লৌকিক
অলৌকিক
প্রকাশ্য দিবালোকে—সূর্যকরোজ্জ্বল নগর শহরের সভ্যতার
মাঝে লোকদের মনে অলৌকিক ঘটনা অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা বিশ্বাস
যোগ্যও হতে পারে । এমনিতে
ওই নগর শহরবাসীদের যদি নির্জন কোন জাগায় বসবাস করতে দেওয়া যায় তবে দেখা যাবে অনেক
কিছু অলৌকিক বিশ্বাস ধীরে ধীরে তাদের মাঝেও জন্ম নিচ্ছে । পরিবেশ পরিস্থিতি
মানুষের বংশজ গুণাবলীতেও পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে । এটা প্রমাণিত । বিশ্বাস অবিশ্বাস সর্বোপরি নিজস্ব
ব্যাপার । এটা নিয়ে সমালোচনায়
যত না নামা যায় ততই মঙ্গল । আমার
জীবনের যে ঘটনা আমি লিখতে যাচ্ছি সেটা এই রকম :
প্ল্যানচেটের ওপরে এক সময় আমার আগ্রহ এসে ছিল । দু
চারজনকে দেখেছি এটা করতে । আত্মাকে এর দ্বারা নাকি ডেকে আনা যায় । ছোট বাটি বা
ক্যারাম খেলার স্ট্রাইকারের সাহায্যে মনোসংযোগ করে কোন আত্মাকে ডাকলে নাকি আসে !
যাইহোক , তখন প্ল্যানচেটের ব্যাপার নিয়ে মনে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলায় দুল ছিলাম । একদিন নিজেই বসে গেলাম প্ল্যানচেটের ছক নিয়ে--আমি আর দুজন , মানে তিনজন মিলে । একজন মৃত, যার নাম ছিল গণেশ , প্ল্যানচেটে বসা আমরা তিন জনেই তাকে জীবিত অবস্থায় চিনতাম । আমাদের সবার চে সে বয়সে অনেক বড় ছিল । এই গণেশ দার আত্মাকেই আমরা ডাকব বলে ঠিক করলাম ।
মনে পড়ে , একবার ছোট বেলায় ঝড়ে আম কুড়োতে গিয়ে ছিলাম—বাবা
, মাকে না জানিয়ে । জানলে কি আর তাঁরা
ওই ঝড়ের মধ্যে আমায় বেরোতে দিতেন ? সে কি ঝড়--কাল বৈশাখী ঝড় । আমগুলি তখন আঁটি ধরবে ধরবে করছিল । আম
তলায় গিয়ে দেখি বেশ কজন ছেলে মিলে আম কুড়িয়ে যাচ্ছে । সামান্য দূরে একটা গাছের নিচে
দেখি একটা বড় ছেলে একা আম কুড়াচ্ছিল । আমিও সেখানে চলে গেলাম আম কুড়াতে ।
--এই , ভাল চাস তো এ গাছের তলায় আসবি না , সাবধান ! অন্য অনেক গাছ আছে--সেখানে
যা—সেই বড় ছেলেটা বলেছিল ।
দাদাটাকে উগ্র প্রকৃতির মনে হল--তাকে ঘাটাতে চাইলাম না । তার আদেশ শিরোধার্য ভেবে তাই করলাম--অন্য গাছের তলে গিয়ে আম কুড়াতে লাগলাম । কিন্তু সমস্যা হল , অনেক আম জড়ো করে নিয়েছি , সঙ্গে ব্যাগ আনিনি , অত আম নেব কি করে ? বুক পকেট থেকে শুরু করে আশপাশের সব কটা পকেটে আম ঠেসে ভরেছি । আর আমগুলির কি হবে ? ফেলে রাখতেও ইচ্ছে হচ্ছিল না ।
দাদাটাকে উগ্র প্রকৃতির মনে হল--তাকে ঘাটাতে চাইলাম না । তার আদেশ শিরোধার্য ভেবে তাই করলাম--অন্য গাছের তলে গিয়ে আম কুড়াতে লাগলাম । কিন্তু সমস্যা হল , অনেক আম জড়ো করে নিয়েছি , সঙ্গে ব্যাগ আনিনি , অত আম নেব কি করে ? বুক পকেট থেকে শুরু করে আশপাশের সব কটা পকেটে আম ঠেসে ভরেছি । আর আমগুলির কি হবে ? ফেলে রাখতেও ইচ্ছে হচ্ছিল না ।
এদিকে বেশ ঝড় শুরু হয়ে গেল--যাকে বলে বজ্র বিদ্যুৎ সহ
ঝড় জল ! এবার কি করি ? ভয় হচ্ছিল খুব । আশপাশে তাকিয়ে দেখি , একমাত্র গণেশদাই দূরে তখনও আম কুড়াতে
ব্যস্ত । ঠিক এমনি সময় আমার ধারে কাছেই হঠাৎ একটা বজ্রপাত হল । আর সঙ্গে সঙ্গে আমি ভয়ে প্রাণপণে এক চীৎকার দিয়ে
মাটিতে পড়ে গেলাম । দু চোখে তখন অন্ধকার দেখতে লাগলাম । বজ্রপাতের আগুন ছটা যেন
আমার শরীরে এসে লেগেছে । আমি জ্ঞান হারাই নি--কিন্তু উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা ও সাহস
হারিয়ে ছিলাম । আমার তখন কেমন বিহ্বল অবস্থা ! হঠাৎ লক্ষ্য করলাম গণেশ দা আমার
কাছে দাঁড়িয়ে আছে--মাথা নিচু করে আমায় নিরীক্ষণ করছে । আমায় হালকা ধাক্কা দিল গণেশ
দা , এই , এই , কি রে ?
