গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

তাপসকিরণ রায়

 হান্টেড কাহিনী—৫৪


বেহালার চৌরাস্তার মোড়, পোড়ো বাড়ি

শশীভূষণ, জনান্তিক ও অর্ণব তিন বন্ধু। শশীভূষণ অকৃতদার।অর্ণব বিপত্নীক আর জনান্তিকের স্ত্রী আছেন কিন্তু ছেলেপুলে না হওয়ায় সংসার নিয়ে তিনি তত জড়িয়ে পড়েননি। এই তিন প্রাণীর দ্বারাই বুঝি এ সব কাজ সম্ভবপর হয়। প্যারানরমাল বা অলৌকিকতার পেছনে ছুটে বেড়ান ওঁরা। ওঁরা বিশ্বাস করেন যে পারলৌকিক কিংবা অলৌকিক অনেক কিছুই আছে যা কিনা এখনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বাইরে রয়ে গেছে। মানুষ এত কিছু জেনেও অনেক কিছুই তাদের অজানা রয়ে গেছে। বিজ্ঞান অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে তা হলেও এখনও অনেক কিছুই আবিষ্কারের বাইরে রয়ে গেছে। এই শূন্য ঘূর্ণায়মান জাগতিক পৃথিবীর মধ্যে কত না রহস্য, তার ভাঁজে ভাঁজে রয়ে গেছে। পৃথিবীর সে সব সূক্ষ্ম অনুভূতির মাঝে বিজ্ঞান আজও পৌঁছাতে পারেনি।
শশিভূষণ ও তাঁর বন্ধুদের এবারের ইনভেস্টিগেশন থাকবে কলকাতার বেহালাতে। জনান্তিকই এই ঘটনাটা শুনেছেন তাঁর বেহালার এক বন্ধুর কাছ থেকে। ওঁরা ঠিক করলেন আগামী রবিবারই বেরিয়ে পড়বেন বেহালার চৌরাস্তার কাছের ভৌতিক পড়ো বাড়ির অনুসন্ধানে।
বেহালার চৌরাস্তার মোড় থেকে পর্ণশ্রী যাবার পথে বাঁদিকে বাঁক নিয়ে চলে গেছে একটা সরু গলি। গলি ধরে প্রায় দুশো মিটার দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছে সেই পড়ো ভাঙাচোরা দোতলা বাড়িটা। কাদের এ বাড়ি ? মালিকানার কোন খোঁজ খবর নেই। বাড়ির আশেপাশে ভরে আছে ছোট বড় গাছপালা ঝোপ ঝাড় জঙ্গল।
আসলে আজ আর এই বাড়ি নেই। এখানে তৈরি হয়ে গেছে মাল্টি স্টোরি বিল্ডিং, ফ্ল্যাট বাড়িতে অনেক পরিবারই বাস করছেন। বর্তমানের এ গল্পও আজের নয়, আজ থেকে বার বছর আগের ঘটনা। ঠিক এমনি এক দিনে শশীভূষণ ও তাঁর দুই বন্ধু এসে পৌঁছেছিলেন সেই পড়ো বাড়িতে। সে একটা সময় ছিল, সেই পোড়ো বাড়ির বেশ বদনাম ছিল। রাত গভীর হলে এই পড়ো বাড়ি থেকে নাকি ভেসে আসত গানের সুর, কেউ যেন গানের রিওয়াজ করছে, সা-রে-গা-মা আওয়াজে সুরেলা মেয়েলি কণ্ঠ ! সুন্দর খোলা গলার মিষ্টি আওয়াজ ভেসে আসত, বাতাসের সঙ্গে সে সুর মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত। নিশুতি রাতে আশপাশের রাতজাগা লোকরা শুনতে পেতেন সে গানের আওয়াজ।
শশীভূষণের গাড়িতেই তিন বন্ধু মিলে এসে পৌঁছালেন বেহালার চৌরাস্তার মোড়ে। তখন রাত প্রায় সারে এগারটা। ভূত ভৌতিক ব্যাপারগুলো বেশিরভাগ রাতেই ঘটে, রাতের নির্জনতা ও অন্ধকার ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর এই অবসরে ভূত-প্রেতের আবির্ভাব ঘটে থাকে। চৌরাস্তার মোড় থেকে বাঁক নিয়ে পর্ণশ্রীর রাস্তা ধরে তাঁরা এগিয়ে চললেন। বন্ধু জনান্তিক শশিভূষণের দিকে তাকিয়ে বললেন, আর এক দেড় কিলোমিটার পরেই বাঁদিকে গলিটা পড়বে—
