১
চোখে
যেদিন প্রথম হাত রাখলে , পলক ফেলিনি ... বুকের আঁচল সামান্য অর্গল ... মেঘের ভেতর থেকে ... আগুনের
ওপর থেকে ... অপেরার স্রোতে মজে উঠলুম । ভালবাসলুম তোমাকে অর্ণব ... বিশ্বাসের
জবাফুল , কুসুমের
ঘাসফুল ... অতলান্ত সুখের দিন ... খুশবাগান
... সব সব তুমি-তুমি ...
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই এই মেসেজ পেলেন
ফেসবুকে । চিত্রশিল্পী অর্ণব দাশগুপ্ত ।
টুং টাং । সবুজ বাতি । অমোঘ তার আকর্ষণ । আবিষ্ট নন্দিন । এই নাম , এই নামেই সে ডেকেছে । অর্ণব । অনিবার্য এখন নন্দিনীর জীবনে ... ল্যাপটপ খোলা । কফির কাপ মেলা । আলো আর অন্ধকার । নন্দিনও খোলা আর মেলা ...
দেরী
কেন ? অর্ণবের আঙুল । টাইপ হচ্ছে স্বর । হাউ ম্যানলি । অর্ণবের কণ্ঠ স্পষ্ট শুঞ্ছে
নন্দিনী । বর অফিস । মেয়ে স্কুল । অঢেল সময় নন্দিনীর হাতে । এখন অর্ণবের তুলির সামনে
অনেক অনেকটা সময় নন্দিনী একা । একে একে উড়বে নন্দিনীর স্লিভলেস টপ । ক্যাপ্রি দুল্বে
বাতাসের আকাশে । অর্ণবের ল্যাপটপের পাতায় নন্দিনী মেলে দেবে নিজেকে ...
লজ্জা
? অর্ণবকে লজ্জা ? রাম কহো । চার চারটি মাস । অর্ণব কি জানে না নন্দিনির ?
ব্রেসিয়ারের সাইজ থেকে শুরু করে পিরিয়ডের ডেট সব অর্ণবের আয়নায় ... আরও অনেক কিছু
জানে অর্ণব । এই যেমন … সন্দীপন
অর্থাৎ নন্দিনীর বর কি করে ? কখন অফিস । মেয়ে কোন ক্লাস । কখন স্কুল । কখন বাড়ি ফেরে
, কোন ড্রেস বেশি পছন্দ । প্রাচ্য না পশ্চিম ? ইত্যাদি প্রভৃতি ... সব অর্ণবের জানা ...
নন্দিনীও
অর্ণবের সব সব টুকু জানে । অর্ণব বিবাহিত । কিন্তু তার স্ত্রী দরিদ্র চিত্রকর
অর্ণবের সাথে থাকে না । বিদেশে থাকে কোথাও
। ছেলে মেয়েও নেই । অর্ণবের জীবনে নন্দিনী । নন্দিনীই সব টুকু । আজ কাল পরশু ।
নন্দিনী ছাড়া অর্ণবের আর দ্বিতীয় ছায়াপাথ নেই । যাত্রাপথও নেই । নন্দিনী যতটা পারে
অর্ণবকে সব সব ... দেওয়ার তো শেষ নেই । বন্ধুরা বলে , নন্দিনীরে তোর লক্ষ্মীর
ভাণ্ডার ... আজ অব্ধি চেয়ে পাইনি এমনটি হয়নি ... তোর যেন দেবারই শেষ নেই ...
আজ তাড়াতাড়ি স্নান ? অর্ণব প্রশ্ন করেছে ।
নন্দিনী
টাইপ করছে , যেন আঙ্গুল দিয়ে স্পরশ করছে অর্ণবের বুক । সাদা আর কালোয় মেশানো
অর্ণবের বুক । মনে মনে মাথা রাখছে সেই বুকে । শ্বাস নিচ্ছে , গন্ধ নিচ্ছে ... খুব জোরে
জোরে । অর্ণবের নিপলদুটো কী সাঙ্ঘাতিক শক্ত আর কালোরঙের বোঁটাসহ । মনে মনে চুষছে নন্দিনী
। অর্ণব ও তাকে ? এইটুকু ভেবেই কেঁপে উঠলো ...
