গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

তাপসকিরণ রায়


ধারাবাহিক ভৌতিক কাহিনী—৫২

জন্মান্তর

দেবেশ ও অনুকূল দুই বন্ধু। ওরা বাল্যবন্ধু। ক্লাস ওয়ান থেকে একই স্কুল-কলেজে ওরা পড়ে এসেছে। এমন কি দেখা গেল, একই সরকারি অফিসে ওরা একই দিনে জয়েন করেছে। এমন ঘটনা কত জন বন্ধুর ক্ষেত্রে হয় ! এ ভাবে একই সঙ্গে দেবেশ ও অনুকূল দীর্ঘ কুড়ি বছর পার করেছে, তারপর একটা সময় এলো, অনুকূলের বদলি হয়ে গেল। একেবারে বাংলার বাইরে বিহারের পাটনাতে। এ মত বিয়োগব্যথা দুই বন্ধুর মন ভেঙে দিয়েছিল। দূরত্ব যাই হোক না কেন, মোবাইলের মাধ্যমে তখন ওদের প্রায়ই কথাবার্তা হয়। সে কথাবার্তা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে--কুশল বিনিময় পর্ব শেষ হলে, ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের কথা ছাড়াও ইদানীং যেটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সেটা হল অনুকূলের প্রেম পর্ব। অনুকূল প্রেমে পড়েছে। তার অফিসের লেডিস স্টাফ অরুণিমার সঙ্গে ভাব হয়েছে তার। সে ভাব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিণতি লাভ করেছে এবং প্রেমিক-প্রেমিকা বিবাহ বন্ধনে বাঁধতে আগ্রহী হয়েছে। আর এক দিন দেবেশ জানতে পারলো বন্ধুর বিয়ের তারিখ।
--তুই না এলে বিয়ে হবে না ! অনুকূলের সাফ কথা।
--আসবো আসবো, তবে ঠিক বিয়ের দিন হয়ত আসতে পারবো না, দেবেশ নিজের কথা জানালো।
--ও সব আর্জেন্ট কাজের কথা আমি জানি না, তুই না এলে এ বিয়ে হবে না জানবি, অনুকূল নাছোড়বান্দা হয়ে ছিল।
অগত্যা দেবেশ বসকে নারাজ করে অফিসের অ্যানুয়াল মিটিং বাদ দিয়ে রওনা হয়ে গেল পাটনার দিকে। তার বাল্যকালের বন্ধু অনুকূল, সে যে বড় আপন, নিজের ভাই-বোনের চেয়েও যেন সে আপন হয়ে গেছে! রাতের ট্রেন পর দিন বেলা ন’টায় পাটনা এসে পৌঁছল। স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটারের মত দূরত্বে অনুকূলের ফ্ল্যাট। গত রাত্রে এগারোটার দিকে অনুকূলের শেষ ফোন এসেছিল, তুই পৌঁছে আমায় একটা ফোন করবি--আমি তোকে নিতে আসবো, অনুকূল বলেছিল।
দেবেশ বলে ছিল, কি দরকার তোর এসে ? তোর কাল বিয়ের দিন--তুই না হয় বাইরে নাই বেরলি--আর তোর ঘর তো স্টেশন থেকে বেশী দূরে না।
অনুকূল বলেছিল, না না আমি আসবো--তুই আসছিস কত খুশি কথা বল ? কত দিন পর দেখা হবে বল ? পাটনা স্টেশনে পৌঁছে দেবেশ ফোন লাগাল বন্ধুকে। একবার রিং বেজেই থেমে গেল। বারবার করে অনুকূলের ফোন লাগাচ্ছিল দেবেশ কিন্তু ফোন লাগছিল না। একবার সুইচ অফ, এক বার আউট অফ রেঞ্জ বলে যাচ্ছিল। দেবেশ বিরক্ত হয়ে মোবাইল পকেটে পুরে নিলো, হ্যান্ড ব্যাগটা হাতে তুলে নিয়ে প্ল্যাটফর্মের বাইরে এসে দাঁড়ালো। বুক পকেটে হাত দিয়ে ছোট নোটবুক বের করে একবার অনুকূলের ঠিকানাটা দেখে নিলো--মঞ্জিলা এপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট নাম্বার ৩৩, থার্ড ফ্লোরে, লেন ইলেভেন। মঞ্জিলা অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে পেতে বিশেষ একটা অসুবিধা হল না। অনুকূল থার্ড ফ্লোরে থাকে। দেবেশর দেখল, গ্রাউন্ড ফ্লোরের সিঁড়ির গোড়ায় বেশ কিছু লোকের ভিড় জমেছে। তাকে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে যেতে হবে।
