সারাদিন ঝর্ণাদিকে দেখেছি । ছাদ থেকে যে জানালা খোলা ঝর্ণাদির বোধহয় খেয়াল ছিল না । অথবা ইচ্ছে করেই দেখাতে চেয়েছে৷ পর্দাটা কবে ছিঁড়ে গিয়েছে খেয়াল নেই কারো । মাঞ্জা দেবার জন্য লাটাই পাড়তে গিয়ে দেখলাম । ঝর্ণার মতো নেমে এলো ঝর্ণাদি।
পট পট করে খুলে ফেলল পিছনের টিপ বোতাম । তারপর সব । হাঁ হয়ে গেছে চোখ । খিদে চাগাচ্ছে।দেখার খিদে। মাঞ্জা দেওয়া, কাচগুঁড়ি , আঠা ,সুতো সব পড়ে রইল । বেলের উপর কালো কুল
কেউ বসিয়ে দিয়েছে । আর নাভির
নীচ থেকে অদ্ভুত আরণ্যঘেরা রহস্যময় উপত্যকা। আমি যে দেখছি সেটা বোধহয় ঝর্ণাদি জানতো। আমার দিকে একবার সামনে একবার পিছনের অদ্ভুত পাহাড় দেখিয়ে নেচে ফিরছিল ঝর্ণাদি । শরীরটা সাপ দেখলে যেমন হিম হয়ে যায় হিম হয়ে যাচ্ছিল আমার সারা শরীর । ঝর্ণাদির বাড়ির আয়নাটাকে হিংসে
হচ্ছিল আমার । আমি ছাড়া আয়না
কেন কেন ঝর্ণাদিকে দেখবে! ইট মেরে ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে হলো ।
সূতো আর ঘুড়ি অবশেষে তৈরি হলো । ঝর্ণাদি জানল না । ঘুড়ি ভোকাট্টা হলে ঝর্ণাদির বাড়ির নীচে
একটা মোমবাতি মিছিল এসে থামল । অন্তঃসত্ত্বা ঝরণাদি দেখতে পেল না । এখনো শাড়িটা ফেঁসে ফ্যানের গায়ে । মাঞ্জা সূতো ছাড়লে
আকাশ পড়ে ফেলল ঘুড়িটার শরীরে বাংলা অক্ষরে ভালোবাসি ভালোবাসি কটি মাত্র সহজ শব্দ।
বিশ্বকর্মা পুজো একটা দিনেই হয়।
ভাদরের সংক্রান্তি । চাঁদিয়াল কেটে
ফেলে পেটকাটা .....