গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭

জয়িতা ভট্টাচার্য

জীবন

ছেলেটি গুনগুন করে গাইছিলো ছেলেটি হাঁটছিলো
দুপাশে গাছেরা অনুপ্রাশ আর অলঙ্কারে মেতেছিলো বৃদ্ধ পাতারা মাটিতে পেতে দিচ্ছে মাথা নীরব অন্তিম
পিচের রাস্তাটা সোজাসুজি গিয়ে অভাবনীয় সম্ভাবনার বাঁকে রোদ ঠিকরে পড়ে ছেলেটি গান গায় গুন গুন গুন গুন একমাথা রুক্ষ চুল তামাটে মুখটাতে সপ্নভাসা চাহনি তার
বেনেবউ এক দেখেছিলো
ডেকেছিলো শেষবার
দু পাশে সারিবদ্ধ গাছ অবোধ নীরবতায় দিয়েছিলো আঙিনার মতো শান্ত ছায়া

কোনো ভূমিকা উপসংহার ছাড়াই ......
ট্রাক এসে পিষেদিলো তাকে
নিবাত নিষ্কম্প তবু বাতাস, কঠিন সূর্য হাসে কর্কশ
সে জানতে পারেনি মৃত্যু গুনগুন গুনগুন গান গেয়েছিলো সে জীবন জানা ছিলো তার

রক্তের গন্ধে এখন  সারি করে আসে কীট খঁুটে নেয় সমস্ত হেমোগ্লোবিন আর প্লেটিলেট ছেলেটির চোখ বন্ধ হয়নি এখনো সে চেয়ে আছে মায়াবী আলোয়

রাঙচিতার বেড়ার পাশে রোদ্দ্ুর   ভেজা চুলগুলি মেলে  দাঁড়িয়ে ছিলো সে সময়,
ওর  বিধবা মা
আর গুনগুন করে গাইছিলো সেই একই সঙ্গীত।
জীবনের