ফাঁকা
মাঠে একটা তালগাছ জন্মাল। যখন ছোট্ট ছিল তখন ঘাস, লতাপাতার সঙ্গে কত কথা বলত। খেলা করত।
তারপর
একদিন বড় হতে লাগল। আর তার চারপাশ ছোট হয়ে গেল। গর্বে তার বুক ভরে যায়। দূরের
তালগাছগুলোকে পাতা নেড়ে নেড়ে ডাকে। তারা দূর থেকেই হাসে। কাছে আসে না। তালগাছটি
ক্রমে সঙ্গীহীন হয়ে পড়ে।
তালগাছ
চারিদিকে তাকিয়ে দেখে কেউ একা নেই। আকাশের তারা আছে, ঝড়ের বৃষ্টি আছে, মেঘের সুন্দরী বিদ্যুল্লতা
আছে,শীতের কুয়াশা আছে। শুধু তার কেউ নেই। বর্ষায় একটা লতা
তার গলা জড়িয়ে ধরেছিল। কিন্তু হেমন্তের শিশির পড়তেই কেমন শুকিয়ে গেল
তালগাছ
তেপান্তর মাঠে একা নিঃশ্বাস ফেলে, দীর্ঘনিঃশ্বাস। আঁকুপাকু
করে। মাঝে মাঝে ক্ষণিকের সুখ দিতে পাখিরা এসে বসে। তালগাছের কথা শেষ না হতেই উড়ে
যায়।
একদিন
দুটো বাবুই এসে বাসা বাঁধল। তালগাছ সঙ্গী পেল। তাদের সাথে কত কথা হল,
কত গান গাইল। তালগাছ ভাবল, এবার বোধহয়
তার নিঃসঙ্গতা কাটল। তারপর একদিন সেই বাসা ছেড়ে ছোট পাখি উড়ে যায়।
তালগাছ
শুকনো বাসার স্মৃতি নিয়ে আজও অপেক্ষায়।