গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

আবু রাশেদ পলাশ

বিমোহিতের মায়াকান্না

আমাদের পরিবারে মানুষ আমরা দুজন । আমি আর আমার বউ । একটা মফস্বল শহরে ভাড়া বাসায় থাকি আমরা । মনোহরপুর বাজারের ঠিক পশ্চিমে । পুরনো কংক্রিটের তৈরি । দেওয়ালগুলো শেওলা ধরা, পিছনে জংলা আর প্রকাণ্ড বাঁশঝাড় । বড় ঘরের সামনে খানিকটা জায়গা নিয়ে উঠান । উঠোনে আমার বউয়ের নিত্য পদচারণা, ওর ফুলের বাগান । তাতে কত কত রক্তজবা ।
সম্প্রতি শহুরে একটা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছি আমি । পড়াশোনার পাঠ চোকেনি এখনো । মফস্বলের ছেলে বলেই হয়তো বিয়েটা একটু আগে হয়েছে আমাদের । কলেজে একই নামে আরও সহপাঠী থাকায় বন্ধুদের কাছে বিয়াত্যে রফিক’- বলে পরিচিতি আমার । শব্দটা এখন বার্ধক্যে পৌঁছেছে  মনে হয়  ছাত্র জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে বন্ধুদের মুখে সম্বোধনের ভাষা পরিবর্তিত হচ্ছে দিনদিন । সভ্যপাড়ায় ভদ্রলোকেরা কেউ কেউ সাহেব বলে ডাকে এখন ।
আমার বউয়ের নাম মৃদুলা । আমি ওকে বর্ষা বলে ডাকি । আষাঢ়ে বাদল হয় এখানে । বর্ষা আমার শ্রাবণের বর্ষা নয়, শরতের জ্যোৎস্না । জানো, আমার ভেতরে একটা আকাশ আছে- এখানে চৈত্রে খরা হয় । ও তখন এক পশলা বৃষ্টির মত । বর্ষা আমার হঠাৎ পাওয়া কোন ঐশ্বর্য নয়, ও সাধনার ধন । ওকে নামতার মত মুখস্থ করা যায়না,অংকের মত বুঝতে হয় ।
কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে একটা স্কুলে পড়াই আমি । মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা এমনই, জন্মেই বিধাতা সংসারধর্ম পালনের শিক্ষা দিয়ে পাঠায় এদের । তারপর আমরা আজন্মকাল কলুর বলদ হয়ে অভাব পুরনের ব্যর্থ আস্ফালন করি আর অভাব বারংবার দিগ্বিজয়ী বীরের মত কর্তৃত্ব জাহির করে আমাদের উপর ।
বর্ষা- আমার ভরাপূর্ণিমায় চন্দ্রের মত। আমি হয়তো নিগুঢ় আমাবস্যা । তাই ওকে কোনদিন ঐশ্বর্যময়ী জোছনা দিতে পারিনি আমি । ওর চাহিদাগুলোও অপ্রতুল । পাছে আমার অসুবিধা হয়, এটা ভেবে এখন নিজের ইচ্ছা গুলোও প্রকাশ করতে ভুলে গেছে সে । একসময় বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজতে ভাল লাগতো, আমার ওতে অনীহা । এজন্য আজকাল বৃষ্টি হলে বায়না করেনা বর্ষা । জানালার ফাঁক দিয়ে নরম হাত দুটো বাড়িয়ে দিলে বৃষ্টির জল এসে জমা হয় সেখানে । আমার শীতের নরম রোদ ভাল লাগে । আর ভাল লাগে জ্যোৎস্নারাত । আশ্বিনে ভরা পূর্ণিমা হয় । বর্ষাকে নিয়ে তখন উঠোনে বসতি গড়ি আমি । আমি তখন অন্য মানুষ, মনে মনে বাদশাহী মনোভাব আমার । ভরাপূর্ণিমায় আমি জোছনা দেখি । বর্ষা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে সহস্রকালের লুকানো ভালবাসা খোঁজে । মাঝে মাঝে বিরক্ত হই আমি, ওর দর্শনে ব্যাঘাত ঘটাই তখন ।
-কি দেখ অমন করে ?
সহসা জবাব দেয়না বর্ষা । হাতের একটা আঙুল মুখের সামনে ধরে থামার জন্য ইশারা করে সে । তারপর নাক বরাবর মুখটা এনে আলতো করে একটা চিহ্ন এঁকে দেয় চোখে  অতঃপর মিহি গলায় কণ্ঠসুধা বিতরণ করে আমার কাছে ।
-তোমার চোখে প্রজাপতির পাখনা মেলো, আর কিছু চাইনা আমি ।
আজ ভরাপূর্ণিমা । আমার দুজন জোছনা দেখছি । জোছনাজলে স্নাত হচ্ছি ক্ষণে ক্ষণে ।
-বর্ষা, সবুরের কথা মনে আছে তোমার ?
