জবলপুর, হান্টেড কাহিনী--১০
ওয়াচ টাওয়ার
অসীম
ভূত-প্রেত অলৌকিক ঘটনার কথা
অবিশ্বাস করে না। কিন্তু
কখনও সে সামনাসামনি কিছুই
দেখে উঠতে পারেনি। আভাস
পেয়েছে, মনে হয়েছে দূর
দিয়ে কোন ছায়া হেঁটে চলে
গেলো, কিংবা আওয়াজ, বিভিন্ন ধরণের অদ্ভুত
আওয়াজ সে শুনেছে। কোনটা
হাসির, কোনটা কথাবার্তার
ফিসফিস আওয়াজ। সে ঘরের
ছিটকিনি দেওয়া বন্ধ দরজা নিজে
থেকে খুলে যেতে
দেখেছে।
অসীম একবার শুনতে পেলো জবলপুর
নগরের এক প্রান্তে পাটবাবা
পাহাড়ি এলাকার কথা।
পাহাড়ের ওপরে স্থাপিত এখানকার
পাটবাবার জাগ্রত মন্দির।
এদিকে লোকবসতি কম। এখানেই আছে জিসিএফ ফ্যাক্টরি
আর ডিফেন্সের কলোনি। এখানকার পাহাড়ি জঙ্গল এলাকাতে
বহুকাল ধরে পড়ে রয়েছে এক ইমারতের ভগ্নাবশেষ। জনশ্রুতি আছে যে এই ইমারত আসলে রানী
দুর্গাবতীর আমলে তৈরি
এক কেল্লা। কেল্লা আকারে
ছোট, প্রধানত এখানে
নাকি ছিল তদানীন্তন
ওয়াচ টাওয়ার। কেল্লা পরিসরে
বেশ কিছু লোক থাকতো,
তার মধ্যে কিছু সৈন্য,
কিছু কর্মচারী সামিল ছিল।
ইতিহাসের
দিক থেকে এর স্পষ্ট
আভাস কোথাও দেওয়া নেই।
তবে সে অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ
আজও বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে আছে। দূরের জঙ্গল ও গাছপালার ফাঁক
দিয়ে এখনও চোখে পড়ে সেই ভগ্নাবশেষ, দেখা যায় তার মধ্যে মহলের কিছু কিছু কক্ষ এখনও দণ্ডায়মান হয়ে আছে। পাহাড়ের ওপর সমতল
জাগা বানিয়ে তৈরি হয়েছিল
এ ইমারত।
ইমারতের ভগ্নাবশেষ দেখলে মনে হয়
বহুদূরের কোন বোবা অতীত যেন কথা
বলে ওঠে। মানুষের সমাগম
এখানে নেই বরং এক
বিরান ভূমির ঐতিহাসিক সাক্ষী
হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই
ওয়াচ টাওয়ার বা কেল্লা।
এই ধ্বংসাবশেষের এক দিকে
কয়েক শ’মিটার দূরে
সাতপুলা ব্রিজ ধরে বেশ চওড়া
রাস্তা জবলপুর সিটির দিকে
চলে গেছে। অন্য দিকে এ রাস্তা চলে গেছে জবলপুর নগরের শেষ প্রান্ত খামারিয়া পর্যন্ত। দিনে যানবাহন জন-সমাগমের
জন্যে বেশ ব্যস্ত থাকে
রাস্তা। সন্ধ্যে থেকে ভিড় কমে আসে। রাতে মাঝে মাঝে দু একটা
গাড়ি সেই স্তব্ধতা খণ্ডন
করে দূরে বেরিয়ে যায়। এই কেল্লার ধ্বংসাবশেষর আর
এক দিকে কয়েক শ’মিটার দূরত্বে রয়েছে প্রধান রেল
যাতায়াতের পথ। মাঝ রাতে হঠাৎ হঠাৎ এই নিষ্প্রাণ
কেল্লা ট্রেনের যাতায়াত শব্দে যেন জেগে ওঠে, তারপর আবার সেই স্তব্ধতা, যেন সে
এক আলাদা পৃথিবী !
