গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

জয়িতা ভট্টাচার্য


ক্রিয়ার কাল

আজ পর্ণা ভিজেছে।কাজ থেকে ফেরার পথে মাথার ওপর কালো মেঘটা লক্ষ্য করেনি একদম।অভ্যেসমত খুঁজেছে লোক থই থই পথ,অটোর লাইন।তখনই খেয়াল হলো বৃষ্টি এসেছে না বলে কয়ে।
পর্ণা গোছালো মেয়ে নয় কোনোদিন বরং হারিয়ে ফেলা স্বভাব তার।ছাতা তার ব্যাগে থাকে না তাই হঠাৎ বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় তাকে।ফিরতি পথের যাত্রীরা বিরক্ত হয়।এ বিরক্তিও অভ্যাসমত।থোড় বড়ি খাড়া সংসারে এক-ই দৈনিক।পর্ণা ভাবে একটু  বিলম্বে ক্ষতি বা কী!
 কালো পিচ রাস্তায় তুমুল জলের ফোঁটা জল তুবড়ি হয়ে ছিটকে উঠছে।
সম্প্রতি দুটি প্রয়োজনীয় হারিয়েছে।তার নিজস্ব প্যানকার্ড ও প্রেমিক।তার জীবনে  দুটোরই গুরুত্ব অসীম।অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে এখন।
পাশ দিয়ে এক অফিসযাত্রী চলে গেল অটোর লাইনে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে।অনেকেই নাকে রুমাল.......সুমিতের গায়ে সব সব সময় একটা মিষ্টি মাদকতাময় গন্ধ।থাকে ,নাকি থাকত......টেনস্ টা কী হওয়া উচিত। পর্ণা ব্যস্ত হয়ে পথে নামে।পেছন থেকে কারা যেন বলে "ভিজে যাবেন দিদি"।এটাও কি ভবিষ্যত ক্রিয়া না বর্তমানই হওয়া উচিত?
ফুটপাথের দোকান কিছু কিছু খোলা ।চায়ের দোকানে জটলা।পান মুখে একটু দাঁড়িয়ে পড়ে সে।মৈনাক আছে কি? ছোটবেলার সাথি।দেখা হলে এক ভাঁড় চা বিনামূল্যে সঙ্গে বিস্কুট।গাংগুলি খেলা,লুকোচুরি, গাছে ওঠা।
জানলাগুলো বন্ধ ,শুধু বৃষ্টি র আওয়াজ।সুমিতের হাতে গ্লাস।
--"বসে যাও থামলে যেও",টেনস্ নেই।অন্তবিহীন অথবা শূন্যাঙ্কে।সেদিন তুমুল  ভিজেছিল দুজনেই বন্যতায়।হাত লেগে পড়ে গেলো স্মার্নফের গ্লাসটা।--"ভোদ্কায় চান করিয়ে দিলে "হাসতে হাসতে গালভরা খয়েরি দাড়িতে মুখ ডুবিয়েছিলো পর্ণা।,ঘন চুলে সেই ভদ্কায় মুখ ডুবিয়ে চুলের মুঠি ধরে দীর্ঘ চুম্বন করে ছিলো সুমিত।কত রাত হলো ফিরতে .......আজও দেরি।
    ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটে ওঠে পর্ণার।অতীত না বর্তমান!