ওঁরা যাতায়াতের পথ নির্দেশ সাধারণত গুগল ম্যাপ দেখে ঠিক করেন। কখনও কখনও একজ্যাক্ট লোকেশন পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। ওঁদের গাড়ি চলছে, বাঁদিকের প্রথম দ্বিতীয় গলির মোড় পার হল, তৃতীয় মোড়েই ওঁদের বাঁক নিতে হবে। আর সেখান থেকে মাত্র দু’শ মিটারের ব্যবধানে সেই পোড়ো বাড়ির অবস্থান। মিনিট পনেরর মধ্যেই ওঁরা একেবারে সেই পড়ো বাড়ির সামনে এসে পৌঁছলেন। বন্ধুরা দেখলেন, কলকাতার মত শহরে হলেও এখানকার আশপাশের অলিগলিতে নির্জনতা ভরে আছে। অধিকাংশ বাড়ির জোরালো লাইটগুলো নিভে গেছে। তখন শুধু দূরের একটা লাইট পোস্টে টিমটিমে একটা আলো জ্বলছে। বন্ধুরা গাড়ি থেকে নামলেন। এখান থেকে শ’মিটারের মত দূরত্বে সেই ভৌতিক বাড়ি। একটা গা ছম ছম ব্যাপার তাঁরা অনুভব করতে পারছিলেন। চারদিকে সামান্য হাওয়া বইছে, পড়ো বাড়ির আশপাশের গাছপালাগুলোর ঝির ঝির পাতা কাঁপনের শব্দ তাঁদের কানে এসে পৌঁছালো। অর্ণব ভয় পেয়ে বলে উঠলেন, ওরে বাবা ! ওই ভূতের ঘরে গিয়ে কাজ নেই। চল এখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে আমরা ঘরে ফিরি --
শশীভূষণ বলে উঠলেন, এখনই ভয় পাচ্ছিস, অস্বাভাবিক কিছুই তো আমরা পেলাম না ! আমাদের ওই বাড়ির ভেতরে যেতে হবে। এখনও তো আমরা সেই গানের সুর শুনতে পেলাম না--
অর্ণব নিজের শরীরে কাঁপন অনুভব করলেন। না, এখনই জ্ঞান হারাবার মত অনুভব তাঁর মধ্যে নেই।
শশী নিজের কাছে মোবাইল রাখেন। মোবাইলে ঘড়ি ও টর্চ থাকে। এ ছাড়া সঙ্গে থাকে মাঝারি সাইজের একটা ছুরি। জনান্তিক ও অর্ণব মোটামুটি ভাবে আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের কাছে চুরি রাখেন। আর দেরি করে লাভ নেই তাঁরা ধীর পায়ে এগিয়ে চললেন পড়ো বাড়ির দিকে। গভীর রাতেই এ বাড়ি থেকে গানের আওয়াজ ভেসে আসে। গভীর রাত বলতে রাত বারোটার পর ধরে নেওয়া যেতে পারে।
বন্ধুরা স্থির করলেন, পড়ো বাড়ির আশপাশটা সন্তর্পণে ঘুরে দেখে নেবেন। যতটা সম্ভব ধীরে পায় তারা হেঁটে চললেন। আবছা অন্ধকার চারদিক। দূরে দু-একটা জোনাকি জ্বলে নিভে যাচ্ছে। দুরে কোথাও থেকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক তাদের কানে এসে লাগছে। গাছপালা ঝোপঝাড় ঠেলে ওঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন। অদ্ভুত ভয়াবহ একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে চারদিক। বিল্ডিঙের উপরের দিকে তাকালেন শশীভূষণ, চাঁদ নেই আকাশে, তবু তার ঈষৎ লুকানো চুরানো আলো সামনের বাড়িটাকে আলো-ছায়া ঘেরে কত না রহস্যময় করে তুলেছে। কপাটহীন জানলাগুলো ঘরের অন্ধকার রহস্যের ইশারা করে চলেছে। শুধু মাত্র একটা ভাঙ্গা জালনার এক পাশের কপাট অর্ধেক ভেঙে ঝুলে পড়েছে। দেওয়ালের অনেক জায়গায় ছোট বড় অশ্বত্থ বট হয়ে আছে। দেখলেই বোঝা যায় বহুদিন ধরে এ বাড়িতে লোক জনের বাস