মাঝ
রাত থেকেই যেন কেল্লার দ্বার
খুলে যায়। তার মধ্যে
থেকে জন-প্রাণীর আভাস
পাওয়া যেতে থাকে। কখনো
ভয়াবহ আওয়াজ ভেসে আসে।
এই খন্ডহরের মাঝে যেন
এক উত্তেজিত জীবন
যাত্রা শুরু হয়ে যায়।
কেউ কাঁদছে, কেউ
হাসছে। কখনও ওখান থেকে
অট্টহাসির আওয়াজও নাকি ভেসে আসে।
সেখানে কেউ ভয়ে যায়
না। রাতে তো দুরের কথা
দিনে-দুপুরেও সেখানে যেতে সবাই ভয়
পায়। দিনে সেখান থেকে
কেমন হুহু, গমগম আওয়াজ
আসতে থাকে। কেল্লার ভেতর থেকে ফিসফাস কথার শব্দ ভেসে আসে।
অসীম
ভাবে একবার সেই ওয়াচ টাওয়ার ঘুরে আসলে কেমন হয় ? না, সে একা
এমনি বদনামী জাগায় যাবে না।
সঙ্গে দু-তিনজন বন্ধুকে
নিয়েই যাবে। অসীমের মত এতটা
না হলেও ওর
বন্ধুদের মধ্যে কারও কারও এ ব্যাপারে
উৎসাহ আছে। বন্ধু সমীর
আর রমেশ অসীমের সঙ্গে
যেতে রাজী হল।
অসীমরা
ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপারে
অনেক কথাই জেনে নিয়েছে।
ওরা আশপাশের বস্তি থেকে এ
সব জানতে পেরেছে। ইতিমধ্যে
ওরা ঠিক করে নিয়েছে
এই ধ্বংসাবশেষ ইমারতে ওরা
যাবে। এর ব্যাপারে শুনতে
পাওয়া অলৌকিক ঘটনাগুলির সত্যতা
ওরা যাচাই করে দেখবে।
সেদিন
ছিল চতুর্দশীর, অমাবস্যার
আগের দিন। ঘুঁটঘুটে অন্ধকার রাত না
হলেও এ দিনটায় নাকি
অলৌকিক শক্তির জাগরণ ঘটে।
অসীম, সমীর আর রমেশ
এই তিন জনের দল
সে দিন রাত এগারটায়
গিয়ে পৌঁছল
পাটবাবার পাহাড়ি
এলাকায়। ওদের থেকে আর
মাত্র একশ মিটারের মত দূরত্বে
দাঁড়িয়ে সেই ভুতুড়ে কেল্লা।
লোকে বলে একশ বছর
মধ্যে এই ইমারতে
থাকা ত দূরের কথা কাউকে ও মুখো যেতেও তারা কোনদিন দেখেনি।
কদিন ধরে ঠাণ্ডা জাঁকিয়ে
পড়েছিল। সবাই সোয়েটার আর
শালে নিজেদের গা ঢেকে
নিয়ে ছিল। ওরা সঙ্গে
নিয়ে রেখেছে, বড় বড়
চাকু, কয়েক হাত লম্বা দড়ি,
মোবাইল সবার কাছেই আছে।
তীব্র আলোর জন্যে তিন
ব্যাটারির টর্চও সঙ্গে রেখেছে।
এবার ওদের আসল অভিযান শুরু
হল।
সত্যি
অন্ধকারে পথ চলা যাচ্ছিল
না। এক
তো পাহাড়ি চড়াই, তার
ওপর এবড়োখেবড়ো সরু রাস্তা
উঠে গেছে পাহাড়ের
মাথায়, একেবারে কেল্লা পর্যন্ত।
দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিলো
ইমারতের ভাঙাচোরা দেওয়াল, মাথা ধ্বসে
পড়া ছাদ। গেট
কোথায় জানা নেই কিন্তু
ভেতরে প্রবেশের জাগা অনেক
দিক থেকেই আছে। এখানে দেওয়াল ভেঙে
ভেঙে প্রশস্ত প্রবেশ দ্বারের অভাব নেই, সামনের