... তুমি ভুলে গেছ আজ আমি বেরবো , লেডিস ক্লাবে
একটা গেট টুগেদার আছে ? ফলোড বাই লাঞ্চ ? ...ঝঙ্কার
দিয়ে উঠছে নন্দিনী ... অর্ণবের মনে পড়ছে ।
হুম ... আরে আরে , আমি তো একদম ভুলেই গেছি
... যেও যেও না , তুমি প্লীজ যেও না ... নন্দিন , মাই বেবি ... আই উইল মিস উ ...
না হবে না । আমায় যেতেই হবে । বিশ্বাস করো
। যদি অ্যাভয়েড করা যেত আমি কি করতুম না । কিন্তু উপায় নেই গো । আমি যে গ্রুপ
লিডার ...
না
, তুমি আমার চিয়ার লিডার ... তুমি যাবে না আমাকে ছেড়ে ... আমি কাল রাত থেকে শুধু
তোমাকে , তোমাকেই ভেবে ভেবে ... ... ফুঁসে
উঠছে নন্দিন , ঠিক নদীর মত গর্জে উঠছে বন্যার তড়ে ... কি বললে ? শুধু রাতেই আমাকে
ভাবো ... সামান্য থমকেছে অর্ণব ... এটা তুমি আমাকে বলতে পারলে আমার সোনাটা ? কি
করে পারলে তুমি ?
আরে
বাবা , মজা মজা করছিলাম যে ... আবেশে জড়িয়ে যাচ্ছে মৃদুবায় ... তাহলে একবার খোলো
... যাবার আগে একবার খোল ... তোমার বুকে একবার মাথা রাখতে দাও ্, প্লীজ ... তোমার
বুকদুটোই আমাকে পাগল করে দিয়েছে ।। আমি ঘুমোতে পারি না ... তোমার বুকে একবার অন্তত
দিনে ঠোঁট না রাখলে আমি ছবিও আক্তে পারি না ...
প্লীজ ... আজ কোন রঙের ব্রেসিয়ার ...বলো
বলো
আজ
কালো ... আজ ভয়ঙ্কর পাথুরে কালো রঙ ঘিরে রেখেছে আমার বুক ... দুষ্টুমির হাসি ... খুলে দিয়েছি ... খুলে দিয়েছি ... আমাকে খাও
... ... আই লাভ ইউ অর্ণব ... পাগলের মত ভিজে ভিজে , ভেসে ভেসে উঠছে অর্ণবের তুলিতে ... উথলে উথছে
ল্যাপটপ ...
পিঁপড়ের
মত খুদে খুদে অক্ষর বহু সম্ভাবনার অরগাজমক্ষেত্রটি । ফুলে ওঠা ফুল ফল আর প্রকৃতির
যৌথভাণ্ডার , ... না , আজ আর নয় ।। দেরী হয়ে যাচ্ছে ... তুমি কি বিকেলে দিকে অন লাইন হবে একবার ? অর্ণব
পড়তে পারছে নন্দিনীর অনিচ্ছুক সুর ... নন্দিনীর যে যাবার ইছছেই নেই ... অর্ণবকে
ছেড়ে যাবার ইচ্ছে একেবারেই নেই ...
একবার
স্বান্তনার জিভ । নন্দিনীর গলায় বুকে ... ভি ক্যামে ফুটে উঠছে দুই বুকের মাঝখানে
এক বিঘত জড়ুল ... মেটে রঙের ...এক্কেবারে মাটির ঘ্রাণ এই মশরীরে । কবচে কুণ্ডলে তো
বটেই ... সবুজ বাতি নিভে গেল ... অর্ণব দাশগুপ্ত নিজের তুলিটি নিজের হাতে চেপে
ধরলেন ...
২
তারপর
জোর করে নিভিয়ে দিলেন আগুন ... এইবার বেজে
উঠবে অ্যাক্রেলিক। তুলির অক্ষরে ভেসে যাবে রমণতৃপ্ত গাঙ্গেয় উৎসব ।অর্ণব এখন
আঁকবেন নন্দিনীর রূপ রস গন্ধকাম ...
এমনিতে
খাবার হিসেবে অর্ণব পছন্দ করেন বিলো থার্টি ... সম্পূর্ণ এবং পরিপূর্ণ । বেশ জ্বলে ওঠা যায় । নিভে যাবার আগে নিভে যেতে হয় না ... আর নন্দিনী ? চল্লিশ ছুঁইছুঁই
... পৃথুলা হয়ে যাবার বয়েস ... তবে
মান্তেই হবে ... বুক দুটো চরম উত্তেজনাপ্রবণ .. এবং প্রখর দ্যুতিময় ... ব্রেসিয়ারে
আটকে রাখা যায় না সেই সামুদ্রিক কুহেলিকা ... সেই কুলুকুলু ডাক কীভাবে প্রত্যাখ্যান
করতে পারেন অর্ণব ...
