বিবর্ণ পাতা
"ঝরা পাতা গো আমি তোমারি দলে।"
আজকাল তৃষিতার প্রায়ই মনে হয় কথাটা। মনের ক্লান্তি যেনো কাটতে চায় না। প্রায়ই কাজ
সারা হয়ে গেলে মনে মনে বলে রবি ঠাকুরের গানের একটা লাইন- ‘আমার হলো সারা‘।
তৃষিতার জীবনে প্রেম এসেছিল তার সেই ছোট্ট বেলায়। যখন ওর বয়স ১৩ বছর। বাবা, কাকা
, জ্যাঠারা মিলিয়ে বিরাট জয়েনট ফ্যামিলি। একান্নবর্তী পরিবার। খুড়তুতো জাড়তুতো ভাই
বোন মিলিয়ে অনেক বড়ো ফ্যামিলি। তার মধ্যে কেমন করে যেনো জীবন সোমের সঙ্গে পরিচয় হয়ে
গেলো তৃষিতার। সেই ভালো লাগার থেকে প্রেম- গভীর প্রেম। তৃষিতার থেকে বয়সে বেশ কিছুটা
বড় জীবন ওকে একদিন এ বিষয়ে জিগেসও করেছিলো। ‘এটা কি ঠিক হচ্ছে?‘ ‘কোনটা।‘ ‘তোমার
আর আমার বয়সের এতো ডিফারেন্স!‘ ‘আমার তো কিছুই মনে হয় না?‘ তৃষিতা বলল। সত্যি বলতে
কি জীবন সোম অতি সাধারণ একটা ছেলে। ওর মধ্যে প্রেমে পড়ার মতো কি পেয়েছিলো তৃষিতা! হ্যাঁ,
কথা বলতে পারতো জীবন। জমিয়ে দিতে পারতো ঘরোয়া আড্ডা। সেটাই তো সব নয়। জীবনের চলার জন্য
দরকার একটা স্টেডি ইনকাম। সেখানেই তো সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। বাবা মা ভালোবাসার ধন একমাত্র
মেয়েকে ওরকম পাত্রে কিছুতেই বিয়ে দেবেন না। সেটা ওরা দুজনেই জানতো। সুতরাং অপেক্ষা
করতেই হবে তৃষিতার ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত।
ধীরে ধীরে কখন সময় পার হয়ে গেছে। জীবন সোম যথারীতি বিয়ে করে অন্য কোথায় যেনো চাকরী
নিয়ে চলে গেছে। তৃষিতার জীবনের প্রথম প্রেম কুঁকড়ে মৃত। বাইরের থেকে কেউ তা টের পায়
না। তৃষিতা মনে মনে মৃতপ্রায় হয়ে আছে। খাওয়া দাওয়ায় রুচি নেই। দৈনন্দিন কাজ কর্ম যেটুকু
করতে হয় করছে। তার মনোবেদনার বহি:প্রকাশ নেই বললেই চলে। কিন্তু চেহারায় অসম্ভব পরিবর্তন
এসেছে। অল্প বয়সে একেবারে বুড়োটে হয়ে গেছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাবা মা চলে গেছেন। জীবনের বসন্ত বেলায় যেন বিবর্ণ ঝরা পাতা হয়ে
গেছে সে। বড়ো তিন তলা বাড়ীতে নীচের দুটো তলায় পুরনো দিনের সামান্য টাকার ভাড়াটে আর
তিন তলাটা তৃষিতা একা থাকে ওর জন্মেরও আগে থেকে আছে সেই কাজের মাসীকে নিয়ে।
মাঝে মাঝে ভাড়াটে পাল্টায়। তৃষিতা কিছুই বোঝে না। ওর বাবার আমলের কাজের লোক হরেন জ্যাঠা
সব দেখাশুনা করেন। তবে আজকাল আর জ্যাঠা মশাই এর শরীরে কুলোয় না। ওনার ছেলেই সব কিছু
দেখাশুনা করেন। ওদের পাতিপুকুরের জয়েন্ট বাড়ীর ওর অংশে ভাড়া বসানো, ভাড়াটে উঠে গেলে
বাড়ী রিপেয়ার করে আবার ভাড়া দেওয়া, ব্যাঙ্কের কাজ থেকে যাবতীয় কাজ করে দেয় সামান্য
অর্থের বিনিময়ে। ওর বাবার সময় থেকে এই সিস্টেম চলে আসছে। তৃষিতার বাবা মেয়ের জন্য
বেশ ভালো অঙ্কের টাকা ফিক্স করে রেখে গেছেন। দুটো বাড়ীতে ভাড়াটে বসানো থেকে যাবতীয়
বাইরের কাজ হরেন জেঠুর ছেলে সনাতনদা করে থাকেন। কেমন যেনো ভোলা-ভালা নির্বিবাদী ভালো