--দাদা , বললাম আমি--কিন্তু
আমার কথার আওয়াজ মুখ থেকে বের হল না । গণেশ দা আমার বুকে হাত দিল । বোধহয়
আমার শ্বাস চলছে কি না দেখবার চেষ্টা করছিল । আমার ওঠার ক্ষমতা নেই । এবার গণেশ দা কি ভাবল কে জানে--আমায় ওঠাবার
চেষ্টা করল । উঁচু উঁচু পকেট ভরা আমগুলি পকেট থেকে বের করল--আর এ কি ! আমায়
অবলীলাক্রমে কাঁধে তুলে নিলো ! পথে আমার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করে ছিল । আমি অনেক
কষ্টে কেটে কেটে বলতে পেরে ছিলাম । পাঁচ মিনিটের মধ্যে আধ কিলোমিটারের মত পথ পার
করে গণেশ দা আমায় বাড়ি পৌঁছল । বাড়ির সবাই ছুটে এলো আমার কাছে । বাবা আমায় কোলে
তুলে নিয়ে ঘরের বিছানায় শুইয়ে দিল । আমি তখন অনেকটা সুস্থ । ঘটনাক্রম ভেবে আমি বেশ
ক্লান্ত ছিলাম ।
গণেশ দা আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল । এত বড় ডানপিটে ছেলেটা আমার ওপর এত সদয় কি ভাবে হল তাই ভাবছিলাম । ইতিমধ্যে আমার নাম জেনে ছিল গণেশ দা । আমায় জিজ্ঞেস করল , তপন , এখন তুই ভাল তো ? গণেশ দার মুখে বড় আপন সুর বেজে উঠে ছিল ! অথচ সেই আম তলায় কি দাদাগিরিই না দেখাচ্ছিল !
--আমি চলি , তোর
কুড়নো আমগুলি তোকে আমি দিয়ে যাব , গণেশ দা বলে ছিল ।
মা গণেশ দাকে বলে ছিল , বস বাবা , একটু
বিশ্রাম করে জলটল খাও । তুমি না থাকলে তপনের যে--মার কথা শেষ হবার আগেই গণেশ দা
বলে উঠেছিল , ও সব
কিচ্ছু নয় মাসিমা ! আমি ভাই , মনে করে ওকে তুলে নিয়ে এসেছি । আর দাঁড়ায় নি গণেশ দা--দ্রুত
আমাদের ঘর ছেড়ে চলে গিয়ে ছিল । বিকেলে এসে আমায় বলল , তোর কুড়নো আমগুলি দিয়ে গেলাম , তুই চাঙ্গা তো ?