--কার ফ্ল্যাটে যাবেন ? ভিড়ের ভেতর থেকে এক জন প্রশ্ন করলেন।
--অনুকূলের ঘরে, দেবেশের সংক্ষিপ্ত জবাব ছিল।
আশপাশের লোকদের মধ্যে যেন একটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। দেবেশের হাবভাবে তাঁদের মনে হয়েছিল ভদ্রলোক নিশ্চয় অনুকূল সাহেবের মৃত্যুর খবর কিছু জানেন না। এক জন অপেক্ষাকৃত নিচু গলায় বললেন, আপনি হয়ত জানেন না--অনুকূল সাহেব কাল রাতে মারা গেছেন।
কথাটা দেবেশের কানের ভেতরে কেমন যেন অদ্ভুত ভাবের আলোড়ন তুলল। হঠাৎ তার মনে হল সে যেন বাস্তবে কিছুই শুনতে পাচ্ছে না ! পাশের লোকের কথাগুলি যেন বহুদূর থেকে তার কানে ভেসে আসছিল। তার মাথাটা দু'তিন বার দপদপ করে উঠলো। সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না, দুজন লোক তাকে ধরে পাশের সিঁড়িতে বসিয়ে দিলেন। এক জন প্রশ্ন করলেন, অনুকূল সাহেব আপনার কে হন ?
দেবেশ বিহ্বল হয়ে উত্তর দিয়ে ছিল, আমার বন্ধু--
এক সময় দেবেশ সবকিছুই জানতে পারল, বন্ধু অনুকূল শেষ রাতে হার্টফেল করে মারা গেছে। ঘরে তার মা-বাবা ও ভাই থাকে। বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন কয়েক জন এসে পড়ে ছিলেন। কিছুই করার নেই, অনুকূলের মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিয়ে দেবেশ চার দিনের মত পাটনাতে থেকে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে এলো।
এসব ঘটনার পর যেন আসল ঘটনার সূত্রপাত ঘটল। রাতে দেবেশর ঘুমাচ্ছিল, হঠাৎ তার মনে হল, ঘুমের মধ্যে থেকে সে শুনতে পেল, কেউ যেন তাকে ডাকছে, দেবেশ, দেবেশ--
কান পাতল দেবেশ। এ গলা তার বাবা-মা-ভাই-বোন কারো নয়, খুব পরিচিত এ গলা, অনুকূলের গলা বলে মনে হল তার। দেবেশ স্বপ্ন দেখছিল হবে, স্বপ্ন ভেঙে গেল তার--সে ছুটে এলো বাইরে, দরজার দিকে তাকিয়ে দেখল, ঐ তো দরজা খোলা, অনুকূল তাকে ডাকছে, স্পষ্ট তার ডাক শুনতে পেল, দেবেশ, দেবেশ--আমি রে. আমি অনুকূল--আয় আয় আমার সঙ্গে আয় !
একবার দেবেশের মনে হল, অনুকূল তো মারা গেছে, পর মুহূর্তে সে যেন সব ভুলে গেল, তার মনে হল, না অনুকূল তাকে ডাকছে। দেবেশ আবেশ জড়িত ভাব নিয়েই দরজার বাইরে বেরিয়ে এলো। অনুকূল ব্যস্ততার সঙ্গে বলে উঠল, এই তোর সঙ্গে কথা আছে !
অনুকূল এগিয়ে যাচ্ছিল দেখে তাকে অনুসরণ করল দেবেশ। ঠিক বুঝতে পারছিল না যে সে স্বপ্নের ঘোরে আছে, নাকি এটা বাস্তব ! প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে অনুকূল বলল, চল টেগোর পার্কে গিয়ে বসি।
দুই বন্ধু টেগোর পার্কের গাছ তলার একটা বেঞ্চিতে গিয়ে বসলো। জায়গাটা দুই বন্ধুর খুবই পরিচিত। অনুকূল দেবেশ বহুবার এখানে এসেছে, আড্ডা দিয়েছে, এমন কি ছোট বেলায় অন্য বন্ধুবান্ধবরাও তখন থাকতো।
দুই বন্ধু এক সঙ্গে বসে থাকতে থাকতে রাত গভীর হয়ে গেছে, ঘড়ির সঙ্গে ওদের কোন সম্পর্ক নেই। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হয়ত দেবেশ অণুকুল বুঝতে পারতো যে রাত একটা বেজে গেছে।
অনেক কথার পর অনুকূল বলল, জানিস, অরুণিমা খুব কেঁদেছে রে !
