গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৪

শৌনক দত্ত


সন্ন্যাস ভূগোল...

 নিউকোচবিহার স্টেশন কয়েকবছর আগে মডেল স্টেশন মর্যাদা পেয়েছে  তার আগে বড় নির্জন এলাকা কোয়াটারের বাসিন্দা বাদে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের বাস স্টেশনের কর্মচারী ছাড়া বাকী পরিবার গুলোর অধিকাংশ জীবিকায় হকার।রাতের দিল্লীমেইলে তারা উঠে যায় চাইনীজ ঘড়ি, ওয়াকম্যান সহবাহারী জিনিসে তারপর বিক্রিবাট্টা শেষে তারা নেমে পড়ে এন.জে.পি স্টেশনে। রাতটা সেই স্টেশনে কাটিয়ে সকালে তারা একেক ট্রেনে ফিরে আসে আবার। এটাই তাদের গদ বাঁধা জীবন।স্টেশনের পাশেই আস্তানা গেড়েছে নাগা সন্ন্যাসী মধু বাবা ও তার চ্যালারা । অল্প কিছুদিনেই তারা বেশ জনপ্রিয় এখানে । মধুবাবা ওতার চ্যালাদের সাথে এখানকার জনজীবন বেশ মিলেমিশে গেছে। সন্ধ্যা নামতেই ঘন্টার আওয়াজে বিশুদ্ধ উচ্চারণে ভেসে আসে মন্ত্র আর দরাজগলার প্রার্থনা সঙ্গীত । নির্জন নিউকোচবিহারের নীরবতা খানখান হয়ে যায় । বিনোদন বলতে এখানে এখন পূজা আর্চনা । শোনা যায় মধুবাবা বিহারী ব্রাক্ষণ হলেও তার জন্ম নাকি বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত বুড়া শিববাড়ীতে ।

একসময় এই সন্ন্যাসীর বাবা ঐ শিববাড়ীর পুরোহিত ছিলেন । মধুবাবা জয়ন্তী পাহাড়েও বেশ জনপ্রিয় । এখনো চিলাপাতা ফরেস্টে ঢোকার আগে একটা গাছের পাশে বাসগুলো ধীর হয়ে আসে কথিত আছে এই গাছের নীচে নাকি মধুবাবা ধ্যান করতে করতে সারা গায়ে মৌমাছির আবাস গড়ে তুলে ছিলেন আর সেই থেকে সন্ন্যাসজীবনের নাম মুছে গিয়ে এই জ্ঞানী সন্ন্যাসী জনসাধারণের কাছে হয়ে উঠেছিলেন মধুবাবা । ছিপছিপে শরীরের মধুবাবাকে আপাত দৃষ্টিতে দেখলে যতটা সাধারণ মনে হয় আসলে তিনি তা নন । শক্তির উপাসক এই সন্ন্যাসী কেবল ধর্মগুরু নন।তিনি জ্ঞান পিপাসু এবং সঙ্গীতজ্ঞ।সাধারণত ধর্মকে যে অন্ধত্বতায় ও কুসংস্কারে মুড়ে পরিবেশ করা হয় এবং নিজেকে বড় করে তোলার যে প্রচেষ্টা থাকে সেখানে তিনি অন্যধর্মগুরুদের চেয়ে একদম আলাদা । নাগা সন্ন্যাসীদের দুই আখড়ার মাঝে যে বিরোধ সেখানেও তিনি নিরঞ্জন আখড়ার সন্ন্যাসী হয়েও তার এই ভাব ধারার জন্য সর্বমহলে সমাদৃত । তবু বিরোধী তো কিছু থাকেই কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এইসব বিরোধীরাও তার আসক্তিহীন সাধনা এবং তার জ্ঞান ও সঙ্গীত যাদুকে শ্রদ্ধা করে মনে মনে । আর মধুবাবা মনে করেন এটাই তার আরাধ্য দেবতার বরদান । এটাই তার মোক্ষ লাভের একমাত্রপথ । 

