গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬

রুখসানা কাজল

  ধর্মচোর
                           

সাদা জালি টুপিটা কান পর্যন্ত ভাল করে টেনে নেয় রামকানাই।   মসজিদের বারান্দায় গোপাল ঘরামির লম্বা ছায়া পড়েছে। ছায়ার ভেতর বেঁটেখাটো মানুষটাকে মনে হচ্ছে বেশ রোগা আর দীর্ঘ। ভেতরে জোহরের নামাজ হচ্ছে। নামাজ শেষে নামাজীরা এক  টাকা পাঁচটাকা দশ  টাকা  এমন কি জুম্মাবারে কেউ কেউ বিশ টাকাও ভিখারীদের ভিক্ষে দেয়। ভিক্ষার আসনের নজরানা দিয়ে সে হিসেবে তার রোজ কামাই কম থাকে না। খেয়ে পরে অনেক টাকাই তার হাতে থাকে। আজিমপুর  এক ছোট বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজ করে গোপাল। পনের দিন পর পর দেশে যায়। ওর হাতে জমানো টাকা পাঠিয়ে দেয় রামকানাই আর রমজান। টুকটাক জিনিসও পাঠায় কখনো সখনো। বউ তার হিসাব মত সংসার চালিয়ে চালের টিনে, কাপড়ের ভাঁজে কিছু টাকা জমায় ভবিষ্যৎ চিন্তা করে। দুর্দিনের দিনগুলো মেয়েরা ভোলে না কখনো।    
রামকানাই থাকে সোনারগাঁ হোটেলের পেছনে ঝুপড়ি বস্তিতে বন্ধু রমজানের সাথে। সন্ধ্যা হলে ভিখারির ছেঁড়াফাটা জামাকাপড় পালটে ভাল পোশাক পরে সে ফার্মগেট, হাতির ঝিল, কোন কোনদিন শাহবাগ, শিশুপার্ক  ঘুরে আসে। ছোলা বাদাম খেতে খেতে রমনা পার্ক, টিএসসি, পাবলিক লাইব্রেরীর নানা অনুষ্ঠান দেখে। এখন অনেক কিছুই বোঝে রামকানাই।  গলার শিরা ফুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যখন শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে সে বুঝতে পারে  কিসের জন্যে  মিছিল মিটিং ফেস্টুন নিয়ে উত্তাল হয়েছে এই ছেলেমেয়েরা। রমজানের ওসবে কোন আগ্রহ নেই। সে সন্ধ্যা হলে কারওরানবাজারের এক দোকানে কাজ করে। সংসারে পুষ্যি বেশি তাই রমজানের খাটুনিও বেশি। তিন তিনটে বাচ্চাকাচ্চা তার উপর বুড়ি মা বিধবা বোন। রাতের খাবার খেতে খেতে রমজান রামকানাইয়ের কাছে শুনে নেয়  সারাদিনে কোথায় কি হল সেই সব বৃত্তান্ত।    
পাঁচবছর আগে গ্রামে কামকাজের অভাবে না খেয়ে মরতে বসেছিল রামকানাই। বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ন্যাংটাকালের বন্ধুর বউকে বসত ভিটের বগলে   ক্ষেতি  শাক তুলতে দেখে তামাশা করে বলেছিল রমজান , ও বউদি এড্ডু চা  বিস্কুট খাওয়াও না ক্যান কও ত শুনি! আজকে আর ছাড়ান দিচ্ছি না কিন্তুক, চা খায়ি তমে যাব।” ছেঁড়া আঁচল  সামলে বউ  কলাপাতা বেড়ার ফাঁক ধরে  ছুটে রামকানাইকে ডেকে এনেছিল। ততক্ষণ রামজান বাড়ির  উঠোনে বুড়ি ঠাকুমার সাথে গল্প জুড়ে দিয়েছে । চালভাজা গমভাজা খেয়ে সে বুড়ি তখন হেদিয়ে আছে ক্ষুধায়। রামু এসে দাঁড়াতে রমজান হাঁক দেয়, বউদি খাওয়া কিন্তুক পাওনা থাকল। আবার আসলি না খায়ি যাবনা কলাম। তারপর রামুকে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল।    