দেবেশ যেন সব জানে, সে বলল, কাঁদবেই তো, তুই নেই !
--আমি নেই, তুই জানিস ? অনুকূল প্রশ্ন করে।
--হ্যাঁ জানি তো, দেবেশ যেন স্বাভাবিক।
--তা হলে আমায় ভয় পাস না কেন তুই ? অনুকূল আবার প্রশ্ন করে।
--ভয়ের কি আছে ? আমরা যে একে অন্যের সত্যিকারের বন্ধু রে ! দেবেশ বলে।
হাসে অনুকূল, তবু তুই আমি এখন ভিন্ন লোকের--মৃত্যুলোক আর মর্তলোকের, তফাৎ নেই ?
দেবেশ বলে--হয়ত আছে কিন্তু সেখানে নেই যেখানে অভিন্ন মনের দুটি মানুষের বন্ধুত্ব হয়। তাদের মধ্যে লোকান্তর বোধহয় বিশেষ কিছু পাল্টে দিতে পারে না।
অরুণিমার জন্য আমার খুব কষ্ট হয় রে--মা বাবা ভাই বোনদের জন্য আমার কষ্ট আছে কিন্তু সেই কষ্টগুলো যেন বারবার ছিঁড়ে ছিঁড়ে যায়, কিছুটা বিস্মৃতি আসে মাঝে কিন্তু সমস্ত সম্পর্কের মাঝে তুই যেন বেঁচে আছিস। দেখ সেই ছোট্টবেলা থেকে আমরা একসঙ্গে। এখানে নিঃস্বার্থ এক বন্ধুত্ব ছাড়া আর কোন স্বার্থ নেই। আমরা প্রেমিকাকে ভালোবাসি, সে ভালবাসা গভীর হয়ে গেলেও তা কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। আর সেখানে স্বার্থ জমা থাকে--আবেগ আবেশ আর সর্বোপরি যেটা থেকে যায় সেটা হল সেক্স। আর মা-বাবা ভাই-বোন এটা তো একটা সম্পর্কিত ভালোবাসা। তোর কি মনে হয় ?
দেবেশ চুপ করে থাকে। রাত বুঝি শেষ হয়ে এলো। ঘরের কথা মনে পড়ছিল তার। ও বলে--আমার ফিরতে হবে !
--কোথায়? ঘরে? অনুকূলের মুখে ঠোঁট বেঁকা একটা হাসি লেগে থাকে।
--ঘরে সবাই আমায় নিয়ে চিন্তিত, দেবেশ খানিক অন্যমনস্ক হয়ে বলে ওঠে।
অনুকূল হেসে ওঠে, তা হবে। আমি কিন্তু ঝাড়া হাত পা ! আমার ঘর-বার বলে কিছুই নেই।
--তুই তবে সারাদিন কোথায় থাকিস ? দেবেশ প্রশ্ন করে।
অনুকূল বলে--দিনভর ঘুমাই, কোন স্থান নেই, ঘুমিয়ে থাকি। মৃত মানুষের মত ! কি ভেবে সে এবার হেসে ওঠে বলে, আরে ভুলেই গেছি, আমি তো এখন মৃতই !
দেবেশ বলে, এখন কোথায় যাবি ?
অনুকূল হাসে, বলে--ভাবছি, ওই কালো মেঘের টুকরোর ওপর চড়ে বসবো, দেখি সে আমায় কতদূর নিয়ে যায়।
দেবেশ লক্ষ্য করেছে বন্ধুকে, বন্ধুর মুখমণ্ডলে হালকা আলোর ছটা লেগে আছে--সে যে এই মর্ত্যলোকের নয়, তা দেবেশ ভোলেনি তবু একাত্ম বন্ধুকে সে যেন ভয় পায় না !
দেবেশের মা-বাবা খুব চিন্তিত আছেন। তাঁরা জানেন, দেবেশ গভীর রাতে নিশি পাওয়ার মত ঘরের বাইরে বেরিয়ে যায়। ওর বন্ধু অনুকূল নাকি তার ওপর ভর করে, দেবেশ সে কথা তার বাবা মাকে বলেছে। বলেছে, তোমরা ভয় পেয়ো না, বন্ধু আমার ডেকে নিয়ে যায়, সে আমার কোন ক্ষতি করবে না।
দেবেশের মা কেঁদে ওঠেন, বলেন, আমার খুব ভয় হয় বাবা, রাতভর আমরা ভয়ে ভয়ে জেগে থাকি। এমনি ভাবে কিছুদিন চলতে থাকে। দেবেশের বাবা ভুত-প্রেত ছাড়ানোর ওঝা ও তান্ত্রিকদের খোঁজে ঘুরতে থাকেন।
এরপর এক দিনের কথা, সে দিন দেবেশ গভীর রাতে বেরিয়ে যায়। বস্তুত অণুকুল আর দেবেশকে নিতে আসে না। দেবেশই মন থেকে অনুভব করে যে বন্ধু তাকে ডাকছে। তাকে যেতে হবে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। কথায় কথায় দেবেশ একবার প্রশ্ন করেছিল বন্ধুকে, আচ্ছা তোর তো আবার পুনর্জন্ম হবে তাই না ?
