ছেলেটা
খুব হাসছে হো হো করে । সেই হাসি যেন থামতেই চায় না । মেয়েটা ভয়ে গুটিসুটি মেরে বসে
আছে ঘরের এক কোণে । বাইরে তখন সন্ধ্যে নেমেছে । ছেলেটা হাসি থামিয়ে প্যান্টের
পকেটে হাত ঢোকাতেই মেয়েটি ভয়ে কেঁপে উঠে কান্নাজড়ানো গলায় বলে ওঠে – “আমাকে ছেড়ে দাও তুমি ।”
“ছেড়ে দাও বললেই
কি ছাড়া পাবি ভেবেছিস ? মোটেও না ? এবার দ্যাখ কী করি তোকে ।”
“কী করেছি আমি ?”
“কেন ? মনে নেই কী কী করেছিস আমার সঙ্গে ? বাবা-মাকে দিয়ে মার পর্যন্ত খাইয়েছিস
আমাকে । এখন তার প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়বো কেন
?”
“সত্যি বলছি আর
কক্ষনো করবো না । এই তিন সত্যি করলাম । কক্ষনো না
, কক্ষনো না, কক্ষনো না । এবার আমাকে ছেড়ে দাও তুমি ।”
“নাহ্ , তোকে ছাড়া যাবে না । আজ একটা বিহিত
করে তবেই ছাড়বো । এবার দ্যাখ কী করি তোকে ।”
ছেলেটা
কথাগুলো বলতে বলতে পকেট থেকে বের করে আনে লুকোনো বস্তুটি । দেখেই মেয়েটি দ্রুত উঠে
এসে ছেলেটির গলা জড়িয়ে ধরে খিলখিল করে হেসে ওঠে । হাসি থামিয়ে বলে – “ছেড়ো না আমাকে । পারলে আজীবন ধরে রেখো
এভাবেই ।”
সহসা
খোলা জানালা বেয়ে এক ঝাঁক জোনাকিপোকা এসে ঢুকে পড়লো এই ঘরে । চোখের নিমেষে জোনাকির
আলোয় অদ্ভুৎ একটা মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি হলো ঘরের ভিতর । ছেলেটি বিভোর হয়ে থাকিয়ে আছে
মেয়েটির হাস্যজ্জ্বল মুখটির দিকে । হাতে ধরে থাকা আধফোটা গোলাপের কুঁড়িখানা তখনো
দিয়ে উঠতে পারেনি মেয়েটিকে ।