আমার প্রশ্নটা অপ্রত্যাশিত । জোছনা সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য যথেষ্ট । মুহূর্তকাল স্তম্ভিত বর্ষা , তারপর তার সহজ স্বীকারোক্তি 
-না তো, কোন সবুর ?
মৃদুর কথায় সহসা মন খারাপ হয় আমার । সবুর । সবুরের কথা ভুলে গেল সে । এতো অকৃতজ্ঞ মানুষ হয় ? আমরা যে আজন্ম ঋণী ওর কাছে ।
আমাদের সবুর বড় হয়ে গেছে এখন । সেদিনের সেই রোগা হ্যাংলা ছেলেটার গায়ে চর্বি হয়েছে বেশ । একসময় উগান্ডার ছেলেদের মত মাথায় কুঁকড়ানো চুল ছিল ওর, এখন ওতে চুল নেই । সবসময় ন্যাড়া হয়ে থাকে সে । সবুরের সাথে আমি একই স্কুলে পড়েছি  এক কলেজেও পড়েছি কিছুদিন । কলেজের পড়াটা শেষ করেনি সে । একদিন হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল কোথাও । তারপর দীর্ঘদিন খোঁজেও সন্ধান পায়নি ওর ।
ঘরের টানে প্রতিদিন সন্ধায় বাড়ি ফিরি । মন ভাল থাকলে ফেরার পথে বর্ষার জন্য রজনীগন্ধা কিনে আনি । গতকাল ফুল কিনতে গিয়ে সবুরের সাথে দেখা হয়ে গেল হঠাৎ । আমাদের সবুর, আমার বন্ধু সে । আমাকে দেখেই ডেকে নিয়ে দোকানে বসালো ওর । চোখ দুটো মলিন হয়ে গেছে এখন, হাঁসিটাও কেমন দরিদ্র । বসিয়ে চা খাওয়াল । তারপর কত কথা হল আমাদের মধ্যে ।
-আমাদের ছেড়ে কই গেছিলি সবুর ?
-অইযে পড়া বাদ দিলাম, তারপর পলায় ঢাকা গেছিলাম আমি ।
-আসছিস কবে ?
-অনেকদিন । বাদ দেও, ভাবির কথা কও শুনি ।
-আছে ভালোই । আয় না, একদিন দেখে যা আমাদের সংসার ।
-হ, যামু , নিশ্চয় যামু ।
গতকাল থেকে বারংবার সবুরের কথা মনে হচ্ছে আমার । পুরনো দিনগুলো আবার নতুন করে যেন দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে  । একই স্কুলে আমরা দশ বছর সহপাঠী । পড়াশোনায় কত ভাল ছিল সবুর । একটু দুষ্টু ছিল, কিন্তু ওর মন ছিল কাদামাটির মত নরম । আচ্ছা, মতি স্যারের কথা মনে আছে ? সেই মতি স্যার, ছোট দাড়কিনা মাছের মত মানুষটা ? স্কুলে ইংরেজি পড়াত আমাদের । পড়া না পারলে কি মারটাই না দিত ! গেল বছর কলেরা হয়ে মারা গেছেন মতি স্যার । মরার আগে খুব কষ্ট করেছে মানুষটা । আমি জানাজায় গেছিলাম । সেখানে গিয়ে সবুরের কথা মনে হয়েছিল খুব । খুব ইচ্ছে ছিল স্যারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার । সুযোগ আর আসবেনা কোনদিন । চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময়ের ঘটনাটা এখনো মনে পড়ে আমার । ক্যাট- বানান না পারায় একদিন সবুরকে কি মারটাইনা মেরেছিলেন তিনি । সবুরের পিঠে অনেকদিন মারের দাগগুলো গুনা যেতো ।