বুকফাটা দীর্ঘশ্বাস আর আকাশে এক ঝলক বিদ্যুতলেখা।
পর্ণা চলে যাবে অনেক দূর।এই শহর ছেড়ে।রাস্তাটা পার হয়ে যায় পর্ণা নিরাপদে,একঝলক রজনীগন্ধার সুবাস।ফুলমাসি বিক্রি করছে ফুল।ঠান্ডা বাতাস।অন্ধকার পথ আলো ঝলমল স্মৃতি ........বুকের ভেতর থেকে জানান দেয় বেদনা, "ভালোবাসা মরে নাই"।
পর্ণা চলে গেছে।
নিজের বাইরে বেরিয়ে পর্ণা 
টুকরো টুকরো  হয়ে গেছে।শরীরের বাইরে থেকে দেখছে শরীর।
একটা কাঠামো চলছে ফিরছে রাঁধছে, ঝোলা কাঁধে কাজে যাচ্ছে।মুখ খুলছে সাংকেতিক কিছু ধ্বনির সমন্বয়ে। যাপন চিত্র জ্যামিতিক। 

পর্ণা ভেসে আছে আলোয়।পর্ণা  ধুলোকণায়।বুকের খাঁচা খুলে ফেলেছে হঠাৎ।এখন পর্ণা সুমিতের কাছে।ফর্সা দীর্ঘ নগ্ন শরীর শাওয়ারের নীচে।
"ওষুধ টা খাও প্রেসারের" শুনতে কি পেলে?পর্ণা বসে আছে ভাঙা ঘাটে ।শ্যাওলা,জোড়া সাপ,একদল মাছ সবকিছু কতদিন পর। পর্ণা পারে।পেরেছে।টেনস্ কে অতিক্রম করে বেরিয়ে এসেছে আজ সকালে।পর্ণা দেখতে পাচ্ছে শরীরটা তার কেঁপে কেঁপে উঠছে কান্নায়।সেই পুরুষের জন্য! নাতো।পর্ণা দেখতে পাচ্ছে এ কান্না তার নিজের আনন্দ আর বিষাদজনিত।আত্মকেন্দ্রিক এক নারী।
--" এত খাবার কেন এনেছ সুমিত ",-----" ভাবলাম তুমি খাবে,খিদে পেয়েছে " 
সরল ও জটিল পুরুষ।পর্ণা পরিপূর্ণ হয়ে আচমকাই পথ হারিয়ে ফেলেছে।
রোদ পড়েছে মুখে।মুখটা লাল হয়ে গেছে সুমিতের ।মায়াময়।
পুকুর পাড়ে মাছরাঙাটা জিজ্ঞেস করলো
"কি গো যাবে নাকি "

পর্ণা এখন সবার কথা বুঝতে পারবে।পারছে।শুধু বুঝতে পারছে না তার শরীর।ওতে আর সে নেই।উড়ছে হাওয়ায়।দমকা হাওয়া।ওই যে নারী উন্মাদিনী একটি প্রেম হারিয়ে, সে তার প্রতিচ্ছবি।
শুধু কয়েকটি মুহূর্ত তাকে অমরত্ব দিয়েছে। অর্গ্যাসমের পর ঘাড়ে মুখ রেখে দম নিতে নিতে জড়িয়ে আছে মানুষটা।আজ কাল বা আরো হাজার বছর ধরে এভাবেই।রমণে  রমণীর চোখে চোখ ........গভীর সে চাওয়া কোনো ছাদনাতলায় হয়নি কখনো।
পর্ণা এসব ভাবে।সে অতীত কালে শয্যা পাতে।আরেক নারী সেও শয্যা পাতে ভবিষ্যতের কোলে।
----"এ কবিতা টা ভারি সুন্দর হয়েছে "
--"তোমার মতো নয়,এত মূর্চ্ছনা কই"
গভীর রাতে ঘরে ফেরে পর্ণা
ঢুকে পড়ে সেই কামিনী নারীর বক্ষে।ওখানে শুধু বিরহের জ্বালা।পর্ণা বোঝায় পর্ণাকে।
 মনটা তুলে নেওয়া যায়।তারপর দুজনকে জিতে নেয় এক অমীমাংসিত সময়।
পর্ণা প্যানকার্ড চায়।আরো এক পর্ণা,সে প্রেমিককে ফিরে পেতে চায়।অথবা দুজনেই কালজয়ী নারী হয়ে চিরন্তন প্রেমিকা হয়ে ওঠে।
পৃথিবীতে রাত নেমে আসে।বিরহরাত।
পর্ণা আজকাল এই টেনস্ এ সতর্ক থাকছে।

কাল নির্ণয় করা দুরূহ ব্যাপার ।যা ঘটছে তাই কি ঘটছে?হয়ত অনেক আগেই ঘটেছিল বা ঘটতে চলেছে।যেমন ওই যে বেলগাছিয়ার একটা জায়গায় জীবনে প্রথমবার যেতে হলো একটা জংলা মাঠের পাশে ওই যে বাড়ি আর তার সামনে একটা নিমগাছ।পর্ণার মনে হলো এখানে ত এসেছে।ভীষণ চেনা চেনা বাড়িটা।সে কখনো সিরিয়াল দেখেনি।সিনেমাও কম,মূলত বিদেশী।তাহলে এই বর্তমান  বাড়িটা কি স্বপ্ন দেখে ছিলো অতীতে!
