ব্লেড
হাতে ওটা
কি ? -ব্লেড ।
কেন ব্লেড কেন ? কি করবে ব্লেড দিয়ে ? -হাতটা কাটবো । সে কি ! কেন ?
জানতে চাইলো প্রত্যয় । -তুমি যদি আমায় ভালো না বাস তো ব্লেড দিয়ে হাতটা কাটবো কিন্তু... বলে বা হাতের ওপর ব্লেডটা ঘসতে লাগলো তপস্যা ।
তারপর প্রেম । ভিক্টোরিয়া । নন্দন । বাংলা আকাদেমি । চা-কফি-ব ইমেলা । দশ বছর আগের কথা । তপস্যা দিল্লি থাকে । বর আমেরিকায় ।প্রত্যয় সেই এক ই রকম
।একটুও বদলায় নি ।ছাত্র পড়ায় ।আর একটা ইন্সুরেন্স কোম্পানির
এজেন্ট । অন্যের
জীবন সুরক্ষিত করে ।শুধু বদল বলতে চুলে সামান্য পাক ধরেছে এই যা । দাড়ি কাটছিল ।হঠাত্ গালটা কেটে
গেল ।বিছানায় পড়ছিল সুমি । প্রত্যয়ের তিন বছরের মেয়ে ।
--বাবা তোমার গালটা কেটে গেছে । রক্ত পড়ছে ।
--হ্যাঁ মা , ব্লেডটায় বড্ড বেশী ধার ছিল ।
পাত্রী চাই
ভাইয়ের
বিয়ের জন্য খবরের কাগজ দেখে পাত্রীর বাড়িতে ফোন করছি ।
--হ্যাঁ আমি পাত্রের দাদা ।
--ওপ্রান্ত থেকে উত্তর এলো ,কোথা থেকে বলছেন ? -- গুমা থেকে । --বেহালার মেয়ে এত দূরে থাকবে কী করে ! না না
এখানে হবে না । দ্বিতীয়
বাড়ি । --আমি পাত্রের দাদা । আমরা গুমাতে থাকি ,এত দূরে বিয়েতে আপত্তি নেই তো ? উত্তর এলো, না না
।আচ্ছা ছেলে কি করে ? --প্রাইভেট কোম্পানীতে...
--ওহ্ বেসরকারী ।
না আমরা সরকারী চাকুরে ছেলে চাই ।
তৃতীয় বাড়ি । --আমি গুমা থেকে বলছি ছেলের দাদা ,ভাই বেসরকারী চাকুরে ,যদি
আপত্তি না থাকে তো কথা বলি... মেয়ের বাবা বললে ,সে সব ঠিক আছে ।চলবে ।আজকাল কয়টা সরকারী চাকরি আছে ।তা আপনার ভাইয়ের গনটা কি ?
--রাক্ষস গন । --এই তো মুসকিল । আমরা এসব খুব মানি ।এখানে হবে না ভাই ।আমার মেয়ের নর গন । চতুর্থ বাড়ি ।
--পাত্রের দাদা বলছি ।
ভাই রাক্ষস গন । বেসরকারী চাকরি । গুমাতে থাকি । আপত্তি না
থাকলে কথা বলা যেতে পারে... উত্তর পেলাম,সে সব হবে ক্ষন ।আগে বলুন ,আপনারা ঘটি না বাঙাল ? আমরা ঘটি
ছাড়া বিয়ে দেব না ।
মেজাজ ঠিক রাখা গেল না । বললাম , আমরা ঘটিও
না বাঙ্গালও না । আমরা হলাম
বাটি ।বলে ফোনটা কেটে দিলাম ।