গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

তাপসকিরণ রায়

ধারাবাহিক হ্যান্টেড কাহিনী

কলকাতার আকাশবাণী ভবনের অলৌকিকতা

কলকাতার ভৌতিক ইমারতগুলির মধ্যে গ্যারিস্টন প্লেসের আকাশবাণী ভবনের নাম না করলেই নয়। এই ভবনে একটা সময় ছিল যখন রেডিও স্টেশনের খুব জনপ্রিয়তা ছিল। এখানকার বিল্ডিঙে ছিল বিরাট লম্বা লন। এখানে বেশ কয়েকটি স্টুডিওও ছিল।

এক সময়ের জনপ্রিয় এই রেডিও স্টেশনে নাকি ভূত বাসা বেঁধে ছিল। এখানকার কর্মীরা কিংবা কোন কোন শিল্পীরা নাকি সামান্য রাতেও দেখেছেন, হ্যাট কোট পরিহিত এক সাহেবকে হেঁটে যেতে। তার মুখে ধরা থাকতো জ্বলন্ত এক সিগারেট। কখনও কখনও রাত বেশী হলে সাহেবকে দেখা যেত রেডিও অফিসের ঘরে প্রবেশ করে রেকর্ড, ফাইল-পত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে।
এখানকার কর্মচারীরা বলেন যে রেডিও স্টেশনে নাকি দুটি ভূতের দেখা মিলত,  তার মধ্যে একজন ভারতীয় আর একজন নাকি ব্রিটিশ নাগরিক ছিল।
যেদিন সামান্য রাতেই স্টুডিও এলাকা খানিক নির্জন হয়ে পড়ত, স্টুডিওতে কোন গানের প্রোগ্রাম বা রেকর্ডিং চলতে থাকত সেদিন প্রায়ই কোন অশরীরী বা তার ছায়া নাকি বাইরের রেকর্ডিং রুমের বারান্দায় বা দরজার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মনোযোগ সহকারে তা শুনে যেত !
আবার গভীর রাতে মাঝে মাঝে আরও একটা ব্যাপার নাকি এখানে প্রায়ই ঘটত। রেডিও স্টেশনে কোন সুমধুর সঙ্গীত ধ্বনিত হতে থাকত। না, সে সঙ্গীত ধ্বনি কোন মানুষের সৃষ্ট হত না কিংবা স্টুডিওর সৃষ্ট কোন মিউজিক যন্ত্রেরও থাকত না। সে অলৌকিক সুরধ্বনি কি ভাবে বেজে উঠত তা কিন্তু কেউ বলতে পারত না !