টুকরো টুকরো পর্ণা বাস্তবতা হারিয়ে ফেলছে।সব কিছু ঘোলাটে।
"এই যে সুমিত  পৈতৃক বাড়িতে,অশান্তি তুঙ্গে,বার বার ফোন করে ফেলছে, নার্ভাস"........
পর্ণা ভেবেছিলো ওটাই ভালোবাসা।
"তুমুল প্রেমের পরদিনই আবার ডেকে নিচ্ছ ভীষণ চাহিদায়" পর্ণা এটাও ভেবেছিলো ভালোবাসা......"যে কোনো সমস্যায় আত্মসমর্পণ। 
এমনকি  তাকে কেউ ফেসবুকে লভ ইমোজি দিলেও সে গম্ভীর।
 "সেসবও ত পর্ণা ভেবে ছিলো ভালোবাসা!"
কাঠফাটা আওয়াজ আর একটি হাত তাকে টেনে নেবার মুহুর্তে গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেলো ট্রেনটা।ভেসে আসছে হরেক মন্তব্য,
 "কোন মনে চলছেন",
"আরেকটু হলে.....(আরেকটু হলে কী?),
"পাগল নাকি আত্মহত্যার শখ!"
"পাগল"শব্দটা বহুমাত্রিক।কেউ তীব্র ভালোবেসে বলে পাগল।
স্নেহ, করে অথবা সঠিক অর্থেও।
পর্ণা হারিয়ে ফেলছে সময় ।
---"আমি কোনো কমিটমেন্টে নেই"
-----"এত বছর পর মনে হলো!" 
-----"ফোনে কথা হবে মাঝে মাঝে দেখা হবে,গান,কবিতা।হয়ত শুলাম কখনো"।
"শুলাম "শব্দটা তিরের মতো বিঁধে যায় বুকে ।
অনেকটা প্রণয়ের আশ্লেষ,বৃষ্টি, ঝড়, দখিনা বাতাস মুহুর্তে ছোট্ট একটা  অশ্লীল  শব্দ  হয়ে যায় ।"শুলাম"।
----"অন্যদিন অন্য মেয়ে আসতে পারে।ভুলো না আমি বোহেমিয়ান কবি"
-----"বোহেমিয়ান মানে ভবঘুরে সুমিত "
নিজের গলাটাই অস্পষ্ট লাগে।
চোখের সামনে এক দিঘি আকাশ।দমকা হাওয়া,আজ হাটবার।
পর্ণার দ্বিতীয় টুকরো কী যেন বলে,
---" কৃপা করছ নাকি সুমিত।পর্ণা কৃপা চায় না।ভালোবাসার প্রয়োজন থাকলে যোগাযোগ কোরো সুমিত"

ফোনটা কেটে দেয় পর্ণা মাঝপথে।জীবনের মাঝপথে হারিয়ে ফেলে ভালোবাসা অর্থ।
ওই যে কমলা আলো রেল স্টেশনের পেছনে আর পলাশঢাকা গাছ ওরা কি ভালোবাসে?টিকিট ঘরের সামনে ছেঁড়া পোস্টার" আপনি কি জীবনে বিশ্বাস হারাইয়াছেন " মাদুলি, গাছের মূল,তামার বালা নিয়ে বসে আছে বোকা একটা মানুষ।
মিষ্টির দোকানে কাচের ভেতরে বোলতা।
"ভালোবাসো আমাকে?কখনো কি বাসনি!" একটুকরো পর্ণা কানে কানে জিজ্ঞেস করে সুমিতকে।
সন্ধ্যা নাকি রাত?