মানুষ গোছের চেহারাটা।তৃষিতা কে দিয়ে কোনো কিছু সই করাতে হলেও যেন লজ্জায় মরে যায়।
এহেন সনাতনকে একদিন ডাকিয়ে পাঠিয়ে তৃষিতা বলল, নীচের তলায় নতুন যে ভাড়াটে এসেছে,
তাকে উঠিয়ে দিতে হবে। ‘কেন মা, ওরা কি কিছু করেছে? ‘সনাতন প্রশ্ন করে। তৃষিতা বলে,
‘না, তেমন কিছু নয়। ওদের ২ মাস নোটিস দিয়ে উঠিয়ে দিন‘। সনাতন বলল ‘যে আজ্ঞা।‘ তার
পরদিন সকালে কে একজন দেখা করতে এসেছে বলল কাজের মাসী। পাঠিয়ে দাও। বলে বসার ঘরে গিয়ে
বসলো সে। অনাহুতর মতো সামনে এসে দাঁড়ালো জীবন সোম। কি বুড়ো কোলকুঁজো চেহারা হয়েছে তার।
এমনিতে সুন্দর সে কোনো কালেই ছিলো না। তারপর বোধহয় অভাব অনটন তাকে এমন করে তুলেছে।
তৃষিতাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো সে। তৃষিতার জন্ম ও বড়ো হওয়া পাতিপুকুরে। সেখানেই
জীবন সোমের সঙ্গে দেখা হওয়া, প্রেম, ইত্যাদি সব কিছুই।জীবন সোম ওর জীবন থেকে চলে যাবার
পরে তৃষিতার বাবা লেকগার্ডেন্স এর দোতলা বাড়ীটা তিনতলা করে চলে আসলেন ফ্যামিলি নিয়ে।
এখানেই ওনারা দেহত্যাগ করেন। এতো সব কথা জীবন সোমের জানবার কথা নয়। তাই সে হতবাক হয়ে
গেলো তৃষিতা কে দেখে। আর সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলো বাড়ী ছেড়ে দিতে বলার কারণটা। কি বলবে
সে, কোথা থেকে বলবে, কতোটা বলবে, কিছুই বুঝতে পারছিলো না জীবন। যদিও আমরা জেনেছি জীবন
সোম জমিয়ে দিতে পারে মজলিস কথা বলে..
অন্য দিকে তিন তলার টানা বারান্দা থেকে তৃষিতা জীবনকে বাড়ীতে ঢুকতে বেরুতে দেখেছে বহুবার
এ কদিনে। বুঝতে পেরেছে হয়তো না জেনেই এই বাড়ীটা ভাড়া নিয়েছে জীবন। আর জীবন বোধহয় বুঝতে
পারেনি এখানেই তৃষিতাও থাকে। তাহলে আর্জি নিয়ে সোজা তৃষিতার দরবারে দরবার করতে চলে
আসতো না। কিছুটা সময় বিব্রত থেকে জীবন বল্ল- বুঝতে পারছি তুমি এই বাড়ির মালিক। পাতি
পুকুর ছেড়ে .. আসলে এই বাড়ীটা ভাড়া নিয়ে ছিলাম - কাছেই আমার ছেলে মেয়ের স্কুল, সুবিধা
ছিল এই বাড়িতে থাকাটা। তাই এসেছিলাম বলতে-
তৃষিতা বল্ল- আসলে চিন্তা করে দেখলাম, ওই ফ্ল্যাটটা আমার চাই- এখানে আমি প্রেমে উপেক্ষিতা,
প্রভৃতি বিবিধ অসুবিধা সম্পন্না নারীদের রেখে তাদের স্বনির্ভর হবার শিক্ষা দেবো। ২
মাসের মধ্যে বাড়ী খালি করে দিতে হবে। জীবন আর দাঁড়ালো না। মাথা নীচু করে বেরিয়ে চলে
গেলো। তৃষিতার মুখে একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো।
যথা সময়ে জীবন সোম বিনা বাক্যব্যয়ে মোটঘাট নিয়ে বাড়ী খালি করে চলে গেলো। তৃষিতা
কখনও হাসে- কখনও কাঁদে। কেনো কাঁদে তা বলতে পারবো না। নীচের ফ্ল্যাট যথাযথ পরিষ্কার
করে চাবি নিয়ে দিতে আসলো সনাতন মালিককে। সেই সঙ্গে মুখ বন্ধ খামে একটা মোটা চিঠি যেটা
বাড়ী ছাড়ার সময় ভাড়াটে দিয়ে গেছে তার হাতে। খুব অবাক হয়ে তৃষিতা খুলল চিঠিটা সনাতন
চলে যাবার পরে।
অনেক বড়ো চিঠি। কএক পাতার। এক বার, ২ বার, ৩ বার পড়তেই থাকলো সে। অবশেষে চোখের জলে
