কাল
বড়দিন। দেখতে দেখতে আর একটা খ্রিষ্টমাস চলে এল। আলোর রোশনাইতে সেজে ওঠা পার্ক
স্ট্রীট, চারদিকে উৎসবের ছোঁয়া, কাছেই সেন্ট জেভিয়ারস কলেজ থেকে ভেসে আসা ক্যারোল সংগীতের মূর্ছনা এসব
কিছুই বিশাল বেকারির আলো ছায়া ঘরে অন্যদের সাথে কাজ করতে থাকা মারিয়া ডিসুজার
সুন্দর মুখে রেখাপাত করতে পারছে না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে আনমনা হয়ে ভাবে-বাড়ীতে একা
ওর মেয়ে সুজান আর বৃদ্ধা, অথর্ব মা। আজ রাতে ওর লিটিল
এঞ্জেল একা থাকবে। ভাবনা হয়, শি ইজ আ টিন এজার। এই বয়েসটা
খুব খারাপ, তায় আবার মেয়েটা…......। আজ মারিয়ার বাড়ি ফেরা হবে
না। বারবি ডলরা যেমন ফ্রিল দেওয়া ফ্রক পড়ে, ওর
জন্য তেমনি একটা পিঙ্ক ফ্রক কিনেছে, আর একটা আমন্ড কেক
নিতে হবে। আর কিছু ভাবতে পারে না। সুজানের চোখের জ্যোতি ফেরাতে অনেক টাকার দরকার।
ওর বাবার তো জন্ম দিয়ে দায়িত্ব খালাস। শোনা যায় সেখানে আর একটা বিয়ে করেছে। ধনী
বেকারি মালিক জন ডিকোস্টা সব জানে। লোভী দৃষ্টি দিয়ে মারিয়াকে চাটে আর শেকারি
বেড়ালের মত ছোঁকছোঁক করে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা ধার চেয়েছিল, দেবে বলেছে কিন্তু বিনিময়ে গোটা মারিয়াকে চেয়েছে। আ ন্যাসটি ডেমন!
পুরুষ জাতটাই কি এমন? যীশুও তো পুরুষ। ক্রিস্টমাসের আগের
দিন ওর আত্মবলির উৎসবে সামিল হতে জনের বেডরুমে ঢোকার মুখে যীশুকে স্মরণ করল মারিয়া,
“ও জিসাস! মাই লর্ড! ফরগিভ মি। বুঝিনা প্রভু তোমার খেলা। ভাগ্যিস
আমার সুজান এখন দেখতে পায় না, তাহলে হয়ত মায়ের শরীরে
নোংরা চিহ্ন দেখে ফেলত। বাট ওকে তুমি ঠিক করে দিও, আই
প্রমিস আই উইল বি আ গুড মাদার”।