তাহলে সে কে ?
সিঁড়ি বেয়ে উঠেআসা এক জোড়া নগ্ন পা আর জড়ানো গামছা। হলুদ আলোয় দূর থেকে বুঝে নিয়েছি অপ্সরা- আগমন । তার ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে জোছনার মতো । যেন পাকা ধানের মেলা সারা মাঠময়। কার? বড়ো? মেঝো? ছোটো ?
কার কার কার? পায়ের দিকে চেয়ে অবিরাম খুঁজে বেড়াই জলের আলপনা কিংবা নির্জন রাতের হেঁয়ালি ।
--
কি দেখছো ঠাকুরপো ?
চোখে চোখ পড়তেই সলজ্জ মুখে মৃদু হাসি চাপার সে এক ব্যর্থ প্রয়াস!
তবু অনন্ত অন্বেষণ । কিন্তু পাই না কিছুতেই । না গামছা,
না তার মালিককে । তবে কে...?
দুই
খবরটা আমাকে চমকে দিল ।
--
তীর্থ তীর্থ!
--কী ?
--সোনামন ঝুলে পড়েছে !
--
সেকি !
চল!
পরীক্ষার পড়া ফেলে ছুটে গেলাম ধূমকেতুর মতো । পিছনে টালির ঘরে একা থাকে। দড়ির মতো ফাঁসটাকে কেটে নিচে নামালাম। শেষ । সব শেষ !
আমাকে দ্বিগুণ চমকে দিয়ে পালিয়ে গেল আমাদের সোনামন ।
তিন
অনেক অনেক বছর পর মায়াপুরের উদ্দেশ্যে তিন বৃদ্ধা । আমিও সাথি । সঙ্গে নিলাম সেই গামছা । লোকে তো পুড়িয়েই দিচ্ছিল ।
চার
হোটেলের ঘরটা শূন্য। পথে নামলাম । মন্দির নাটমন্দির হেথা হোথা-- শূন্য কেবল শূন্য! তাহলে? নদীর দিকটাতে ছুটে যাই, দেখি পাড়ে বসে গামছাটা বুকে নিয়ে কাঁদছে! কে? বড়ো? মেঝো ?
ছোটো
?