দেখলেই
দাঁড়িয়ে ওঠে আর টগবগ লাফাতে চায় অর্ণবের ঘোড়া ... যতক্ষণ না ... ঝাঁকি দিয়ে
বেরোচ্ছে ক্যানভাস ... তখন কি আর অই বয়েস টয়েস খেয়াল থাকে ... ফেলো তক্তা মারো
পেরেক ... প্রায় চল্লিশ নন্দিনী তখন অনায়াস নন্দিনে বয়ে যায় । অর্ণব দাবাড়ু
। চালে কখনো মাতাল হন না ... তবে ফুলন্তবুক দেখলে তিনি বেতাল অবশ্য হয়ে যান ...
নন্দিনীর বোঁটার বদলে তুলিটাই কামড়ে ধরেন অর্ণব ...
নন্দিন ... নন্দিনী ... একটু একটু ... আদর দাও
আমায় ... বড় তেষ্টা ... অপার ...
লেডিস
ক্লাবে নন্দিনী লাল শাড়ি । পাল্লা দিয়ে নীল ব্লাউজ । ব্লাউজ তো নয় , ছত্ত্রিশ সাইজের
ঢেউ । মফচেন । নাভি তে স্পর্শ ... কোন সে পুরুষ ... কোন কথাতেই মন লাগাতে পারছে নন্দিনী
রয় ।
... চিন্তায় মেঘ ...অন্ধকার চিত্ত ... আলো
... আলো ... অর্ণব অর্ণব আলো দাও আমায় ...
নন্দিনী
এখন খুলে নিচ্ছে নিজের দেশ মহাদেশ ছোট বড় পাহাড় । নদী বিছিয়ে দিচ্ছে সমস্ত অনুশাসন
খুলে । আহা জীবন্ত ভাণ্ডার ... রতিগাছ ... ফুলছাপ ব্রাপরাগ .. উড়ে যায় । যাক সব ।
কিন্তু অর্ণব ?
৩
অর্ণব
সেন চোখের সাথে পাল্লা দিয়ে তুলি আঁকছেন । এই সিরিজে মোট কুড়িটি ছবি । কুড়িটি ছবিই
বছর চল্লিশের নারীস্তন । স্তনের ওপর থেকে আকর্ষণ কিছুতেই যায় না । তেষ্টা মেটে না
কিছুতেই । চেষ্টা করেও । তাই বয়েসের ক্রম হিসেবে এই সিরিজটি শুরু করেছেন তিনি । এই
মাস চারেক ধরে কাজ চলছে । প্রথম পর্যায়ে তিনি বেছে নিয়েছেন ... প্রায় চল্লিশের নারী স্তন । দ্বিতীয় পর্যায়টি
শুরু হবে তিরিশ বা প্রায় তিরিশ । আর তৃতীয় পর্যায়টি কুড়ির কম । এই প্রতিটি সিরিজ
হবে এক বিশেষ কারুকাজের উপহার ।
প্রায়
চল্লিশ ... এই গ্রুপটির জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন নন্দিনীকে । ফেসবুকের একটি সেলফি
... বুক অব্ধি ... নন্দিনীর সেই সেলফি দেখেই প্রথম এই সিরিজটির কথা মাথায় আসে
অর্ণবের । কী অপূর্ব বক্ষদুটি । বুকভরা । পাগলকরা যৌনতায় বোঁটাদুটি ফুটে ।
লালহাল্কা ক্রমশ ফিনফিনে ... আর চন্মনে ... বেহালার শেষ ছড় দিতে দিতে অর্ণব
আরেকবার চুষে নিলেন নন্দিনীর ক্যানভাস ...
নন্দিনীকে কাছে পেতে ক দিন সময় লাগলো
অর্ণবের ?
