করবী-মিষ্টি ও পাখিরা
সত্য ঘটনা ছোট করে তুলে ধরলাম আমার দুটি পুতুল দুষ্টু
ও মিষ্টি ছাদের আসে পাশে অনেক ছোট বড় নানান গাছ আছে- আমার ছাদে ও অনেক রকমের গাছ
আছে, পাখিদের মেলা
বসে রোজ। আমি মিষ্টিকে কোলে নিয়ে ছাদে যাই-হাতে ডায়েরি ও পেন থাকে, কখনো পাখিদের মেলা দেখি আবার কখনো মিষ্টি কে পাশে বসিয়ে গল্প করি কখনো
মিষ্টি কে বলি কথা বলবিনা মিষ্টি আমি এখন লিখবো- সে চুপ করেই থাকে-কখনো কখনো পড়ে
যায়। কিছু যেন বলতে চায়- আমি বুঝতে পারি, কেননা মিষ্টির
সাথে আমি বেশির ভাগ সময় থাকি, মিষ্টি কে বলি কথা
বলবিনা-তাহলে তোকে আর ছাদে আনবো না.... ঘরে রেখে আসবো, আমি
লিখছি-হঠাৎ কিচির মিচির শব্দ আমার কানে এলো-তাকিয়ে দেখি কাক ও ঘুঘু-ওরা দু'জনে প্রণয় করছে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে। রোজই করে দেখে আমার প্রাণ জুড়িয়ে
যায়, দুটি পাখির খুব মিল ছিলো-কোথা থেকে এক টুনটুনি
এলো-এসে ওদের প্রণয়ে বাঁধা সৃষ্টি করলো। টুনটুনি ঘুঘুটিকে দেখতে পারতো না-এটা
কিন্তু কাকটি বুঝতে পারতো কিছু বলতো না, এক দিন টুনটুনি
ঘুঘুটিকে ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে ঠুকরে-বুক থেকে রক্ত পাত করে ছাড়লো... কিন্তু ঘুঘুটি-কাক
ও টুনটুনিকে খুব ভালোবাসতো-কিছু করলো না সহ্য করলো। কাকটি কিন্তু পাশ থেকে দেখলো
কিছু বললো না, কাক তখন অন্য পাখিদের সাথে প্রণয় খেলায়
ব্যস্ত ছিলো... একবারের জন্যও কাছে এলো না-ঘুঘুটি যন্ত্রণায় ছট্ ফট্ করছে-দেখে
আমার ও মিষ্টির খুব কষ্ট হলো। কি স্বার্থপর কাক-ওর স্বার্থ মিটে গেছে তাই অন্য ছোট
বড় পাখিদের সাথে প্রণয় খেলা, টুনটুনি এক ছোট্ট পাখি-ভয়ে
ভয়ে থাকার কথা-কত বড় দুঃশ্চরিত্রহীন কাকটির সঙ্ঘই ছাড়েনা। আমি মিষ্টি কে কোলে
নিয়ে-হাতে একটা লাঠি-নিয়ে কাকটিকে তাড়ালাম.. কোন দিন তোকে দেখলেই লাঠি দিয়ে
তাড়াবো-তোকে দেখতেই চাই না, তোর চরিত্র ভালো না-তুই প্রণয়
কে অসম্মান করেছিস। পরের দিন গিয়ে দেখি একা বসে আছে-আমার দিকে ও মিষ্টির দিকে দু'একবার তাকালো-তার পর কাকটি চলে গেলো.... আমি ও মিষ্টি বসে গল্প
করছি-আমার চোখ দিয়ে একটু জল গড়িয়ে পড়লো, ঘুঘুটির কথা
ভেবে। মিষ্টির ছোট্ট ছোট্ট হাত দিয়ে আমার চোখ মুছে দিলো-বললো কেঁদোনা করবী ওদের
কথা ভেবে তুমি চোখের জল ফেলছো, বুঝেছি তোমার খুব কষ্ট
হচ্ছে, আজ রাতে তোমার মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে
দেবো-আমি ঘুমাবো না, মিষ্টি হলো আমার পুতুল।