গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫

দীপঙ্কর বেরা

জীবনের বালুচর


ফোন পেয়েও মনের মধ্যে কোন কাঁপন ধরে না প্রতীশের । তাহলে কি মনের নিশ্চিত
জানা হয়েই ছিল যে শেষ হচ্ছেই ।
কিংবা কেন শেষ হচ্ছে না ? আর পারা যাচ্ছে না দু পক্ষের এত কষ্ট ! শেষ হোক তো  সেই হওয়া ফোন এল - - ভাই রে , মা আর নেই । ডাক্তার জবাব দিয়েছে । বয়সের ভার । দীর্ঘ রোগভোগ । বিছানা শয্যা । যে যার মত চেষ্টা করেছে । দুই ভাই বাইরে ।বড়দার কাছে থাকত । দিদিরাও যথেষ্ট দেখাশুনা করেছে । কিন্তু ভাগ বাটোয়ারায় মা যেমন থাকে তেমন ছিল । আর সবচেয়ে ছোট প্রতীশ নানান কারনে বাইরের হালচালে মানাতে গিয়ে মাকে যেমন রাখতে চেয়েছিল তেমন ভাবে পারে নি । মন কেঁদেছে । সময় সুযোগের ফাঁকে ফাঁকে যেটুকু পেরেছে সেবা আর্থিক সব করেছে । দরকারের তুলনায় অবশ্য যথেষ্টই কম । মন আপ্রাণ মা মা করেছে কিন্তু মায়ের কষ্ট বেড়েছে নিজের দেহে আর বাইরেও ।
দাদা দিদিদের হা হুতাশ ফিসফাস অনেক তো হল , আরো কত কষ্টের মধ্যে তো আমরাও . 

এ সব প্রতীশ প্রায়ই শুনে আসছে । তাই প্রতীশ ফোন পেয়েও ভিতরে যতটা কেঁদেছে বাইরে তার চেয়েও বেশি স্বাভাবিক । সংসারের যাত্রাপথ আরো বিচ্ছিহ্ন হাসি কান্নাতে এগিয়ে চলছে ।