কোন ভাঙা দেওয়ালের মধ্যে
দিয়ে ওরা অনায়াসেই ভেতরে
প্রবেশ করে গেল।
ভিতরে শব্দ কিছু হচ্ছে
বটে তবে এ ধরনের
শব্দ বাতাসে ধাক্কা খাওয়া
ভাঙা দেয়াল বা ছাদের
থেকে উৎপন্ন হতে পারে।
অট্টালিকার
বেশীর ভাগটাই ভাঙাচোরা। কয়েকটা
দরজা জানালার ফ্রেম নমুনা রয়ে গেছে
মাত্র। প্রচণ্ড অন্ধকার,
এক পা পথ চলতেও
অসুবিধা হচ্ছিল।
অগত্যা মোবাইলের সামান্য আলোর
ব্যবহার করতেই হচ্ছিল। এখন
পর্যন্ত কিছু অনুভব করা
যাচ্ছিলো না। কেবল হাওয়া ভেতরে
ঢুকে বাধা পেয়ে বেরুতে
গিয়ে এক ধরনের শব্দ
তৈরি করছিল বটে। ওরা একসঙ্গে
থাকবে বলে ঠিক করে নিয়েছিল।
ভয় ওদের সবার মনেই আছে, এই বিরান
ভূমিতে হতে পারে কোন
অসামাজিক তত্ত্ব বাসা বেঁধেছে।
ওরাই রাতে চুরি-ডাকাতি
করে শেষ রাতে এখানে এসে
ঘুমিয়ে পড়ে অথবা কোন
জুয়ার আড্ডাও এখানে বসতে পারে।
এ ধরনের ঘটনার তো
অভাব নেই। তাই অসীম
ওদের আত্মরক্ষার প্রয়োজন আছে
বই কি !
হঠাৎ
দূরে কোথাও ঠাস করে
একটা শব্দ হল। অনেকটা খোলা দরজার
পাট হাওয়াতে বন্ধ হল বলে মনে হল। ওরা
শান্ত হয়ে এক জাগায়
দাঁড়িয়ে পড়লো। হতে পারে
খন্ডহরের এখনো অটুট কোন
দরজার পাট বাতাসে বন্ধ
হয়ে এমন শব্দের সৃষ্টি
করেছে। হ্যাঁ, আচমকা ওরা দেখল,
একটা কাল লম্বা ছায়া
পাশের ঘরের পরিসর ধরে
হেঁটে চলে গেলো। সমীর
ঝট করে চাকু হাতে
নিয়ে নিলো। অসীম আর
রমেশ বিনা বাক্যব্যয়ে নিজেদের
চাকু খুলে হাতে রাখল। ধীরে ধীর ওরা
এগিয়ে চলল আরও ভেতরের দিকে।
হতে পারে এখানে অসামাজিক
লোকের বাস আছে। ওরা
আরও আরও ভেতরে চলে
গেলো। এবার সামনে খালি
চত্বর। কিছুটা
দূরে আবার শুরু হয়েছে
ভগ্নাবশেষ। ওখানে ছাদ নিয়ে
একটা মাত্র ঘর দাঁড়িয়ে
আছে বলে মনে হল,.অবশ্য এ
সব আন্দাজের ওপর বলা। কারণ
অন্ধকার এখানে ঘন কিন্তু
খোলা আকাশ থাকায় আবছা ছায়া দর্শনের মত
আবরণ অনুমান করা যাচ্ছে
মাত্র।
--আমাদের আরও আগে যেতে হবে, চাপা স্বরে অসীম
আঙুল তুলে বলে উঠলো, আমাদের ওখানেও একবার দেখতে
হবে।
এগিয়ে গেলো ওরা। মোবাইলের
আলো জ্বেলে ওদের দেখতেই
হল,
ঘরে সব দিক দিয়েই
প্রবেশ করা যায়। ওর
দুতিনটা পিলার ছাড়া কোন
দেওয়ালই অবশিষ্ট নেই। তবে
একটা দিক তার ঘন
অন্ধকার। মনে হয় বাইরের
জঙ্গল গাছপালার শাখা প্রশাখা
ভেতরে ঢুকে গেছে। কোথাও
খুটখুট শব্দ হচ্ছে--ঘরের
এক কোন থেকেই শব্দটা
আসছে। ওরা সতর্ক হয়ে
গেলো। কেউ কি আছে
ওখানে ?
