আয়নার প্রতিচ্ছবি
শোভা
দিদির কপালের মাঝামাঝি একটা তিল তার মুখের শোভা আরও বাড়িয়ে
তুলেছিলো । কিন্তু তার সিঁথির লাল শোভা একদিন সাদা হয়ে গেলো । অমাবস্যা র সেই রাত শেষ হতেই চাইছে না । ক্রমাগত একটা কান্নার আর্তনাদে দুই মেয়েকে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো তার জীবনের গতিপথ । মাঝ সমুদ্রের দিক হারানো নাবিকের চুল ছেঁড়া চিন্তার মতো তার অপহৃত হৃদয় । শোভাদি মেরুদণ্ড সোজা রেখে তার বড়দার পরামর্শ মেনে যোগ দিলেন চাকরি জীবনে । আলো জাগলো আশার মনে । আমি তখন তেরো । শোভা দির রান্না আজও মুখে তৃপ্ত স্মৃতি জাগায় । শুনেছি অন্তরের আন্তরিকতায় সামান্য সব্জি অসাধারণ অমৃতের আস্বাদ আনতে পারে । খেয়ে চলে যেতাম আশ্রম পরিবেশে । আমার বড় আদরের শ্রদ্ধার বিরলতম বিদ্যালয় বিল্বশ্বর বিদ্যালয় । এক বটবৃক্ষের ছায়ায় শুরু হতো আমাদের প্রার্থনা সংগীত । অম্বুজাক্ষবাবুর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা আমাদের আজও পথ দেখায় । বিদ্যালয় অন্ত প্রাণ কোটিতে গুটি ।
শুধু স্মৃতি বয়ে বেড়ায় ভগ্মাবশেষ ।
বাড়ি ফিরে ফের মায়ের আঁচলের মতো শোভাদির অকৃত্রিম আদর ।মা তাকে নিজের বোনের স্নেহে মানুষ করেছিলেন ।
বাড়ি ফিরে ফের মায়ের আঁচলের মতো শোভাদির অকৃত্রিম আদর ।মা তাকে নিজের বোনের স্নেহে মানুষ করেছিলেন ।
তারপর
সুখে দুখে শোকে সময়ের চোরাপথে ঢুকে যায় সমগ্র ইতিহাস । মা বলতেন, কাল করবো
বলে কোনো কাজ ফেলে রাখিস না । কালেই খেয়ে নেবে
সব ।
মা আমার লড়াকু মহিলা । জীবনের অভাব অভিযোগ কোনোদিন তার হৃদয় ছুঁতে পারেনি । সেই হৃদয়ে ছিলো তালবোনা পুকুরের সাঁতরে তাল কুড়োনোর ছবি । নতুন পুকুর তর্ক করে এপাড় ওপাড় হওয়ার চির নতুন ছবি ।
মা আমার লড়াকু মহিলা । জীবনের অভাব অভিযোগ কোনোদিন তার হৃদয় ছুঁতে পারেনি । সেই হৃদয়ে ছিলো তালবোনা পুকুরের সাঁতরে তাল কুড়োনোর ছবি । নতুন পুকুর তর্ক করে এপাড় ওপাড় হওয়ার চির নতুন ছবি ।
সেইসব ছবি
আজও মায়ের ঠোঁটে হাসির রেখায় চিত্রিত করে আমাদের নবহৃদয় ।
আজ বৃদ্ধা মা শুধু অপেক্ষার প্রহরে প্রহর গোনেন। চার ছেলেকে মানুষ করে মন যে ছেড়ে যেতে চায় না মায়ার আকর্ষণ । মানুষের পরমায়ু এত কম কেন? মা বলেন, ছেড়ে যেতে হয় বলেই তো জীবন মোহময়ী । তা না হলে ছন্দ পতন হয় যে ।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা মানব জীবন । কি করে , কে যে লিখেছেন সে রহস্য লুকিয়ে আছে লালনের গানে,জীবনের আনন্দে ।
আজ বৃদ্ধা মা শুধু অপেক্ষার প্রহরে প্রহর গোনেন। চার ছেলেকে মানুষ করে মন যে ছেড়ে যেতে চায় না মায়ার আকর্ষণ । মানুষের পরমায়ু এত কম কেন? মা বলেন, ছেড়ে যেতে হয় বলেই তো জীবন মোহময়ী । তা না হলে ছন্দ পতন হয় যে ।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা মানব জীবন । কি করে , কে যে লিখেছেন সে রহস্য লুকিয়ে আছে লালনের গানে,জীবনের আনন্দে ।
আমার