বইয়ের প্রতি তার এই দুর্বলতার খবর ভক্তকুলেও সকলের জানা আর তাই পরিক্রমায় বের হলে কিংবা অম্বাবুচিতে কামাক্ষায় গেলে অনেক ভক্ত তার হাতে বই তুলে দেন।তিনিও শিশুসুলভ আচরণে নতুন বইয়ের পাতা উল্টে পাল্টে একগাল পরিতৃপ্তির হাসি হেসে রুদ্রাক্ষের জপমালা ধরা ডানহাত ভক্তের মাথায় রাখেন।গল্পকথায় শোনা লক্ষ্মী আর সরস্বতীর বাস একস্থানে নয় এটা অনেকটা সত্যি মনে হয় মধুবাবাকে দেখলে । কামাক্ষার এই মেলায় অন্য সন্তরা যখন সারা বছরের রসদ জোগাতে প্রনামীর টাকায় ঝোলা ভরেন মধুবাবা তখন জ্ঞান খোঁজে বেরান । বিশাল যজ্ঞে বসে মন্ত্রে গানে আসক্তি আহুতি দেন। চন্ডীপাঠে মেলায় আগত সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে কাঁদান এবং কাঁদেন । মধুবাবার পাঠ ও কথা শুনে ঘোর সাংসারিক ভক্তেরও সংসারের প্রতি বৈরাগ্য আসে।নানান সাংসারিক ফরিয়াদ নিয়ে আসা কেউ কেউ মধুবাবার কথা শুনে ভুলে যায় সব মনকষ্ট। মধুবাবার হোমিওপ্যাথি আর গাছগাছালির ওষুধ খেয়ে কঠিন অসুখ থেকে সেরে ওঠারা মধুবাবাকে স্বয়ং ঈশ্বর ভেবে ধ্বনি দেয়।মধুবাবা দুহাত তুলে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলেনপড়ো যাদা পড়ো জ্ঞান হি ঈশ্বর হে।

নিউকোচবিহার স্টেশন থেকে বেরিয়ে ডানদিকে যেখানে মধুবাবা আরতার চেলারা আস্তানা গেড়েছেন তার পাশ দিয়ে মেঠো পথ চলে গেছে ডুরিয়ার হাটের দিকে সেই মেঠো পথের ধূলো উড়িয়ে হাটগামী মানুষেরা মধু বাবার চরণ ছুঁয়ে আজকাল দু এক টাকা রেখে যায়।মধুবাবা বই থেকে চোখ তুলে তাদের হাতে নকুল দানা দিয়ে রুদ্রাক্ষের জপমালা ধরা ডান হাত তাদের মাথায় রেখে মন্ত্র পড়েন।সহজ সরল মানুষগুলোর কাছে এটাই যেন অনেক বড় পাওয়া । এইটুকু স্পর্শ খানেকের জন্য যেন মানুষগুলোকে প্রশান্তি এনে দেয় । নিউ কোচবিহারের বিহারী কুলী মুজুরদের উদ্যোগে এবং সকলের অর্থায়নে দুটো কুঁড়ে ঘর উঠেছে। একটায় মধুবাবা তার বই আর চেলারা থাকেন আরেকটায় আরাধ্য দেবতারা । সন্ধ্যার পূজা অর্চনা শেষে এখন গাঁজার আসর বসে । মধুবাবা মাঝে মাঝে ছিলিমে দুই তিনটা দম দিয়ে প্রসাদ করে দেন তারপর শ্রমজীবি ভক্তকূল গোল হয়ে বসে একহাত থেকে অন্যহাতে পর্যায়ক্রমে ছিলিম ঘোরায় । মধুবাবা গান জোড়েন । কোন কোন দিন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেন । গাঁজাসেবীরা ঢুলু ঢুলু চোখে আরেকটি ছিলিম তৈরী করতে করতে বাবার গান কিংবা পাঠ শোনে । যদিও অধিকাংশই মধুবাবার কথা আর তার সঙ্গীতেই খুঁজতে আসেন মুক্তির পথ। আটটা সাড়ে আটটার মাঝেই স্টেশন চত্বর নীরব হয়ে আসে।কোচবিহার শহরের যাত্রীরাও এর মধ্যেই স্টেশনে চলে আসে। রাত আটটার পর খুব কম যাত্রীই স্টেশনে আসে কিংবা স্টেশন থেকে যায়।যদিও কোচবিহার শহর থেকে নিউকোচবিহারের দূরত্ব খুব অল্পই তবু নিউ কোচবিহার এলাকাটা এখনো বেশ ফাঁকা তাছাড়া চুরি ছিনতাইয়ের কথাও প্রায়ই শোনা যায় তাই সহসা কেউ রাত আটটার পর আর আসতে কিংবা যেতে চায় না এই পথ দিয়ে। রাতের এই সময়টা দিনের চেয়ে কয়েকগুন নির্জন আর তাই প্রাতঃভ্রমণের চেয়ে এই সময়টায় হেঁটে বেড়ানো মধুবাবার বেশি প্রিয়।