তিন
জনেই ঘরের কোনের দিকে
এগিয়ে গেলো, যেখান থেকে খুটখুট আওয়াজ আসছিল। ওই তো একটা মানুষের
ছায়া,
ঘরের কোণে মাটির দিকে ঝুঁকে সে কিছু যেন করে চলেছে।
হঠাৎ ছায়াটা ওদের দিকে
ফিরে দাঁড়িয়ে চাপা
স্বরে বলে উঠলো-- কোন ?
রমেশ
ওরা আচমকা লোকটার প্রশ্নে
ভয়ে চমকে উঠল। ওরা দেখল, হ্যাঁ, একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে,
মনে হল ওদের চোখের দিকেই লোকটা তাকিয়ে আছে ! অন্ধকারে স্পষ্ট
বোঝার কোন উপায় নেই।
রমেশ তার হাতের টর্চ
জ্বেলে দিলো। লম্বা, ঢেঙা, কাল মত একটা লোক। টর্চের
আলোতেও যেন তাকে পরিষ্কার
দেখা যাচ্ছিল না। লোকটা
চট করে আলোর
ফোকাস থেকে সরে দাঁড়ালো, ওর মুখ থেকে
বেরিয়ে এলো, কৌন হো
তুম লোগ ? শব্দটা ঈষৎ চাপা
হলেও মনে
হল লাউড স্পিকার নিয়ে
বেশ দূর থেকে কেউ কথা বলছে !
--বাত্তি বুঝাও, টর্চের
ফোকাসকে হাতে আড়াল করার চেষ্টা করে লোকটা গম্ভীর গলার বলে
উঠল।
কে
তুমি ? রমেশ আর সমীর
এক সঙ্গেই প্রশ্ন করে
বসলো।
--মেয় উধম সিং হুঁ--তুমলোগ
কেয়া খাজানা লুটনে আয়ে
হো ? লোকটা হঠাৎ সোজা
হয়ে দাঁড়িয়ে উত্তেজিত চাপা চীৎকার
করে বলে উঠলো, সাবধান,
হুশিয়ার। সব খাজানা লুটনে
আয়া হায়।
--না না আমরা
খাজানা লুটতে আসিনি--
লোকটা
এবার কেন যেন চুপ
করে গেলো। বলল, তুমলোগ
জলদি ইহা সে ভাগো !
অসীম বলে উঠল--তুম
কোন হো ?
ছায়া-লোকটা স্বাভাবিক বলে উঠল--ম্যায় ইহাকে চৌকিদার
হুঁ--
অসীমরা
কিছুটা যেন আস্বস্থ হল
কিন্তু এই খন্ডহরে চৌকিদার
কোথা থেকে আসবে ?
লোকটা
এবার নিজে নিজেই বলল, বিশ্বাস হচ্ছে না তো, ইয়ে সাচ
হায় কি মেয় ইহাকে
চৌকিদার হুঁ--
রমেশ ওরা
ভাবল,
কে জানে, হতেও পারে। সমীর
লোকটাকে প্রশ্ন করলো, আমরা
এখানে ভূত দেখতে এসেছি
?