একটা ছবি চাই পর্ণা র।প্যানকার্ডে লাগবে।
কিন্তু ঠিক মাপসই মুখ চাই........
সামনে একটা জলাশয়।পুকুর নয় একটা দিঘি।মুখ দেখা যায়।বাতাস নড়িয়ে দিচ্ছে জল।মুখটা এলোমেলো হয়ে যায়।আয়নায় নিজের মুখ যেন।ধুলো জমেছে।পর্ণা মুখোমুখি পর্ণা র।
------"কিসের বেদনা এত"
------" জানো না"
-----"তোমার চোখ বিষন্ন, চোখের তলায় কালি,কতদিন উপবাসী "
----" আমার যে কিছুই ভালো লাগে না আর"
----" কেন।কেন মাত্র একটা পুরুষের জন্য এই অবস্থা"
----" ভালোবাসি যে"
---"সে বাসে না"
---" জানি না"
----" আর কিছু সত্য নয়!সন্তান,তোমার সৃষ্টি এসব ......"
---" নারী শুধু মা নয়"
---" তবে সেই পুরুষও তো কেউ নয় যে তোমাকে উপেক্ষা করে "
---" আমিও তাকে উপেক্ষা করবো!সে শক্তি যে নেই"
---"আছে ।কিন্তু তুমি চাও সেঁকো বিষ,বিরহের নেশা"
---" বাঁচতে চাই না আর দীর্ঘ জীবন শুধু ব্যর্থতার স্বরলিপি "
----"এতদিন কি বেঁচেছিলে।তুমি ত মৃত ই"
জলটা ঘোলাটে হয়ে যায়।পর্ণা বদলে যেতে চায়।চায় না ......
---" তবে মরে যাও পৃথিবীর কোনো ক্ষতি নেই তুমি চলে গেলে।ক্ষতি নেই ভালোবেসে মরে গেলে"
---" কিন্তু সে যদি কখনো ফিরে আসে? আমাকে খোঁজে!"
কালবৈশাখীর আকাশ অট্টহাস্য করে ওঠে।আকাশ চিরে সাদা আলো ঝলসে ওঠে বিদ্রুপে।
হু হু করে ঝড় ওঠে।পর্ণা বৃষ্টি হয়ে যায় ।ঝরে পড়ে।
----"একদিকে মুক্তি একদিকে শিকল কোনটা চাও পর্ণা "
---"মুক্তি "
----" মুক্তি নেই তোমার,তুমি যতদিন নারী "
মেঘ ডেকে ওঠে।পর্ণা দাঁড়িয়ে আছে ছাতিমতলায়।
---"কেন মুক্তি নেই!"
"তুমি যে নারী উন্মাদিনী।পতঙ্গের মতো ঝাঁপ দেবেই অগ্নিতে,প্রাচীনতর কৃষ্ণাঙ্গ উপজাতির মতো পড়ে নেবে লৌহ শিকল। ভালোবাসায় বন্দি থাকবে এই যে তোমার নারী জীবন।
---"না এসব ভুল।সব ভুল।আমরাও বাঁচব।একা একা প্রণয়ের পথ ধরে বাঁচব।মরে যাব সুখের বিষে।বিরহে"
কে শুনবে এই ঘন আঁধারে।
 "পর্ণা তুমি ভুল আমি ঠিক।দ্যাখো দোলপূর্ণিমার নিটোল চাঁদ "
কারা যেন হেসে ওঠে আশেপাশে, মরে যেতে হবে পর্ণা।ভালোবাসা কোনো বাসাহীন স্বপ্নের কথা।
চাঁদও তো স্বাধীন নয় সবই যে পুরুষ আলো,এসব জ্যোত্স্নার তুমুল অপরাধ সবই তো নিষিদ্ধ ভালোবাসার প্রকাশ।
পর্ণার নিরপরাধ শাড়ি ভিজে যায়।জ্বর  হতে পারে।একা পর্ণা অপমানিত,ক্ষুব্ধ অভিমানে চোখে আগুন জ্বালে।জ্বলে যেতে চায়।আরেক পর্ণা শুকনো পাতার মতো হারিয়ে যায় সুমিতের প্রেমে।" যদি ফিরে আসে"।
"বেওয়ারিশ লাশ হয়ে যাওয়া ফোনটা যদি বেজে ওঠে ......একবার "..........