পূর্ণিমার আলোয় তোর্ষা আজ যেন খিলখিল হাসচ্ছে।সদ্য বর্ষা গত হয়েছে ।  উত্তরবঙ্গের বর্ষা বেশ মোহনীয় । বর্ষা প্রেমীদের কাছে উত্তরবঙ্গের বর্ষার আলাদা কদর আছে। মধুবাবা বর্ষাকে মানব জীবনের মতো দেখেন।মেঘ বৃষ্টি রোদের খেলাকে তিনি যাপিত জীবনের সাথে মিলেমিশে যেতে দেখেন । স্টেশন চত্বরের চেয়েও বেশি নীরব এই জায়গাটা । অন্ধকারে ঠাওর করতে চেষ্টা করেন মধুবাবা জপতে জপতে কতদূর এসেছেন । পূর্ণিমার ঠিকরে পড়া আলোয় জ্বলজ্বল চোখের মণিগুলো এদিক ওদিক ঘোরে।মৃদু স্রোতের আওয়াজ কানে বাজে।স্রোতের শব্দে কান রেখে একটু এগিয়ে থমকে দাঁড়ান মধুবাবা। তোর্ষা পারের বিশাল বটবৃক্ষের এই তলাটা তার বড় প্রিয় । মধুবাবা বটগাছের নীচে এসে বসেন,শরত জোছনায় ফেলে আসা কৈশোর,যৌবন তাকে তাড়া করে ! তিনি চোখ বন্ধ করে ধ্যানস্থ হবার চেষ্টা করেন । একটা মুখ ভেসে ওঠে।দ্রুত চোখ খুলে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে মধুবাবা আর তার জপের মালা দ্রুত ঘোরে এবং মুখে বিড়বিড় করে বারবার বলা মায়া, মায়া, মায়া... তোর্ষার শব্দে জোছনার আলোয় মিলেমিশে যায়। ভূটান পাহাড় থেকে উড়ে আসা টিয়া পাখির ডাক,শিউলীর গন্ধমাখা শরতের আধো ভোর আর মধুবাবার ভৈরবী রাগে গাওয়া সূর্যমন্ত্রে জেগে উঠছে নিউ কোচবিহার । বাতাসে ভেসে আসা হিমের সাথে মিশে যায় সদ্য উনুন জ্বালানোর ধোয়া আর পাখপাখালির ডানা থেকে ঝেড়ে ফেলা রাতের অবসাদ । ট্রেনের হুইসিলে মিলেমিশে যায় গরুর ডাক । স্টেশন চত্বর ধীরে ধীরে ব্যস্ত হচ্ছে । কমলা আভায় আকাশ রাঙিয়ে মিহিন কুয়াশার চাদর কাটিয়ে জেগে উঠেছে সূর্য ।  গোলমরিচ, বিটলবণে তৈরী লাল চা আর গতকাল ভুলুয়ার দেয়া তক্তা বিস্কুট খেয়ে মধুবাবা সদ্য আসা গতকালকের বাসী দৈনিক পত্রিকায় চোখ রাখেন। কলকাতাবাসীর কাছে যে পত্রিকা আজ বাসি উত্তরবঙ্গের পত্রিকা পাঠকদের কাছে, সেটাই আজ তাজা এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে গতকাল উত্তরবঙ্গে এসে পলকে আজ হয়ে ওঠে  । 

গতরাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার অস্থিরতা থেকে এখনো মধুবাবা বের হতে পারেননি । দৈনিকে চোখ রেখেও মন বসাতে পারছেন না কিছুতেই । অন্যসব ভোরের মত গাইতেও পারেননি আজ। পত্রিকা ভাঁজ করে বেরিয়ে পড়েন মধুবাবা । হাঁটতে হাঁটতে গতরাতের ঘটনার কারণ খুঁজতে থাকেন আনমনে । চারপাশে আজ মন নেই তার।প্রতিদিন যারা মধুবাবাকে করজোড়ে প্রনাম করে আজ তারা অবাক চেয়ে আছে। অন্যদিন বাবা তাদের করজোড়ে করা প্রনামের জবাব দেন দুহাত তুলে । আজ বাবা নির্বিকার হেঁটে যাচ্ছেন, জপের রুদ্রাক্ষ মালা জপহীন হাতে ধরা । ভাবলেশহীন বাইশগুড়ির দিকে হাঁটচ্ছেন।কেউ কেউ বাবা বাবা করে দুই তিনবার ডাকলো কিন্তু মধুবাবা নিমগ্ন নদের মতো সাড়াহীন চলছেন। মধুবাবা নিজের ভেতর ডুবেও গতরাতের আকস্মিক ঘটনার কুলকিনারা পাচ্ছেন না । পনের বছরের ব্রক্ষ্মচর্য,তিনবছর মৌনব্রত পালন করে তিনি গেরুয়া পড়েছেন।দীর্ঘ বছর ধরে তন্ত্র সাধনা করছেন এতবছরে যা হয়নি তা কেন কাল হলো বুদবুদের মতো প্রশ্ন বড় হয়। সকালের তোর্ষা রাতের তোর্ষার চেয়ে কর্মব্যস্ত।তোর্ষার এই পাড় জুড়ে শ্মশান তবু স্থানীয় মানুষের স্নান, কাপড়ধোয়া সহ সব চলছে এই পাড়েই।তোর্ষার ঐ পাড়েও তাই। রাতের মত মোহনীয় না হলেও এই জায়গাটায়একটা ছন্দ আছে। মধুবাবা এসে বটবৃক্ষের সামনে দাঁড়ায়। তার ভেতর তোলপাড় করা প্রশ্নের ঝড়। উত্তরটা তার জানতেই হবে।কেউ কেউ বাবাকে দেখে ছুটে এসে মাটিতে পড়ে প্রনাম করে । কেউ কেউ দূর থেকে জটলা পাকিয়ে দেখে ।  মধুবাবা নির্বিকার তাকিয়ে থাকে বটবৃক্ষের দিকে।ভিড় বাড়তে থাকে।জটলা থেকে কে যেন ফিসফিস করে বলে'বাবার কি যে হয়েছে আজ!