নেই। পরিতপ্ত উজাড় হয়ে যাওয়া একটা বাড়ি। মাঝে মধ্যে সামান্য ঝিঁঝিঁ পোকার তান ছাড়া আশপাশে কোথাও কোন সাড়াশব্দ নেই। ওঁদের তিন বন্ধুর মনে হতে লাগলো, ওঁরা যেন অন্য কোন এক পৃথিবী, অলৌকিক এক পৃথিবীতে এসে পড়েছেন ! নির্বাক ওঁরা ধীরে ধীরে প্রধান দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন। দরজার কপাট নেই, হাঁ-খোলা দরজা। বাড়ির কোথা থেকে, কোন ঘর থেকে, গানের শব্দ ভেসে আসে তাঁদের জানা নেই। শশীভূষণ নিচু গলায় বললেন, চল, আমরা ধীরে ধীরে একটা একটা করে ঘর দেখে নিই।
অতি সন্তর্পণে মাঝে মাঝে মোবাইলের টর্চ জ্বেলে অন্ধকারকে বিচ্ছিন্ন করে ওরা এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এক ঘর থেকে আরেক ঘর দেখে যাচ্ছেন ওঁরা। সে সব ঘরে অলৌকিকতার কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের মধ্যে অন্ধকার, ভ্যাপসা গন্ধ, কোন আসবাবপত্র কিছু নেই। খা খা করছে ঘর, জালনা রয়েছে, তার কপাট নেই। জানলা দিয়ে আলো অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করেছে, আলো অন্ধকার পরিবেশটাও যেন আরও ভয়াবহ করে তুলেছে ঘরগুলিকে। মোবাইল ঘড়ির দিকে তাকালেন শশীভূষণ, বারোটা বেজে গেছে বেশ কিছু ক্ষণ হল। যে অনুসন্ধানে তাঁরা এসেছেন, হয়ত তার সন্ধান পেতে আর বেশি বিলম্ব নেই। নিচে দশটা ঘর, সব ক’টা দেখে নিয়ে ভাঙাচোরা সিঁড়ি ভেঙে অতি সন্তর্পণে ওঁরা উঠে এলেন দোতালায়। বাড়ি খুব বড় কিছু নয়, দোতলা বাড়ি, উনিশটা ঘর নিয়ে তৈরি। ওপরে সিঁড়ির ঘর, যাকে চিলেকোঠা বলে। এ ছাড়া রান্না ঘর টয়লেট মিলে অনেকখানি জাগা ঘিরে আছে। ওঁরা সিঁড়ির পাশেই প্রথম ঘরটায় হাজির হলেন। একটা পচা ধরনের গন্ধ ওঁদের নাকে এসে ঢুকলো। হঠাৎ ঝুপঝাপ শব্দ করে হুস করে কিছু যেন জালনা দিয়ে উড়ে গেল। অর্ণব ভয়ে কেঁপে উঠলেন, কি? কি ?? বলে চাপা চীৎকার দিয়ে উঠলেন। অন্ধকারে কিছু ঠাওর করা না গেলেও শশীভূষণ ও জনান্তিক বুঝতে পারলেন, এ সব পোড়ো বাড়ির বাদুড়দের ঝাঁক ছাড়া আর কিছুই নয়।
এমনি ভাবে ওঁরা প্রায় সবগুলি ঘর ঘুরে দেখে অলৌকিকতার কিছুই অনুভব করতে পারলেন না। শশীভূষণের মনে সংশয় হল, তা হলে কি জনান্তিকের বন্ধুর মুখে শোনা ঘটনাটা একেবারেই মিথ্যা গুজব মাত্র ! যে ঘটনা জনান্তিকের বন্ধু শুনিয়েছিলেন সে ঘটনার প্রমাণ নাকি আশপাশের লোকদের কাছে পাওয়া যাবে, এ কথাও তাঁর বন্ধু বলে ছিলেন। কিন্তু কই ? তার আভাস তো তাঁরা এখনও পর্যন্ত পেলেন না ! ওপর তালায় মোট নটা ঘর। এক মাত্র শেষ ঘরটাই তাঁদের দেখা বাকি। সে ঘরের সামনে ওঁরা পৌঁছে গেলেন। ওঁরা লক্ষ্য করলেন, এই ঘরেরই একটা জানালা ভেঙে ঝুলছে বাইরের দিকে। এ ঘর অন্য ঘর থেকে একটু যেন অন্য রকম মনে হল। ঘরের ভেতর পা রাখতেই ওঁরা গরম একটা ভাপ অনুভব করছিলেন। কেমন যেন ব্যতিক্রমী আবহাওয়া এই ঘরে ! শশীভূষণের একটু সন্দেহ হল—তিনি ক্ষীণ শব্দে বললেন, এখানে কিছু তো একটা হবে !
