গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

আসমা চৌধুরী


যেই পাখি ওড়ে

দাদিআম্মা সারাক্ষণই বিরক্ত বাড়ির কাজের মেয়েটিকে সে ছেড়ি বলে ডাকে ছেড়িডা কোথায় গেল ? চিৎকার করে নিজের মৃত্যু কামনা করেন কারণ ছেড়ি নাকি তাকে পাত্তাই দেয় না। ছেড়িকে বাদ দিয়ে দাদি আম্মা এবার নাতিদের নিয়ে শুরু করে তার সারাদিনের অভিযোগ নাতিরা কেউ মানুষ হচ্ছে না চরম বিরক্তি নিয়ে বলে,'ঐ যে কয় যেই পাখি ওড়ে,বাসায় ধরফর করে ' পাড়ার মেয়েরা বেড়াতে এসে তার কুশল জানতে চাইলে সেখানেও বিরক্তি বলে, কেমন আর আছি মরিনা-টরিনা আমাদের মাথায় একদিন দুষ্ট বুদ্ধি এলো মনে হল দাদাভাইয়ের কথা মনে করিয়ে দিলে দাদি আম্মা নিশ্চয়ই খুশি হবেন । আমরা তাদের বিয়ের কথা জানতে চাই দাদিআম্মা খুশি না হয়ে অনেকদিন আগে মারা যাওয়া দাদাভাইকে উদ্দেশ্য করে ঘৃণাভরে উচ্চারণ করে, বুইড়্যারে মাফ করি নাই আমরা পরস্পরের দিকে তাকাই, দাদাভাই পাখিটা কী উড়তে পারে নাই ? ধরফর করে নাই ?
অনেক সন্ধানে জানতে পারি দাদাভাইয়ের একটি গোপন ব্যাপার ছিল


চিঠি

কলেজে পড়ার সময় ওরা তিন বান্ধবী পরস্পরকে চিঠি লিখত চিঠি খেলায় বাবা মায়ের দেয়া নামগুলো বদলে দিয়ে তিনজন হয়ে গেল,আশা-লতা-মিতা তিনজনের গায়ের রং কাল তিনজনেরই চোখ সুন্দর ক্লাসরুমের দেয়ালে ওদের চোখ নিয়ে কবিতা লেখা হত কো-এডুকেশনে পড়ায় প্রত্যেকটি দিন ছিল কৌতুহলে পূর্ণ ওদের চিঠিগুলো না পাওয়ার বেদনায় ভরা থাকত।আজ সে চিঠি পড়লে মনে হয় বেচারী দ্বিতীয় বর্ষে উঠেই লতার প্রেম হয়ে গেল জুনুভাইয়ের সাথে মিতার বিয়ে হয়ে গেল আশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কারণ এখন আর চিঠি লেখা হয় না কোন এক অজ্ঞাত কারণে মিতার স্বামী মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে মিতার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় লতা ডাক্তারী পড়তে গেলে এইচ এস সি তে,ফেল করা প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক ভেঙে যায় আশা আবার চিঠি লেখার সুযোগ পায় দায়িত্ব নিয়ে লেখে,ভেবনা সব ঠিক হয়ে যাবে। আশা আবার চিঠিতে বেদনার ভাষাগুলো ঠিক করে ভাবে, এই তো বেশ