অনুকূল তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠেছিল, হ্যাঁ রে আমিও এক দিন জন্ম নেব আবার কোন নতুন মায়ের পেটে বেড়ে উঠবো, ভাবতেই আমার কত ভালো লাগছে !
দেবেশ অবাক হয়ে অনুকূলের দিকে তাকিয়ে থাকে।
অনুকূল বলে চলে, জানিস, মাঝে মধ্যে হাওয়ার দাপট যেন আমায় উড়িয়ে নিতে চায়--আমি দেখি, আমার চারদিকে হাওয়ারা জটলা করছে, হাওয়ার মাঝখানে ঘূর্ণিপাক চোখে পড়ে, মনে হয় ওই ঘূর্ণিপাকের মধ্যে যে দিন আমি গিয়ে পড়বো সেই দিন আর আমার অস্তিত্ব খুঁজে পাবো না। মানুষের বীজ হয়ে কোন মায়ের পেটে ঢুকে যাব।
অদ্ভুত লাগছিল দেবেশের, অনুকূল মৃত্যুলোকে থেকেও আবার জন্ম নেবার স্বপ্ন দেখে। এমনি বন্ধুর সঙ্গে কথা হয় তারপর শেষ রাতে দেবেশ ফিরে আসে নিজের ঘরে। ফিরে দেখে মা বাবা তার ফিরে আসার অপেক্ষায় রাত জেগে বসে আছেন।
এক রাতে দেবেশের খুব ঘুম পাচ্ছিল। অনুকূলের সঙ্গে আর দেখা করার ইচ্ছে হচ্ছিল না। ও নিজেও অবাক হচ্ছিল, বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার তাগিদ তার মধ্যে আজ আর নেই কেন ? রাত জেগে এক সময় সে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম যখন ভাঙল সে দেখল সকালের রোদ জালনা গলিয়ে তার নাকে মুখে এসে পড়েছে। তিন রাত এমনি ভাবে পার হয়ে গেল। দেবেশ আর যেন মন থেকে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার তাগিদ অনুভব করে না। তবু কৌতূহলী হয়ে দেবেশ এক দিন রাতে বেরিয়ে পড়ল। ঘরের বাইরে তখন অন্ধকার। নিঝুম রাত, স্ট্রীট লাইটের আলোগুলো যেন অলৌকিকতায় ঘিরে আছে, ওরা যেন দেবেশকে ফলো করছে ! হনহন করে হেঁটে চলল দেবেশ। পৌঁছল সেই পার্কে। পার্কের সেই বেঞ্চটা আবছা অন্ধকারে খালি পড়ে আছে। এই বেঞ্চিতেই তো দুই বন্ধু বসে গল্প করে কিন্তু আজ সেটা শূন্য পড়ে আছে, কেউ সেখানে নেই ! বন্ধু অনুকূল আসেনি। দেবেশ একলা বসে আছে বেঞ্চিতে। চারদিকে গা-ছমছমে নির্জনতা। সে ভয় পেলো না--বন্ধুর অপেক্ষায় খানিক সময় বসতে চাইলো। তারপর কখন যে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল তা সে নিজেও জানে না। হঠাৎ তার মনে হল তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । দেবেশের মনে হল, কেউ যেন তার গলা চেপে ধরেছে। ক্রমশ সে নিস্তেজ হয়ে যেতে লাগল। চোখের সামনে দেবেশ ঘন অন্ধকারের মধ্যে ডুবে যেতে লাগল। তার কানের কাছে ফিসফিস করে কেউ যেন বলে যাচ্ছে, আমি তোর বন্ধু না, তোর বন্ধু পুনর্জন্মের ঘূর্ণিপাকে ঢুকে গেছে। দেবের দেখল, অন্ধকার, অন্ধকার, তার পাশে চাপ চাপ অন্ধকার। তারপর দেবেশ হঠাৎ চমকে উঠলো, সে দেখতে পেলো, তার সামনে নিজের দেহটা যেন বেঞ্চির এক পাশে এলিয়ে পড়ে আছে।