বুক ভাসিয়ে স্থির ভাবে জানলা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে রইল স্তব্ধ হয়ে। সন্ধে
নামলো। কাজের মাসী ঘরের লাইট জ্বালিয়ে জিগেস করলো কি খাবেন এখন। ‘কিছু না‘ বলল তৃষিতা।
মনে মনে গুমরে গুমরে মরতে লাগলো সে। ভাবছে এমন কতো কী কথা থাকে যেটা না বললে অনুমান
ও করা যায় না। উচ্চ শিক্ষিত বিলেত ফেরত তার বাপি মামনি আজ এক মিনিটের মধ্যেই এক অর্ধ
শিক্ষিত ছেলের কাছে কতো ছোটো প্রতারক হয়ে গেলো। কেনো পড়তে গেলো এই চিঠিটা তৃষিতা। না
পড়লে অপ্রকাশিত নির্মম সত্য উদ্ঘাটিত হতো না তার চোখের সামনে। তার ছলনাময়ী বাপি আর
মামণির কদর্য রূপ চোখের সামনে আজ প্রকাশ পেতে না। তৃষিতা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে উঠে বারান্দায়
এসে দাঁড়ালো।
রাত্রি নামলো। মনের মধ্যে একরাশ অভিমান আজ বাপি মামণির বিরুদ্ধে। আজ তারা নেই। ‘কেনো
করতে গেলে এসব তোমরা। তোমাদের এতো ছোটো হয়ে যাওয়াটা যে আজ আর মেনে নিতে পারছি না মামণি!‘
তৃষিতা যখন তন্বী অষ্টাদশী হব হব করছে তার বয়স, ওর ভালোবাসার পাত্র হঠাৎই বলা নেই কওয়া
নেই রাতারাতি একটা বিয়ে করে চাকরী নিয়ে বাইরে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক চেষ্টা করেও
তৃষিতা বুঝতে পারে না এভাবে হঠাৎ কেন সে পালিয়ে গেলো। তৃষিতার মামণি বাপি বললেন, বিলো
স্টাণ্ডার্ডের ছেলেরা এ রকমই হয়। সে নিজেই দেখে শুনে প্রেম করেছে, কতো স্বপ্ন দেখেছে
দুজনে, আর আজ কোন পাপের শাস্তি দিয়ে কোথায় গা ঢাকা দিলো জীবন সোম। নিজের ভিতরে কুঁকড়ে
গিয়ে মরমে মরে রইল যেনো তৃষিতা। ওর বাপি মামণি এর পর থেকে পড়াশুনা, বিয়ে তে উত্সাহ
দিয়ে চলেছেন। ও পারলো যদি তুই কেন বিয়ে করতে পারবি না। তৃষিতা তার অসম্ভব ভালোবাসাকে
মেরে ফেলতে পারে নি।
জীবন সোম লিখলো- "প্রথম থেকেই জানি তোমাদের আর আমাদের অবস্থার আকাশ পাতাল পার্থক্য।
সব দিক থেকেই তোমার অযোগ্য আমি। তোমাকে বহুদিন বহুবার বলেওছি সেকথা। আমি তোমার থেকে
বয়সে খানিকটা বড়ও। সেটাও তোমাকে সাবধান করেছি। তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম। সেটাই
আমার জীবনের চরমতম দুর্বলতা। কেউ যেনো না বলে আমি বড়লোকের মেয়েকে বঁড়সিতে গাঁথতে চেয়েছি।
তাই শত কষ্টের মধ্যেও ইন্জিনিয়ারিং পড়তে আরম্ভ করি নাইট কলেজে। সারাদিন নানা কাজ করে
জীবিকা নির্বাহ করতে থাকি। কিন্তু কখনো তোমার বাবার কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাইনি। অবশেষে
তোমার বয়স যখন ১৮ ছুঁই ছুঁই করছে, তখন এলো সেই চরম দিন। বলতে খারাপ লাগছে, তোমার বাবার
চাতুরী আমরা ধরতে পারিনি। অযাজিত হয়ে উনি আমার একমাত্র বোনের বিয়ে খুব বড়ো ঘরে ঠিক
করলেন। দেনা পাওনা নিয়ে কোনো কথাই বলতে দিলেন না। আমরা নিশ্চিত হলাম হয়তো বড়ো ঘরের
উদারতা বা বড়ো খেয়াল ভেবে। বিয়ের দিন দুপুরে মেয়ের বাড়ী থেকে এখনো দাবি দাবা কিছুই
পাঠালো না বলে ছেলের বাড়ী থেকে লোক পাঠিয়ে জানানো হলো, এ বিয়ে তবে তারা দিতে পারবে
