গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৪

সম্পাদকীয়


এই সংখ্যাটি প্রকাশের সঙ্গেসঙ্গে পাক্ষিক ‘গল্পগুচ্ছ’ তার তিন বছরের পথচলা শেষ করলো । ‘গল্পগুচ্ছ’র প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১১র ১৪ই নভেম্বর । শুধুমাত্র ছোট গল্পের পাক্ষিক ওয়েব পত্রিকা আরো প্রকাশিত হয়য় কি না আমার জানা নেই । কঠিন কাজ হ’ল প্রকাশের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা আর ‘গল্পগুচ্ছ’ সে কাজে সফল হয়েছে অন্তত এই তিন বছরেঅভিজ্ঞতা বলে, ওয়েব পত্রিকার আয়ু খুব দীর্ঘ হয় না । মুদ্রিত পত্রিকার পরিচালনায় একটা দলগত আবেগ ও উদ্যোগ থাকে, আর ওয়েব পত্রিকার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগই প্রধান চালিকা শক্তি । সেই হিসাবে বলা যেতে পারে একটা ওয়েব পত্রিকার প্রকাশের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনটি বছর পার করা নিশ্চিতভাবেই উল্লেখ করার মত ঘটনা ।

এই সখ্যাটিকে ধরে গল্পগুচ্ছে এই তিন বছরে প্রকাশিত হয়েছে ২৫২টি গল্প । লেখাগুলি কতটা মানোত্তীর্ণ কিংবা আদৌ মানোত্তীর্ণ হয়েছে কি না সেটা বিচার করা পাঠকের দায় । কিন্তু আমি পত্রিকার সম্পাদক খুশি হবো, নবীন গল্পকাররা যদি গল্পগুচ্ছকে তাঁদের সাহিত্য-প্রয়াসের গর্ভগৃহ মনে করেন ।


অনেকেই জানতে চান কিভাবে লেখা পাঠাবেন । তাঁদের আরো একবার জানাই লেখা ‘অভ্র’তে টাইপ করে টেকস্ট ফাইল পাঠাবেন anyonishadgalpo@gmail.com এই ঠিকানায় । লেখকদের উদ্দেশ্যে আর একটা কথা সবিনয়ে বলি, অনেকেই যাহোক-তাহোক করে লেখা পাঠিয়ে দেন অসংখ্য অশুদ্ধ বানান সমেত । সম্পাদকের নজর এড়িয়ে অনেক অশুদ্ধ বানান সমেত লেখা প্রকাশিতও হয়ে যায় । ফলে পত্রিকারই মর্যাদা খুন্ন হয় । এ বিষয়ে লেখকদের সহযোগিতা চাইছি, তাঁরা ব্যাপারটি খেয়ালে রাখবেন এই প্রত্যাশা রেখে । ভালো থাকবেন ।