মেজদার নাম রিলীফ । জন্ম থেকেই মুক্তির টানে তার জীবনের উত্থান ।
প্রতিভার দৃষ্টি তাঁর আচার আচরণে । সে সংগীত ভালোবাসতো । সংগীতের সুরে সুরে সাজানো সংসারে সফল সাধক মানুষ । কথায় কথায় মানুষই দেবতা হয়ে যায় তার ভাবনায় । দাদা বলে, কোনোদিন দুঃখ ব্যাথাকে বড় করে দেখিস না গর্দভ । মনে মনে
সুখ অনুভব করার নাম জীবন ।
বড়দা
নিজের জীবনে কাজকে গুরুত্ব দেন বেশি । কথায় কথায় তার কথ্য ভাষা
মনের অন্তস্থলের বন্ধ দরজার চাবিকাঠি । তিনি বলেন, টাকা পয়সা জীবনে
যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ভালো । বেশি হলেই বিষ । মানুষকে ভালোবাসলেই
যথেষ্ট । অভিনয় নয় । আন্তরিকতা একটা কুকুরও বোঝে ।
ছোটোভাই
বাবু সকলের প্রিয় । বিপদে আপদে সকলের পাশে সতত জাগ্রত তার বিবেক । কোনো বিপদ তাকে চঞ্চল করতে পারে না । এ তো
সাধকের লক্ষণ ।
আর আমি
মানুষ হয়ে জন্মে এত ভালো পরিবেশে মানুষের কিছুই কি করতে
পেরেছি?প্রশ্ন কুড়ে কুড়ে খায় তিন কুড়ির জীবন । আর কবে করবো মনের অপূর্ণ সাধ পূরণ। কত অভুক্তজন শুধু একমুঠো নুনভাত চায় । সমর্থ লোক যদি একটা মুখেও ক্ষুধার অন্ন জোটায় , তাহলেই যথেষ্ট ।
ছোটোবেলার
রায়পুকুরের রাধা চূড়ার ডালটা আজও আমায় আহ্বান
করে হাত বাড়িয়ে । এই ডাল ধরেই এলোপাথারি হাত পা ছুড়তে ছুড়তে সাঁতার শিখেছি আদরের পরশে । ডুবন্ত জলে যখন জল খেয়ে ফেলতাম আনাড়ি চুমুকে, দম শেষ
হয়ে আসতো তখন এই ডাল তার শক্তি দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতো অক্লেশে । হয়তো পূর্ব জন্মে আমার দিদি হয়ে যত্ন আদর করতো এই ডালটা । কোনোদিন তাকে গাছ মনে করিনি আমি ।এখনও জল ছুঁয়ে আদরের ডাক শুনতে পাই পুকুরের ধারে গেলে । রাধা নামের মায়াচাদর জড়ানো তার সবুজ অঙ্গে ।ভালো থেকো বাল্য অনুভব । চিরন্তন প্রকৃতির শিক্ষা অঙ্গনে নাম লিখে যাক নব নবীন শিক্ষার্থী
প্রবাহ ।
Sudip ghoshal nandanpara khajurdihi east bardhaman 713150mo8391835900email sudip ghoshal 59@gmail.com
আমাদের একটা বন্ধু দল ছিলো । পুজোর সময় রাত জেগে ঘুরতুম কোলকাতার অলিগলি । হাওড়া ব্রিজ থেকে শিয়ালদহ । পায়ে হেঁটে । গোল হয়ে প্রাচী পেরিয়ে হাঁটার নেশায় চলে আসতাম আবার কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে সোজা কলেজ স্কয়ার । জীবনের তিরিশটা বছর তিল তিল করে খরচ করেছি আনন্দের খোঁজে। অসীম বলে সীমাহীন আনন্দের ছেলেটা গান গাইতো সুন্দর । বিচ্ছু বলে বন্ধুটা ভালোবাসতো অপলক মায়া জড়ানো চোখের সুন্দরী কে । তাকে দেখলেই বিচ্ছু ওথেলো হয়ে যেতো ।অমিত রান্না করতো খুব ভালো । পুরী আর দীঘাতে ওর হাতের রান্না খেয়ে আনন্দিত আমরা ওকে একটা জামা উপহার দিয়েছিলাম । ও শেফ হতে চেয়েছিলো । অনিন্দিতা বলে বান্ধবী টা আমাদের মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলো । কিন্তু সব স্বপ্ন গুলো বিস্ফারিত চোখের কাছে থমকে গিয়েছিলো ।