আমি মাথা নাড়িয়ে জানালাম , হ্যাঁ ।
মা তাড়াতাড়ি এক গ্লাস জল আর প্লেটে সন্দেশ নিয়ে গণেশের
সামনে ধরল ।
--এ সব কি মাসিমা ? বলে
টুক করে একটা সন্দেশ হাতে তুলে মুখে পুরে দিল । এই সেই গণেশ দা , পাড়ার সবাই যাকে চিনত । গুণ্ডা-ষণ্ডা ছেলে বলেই সবাই তাকে জানে । কিন্তু
আমায় ভালবাসত , আমি তা
মনে মনে বুঝতে পারতাম । তারপর
আবার এলো এক বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের দিন । ঝড় জলের দিন । জানি , পেকে ওঠা ডাঁসা আম এখন গাছ তলায় ধুপ
ধাপ পড়বে । কিন্তু আমি ওই ঘটনার পর ঝড় জল দেখলেই ভয় পাই--আম কুড়াতে যাওয়া তো দূরের
কথা । সে দিন বিকেল বেলার দিকেই কথাটা
কানে এলো--গণেশ দা নাকি মারা গেছে ! শোনা মাত্র আঁতকে উঠলাম । আমার মনের কোনে গণেশ
দার প্রতি একটা গভীর টান অনুভব করলাম । এই ষণ্ডাগুণ্ডা মার্কা ছেলেটার মনের ভিতরে
কোথাও একটা নরম স্থান ছিল । সে স্থানটা আমি চিনতাম ।
গণেশ দা নাকি প্রত্যেক বারের মত এ বারও আম কুড়াতে গিয়ে
ছিল । হঠাৎ ঝড়ের মাথায় বিরাট এক আমগাছের ডাল ভেঙ্গে তার মাথায় এসে পড়ে । ব্যাস , সে জাগাতেই গণেশ দা মৃত্যুর কোলে ঢলে
পড়ে ছিল ।
ঘটনার কথা শুনেই গণেশ দার বাড়ি গিয়েছিলাম । অনেক লোকের
ভিড় ছিল--ওর দেহ নাকি পোস্টমর্টেমের পর ঘরে নিয়ে আসা হয়েছে । এখনি শ্মশান নিয়ে
যাওয়া হবে । সাদা কাপড়ে ঢাকা মুখটা দেখার ইচ্ছে হচ্ছিল খুব । গণেশ দা নাকি মাথায়
চোট পেয়ে ছিল--বড় গাছের ডালের আঘাতে মাথা থেঁতলে গিয়েছে । এই সেই গণেশ দা যে আমাকে
আম তলা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় কাঁধে তুলে ঘরে পৌঁছে দিয়ে ছিল ! আজ সে নেই--আম
কুড়াতে গিয়ে তার মৃত্যু হল । ঘটনাটা আমার মনে বড় দাগ কেটে ছিল ।
হ্যাঁ , এবার বর্তমানে ফিরে আসা যাক । তখন একটা বছর কেটে গেছে গণেশ দা মারা
গেছে । আমরা প্ল্যানচেট করতে বসে সেই গণেশ দাকেই ডেকে বসলাম । না , কোন সাড়া পাচ্ছিলাম না বহু সময় ধরে ।
পনের মিনিট কেটে গিয়ে ছিল--আমরা সবাই ক্যারামের স্ট্রাইকারের ওপর আঙুল লাগিয়ে বসে
আছি । প্রায় মিনিট কুড়ি পরে হঠাৎ আমাদের আঙুল ঝাঁকি দিয়ে উঠলো । দেখলাম ,
স্ট্রাইকার স্যাঁট স্যাঁট করে এদিক ওদিক ছুটে চলছে ! আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম । গণেশ দার আত্মা তা হলে
এসে গেল ! আমি তাড়াতাড়ি প্রশ্ন করে বসলাম , তুমি কি গণেশ দা এসেছ ?
স্ট্রাইকার সাঁই করে ইয়েস-এ গিয়ে হাজির হল ।
আমার প্রশ্ন , আমাকে চেন তুমি ?
--ভাল ভাবে
--বল তো আমি কে ?
--তুই—তপন
--আর এদের কে চেন ?
--হ্যাঁ , রতন আর
স্বপন
রতন এবার জিজ্ঞেস করল , তুমি কোথায় আছ ?
--হাওয়ায় ।
আমি প্রশ্ন করি , কেমন আছ তুমি ?
--ভাল , খুব ভালো
জিজ্ঞেস করলাম , তুমি কি আমাদের কিছু বলবে ?