রামুর লুঙ্গীতে শতছিন্ন গিঁট। গলার হাড় উঁচু হয়ে গেছে।  বাড়ির সামনে পাট ক্ষেতের আইলে বসে  রমজান বলে, ওরে ও রামু আমার সাথে ঢাহায় চল দোস্ত। গাও গেরামে কাম কই ?”  রামু হাতের  চিকন দা দিয়ে পিঠ ঘষতে ঘষতে বলেছিল, ধুরো আমি হাঁপানির  রুগি।  রিশকে চালাতে পারব ন্নাযে। দম বারোও যায় আমার ।”  রমজান না শোনা যায় এমন গলায় কি  ফুসমন্তর দিয়েছিল কে জানে। তিনদিনের মাথায় দেখা গেল পলিথিনের ব্যাগে লুঙ্গি জামা নিয়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল পায়ে রমজানের সাথে  ঢাকা গামী  লঞ্চে উঠছে রামকানাই। বউকে বলে এসেছে  পেছন পানের বাঁশঝাড়ের কয়ডা বাঁশ বেচি কদ্দিন সংসার চালাস বউ। ভাগ্যডারে এড্ডু লাড়াচাড়া করে দেহি। গোপনে রমজানের দেওয়া দুশ টাকাও সে দিয়ে এসেছিল বউয়ের হাতে। মিনতি করে বলেছিল মা আর ঠাম্মাকে এড্ডু  ফ্যানাভাত খাওয়াস বউ। পারলি দুডে  আলু না হয় কচুসেদ্ধ এড্ডু সশ্যে  তেল মরিচ পোড়া । তুইও খাস দুএক নলা। বউয়ের চোখে জল  চিকচিক করে  উঠেছিল।   
মানুষ যে বলে ঢাকায় টাকা ঊড়ে সাতদিনেই বুঝে গেছিল রামকানাই। তবে সে তখন আর রামকানাই থাকে না হয়ে যায় রহমান। রমজানের খালাত ভাই। রমজান তাকে দুই দিন ধরে শিখিয়ে দিয়েছে ভিক্ষা করার কলাকৌশল । প্রথমে লজ্জা পেলেও পেটের  টানে সে শিখে নেয় আল্লাহ রসূল আর কয়েকটি আরবি সূরার দু এক লাইন। টুপি মাথায় ছেঁড়া পাঞ্জাবী লুঙ্গী পরে পা খোঁড়ার ভান করে সে ভিক্ষা করতে শুরু করে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে। আশ্চর্য হয়ে যায়  রামু। অনেক সময় ভিক্ষা চাইতেও হয় না । নামাজ পড়ে বেরুনোর  সময় বেশিরভাগ নামাজিরা  না চাইতেই টাকা দিয়ে যায় লাইন করে বসা ভিখারিদের। রমজান  তাকে শিখিয়ে দিয়েছে মসজিদের একেবারে  দরোজার কাছে বসতে। উল্টোদিকে কালো চশমা পরে আধা অন্ধ হয়ে ভিক্ষা করে রমজান। রামকানাইয়ের খুব ইচ্ছা করে মসজিদের ভেতরে গিয়ে দেখতে। কে  এই মানুষগুলোকে এমন দরাজ দিল দিলো গো! কেউ কি আছে অই নীলসাদা  দেয়ালের আড়াল  জুড়ে? ও কল্পনা করে টুপি মাথায় চেক চেক স্কার্ফ গলায় কোনো দয়ালু ফেরেশতাকে। ইস একবার যদি দেখতে পেত। কিন্তু  রমজান কড়া করে নিষেধ করে দিয়েছে।   কিচ্ছু নাই মসজিদে। খালি কোরান শরিফ কয়ডা ছেপারা আর গাদা গাদা জায়নামাজ। ভিক্ষেই আমাগের ধম্ম কম্ম। এসব জানি আমাগের কি কাম রে রামু !     
প্রথমদিন  ভিক্ষার টাকা গুনে অবাক হয়ে গেছিল রামকানাই। বিনা শ্রমে  উপার্জন খারাপ নয়। গ্রামে তো কেউ পাঁচ টাকাও ধার দেয় না। যাদের টাকা নাই তাদের কাছে ধারে সওদা বেঁচে না কোন দোকানি। কতদিন সে আর বঊ খালি হাতে ফিরে এসেছে দোকান   থেকে।  ঝুপড়ি ঘরে শুয়ে রামু প্রতিদিনের ভিক্ষার টাকায় মনে মনে বাজার করে। বুড়ি ঠাকুমার গুড়ের চা খাওয়ার বড় সখ। মা একটু পান না খেলে বাঁচে না। ছেলেটা ছাগলের দুধ খায় বটে তবে ভাত পায় না বলে লিকলিকে হাড্ডিধরা। বউটার খাওয়া দাওয়ার কোন চাহিদা নাই। সে শুধু চায় দশ হাতের একটি মোটা সূতার শাড়ি, ছায়া, ঘটিহাতা ব্লাউজ। খেত খামারে কাজে কামে বাইরে যেতে হয় বউকে। ছেঁড়া শাড়ির ফাঁকফোকরে লজ্জারা টগর ফুলের মত ফুটে থাকে। ঝুপড়ি ঘরের নীল প্লাস্টিকের ছাদের দিকে তাকিয়ে রামকানাই মনে মনে ছেলে কোলে হাসি হাসি মুখে  সনাতন সাহার কাপড়ের দোকান আর আফজাল ফকিরের মুদি দোকানে নগদ টাকায় বাজার করে।