Sudip ghoshal nandanpara khajurdihi east bardhaman 713150mo8391835900email sudip ghoshal 59@gmail.com
আমাদের একটা বন্ধু দল ছিলো । পুজোর সময় রাত জেগে ঘুরতুম কোলকাতার অলিগলি । হাওড়া ব্রিজ থেকে শিয়ালদহ । পায়ে হেঁটে । গোল হয়ে প্রাচী পেরিয়ে হাঁটার নেশায় চলে আসতাম আবার কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে সোজা কলেজ স্কয়ার । জীবনের তিরিশটা বছর তিল তিল করে খরচ করেছি আনন্দের খোঁজে। অসীম বলে সীমাহীন আনন্দের ছেলেটা গান গাইতো সুন্দর । বিচ্ছু বলে বন্ধুটা ভালোবাসতো অপলক মায়া জড়ানো চোখের সুন্দরী কে । তাকে দেখলেই বিচ্ছু ওথেলো হয়ে যেতো ।অমিত রান্না করতো খুব ভালো । পুরী আর দীঘাতে ওর হাতের রান্না খেয়ে আনন্দিত আমরা ওকে একটা জামা উপহার দিয়েছিলাম । ও শেফ হতে চেয়েছিলো । অনিন্দিতা বলে বান্ধবী টা আমাদের মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলো । কিন্তু সব স্বপ্ন গুলো বিস্ফারিত চোখের কাছে থমকে গিয়েছিলো ।
অই
বন্ধুরা একত্রে সমাজ সেবার প্রচেষ্টায় আছে ।
রাস্তার অভুক্ত মানুষের মুখে একটু নুনভাত জোগানোর জন্য ওরা ভিক্ষা করে, জীবনমুখী গান শুনিয়ে । অসীম গান করে,বিচ্ছু একতারা বাজায় । অমিত আর অনিন্দিতা সুরে সুর
মিলিয়ে স্বপ্ন দেখে । ওরা এখনও স্বপ্ন দেখে । হয়তো চিরকাল দেখে যাবে থমকা লাগা স্ট্যাচুর পলক ।
..
সুপার মার্কেটের ধারেই আমার বর্তমান বাসস্থান । কাটোয়া মহুকুমার নন্দন পাড়ায় আমি পনেরো বছর আছি । সুপার মার্কেটের সকালের দৃশ্য বড়ো মনোহর । কাটোয়া শহরের মহিলা পুরুষ সকলেই একসাথে প্রাতঃভ্রমণে ব্যস্ত । সবুজের নির্মল হাওয়ায় মন হারিয়ে যায় সুন্দর হাওয়ায় । তারপর সারাদিন মার্কেটের ব্যস্ত তার সময় । ঠিক গোধূলির আলোয় আবার মানুষের মন হারানোর পালা । চুপিচুপি অন্ধকার রূপের আদরে আশাতীত ভালোলাগার পসরা সাজায় ।হারিয়ে যাওয়ার আনন্দে আলোকের গোপন ঈশারা, আমি আছি আমি আছি।তোমার অন্ধকার ভোগের শেষে । অন্ধকারের মূল্য অসাধারণ । আলোর স্পর্শে ভালোলাগার কারণ এই আঁধার ।
আঁধার কালো, কৃষ্ণ কালো, গভীর জলধি কালো, ঘন বনানীর অভ্যন্তরে কালো। তাই কালো সুন্দর, অকৃত্রিম আনন্দের সাজি সাজায় কালো । এইসব চিন্তা করতে করতে রাত নামে । আলো জ্বালিয়ে বুড়োদের তাসখেলার আসর । সমস্ত অভিমান তারা ঝেরে ফেলে ঝরঝরে নবীন মনে বাড়ি ফেরেন তারা । আর একদিকে চলে গীতাপাঠ । সুপার মার্কেট আলোয় ঝলমল করে ওঠে । অনেক মানুষ একসাথে বসে দুঃখ ভুলে হরি নাম সংকীর্তনে চাঙ্গা হয়ে ওঠেন । নতুন ভাবে বাঁচার রস পেয়ে যান রসিক মানুষ ।
সুপার মার্কেটের ধারেই আমার বর্তমান বাসস্থান । কাটোয়া মহুকুমার নন্দন পাড়ায় আমি পনেরো বছর আছি । সুপার মার্কেটের সকালের দৃশ্য বড়ো মনোহর । কাটোয়া শহরের মহিলা পুরুষ সকলেই একসাথে প্রাতঃভ্রমণে ব্যস্ত । সবুজের নির্মল হাওয়ায় মন হারিয়ে যায় সুন্দর হাওয়ায় । তারপর সারাদিন মার্কেটের ব্যস্ত তার সময় । ঠিক গোধূলির আলোয় আবার মানুষের মন হারানোর পালা । চুপিচুপি অন্ধকার রূপের আদরে আশাতীত ভালোলাগার পসরা সাজায় ।হারিয়ে যাওয়ার আনন্দে আলোকের গোপন ঈশারা, আমি আছি আমি আছি।তোমার অন্ধকার ভোগের শেষে । অন্ধকারের মূল্য অসাধারণ । আলোর স্পর্শে ভালোলাগার কারণ এই আঁধার ।