হা
হা হা ... সাত দিন ও নয় ... মেয়েরা কত ইডিয়ট হতে পারে ... হা হা হা ... নিজের কাঁচা
পাকা চুলে একবার হাত বুলিয়ে নিলেন অর্ণব ... গুনে গুনে সাত দিন ... অর্ণব একের পর
এক ছবি আঁকলেন ... নন্দিনীর । পাঠালেন ইনবক্সে । নন্দিনী ... আহা সেই কোমলতরু
নন্দিনী বিশ্বাস করে নিল , অর্ণব তার একমাত্র প্রেমিক এই ফেসবুকে ... নন্দিনী
ফেসবুকে ছবি দ্যায় । আর তুরন্ত সেই ছবি এঁকে ফেলেন অর্ণব । আর বিদ্যুৎবেগে সেই ছবি
পৌঁছে যায় নন্দিনীর ইনবক্সে ... আর তার ন দিনের মাথায় , অর্ণবকে ইনবক্স করে
নন্দিনী ... ভালবাসি । আমিও তুমুল ভালবেসেছি তোমায় ...
বারোদিনের
মাথায় নন্দিনী এলো ওইয়েবকামে । কেন এলো ? সে তো সেক্সক্ষুধার্ত নয় । শক্তপোক্ত
স্বামী আছে তার । তার তো খিদে থাকার নয় । সে কেন আসবে , খুলবে নিজেকে অন্যপুরুষের
কাছে ? তবু সে এলো ...
অর্ণব
একটি চাল টিপেই বুঝতে পারেন , ভাত শক্ত না নরম ? ইমোশনাল মানুষদের নিয়ে খেলা করা
সব চাইতে সহজ ... হা হা হা ... ভালবাসি শব্দটাই এইরকম । নরম মনের মানুষদের অ্যাক লহমায়
ভিজিয়ে দ্যায় । অর্ণব সেটা ভালই জানেন । কম শরীর তিনি ঘাঁটেননি ।... প্রথম দিনেই
বুঝে গেলেন , নন্দিনীকে দিয়েই কাজ হবে । পয়সা ফেললে নারী অনেক পাওয়া যায় ।। কিন্তু
নন্দিনীর মত নারী দুর্লভ । মা দুর্গার মত শরীরী জৌলুস তার ... নন্দিনীর আতসবাজি অর্ণবের
চাই চাই চাই । আর দ্বিতীয় কোন কথা নেই ... প্রতিটি দিন ... প্রতিটি ঘণ্টা নন্দিনীর ইনবক্সে ছায়ার মত ঘিরে
থেকেছেন ...
অবশেষে
এলো সুদিন । রাজকোষ খুলে দিলো নন্দিনি ।
মাথা উঁচু । সূচালো । অপরূপ আকৃতি । আর এক আশ্চর্য জড়ুল । প্রথমে সেই জড়ুলে আঙ্গুল
বলালেন অর্ণব । তারপর ।। তারপর জিভ । কেঁপে উঠলো নন্দিনী ... উগ্র তাণ্ডবনাচ ।
লাগাতার ... দিনের বেলায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নন্দিনীকে খাওয়া দাওয়া আর রাতে ছবি আঁকা ।
তিনি দুরন্ত টারজান ... নন্দিনীর সাথে পাতালেন অরণ্য । নন্দিনীর বুক ... সেই বুক কখনো
আপেলশোভাময় ।। দুর্দান্ত পাহাড় ..কখনো পৃথিবীর সাথে জলসায় নেমেছে . কখনো পেল্লায়
দুধঝর্না ... পৃথিবীর তাবৎ যিশুকে স্তন্য পান করাচ্ছে ... । কখনো নন্দিনী নিজেই এক
বেতলাহরিণ ।বন্যবাঘের মুখে বুটি জড়িয়ে ধরছে ... দুর্দান্ত দুর্দান্ত এক একটি ছবি
...নগ্নমগ্ন নন্দিনীকে খেয়েও তিনি এতটা তৃপ্তি পাননি যতটা পেলেন নন্দিনীকে এঁকে
...
৪
সন্ধ্যেগুলো
কাটতে চায় না আর । সন্দীপন ফেরে ন’টার পর ... নন্দিনী কি যে করে ... কি করে ...
মেয়ে পড়াশুনো নিয়ে । কাঁহাতক ফেসবুক আর হাইক ... ফেসবুকেও আর সেই টান নেই ...
বিষাদ বিবশ ... নন্দিনী টিভি রিমোট ... ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ... গ্রিন টি সিপ করে করে
... চোখ আটকেছে । আটকেছে । নন্দিনীর চোখ আর কান দুটোই তার বশে আর নেই ... শরীর
থেকে ছিটকে বেরিয়ে স্টার আনন্দের পর্দায় গিয়ে আটকেছে ...
স্ক্রিন
জুড়ে জলকালারে আর তেলরঙ্গে ফুটছে নারীস্তন । জোরালো । বোঁটা সহ ... একের পর এক ...
