লখিয়ার
হাতের গভীরে গুটিকতক টাকা ঘামে দরদর করে । একটা দুটো নয় , তিনটে পাঁচশো টাকার নোট । সঙ্গে আরও অতিরিক্ত একটা একশ ।
লখিয়া এতো টাকা আগে কখনো একসঙ্গে দেখেনি । একটা ধর্ষণের বিনিময়ে এতো টাকা ?
মেয়ে
ফুলিয়া মায়ের পেছনে হাঁটতে হাঁটতে টের পায় দুই ঊরুর মাঝখানে তীব্র এক যন্ত্রণা ।
টনটনিয়ে উঠছে হাঁটার দরুন । ঘরে এসে দাওয়ায় বসতেই দেখে পায়ে রক্ত ।
লখিয়া বুক
থেকে আঁচল নামিয়ে টাকা কয়টা আঁচলের খুঁটে বেঁধে নিয়ে এসে দাঁড়ায় মেয়ের সামনে - “দাঁড়া , নিসুন্দি পাতা
ছেঁচে লাগিয়ে দোবোখন । একটুও ব্যথা-বেদনা থাকবে না রে মা ।”
ফুলিয়া
লজ্জায় মুখ লুকোবার চেষ্টা করতে করতে অস্ফুটস্বরে বলে – “ছবিয়া, সুরতিয়ারা জানতে পারলে কী হবে গো মা ?”
-
“কি আর হবে ? বলবি পড়ে গিয়েছিলাম আমগাছ থেকে । একটা কথা মনে রাখবি মা
আসল ব্যাপারটা কেউ যেন ঘুণাক্ষরেও জানতে না পারে । গিন্নীমা বলেছেন পরে আরও টাকা
দেবেন । শুধু মুখ টিপে থাকতে হবে আমাদের । পারবি তো রে মা ? দুটো দিন
ভালোমন্দ খেতে পাবো এই টাকায় , তাই না বল ?”
ফুলিয়া
নিরুত্তর থেকে ভাবনায় ডুবে যায় । এখন যদি পেটে বাচ্চা এসে যায় ! মানুষের বাচ্চা
নাকি এভাবেই হয় । ও নিজেও নিশ্চয়ই এভাবেই হয়েছিলো ! ছবিয়া, সুরতিয়ারাও !