আঁধার কালো, কৃষ্ণ কালো, গভীর জলধি কালো, ঘন বনানীর অভ্যন্তরে কালো। তাই কালো সুন্দর, অকৃত্রিম আনন্দের সাজি সাজায় কালো । এইসব চিন্তা করতে করতে রাত নামে । আলো জ্বালিয়ে বুড়োদের তাসখেলার আসর । সমস্ত অভিমান তারা ঝেরে ফেলে ঝরঝরে নবীন মনে বাড়ি ফেরেন তারা । আর একদিকে চলে গীতাপাঠ । সুপার মার্কেট আলোয় ঝলমল করে ওঠে । অনেক মানুষ একসাথে বসে দুঃখ ভুলে হরি নাম সংকীর্তনে চাঙ্গা হয়ে ওঠেন । নতুন ভাবে বাঁচার রস পেয়ে যান রসিক মানুষ ।
নদীর ধার
দিয়ে নিত্য আমার আনাগোনা । গ্রীষ্মে
দেখি শুকনো বালির বৈশাখী কালো রূপে আলো ঘেরা অভয় বাণী ।বর্ষায় পরিপূর্ণ গর্ভবতী নারীরূপ । এই রূপে জলবতী নদীতে অতি বড় সাঁতারু ভুলে যায় কৌশল । আমি তখন নদীর বুকে দুধসাদা ফেনা হয়ে ভাসতে ভাসতে চলি বাক্যহারা হয়ে ।
এবার শরতে
কাশ ফুলের কারসাজি । তার মাথা দোলানো দেখে আমি দুর্গা পুজোর ঢাকী হয়ে যাই । আমার অন্তর নাচতে থাকে তালে তালে । মা তুই আসবি কবে
আর, নতুন জামায় নাচে মন সবার ।
নদী এরপরে
হেমন্তের বুকে ছবি এঁকে এগিয়ে যায় শীত
ঋতুর আহ্বানে । লোটা কম্বল বগলে আমি রাজস্থানী সাজি । কখনও ধূতি পাঞ্জাবি পরিহিত শাল জড়ানো খাঁটি বাঙালি । মাঝে মাঝে কোট প্যান্ট পরিহিত বিদেশী সাহেবের সুন্দর সাজ । আমি সারা পৃথিবীর সাজে সজ্জিত হতে চাই শীতের আদরে ।
শীতল
আড়মোড়া ভাঙতেই বসন্তের বাসন্তী রঙের তালে তালে আমি রঙের
ফেরিওয়ালা হয়ে যাই । সকলের অন্তরের গোপন রঙ ছড়িয়ে দেয় প্রকৃতি । এই সময়ে আমার রাধাভাব ছড়িয়ে পড়ে স্বচ্ছ
অজয়ের মদনমোহনের রূপে ।
আমার
সমস্ত শরীর মন ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মনোদেবতার মহান চরণে ...
তোমাদের আমার বসন্ত নিয়ে কিছু কথা লিখতে ইচ্ছে হল।একবার সকালে
বাইরে গিয়ে দেখলাম আকাশ টা কেড়ে নিয়েছে পলাশ শিমূলের দল । তারা বলছে বাইরে এসে আমাদের দেখো। জগৎ কে সুন্দর ভাবে সাজানো আমাদের কাজ ।
আজ বসন্তে সকলের হৃদয় ভরে যাক প্রেমে ভালোবাসায় ।
বসন্তের ডাকে মুগ্ধ হয়ে কৃষ্ণচূড়া হাতে দোল উত্সবে মাতোয়ারা হলাম মতুয়া আনন্দে । সবার সুখে আমার সুখ । ভারতের এই চির নূতন আনন্দে অংশগ্রহণ করে আনন্দিত আমার অন্তর । আমার বসন্তের রং সবাইকে রঙীন করুক । সব দুঃখ বেদনা দূরে যাক । জীবনে আসুক নব বসন্তের দোল ।
আজ বসন্তে সকলের হৃদয় ভরে যাক প্রেমে ভালোবাসায় ।
বসন্তের ডাকে মুগ্ধ হয়ে কৃষ্ণচূড়া হাতে দোল উত্সবে মাতোয়ারা হলাম মতুয়া আনন্দে । সবার সুখে আমার সুখ । ভারতের এই চির নূতন আনন্দে অংশগ্রহণ করে আনন্দিত আমার অন্তর । আমার বসন্তের রং সবাইকে রঙীন করুক । সব দুঃখ বেদনা দূরে যাক । জীবনে আসুক নব বসন্তের দোল ।