রামু খুব খুশি। এবার সে সবাইকে পেট ভরে খেতে পরতে দিতে পারবে। হোক  সে ভিখারি। হোক সে ধর্মচোর। তার ভগবান কি বুঝবে না ? সে তো কম চেষ্টা করে নাই কাজের    জন্য । গ্রামে কাজই নাই। বেশিরভাগ বাড়িই এখন দালানের । ঘর ছাইতে, বাতা বাঁধতে এখন আর কেউ ডাকে না। সেই কোথায় মরুভূমির আরব দেশ সেখানে মজুরি খেটে গ্রামের বেশিরভাগ  মানুষ পাকা ঘর তুলেছে। রমজান বলেছে আরবের মানুষ কুকুর বেড়ালের মত দেখে বাঙ্গালীদের।  কথায় কথায়   মিসকিন বলে সপাং সপাং  চাবুকের বাড়ি মারে। স্টার হোটেলের উদ্বৃত্ত খাবার কম পয়সায় কিনে এনে খেতে খেতে সবজান্তার মত জানায় রমজান ,ওরা তো আর মানুষ নারে, শ্যাখ বুঝলি তো , অনেক বড়লোক। ওগের অগুন্তি  টাহা। অই দেশেই তো আমাগের নবীজি জন্মিছেল। ওহানের সবাই আরবী ভাষাতি কথা  কয়। কোরাণের ভাষা --হু হু—যা তা ভাষা না বুঝিছিস !  মুরগীর ঠ্যাং মট করে ভেঙ্গে চুষতে চুষতে রামু বলে, আমাগের দেবতাদের লাহান তাই না ? হেরাও তো বাংলায় কথা কয় না। শেষ তরকারিটা সমান ভাগ করে রমজান জানায়, আরে না তোগের তো লক্ষ লক্ষ  দেবতা তাও আবার সন্দেশ বাতাসা খাওয়ানি সব মাডির মুত্তি ।  আমাগের কোন দেবতা নাইক্যা। আল্লা এক মালিক। আর ওরা হচ্ছে আল্লার পেয়ারা বান্দা।  এক লম্বর খাডি মুসলমান। পোলাও কোর্মা, উটের রেজালা, দুম্বার রোষ্ট খাওয়ানি শ্যাখ। রামুও এই কথাটি  মানে। পেয়ারাই বটে। একেকজনের  কতজন যে বিবি আর কত যে ছেলেমেয়ে! আর কি খাবার দাবার ! শান শওকত ! সোনার গাঁ হোটেলের চকচকে আলোকে পেছনে রেখে দুজনেই দুলে দুলে হাসে।   
গোপালকে নিয়ে হোটেলে খেয়ে ঝুপড়িতে আসে রামু। দাদা অবস্থা তো ভাল ঠেকতিছে না। কি অরবা ? চিন্তায় আছে রামুও। প্রতিবার পুজোর সময় দু একটি মূর্তি ভাঙ্গেচুংগে মুসলমান পোলাপানরা। তা আবার মধ্যস্থতা করে মিটেও যায়। কিন্তু কিছুদিন ধরে ক্ষমতাশীল কিছু মুসলিম হিন্দু পাড়ায় পাড়ায় এসে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা আবার হিন্দু বলে না। একাত্তরের পাকিস্তানি জানোয়ারদের মত বলে মালাউন। রমজানের দাদা ছিল মুক্তিযোদ্ধা। জোয়ান লোকটা লাঙ্গল ফেলে যুদ্ধে গেছিল। বাপ মা  কেঁদে পড়েছিল , ও সালাম  যাস না বাজান মরি যাবিনি যে। তুই মরি গেলি আমাগের কি হবিনি বাজান। সালামের বউ ছেলের    দোহাই দিয়ে পথ আটকেছিল। চোখে রক্ত  তুলে বলেছিল সালাম, পথ কাডপি না কলাম বউ। আমার ক্ষেতির কিরা, আউস আমন ফসলের কিরা আমি কেরু কতা মানব না। মারতিভুমি তোগোর  সবার আগি।   