--ভূত ? মানে আত্মা ? হা
হা হা লোকটা খুব
হাসতে লাগল। আমি এত
দিন ধরে আছি, আমি
দেখলাম না, আর তুমলোক এক দিনে মে---হা হা হা--যেন অট্ট হাসিতে
সে ফেটে পড়লো।
লোকটা
পাগল নয় তো ? রমেশ সমীরের
কানের কাছে মুখ নিয়ে
ফিসফিস করে বলে উঠলো।
লোকটা
এবার বলে উঠলো, পাগল ? মেয়
? আবার সে হা হা হা হেসে
উঠলো। আমি এখানে পাহারা
দিই,
তাই ডাকু-চোরের দল
এখানে আসতে পারে না।
আমি জানি, এখানে রানী দুর্গাবতীর
খাজানা লুকানো আছে।
বলে
কি লোকটা ? ওরা ভাবল, লোকটা নিশ্চয় পাগল
হবে।
অসীম
বলল, তুমি এখানে কি পাহারা
দাও ?
লোকটা বলল--খাজানা
?
সমীর
বলল,
তুমি কবে থেকে এখানে
আছো ?
লোকটা
উত্তর দিতে পারছিল না, ও যেন
গুনে দেখছিল ও কত
বছর ধরে এখানে আছে।
আঙ্গুলের কর বারবার গোনার
চেষ্টা করছিলো। তারপর কিছু
সময় স্তব্ধ থেকে বলে
উঠলো, এই সাতপুলা ব্রিজ
তখন ছিল না। চারদিকে
জঙ্গল আর জঙ্গল।
সমীর
আশ্চর্য হল, সে মনে মনে
হিসাব করল, সে তো ইংরেজ
আমলের তৈরি, সে শুনেছে এ ব্রীজ প্রায় একশ বছর
আগের !
ও ভাবল লোকটা বদ্ধ
পাগল হবে--
ঠিক
এমনি সময় শব্দ করে
একটা ট্রেন চলে গেলো।
লোকটা হঠাতই কোথাও আড়ালে সরে
গেলো। লোকটা কোথায় গেল ! ওরা কেউ ঠিক ধরতে পড়লো
না। টর্চের আলো ফেলে
ওরা লোকটাকে খুঁজতে লাগলো।
হঠাৎ ওরা দেখল লোকটা
তো ওদের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ! চোখের ভুল
হতেই পারে,
চারদিক যেমন
অন্ধকার, আবছায়া ছাড়া
আর কিছুই তো দেখতে
পাবার উপায় নেই !
--এই গাড়ির
আওয়াজ মেয় শ সাল
কে উপর সে শুন
রাহা হুঁ। এই আওয়াজকে
আমি খুব ভয় পাই—ধীর মাইকের আওয়াজের মত লোকটার গলা থেকে শব্দগুলি বেরিয়ে এলো।
রমেশ
বিস্মিত হয়ে বলে উঠলো
? শ সাল !
--হ্যাঁ হ্যাঁ
ভাই, শ সাল সে
ভী উপর হো গয়ে--হা হা হা--লোকটা অন্ধকার আকাশের
দিকে মুখ তুলে হেসে
চলেছে হা হা হা।
ওরা তিন জনেই লোকটার দিকে তাকিয়ে আছে, আর এ কি ? হাসতে হাসতে
হঠাৎই লোকটা ওদের
চোখের সামনে থেকে কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো
!
বন্ধুরা তিন জন মিলে
টর্চ জ্বেলে বেশ সময়
ধরে ওকে খুঁজে ফিরল। না, কোথাও নেই, লোকটা কোথায় যেন
ভেনিস হয়ে গেছে !
ব্যাস,
ওই পর্যন্ত, তিন বন্ধু এক সময় সেই
ওয়াচ টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষ থেকে ফিরে এলো।
সে দিনের সেই চৌকিদারের অস্তিত্বের
ব্যাখ্যা ওরা কোন ভাবেই
খুঁজে পেল না।
সমাপ্ত