না। তখনও তোমার বাবা পরিত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে এলেন। বললেন- ‘ভালো হয়েছে এখানে বিয়ে
না হয়ে। মেয়েকে হয়তো কষ্ট দিতো বিয়ের পরে। এ বিয়ে ভেঙে দিচ্ছি। এখনি যে কোনো ভাবে
পাত্রস্থ করবো একই লগনে তোমার বোনকে‘। সে কি একটা টেনশানের দিন যাচ্ছে- আজ সে কথা ভাবতেও
পারবেনা। অবশেষে সন্ধ্যা লগনে বিয়ের উপযুক্ত পাত্র পাওয়া গেলো। পাল্টি ঘর। অবস্থা মোটামুটি।
কিন্তু না বলা কিছু কথাবার্তা গোপনে আমার বাবাকে বলেছেন তোমার বাবা ততক্ষণে- যথা সময়ে
বিয়ের সময়ে আমার আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে বললো পাত্রের বড় দিদি আছে। তার বিয়ে না হলে
তো ছোটো ভাই এর বিয়ে দেওয়া যায় না। ঠিক হলো একই লগ্নে ভাই আর বোনের বিয়ে হবে। তোমার
বাবা দয়া পরবশ হয়ে ওনার বন্ধুর অফিসে কলকাতার বাইরে বহু দূরে আমার চাকরী ঠিক করে দিলেন।
সেখানে এক চিলতে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে টিকিট কেটে পরের দিন লোক গিয়ে আমাদের ট্রেনে
চাপিয়ে দিয়ে আসলো । এই হলো আমার বিয়ে আর চাকরী পাবার ইতিকথা।
তারপর কর্মক্ষেত্রে গিয়ে জানতে পারলাম আমার স্ত্রী ৯০ শতাংশ বিকলাঙ্গ। (অবশ্য আগেই
বিয়ের সময়ে সবটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিলো। আর কিছুটা অনুমান করেছিলাম আগেই।
কিন্তু বোনের মুখ চেয়ে চুপ করে থাকাই স্থির করেছিলাম।) তার হাত পা পূর্ণাঙ্গ নয়। বসে
শুয়ে কোনোও রকমে গড়িয়ে গড়িয়ে চলাফেরা করে।
সেই থেকে সারা জীবন জীবনের ভার বয়ে চলেছি।
কারুকে দোষ দিই না। তবে আমার মালিক সত্যিকারের সদাশয় মানুষ। কর্মক্ষেত্রে কাজ দেখিয়ে
উন্নতি করেছি। ওনার দয়ায় ইন্জিনিয়ারিং পাশও করেছি। আজ ওনার দয়ায় কলকাতায় একটা ডিপার্টমেন্টের
দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বাচ্ছা দুজনে খুব মেধাবী আর নরম্যাল। ভগবানের আশীর্বাদে আজ আমি
সফল।
কিন্তু তোমাকে দেখে আমার খুব খারাপ লাগলো। তোমার চেহারা খুব খারাপ হয়ে গেছে। সাবধানে
থাকো। যত্নে থাকো। আমি ধর্মপ্রাণ মানুষ। তোমার সঙ্গে আর আমার যেনো কোনো দিন কোনো অবস্থাতেও
যোগাযোগ না হয় । আমার স্ত্রীকে ভগবান যেমন দিয়েছেন, তেমনি মাথা পেতে ভগবানের দান হিসেবে
গ্রহণ করেছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত স্বামীর কর্তব্য পালন করে যাবো। কারোর ওপর আমার
কোনো অভিযোগ নেই। আমার বোনও সুন্দর সংসার ধর্ম পালন করছে।
ভগবানের চরণে নিবেদন, তিনি তোমাকে সুখ আর শান্তি দিন।"
হাতে ধরা চিঠিটা কুটি কুটি করে ছিঁড়ে আকাশের দিকে উড়িয়ে দিয়ে কখনো হেসে কখনও কেঁদে
বাপি মামনির উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গেলো তৃষিতাকে - "কি পেলে তোমরা? তোমরা হেরো!
দেখো! আজ জীবন সোমের জিত হয়েছে। তোমাদের বসিয়ে দেওয়া সংসার কে সে স্বর্গ বানিয়ে তুলেছে।
স্বর্গ। কি, আজ তোমরা দুজনে খুশি তো"?