জনান্তিক সায় দিলেন, হ্যাঁ মনে তো হচ্ছে, একটা গরম ভাব এখানে আছে। হঠাৎ আবার জনান্তিক ফিসফিসিয়ে বলে উঠলেন, ঘরের ওই কোনটায় অমন অন্ধকার কেন ?
সঙ্গে সঙ্গে অর্ণব আঁতকে উঠলেন, তাঁর মুখ থেকে এক ভয়াবহ শব্দ বেরিয়ে এলো। সত্যি ঘরের এক কোনে যেন ঘন ঘোর মেঘ কুণ্ডলী পাকিয়ে আছে ! কিছুটা ভয়েই হবে ওঁরা তাড়াতাড়ি ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলেন। শশীভূষণ নিচু গলায় বলে উঠলেন, আত্মার শরীর নাকি এক্টোপ্লাজম দিয়ে তৈরি হয়--আত্মারা দৃশ্যমান হবার আগে নাকি এমনি সাদা কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়।
জনান্তিক বললেন, তার মানে এখানে কিছু তো আছে ! ঘরের বাইরে পা ফেলেই শশীবাবু ঘরের সামনের দিকের খোলা জানলা দিয় ঘরের ভেতর তাকিয়ে চমকে উঠলেন, তিনি দেখলেন, সেই অন্ধকারের মাঝখানে একটা মেয়ের ছায়া ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে। জনান্তিকও তাকিয়ে দেখছেন, সেই ছায়াকৃতি মেয়েটির সামনে এখন একটা হারমোনিয়ন রাখা। ছায়ার মাঝে তা যেন ধীরে ধীরে স্পষ্ট ফুটে উঠছে ! এবার বন্ধুরা যেন স্তব্ধ স্ট্যাচু হয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। প্রথমে গানের একটা রেশ, তারপর সা রে গা মা’র ধুন উৎপন্ন হয়ে যেতে লাগলো। সব কিছুই স্পষ্ট অথচ ক্ষীণ সে শব্দ বন্ধুরা সবাই শুনতে পারছিলেন। অর্ণব ভয়ে তাঁর কান ও চোখ বন্ধ করে নিলেন । তাঁর মনে হল এবার বুঝি তিনি ভয়ের বাঁধ হারাবেন, জ্ঞান হারাবেন। জনান্তিক আর দাঁড়াতে পারছেন না। শশীভূষণ ভীষণ সাহসী, তবু ভয়ে তাঁর সারা শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেছে। তিনি অর্ণবের একটা হাত শক্ত করে ধরে টেনে নিলেন নিজের কাছে। তারপর তাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলেন জনান্তিকের পাশে। এবার ওঁরা হনহন করে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসলেন নিচে। অন্যদিকে গানের সুরেলা আওয়াজ তখনও বাতাসে বাতাসে ভাসে বেড়াচ্ছে।
জনান্তিকের বন্ধুর গল্পে ভালবাসা বঞ্চিত সেই মেয়েটির কথা শশীভূষণের খুব করে মনে পড়ছিল। মেয়েটির নাম ছিল, পারুল। সে আঠারোতে পা রেখে ছিল। নিয়মিত গভীর রাতে গলা সাধত সে। পারুল ভালবাসত একটা ছেলেকে। সে ছেলেটা অন্য একটা মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করে নিয়েছিল। সেই বিরহ ব্যথায় পারুল এ বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল।
শশীভূষণ, জনান্তিক ও অর্ণব দ্রুত হেঁটে পৌঁছালেন গাড়ির কাছে। ওঁরা তখনও ক্ষীণ হলেও শুনতে পাচ্ছিলেন, সুরেলা গানের রেশ। তারপর হঠাৎ একটা আর্তনাদে ওঁরা চমকে উঠলেন। ওঁদের মনে হল, কেউ যেন ছাদ ঠেকে ঝাঁপ দিলো। দু’এক বার মেয়েলী কণ্ঠের মৃত্যু যন্ত্রণার কাতর আওয়াজ ওঁদের কানে এসে ঠেকলো। শশীভূষণ জনান্তিকে বলে উঠলেন, ওই বুঝি পারুল আত্মহত্যা করলো ! জনান্তিক বলে উঠলেন, কিন্তু আমার বন্ধুর গল্পে এটা তো ছিল না ! অর্ণব তখন ভয়ে নির্বাক।
সমাপ্ত