সেই সালাম মুক্তিযুদ্ধোর সার্টিফিকেট নিতে টাকা দিতে হবে জেনে  প্রচন্ড কলহ করেছিল সেই সময়ের চেয়ারম্যানের সাথে। ঘাড়ের শিরা ফুটিয়ে চেয়ারম্যানকে বলেছিল, আরে মাঙ্গীর পুত বঙ্গবন্ধুকে কয়ি তোরে দেহাচ্ছি খাড়া। তুই টাহা নিয়ি মুক্তিযোদ্ধা  বানাস।” এর দুদিন পর ঢাকায় আসবে বলে বাড়ি থেকে লঞ্চঘাটা রওনা হয়। ঢাকায় আর পৌঁছায় না রমজানের দাদা।  গ্রামের উত্তরে মুচিপাড়ার খালে কচুরিপানার ধাপে পোঁতা তার অর্ধনগ্ন  লাশ  পাওয়া যায়। তিনটে রামদার কোপ ছিল শরীরে। সাতক্লাশ ইশকুলে পড়া চাষির  ছেলে রমজানের বাপ ক্ষেতি করতে নেমে পড়ে । রামুর বাপ তার আগেই  বাবার পেছনে পেছনে  ঘরামির কাজে সাহায্য করতে শুরু করেছিল। নকুল ঘরামির সাথে মাঝে মাঝে হাটবারে দেখা হয়ে যেত রমজানের বাপ খবিরের । গামছার একপাশে দুই তিন কেজি চাল আটা কিনে ঘরে ফিরতে ফিরতে বিড়ি সিগারেট ভাগ করে খেত আর গল্প করত দুজন। বিয়েও করেছিল দুজন একই বছরে। দুজনেই  ছেলেদের ইশকুলে দিয়েছিল মানুষ হওয়ার জন্যে। কিন্তু গরিবের কপাল হল খাঁ খাঁ চৈত্রের ফাটা মাঠ । তিন গ্রাম পেরিয়ে ফকির হাটের উলু মিয়ার ঘর বানতে গিয়ে রামকানাইয়ের বাপটা আৎকা মরে গেল। সে কি ধড়ফরানি। বুক আড়াইগাতি নদির ঢেউয়ের মত উঠে আর নামে। ঝাড়ফুক ডাক্তার সব পেছনে ফেলে জোয়ান ব্যাটা নকুল ঘরামি চোখ উলটে মরে গেল। রামকানাই কদিন ধুতি গলায় হাতে চাটু নিয়ে ইশকুলে এসেছে। ছমাস বাদে খুড়ো রামকানাইকে ডেকে বলেছিল, বাপুরে লেহাপড়া আমাগের জন্যি না। বই রাখি কাল থাহি আমার সাথি কামে চল বাবা। রমজানের বাপ মরেছে রোগে ভুগে। চিকিৎসার টাকা যোগাতে ভিটে ছাড়া সবকিছু বিক্রি করেছে ওরা। মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বিনা চিকিৎসায় মরে নাই। শুধু ভিটেবাড়ি ছাড়া সব গেছে তার চিকিৎসার পেছনে। সেই চেয়ারম্যানের বড় ছেলে  কিছু টাকা দিয়েছিল খুলনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্যে। কিন্তু তার আগেই খবির মরে যায়।  মরার পর খবিরের পেট ফুলে খড়ের পালার মত উঁচু হয়ে গেছিল। কি রোগে যে বাপ মরল রমজান তা আজো জানে না।       

রমজান কোনোদিন কোন রাজনীতির ভেতর  যায় না। ভোট দেওয়ার দিন ঘুমিয়ে থাকে। গোপালের সাথে কথা বলে চিন্তায় পড়ে রমজান। দেশে কি আবার পাকিস্তানিরা আসলো নাকি ?  কি অরবি রামু ইন্ডিয়া যাতি চাস ? গোপাল দুই বছর আগে ইন্ডিয়া থেকে ফিরে এসেছে। সেখানে কাজের বড় অভাব আর ধর্মের ছোঁয়াছুঁয়ি জাতপাত মানামানি। তাছাড়া মজুরি  যা পায় একার পেট চলে না তো পরিবার নিয়ে থাকবে কোথায়। ইন্ডিয়া গেলে ধর্মটা হয়ত বাঁচবে কিন্তু পেট ? কোনদিন আর নিজের জমি বাড়ি  হবে না।  গরীবের জন্যে সব দেশ সমান রে রমজান দাদা। কুহানে যাব কতি পারিস ?  তয় ? রমজান প্রশ্ন করে শূণ্য মুখে বসে থাকে। জালি টুপিটা বালিশের নীচে রাখতে রাখতে রামকানাই হাসে, আমাগের আবার জাত কি আর ধম্মোই বা কি ! কিন্তুক দ্যাশ তো আমাগেরও না কি !  -- সত্য । ল্যায্য কথা কিন্তুক – রামকানাইদের  ঝুপড়ি কাঁপিয়ে সামনের রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট গাড়ির সাথে কয়েকটি বড় বড় গাড়িও ঢুকে পড়ে ভি আই পি রোডের জ্যাম বাঁচাতে । গোপাল উঠে পড়ে, বাংলামোটর বন্ধ দেহে শালারা দেহি লতুন রাস্তা বানায় নিছে দেখতিসি –  -