বটগাছের নীচে সিঁদুর দেয়া কালো পাথরটি আগে চোখে পড়েনি মধুবাবার। দূর থেকে ভেসে আসা হরি বোল বোল হরি শব্দে মধুবাবার ভাবনা তার ভেতরে আতংকের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তার মনে পড়ে যায় লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর জীবনী।লোকনাথের মত এত বড় সাধকের সমাধি হয়নি কেবল অন্তিম সময়ে ছেলেবেলার সঙ্গীনীটির মুখ মনে পড়ে যাওয়ায়।যদিও গতরাতে আবছায়া নারী মুখটি মধুবাবা যথাযথ চিনতে পারেনি তবুও এই মায়া থেকে পরিত্রাণ চায় মধুবাবা। শবযাত্রা জটলা ছাড়িয়ে তোর্ষার দিকে এগিয়ে যায়।মধুবাবাও এগিয়ে গিয়ে হরতকি গাছের নীচে দাঁড়ায়। হরতকি গাছে পরম মমতায় হাত রাখেন। গতরাতে দেখা নারীমুখটি মাথায় ঘুরপাক খায় । মধুবাবার এমন আচরণ এর আগে কেউ দেখেনি । ফিসফাস বাড়তে থাকে।হরতকি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে মধুবাবার চোখ চলে যায় চিতাসজ্জার দিকে,স্বযত্নে দুইজন চিতা সাজাচ্ছে । কয়েকজন নদী থেকে জল তুলে শবের শেষ স্নান করাচ্ছে ।

মনটা হুহু করে ওঠে মধুবাবার । নিজেকে সামলে নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেন এই মৃত্যু মায়ায় কি তুমি আতংকিত রাস্তায় খেলা দেখলে যেভাবে ভিড় বাড়ে মধুবাবাকে দেখতে তেমনি ভিড় বাড়চ্ছে।জটলার মাঝে কথা চালাচালি হচ্ছে ফিসফিস আওয়াজে।কেউ বলছে বাবার ভাব হয়েছ । কেউ কপালে হাত ঠেকিয়ে বলছে বাবা আজ স্বয়ং ঈশ্বরের সাথে কথা বলছে । মধুবাবা চিতার দিকে হাঁটতে থাকেন। জটলা পিছে পিছে।শবযাত্রীর একজন বাবাকে দেখে এগিয়ে এসে মাটিতে পড়ে প্রনাম করে।তার দেখাদেখি একে একে সবাই। পিছনের জটলায় রব পড়ে যায় মধুবাবা রাতেই জেনে ফেলেছিলেন এই মৃত্যু সংবাদ তাই এমন পাগল পাগল আচরণ করছেন ভোর থেকে ।

সদ্য আসা একজন কপালে বার বার হাত ঠুকে বললো গতরাতে বাবাকে এখানে ঘুরতে দেখেই ভেবেছিলাম সকালে কিছু অনিষ্ট হবে । বাবা জোড়ে জোড়ে মায়া মায়া ডাকছিলেন আর কাঁদচ্ছিলেন । সারাদিন ভর মুখে মুখে গোটা নিউকোচবিহারে রটে গেছে মধুবাবা সাক্ষাত ভগবান তিনি জন্ম মৃত্যুর আগাম খবর জানেন।স্টেশন চত্বরেও আজকের আলোচনার বিষয় মধুবাবার অলৌকিক ক্ষমতা । বিকেল থেকেই আজ মানুষ ভিড় করছে মধুবাবার আস্তানায় কিন্তু মধুবাবা তার কুঁড়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না । সেই যে সকালে এসে ঢুকেছেন দরজা চাপিয়ে ভেতরে এখনো বের হননি। মধুবাবার চেলারাও সাহস পাচ্ছেন না দরজা ঠেলে ভেতরে যাবার।


(২য় পর্ব পরের সংখ্যায় )