পর্ণা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।সামনে দাউদাউ আগুনে পুড়ে যাচ্ছে শুকনো পাতা আর ডালের ভেতরে এক নিঃস্ব পর্ণা ।
যে দাঁড়িয়ে আছে প্রস্তর মূর্তির মত তার চোখের মণিতে অগ্নি শিখা। আত্মগ্লানিতে মরে গেছে পর্ণা।
এক দৃষ্টিতে দেখছে দমকা হাওয়ায় কেমন দাউ দাউ করে জ্বলছে চিতা ।
এক লৌহ কাঠামো রয়ে গেলো।আর মৃত সেই মেয়েটির বিষাদপূর্ণ চোখ দুটি রয়ে যায়  পর্ণার চোখে।
মাঝরাতে ধুম জ্বর আসে।সারা অঙ্গে বিছের দংশন।
বাইরে বৃষ্টি।ঝোড়ো হাওয়া ।দুরাগত অস্পষ্ট সব কথা,
" তুমি এত বালিকাসুলভ,এত ছেলেমানুষি .........",কে? কে যেন জড়িয়ে ধরে বসে আছে নির্বাক নির্ভর তায়।কে যেন.......
"এ বয়সে কোথায় যাব তোমাকে ছেড়ে ....."অতীত!!
এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়া ঘরে কুণ্ডলী পাকায়।
পাশে এসে বসে অবয়বহীন এক নিরাকার।--"কে তুমি "
----"প্রেম"।"তোমার প্রেম "
---"সে ত দাহ করে এসেছি"
---" সে তোমার অর্ধেক আকাশ।প্রেম ত আগুনে পোড়ে না,শেষ হয় না, বজ্রপাতও তাকে ধ্বংস করতে পারে না"
----"কেন।কেন ফুরোয় না প্রেম "
---" কারণ প্রেম যে অবিনশ্বর "
সারা শরীরে ব্যথা।চোখ জ্বালা করছে।পর্ণা অন্ধকারে ঠাহর পায় না কিছু ।
সেকি চলে গেছে!
-----" আমার  খুব কষ্ট হচ্ছে পর্ণা আমি যে আধার ছাড়া বেশি ক্ষণ ভেসে থাকতে পারছি না"
---"কিন্তু পর্ণা মৃত "
রিনরিনে চুড়ি র মতো হাসে,ও কে!
----"পর্ণা আমি ত নদীতেও আছি আর বৃক্ষেও,তুমি ত ঈশ্বরের প্রেমিকা "
---" না না আমি নাস্তিক ওসব মানি না!"
----" মানুষের জন্য এই যে নিবেদন সেও তো আধ্যাত্মিক।
প্রেম যে করে সে ত ঈশ্বর জ্ঞানেই করে"
----"  আমি যে আর কাউকেই  ভালোবাসতে পারবো না কখনো"
---"নদী কখনো ফল্গুধারায় বয়......বাতাস স্থির হয়ে থাকে "
" আমি এক অনুভূতি আমাকে গ্রহণ করো পর্ণা পৃথিবীটা আজ থেকে তোমাকে দিলাম "।

দিন বা মাস অথবা বছর,কাল ও হতে পারে........সময়টা ঠিক আন্দাজ করা যায় না ,বৃষ্টি ......পর্ণা......ছাতিমতলা.....প্রেম