে বুঝতেও পারেনি শিরীন তাকে এমন একটি অফার দিয়ে বসবে । শিরীন বলল— এই মোরশেদ তুমি তো বেশ লেখো , আগামী বই মেলায় একটা কাব্য গ্রন্থ বের করে ফেলো । আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি । মোরশেদ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল শিরীনের দিকে । শিরীন বিষয়টি ধরতে পেরে বলল— এতো অবাক হচ্ছো কেন ? আমার কাছে বেশ প্রকাশক আছে । দাঁড়াও , কিছুদিনের মধ্যেই নাম করা সব পত্রিকায় তোমার কবিতা ছাপিয়ে দেব ... জাস্ট ওয়েট । নবীন কবি মোরশেদউল্লাহ চোখের মধ্যে ঘোর নিয়ে তাকিয়ে দেখে শিরীনের কোলবালিশের মত শরীরটা এখন খুব একটা খারাপ লাগছে না । দু’টি মোটা ঠোঁট মনে হল রসে টইটম্বুর । জামদানী শাড়ির আঁচলের তলে ব্লাউজ ফেটে গরুর ওলানের মত বড় বড় স্তন বেরিয়ে আসতে চাইছে । মোরশেদউল্লা এ-দু’টির মধ্যেও কী এক সৌন্দর্য খুঁজে পেল । যেন কম্বলে জড়ানো অই যে বিশাল নিতম্ব ,—ওটাও খুব একটা খারাপ লাগছে না এখন । :ফুস্কা খাবা মোরশেদ ? শিরীন বলল । মোরশেদ চুপ করে থাকল । তার গ্যাস্ট্রিক আছে । ফোস্কা / চটপটি খাওয়া একদম নিষেধ । কিন্তু সে কিছু বলল না । কিছু বলার শক্তি হারিয়েছে । :বুঝলে মোরশেদ , আমি জানি , আমি ভাল লিখতে পারি না । কিন্তু কি করব বল— তোমরা
যারা অসাধারণ লেখো তাদের একটু হেল্প করতে পারলে ভাল লাগে । আচ্ছা , তুমি থাকো
কোথায় ? :গেণ্ডারিয়া । কয়েক বন্ধু মিলে একটা মেসে থাকি । :মেসে অনেক কষ্ট হয় , তাই না ? :ন্নাহ ।
:শোন আমি জানি মেসে কষ্ট হয় কিনা । তুমি এক কাজ করতে পারো কিন্তু !আমার বাসায় থাকতে পারো । আমি একা থাকি । হাজবেন্ড ছেলেমেয়ে বিদেশে । তোমার আপত্তি না থাকলে মাঝে মধ্যে
এসে থাকতে পারো । থাকবে ? চল আজকেই থাকো । সেই সময় গেণ্ডারিয়ার গলির নর্দমার গন্ধ এসে নাকে এসে লাগল । চল্লিশোর্ধ শিরীনের চোখে চোখ রেখে মোরশেদ বলল— :আমি
রাজি । ............
রাতে শিরীন তার কবি বান্ধবী নওরিনকে ফোন দেয়— খবর শুনেছিস , মোরশেদ উল্লাহ এখন আমার ড্রয়িং রুমে বসে টিভিতে ওমেন রেসলিং দেখছে । যাক বাবা , অনেকদিন উপোষ ছিলাম । জামান ছোকরাটা যাওয়ার পর ১৫/২০ দিন একা একা ... ।