কাগজের ভাঁজটা খুলে কাজল তারই লেখা পদ্যটিতে চোখ বুলিয়ে আবারও ভাঁজ করে নেয়। কাগজের নৌকো। বাইরে তখন বৃষ্টি ঝরছে অঝোরে। আর তার চারপাশে ছেঁড়া নানারঙের এইরকমই আরও পদ্য লেখা রঙীন কাগজ এবং অসংখ্য কাগজের নৌকো।
পুকুরের
ওপার থেকে তখন সানাইয়ের সুর বৃষ্টির নূপুরের তালে মিশে যাচ্ছে। নৌকো বানানো শেষ হলে কাজল জানলার
কাছে এসে দাঁড়ায়। সামনের পুকুরটির ওপারের বাড়িটা ফুলে ফুলে বিবাহ সজ্জায় সজ্জিত আজ। তার বাল্যবন্ধু রূপার বিবাহ।
শৈশব থেকে
তারা একে ওপরের মনের কথন ছিল। পুতুলখেলার বেলা থেকে শুরু করে
আজও। মনে পড়ে পুতুলখেলার দিনগুলি আর বাদলের সে দিনগুলি। তখন
তারা ছোট্ট। বৃষ্টিদিনে
দুই বাড়ির মাঝে পুকুরটিতে কাগজের নৌকো বানিয়ে তারা ভাসিয়ে
দিত। বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায়,
এই ছিল তাদের নীরব খেলা। সেই নীরবতা কখন যে ভালোবাসা হয়েছিল কাজল বোঝেনি। আজ সানাইয়ের সুর তারই সে ভুলকে অবিরাম কেটে চলেছে।
অব্যক্ত...
চোখ মুছে কাজল নৌকোগুলো নিয়ে পুকুরঘাটে নামে। আজ তো এই পুকুরেই রূপা স্নান করবে গায়ে হলুদের পর। যদি নৌকোগুলো রূপার চোখে পড়ে, যদি ভাঁজ খুলে নৌকোর পদ্য সে পড়ে -
ভাসিয়ে দিল নানারঙের নৌকোগুলো আর ঝরে পড়তে লাগল বৃষ্টিকুঁচি... কোথায় যাত্রা শেষ জানা নেই কারুরই।
চোখ মুছে কাজল নৌকোগুলো নিয়ে পুকুরঘাটে নামে। আজ তো এই পুকুরেই রূপা স্নান করবে গায়ে হলুদের পর। যদি নৌকোগুলো রূপার চোখে পড়ে, যদি ভাঁজ খুলে নৌকোর পদ্য সে পড়ে -
ভাসিয়ে দিল নানারঙের নৌকোগুলো আর ঝরে পড়তে লাগল বৃষ্টিকুঁচি... কোথায় যাত্রা শেষ জানা নেই কারুরই।