সবুরকে যেদিন মারা হয়েছিল, সেদিন সন্ধ্যায় সবুরের সাথে দেখা করতে গেছিলাম আমি । ওর পিঠে মারের দাগগুলো দেখে গা শিউরে উঠেছিল আমার । সবুর ছিল নির্বিকার । পিঠের দাগগুলো ওকে যতনা কষ্ট দিয়েছিল, মনের আগুন পুড়িয়েছিল তার চেয়ে বেশি । আমাকে বলেছিল-
-দেখিস প্রতিশোধ নিমু  তারপর ঠিকই একদিন প্রতিশোধ নিয়েছিল সে ।
আমাদের ক্লাসে মতি স্যারের জন্য আলাদা চেয়ার বরাদ্দ থাকত সবসময় । একদিন সবুর তার চেয়ারটা বদল করে, একটা পা ভাঙা চেয়ার এনে রেখেছিল । আমরা বুঝিনি কেউ । তারপর পড়াতে এসে স্যার যেইনা চেয়ারে বসতে গেছে, অমনি চিৎপটাং হয়ে পড়ে গিয়েছিল মাটিতে । সেবার বেশ আঘাত পেয়েছিল মতি স্যার । তারপর অনেকদিন আর সবুরকে স্কুলে দেখিনি আমরা । অবশেষে একদিন ওর বাপ হারু নাপিত স্যারের হাত পা ধরে স্কুলে দিয়ে গিয়েছিল তাকে । সেদিন স্যার প্রহার করেনি সবুরকে । শুধু বলেছিল-
-স্যারের সাথে বেয়াদবি করলি সবুর ? তোর না আর পড়া হয় । সত্যি সবুরের পড়া হয়নি বেশি দূর । একদিন ঠিকই পড়াশোনায় ইস্তফা দিতে হয়েছিল তাকে ।
সবুরদের সংসারে অভাব ছিল খুব । ওরা অনেকগুলো ভাইবোন ছিল । ঠিক কতজন বলতে পারবনা । ওদের বাড়িতে গিয়ে কোনদিন সবুরের বাবাকে দেখিনি আমি । শুনতাম হারু নাপিত মোরগ ডাকা ভোরে বাড়ি ছাড়ে, বাড়ি ফিরে হাঁটুরে দলের শেষ মানুষটা হয়ে । বাজারে গেলে কোনদিন হারু নাপিতকে বসে থাকতেও দেখিনি আমি । বাজারের পথে আসার সময় তার ক্ষুর কাঁচির আওয়াজ শুনতাম রোজ ।
আমাদের সংসারেও সচ্ছলতা ছিলনা কখনও । বাবা ছিলনা আমার । সবুরদের বাড়িতে ভাল-মন্দ রান্না হলে আমাকে নিয়ে খাওয়াত সে । ওর মায়ের তেলে পিঠার স্বাদ এখনো জিভে লেগে আছে আমার । আহ! কি ভাল মানুষ ছিল সবুরের মা । আচ্ছা, তিনি কেমন আছেন এখন ?
স্কুলে সবুর আর আমার বন্ধুত্ব চোখে পড়ার মত ছিল । গাঁয়ের ছেলেরা ছড়া কাটত আমাদের নিয়ে । আমি সবুরের চোখে হিংসা দেখিনি কখনও । কিন্তু আমার মনে হিংসা ছিল খুব । অপ্রকাশিত সেটা- মনে মনে সবুরকে আমি হিংসা করতাম খুব । সবুর নাপিতের ছেলে হলে কি হবে,ওর মাথার গিলুতে সার ছিল খুব । কোন পড়া মুখে মুখে শুনেই মুখস্ত করতে পারত সে । পরীক্ষায় আমাদের দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো তখন । কোন পরীক্ষা খারাপ হলে মন খারাপ হতো আমার । বাইরে এসে কাঁদতাম আমি । সবুর কারণ জানতে চাইলে বলতাম-
-এইবার ফার্স্ট হমুনা আমি । সবুর আমাকে সান্ত্বনা দিত
-মিছা কথা দেখিস তুই ফার্স্ট হবি ।
তারপর হয়তো ইচ্ছা করেই একটা পরীক্ষা খারাপ দিত সবুর । আমি এটা বুঝতে পেরেছিলাম অনেক পরে । যেদিন ওকে নিয়ে মনের মধ্যে থাকা সন্দেহটুকুও অবশিষ্ট ছিলনা আর । আচ্ছা, নাপিতের ছেলে কি শিক্ষিত হয়না ? সবুর তাহলে পড়াশোনা করলনা কেন ? মতি স্যার অভিশাপ দিয়েছিল তাই ?