--হ্যাঁ , আওয়ারাগিরি
ছাড় , কলেজের পড়ালেখায় মন দে । এমনি ছিল
ঘটনা ক্রম । প্ল্যানচেটের মাধ্যমে গণেশ দা আমাদের মাঝে এসে ছিল ।
তারপর বহু দিন কেটে গেছে । মফস্বল টাউন ছেড়ে আমি কর্ম
সূত্রে কলকাতায় থাকি--বেহালার পর্ণশ্রীতে ।
সে দিনও ছিল গ্রীষ্মের কোন দিন । সকাল থেকে ভীষণ ঝড় জল
চলছিল । মাঝে মাঝেই কড় কড় শব্দ করে বাজ পড়ছিল । দিনের বেলাতেই চারদিক অন্ধকার করে
এসে ছিল । অফিসে কি করে যাব, ভাবছিলাম । ছোট বেলার সেই ঝড় জল বজ্রপাতের দিনের আম কুড়াতে গিয়ে যে
ঘটনা ঘটে ছিল তারপর থেকে আমি এমনি সময়টা বড় পীড়া অনুভব করি । পুরনো স্মৃতিগুলি
আমার সামনে এসে সিনেমার মত চোখে ধরা পড়ে । মনে পড়ে , গণেশ দার কথা। আমায় কাঁধে করে
সেই জল ঝড়ের দিনে আমতলা থেকে ঘরে নিয়ে আসার কথা, তারপর গণেশ দার সেই জল ঝড়
বজ্রপাতের দিনেই অপঘাতে মৃত্যু হওয়ার কথা ।
খাটের ওপর থেকে মোবাইল তুলে নিলাম । অফিসে ফোন লাগিয়ে
বলে দিলাম যে আমার শরীর ভাল লাগছে না--আজ আর আমি অফিস যেতে পারব না ।
আমার স্ত্রী রান্না ঘরে রান্না করতে ব্যস্ত । ছেলেটার
জন্যেও ভয় হচ্ছিল। ও সকালে স্কুলে গিয়েছে--ছুটির সময় হল । যদিও স্কুল বাস তাকে দোর
গোরায় ছেড়ে যায় । বাইরে
কড়...ড়...ড় করে বাজ পড়ল । অন্ধকার ঘরে বিদ্যুতের এক ঝলক আলো দিয়ে নিভে গেল । ভাবছিলাম
স্ত্রী আমার ভয় পেল কি না ! আমার স্ত্রী এ সব ব্যাপারে আমার চে অনেক বেশী সাহসী । বোধহয়
আমি নরম বলে সে জাগায় তাকে শক্ত হতে হয়েছে । এমনি সময় মনে হল বিছানার কোনায় রাখা
মোবাইলটা বেজে উঠলো—একবার
, দু বার , তিন বার । মোবাইল তুলে অন করে কানের কাছে
আনলাম । ঘড় ঘড় আওয়াজ আসছিল--আমি হ্যালো , হ্যালো করছিলাম—
--তপন , আমি—
--কে , কে বলছেন
? আবার ঘড়র ঘড়র আওয়াজ । দূর থেকে
হালকা অথচ গম্ভীর আওয়াজ ভেসে এলো--চিনতে পারছিস না ?
--না তো ! কে বলছেন আপনি ? ঠিক এমনি সময় গুড়ুম গুড়ুম করে কানফাটা বাজ পড়ার আওয়াজ হল । ভয় পেয়ে আমি কেঁপে উঠলাম । আমার কানে তখনও মোবাইল ছোঁয়া । মোবাইলে তখনও ঘড় ঘড় শব্দ আসছে । আমি চীৎকার করছি , হ্যালো , হ্যালো !
--না তো ! কে বলছেন আপনি ? ঠিক এমনি সময় গুড়ুম গুড়ুম করে কানফাটা বাজ পড়ার আওয়াজ হল । ভয় পেয়ে আমি কেঁপে উঠলাম । আমার কানে তখনও মোবাইল ছোঁয়া । মোবাইলে তখনও ঘড় ঘড় শব্দ আসছে । আমি চীৎকার করছি , হ্যালো , হ্যালো !
--আমি রে--আমি--গণেশ----গণেশ !
--রং নাম্বার , বলে
মোবাইল নামিয়ে রাখলাম বিছানায় । কয়েক মুহূর্ত যেতে না যেতে আবার রিং বেজে উঠলো--কয়েকবার বাজার পর
আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠিয়ে নিয়ে কানে ঠেকালাম , হ্যালো , হ্যালো—
--গণেশ দাকে ভুলে গেলি তো ?
আমি চমকে উঠলাম , আমার মাথার চুল , গায়ের লোম মনে হল দাঁড়িয়ে গেল । গণেশ দা ! যে নাকি আজ সাত আট বছর আগে
মরে ভূত হয়ে গেছে ! ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম আমি--আমার গলা থেকে কোন কথা সর ছিল না । একবার
মনে হয়ে ছিল কারো চালাকি নয় তো ? কিন্তু এখানে তেমন কেউ নেই যে গণেশ দাকে চিনবে ।
--কি রে ? শোন , তোকে সাবধান করছি--তাকা মোবাইলের
দিকে—
--মানে ? ভয়ে আমার আত্মারাম খাঁচা হবার যোগার--তবু মোবাইলটা কানের কাছ থেকে
এনে চোখের সামনে ধরলাম । আর এ কি ! গণেশ দার ছবি ভেসে উঠেছে মোবাইল স্ক্রিনে !
আবার গণেশ দার কথা কানে এলো--আজকে তুই ঘর থেকে বের হবি না--সাবধান—
আমি কি স্বপ্ন দেখছি ! আমি ভয়ে স্মৃতি , স্মৃতি বলে আমার স্ত্রীকে চীৎকার
দিয়ে ডেকে উঠলাম , না সঙ্গে
সঙ্গে দেখলাম নেই , গণেশ দা
স্ক্রিনে নেই--স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে আছে !