দুটি বুকের মাঝখানে সেই জড়ুল ।। অনন্ত
আষাঢ় যেন দুটি বর্ষার ফাঁকে ... স্বয়ং চিত্রকর ও পাশে বসে আছেন ...
সংবাদিকের
প্রশ্ন ... এই জড়ুলটি বড়ই অদ্ভুত ... এমনটি
দেখা যায় না ... কোথা থেকে এই আইডিয়াটি পেলেন ... যদি আমাদের একটু শেয়ার করেন ...
সহাস্য উত্তরও দিচ্ছেন অর্ণব ।
‘আহা
এই জড়ুল ? এই তো আমার এই চিত্রনটের থিমসং... এ আলাদীনের প্রদীপ ... আমার সমগ্র
ছবিজীবনের জয়টীকা ... গত চারটি মাস এই রামধনু আমার কপালে ছিল আঁকা ... আসলে কি
জানো ... এই সৌন্দর্য আমি স্বপ্নে পেয়েছি । সম্ভবত ঈশ্বরের বরদান ... এই সুতীব্র
বিদ্যুৎ আসলে আমার কল্পনার সোনার কাঠিতে জড়ানো ... রূপার স্বর্ণকুম্ভ ... ‘’
নন্দিনী
দেখছে অর্ণব । নন্দিনী শুনছে অর্ণব । ঘাম ... ঘাম ... নন্দিনের প্রিয়তম এ নাম ।
নন্দিনীর বুক খোলা বুক আজ টিভির পর্দায় ... অপূর্ব তার মাটি-মাটি জ্যোৎস্না ...
নন্দিনী গন্ধ পাচ্ছে স্পষ্ট ... কার গন্ধ ? ঘ্রাণই বা কার ... অর্ণব ? নন্দিনীর ?
না যৌথতার ... না যৌনতার ?
নন্দিনী
টপ খুলে ফেলছে ... ব্রা খুলতেই ঝলসে উঠছে জোড়া বুক । দুই বুকের মধ্যে সাঁতরে উঠলো
সাঁতার । টপলেস নন্দিনীর বুকের ছবি । জড়ুল সহ ... সেলফি । বুকের শুরু থেকে শেষ
অবধি । ঠিক যেখানে উথলানোটা শেষ হয়েছে ততদুর । এই ছবিটা এবার উড়বে ।। ঠিক পাখির
স্বরে ... কোন লজ্জা ভয় নেই ... সমাজের ভয় ... আর কি কিছু হারাবার আছে ? ... এই
বুক থেকেই দুধ পান করে এত বড়টি হয়েছে কন্যা ...লজ্জা কিসের ...
এই বুকের ছবি এঁকেই তো অর্ণব দাশগুপ্ত ।
কত পুরষ্কার । কত সম্বর্ধনা । কত নাম ডাক ।
নন্দিনীর বুক । নন্দিনীর নিজস্ব জড়ুল ।
অথচ নন্দিনী ডাকনামে ... ডার্করুমে ... কেন অন্ধকারে থাকবে নন্দিনী ? কিসের ভয় ?
আর কেনই বা ...
হা
হা হা ... কাঁদতে কাঁদতে নিজের হাসিতে নিজেই জড়িয়ে যাচ্ছে নন্দিন ... সেই হাসি
কান্নার ছটায় চমকে উঠছে পোষা জড়ুল ... বহুদিন হয়ে গেছে ... এখানে কেউ ঠোঁট ... এখন কেউ ঠোঁট ...
স্টার আনন্দের পাতা জুড়ে নন্দিনী । সাংবাদিকদের
প্রশ্নের উত্তরে বিজয়িনী নন্দিনী ... কোথায় সেই জড়ুল ... প্রিয় জন্মদাগ ... তুমি
সামনে এসো ... ব্লাউজের দরজা কেটে বেরিয়ে এসো ... ছল আর প্রতারণার জানলা খুলে
বেরিয়ে ...
বেরিয়ে আসছে জড়ুল । ভুল ভ্রম আর লজ্জাপর্ব
ছুঁড়ে ...
বন্ধুরা
বলে , নন্দিনী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ।তার কাছে কিছু চেয়ে পাওয়া যায়নি এমনটি কখনো হয়নি
... মা বলে আমার ছেলের চাইতে মেয়ে অনেক বেশী সাহসী আর মাথাউঁচু ...
আর নন্দিনীর মেয়ে ?
সে বলে ... আমার মা অন্তহীন ...