এস এস সি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলাম আমি । সবুর দ্বিতীয় । আমাদের নিয়ে স্কুলের শিক্ষকরা অনেক স্বপ্ন দেখতেন । আমাদের সংসারে তখন নিদারুণ অভাব । পরীক্ষায় ফরম পূরণের টাকা ছিলনা আমার । দুর্বিষহ সময়গুলো সবুরের সাথে কাটাতাম । ভেবেছিলাম পরীক্ষা হয়তো দেওয়া হবেনা আর । শেষমেশ পরীক্ষা দিয়েছিলাম ঠিকই, তার জন্য জল ঘোলা করতে হয়েছিল খুব । ফরম পূরণের শেষদিন সবুরের সাথে কথা হয়েছিল আমার । ওর টাকা জোগাড় হয়েছিল । উচ্ছ্বসিত ছিল সে, আমার তখন শূন্য পকেট । সবুর বলেছিল-
-টাকা পাইছস ? ওর কথা শুনে কেঁদেছিলাম আমি । বলেছিলাম-
-পরীক্ষা দিবনা আর ।
সবুর সেদিন মনের কথা বুঝতে পেরেছিল আমার । সেদিনই দুপুরে আমার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছিল সে । হাতে একটা বই ছিল তার , তাতে লুকানো কিছু টাকা  ঐ টাকা গুলো দিয়ে আমি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছিলাম সেবার । আমাকে টাকা দেওয়ার জন্য সেদিন হারু নাপিত কি মারটাই না মেরেছিল সবুরকে । বেজন্মার বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিল তাকে । সবুরের পিঠে ওর বাবার মারের দাগগুলো এখনো আছে হয়তো ।
এস এস সি পাশ করে একই কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম আমি আর সবুর । তখন আমরা বিন্দাস । কি সুখময় দিন ছিল আমাদের । সবুর ছিল শূন্যে ভাসমান সবুজ টিয়া, আমি হয়তো মধুভরা রক্তজবা । একদিন এক রঙিন প্রজাপতি এসে বসতি গড়েছিল আমাতে । প্রজাপতির নাম ছিল মৃদুলা ।
মৃদুলার সাথে আমার সম্পর্কটা বেশ খোলামেলা ছিল । সম্পর্কের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারিনি আমরা । খুব তাড়াতাড়িই আমাদের কথা জেনে গিয়েছিল সবাই । আমার পরিবারে খুব বেশি সমস্যা হয়নি কখনো । সমস্যা হয়েছিলো প্রজাপতির । অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছিল তার । সেই দিনগুলোতে বিধ্বস্ত ছিলাম আমরা । এখানেও আমাদের সেতু বন্ধন সবুর । তারপর গোপনে বিয়ে করেছিলাম আমরা । তখন আমাদের জন্য কি না করেছে । বর্ষার ভালবাসাপূর্ণ হৃদয় ছিল । আমার ছিল শূন্য পকেট আর সবুরের পূর্ণ হৃদয় । সবুরের টাকায় কেনা বেনারসিটা এখনো আছে বর্ষার কাছে । বিয়ের দিন বর্ষাকে উদ্দেশ্য করে সবুর একটি কথা বলেছিল-
-তুমি আমার ধর্মের বোন । আজ থেকে পাগলটার দায়িত্ব তোমার । দেখে রেখো, বড্ড অভিমান ওর ।
এরপর হঠাৎ একদিন নিরুদ্দেশ হয়ে গেল সে । তারপর কত খুঁজেছি, সন্ধান দিতে পারেনি কেউ । সেই সবুরকে বর্ষা ভুলে গেলো ! আচ্ছা আমিই কি মনে রেখেছি, কই অন্তরজ্বালাতো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ? গতকাল সবুরের সাথে কথা বলে অনেককিছু জানতে পারলাম । বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে আমাকে একটি কথা বলেছে সে
-ছোটভাই ভার্সিটি চান্স পাইছে দোয়া রাইখো ।
সবুরের বাপ হারু নাপিত এখন পরবাসী । সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিটি সে । বাবার পুরনো ব্যাবসাটার উত্তরসূরি হয়েছে সবুর । এখন বুঝতে পেরেছি-ঐদিন কেন গৃহত্যাগী হয়েছিলো সবুর । কেনইবা অসময়ে পড়াশোনায় ইস্তফা তার । একজন সবুর শিক্ষিত হলে হয়তো সবুর সদৃশ ছোট সবাই অশিক্ষিত হতো । আমাদের সবুর ঐশ্বর্যশালী, মনে ওর হিরামুক্তোর মোহর বাঁধানো ।
রাতটা এখন শেষ প্রায় । হয়তো আযান হবে একটু পর । চাঁদটাও বিদায়ের প্রহর গুনছে । সামনে আমার বি সি এস ভাইভা পরীক্ষা । আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীতে সবচেয়ে ঐশ্বর্যবান ব্যক্তিটি কে- আমি হয়তো নির্দ্বিধায় সবুরের নামটা বলে দেব ।