স্বপন আর স্বপনের বৌ
মিনু বিড়ি বাঁধত বাড়িতে । সেই থেকেই ওরা একদিন বাড়িতেই বিড়ির কারখানা খুলল ।
কয়েকজন বিড়ি-শ্রমিক এসে
যোগ দিলো তাতে ।
প্রবীণ বিড়ি-শ্রমিক নিতাই বলল মালিক স্বপনকে,’’আগের মালিক আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে । আশা করি তুমি তা করবে না ।‘’
শুনে স্বপন হাসল ।
হেসে উত্তর দিলো,’’আমি আর আমার বৌ অনেক অন্ধকার পেরিয়ে এসেছি । আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন আমাকে নিয়ে ।‘’
শুনে খুব খুশী নিতাই আরও কয়েকজন শ্রমিক ।
প্রবীণ বিড়ি-শ্রমিক নিতাই বলল মালিক স্বপনকে,’’আগের মালিক আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে । আশা করি তুমি তা করবে না ।‘’
শুনে স্বপন হাসল ।
হেসে উত্তর দিলো,’’আমি আর আমার বৌ অনেক অন্ধকার পেরিয়ে এসেছি । আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন আমাকে নিয়ে ।‘’
শুনে খুব খুশী নিতাই আরও কয়েকজন শ্রমিক ।
চার বছরের মধ্যে
স্বপন প্রচুর আয় করলো । ওর বড় বাড়ি হল । একটা চার-চাকার
গাড়ি হল । তার সাথে স্বপন একটু অপছন্দ হলেই শ্রমিক ছাটাই করতে শুরু করলো । ওর
প্রকোপে নিতাইও পড়লো । তার বিদায়ের দিন এলো । স্বপনের সামনে বিষণ্ণভাবে দাঁড়িয়ে
থাকলো সে ।
‘’কিছু বলবেন
আমাকে ? এছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না । আপনি কারখানার
মধ্যে দলবাজি করছেন ।‘’
স্বপন একথা বললে নিতাই উত্তর দিলো সখেদে,’’তুমি সেই স্বপন না ? অনেক অন্ধকার পেরিয়ে এসেছ বলেছিলে । তাই না ? আসলে মালিক হয়ে গেলে সবাই সব কথা ভুলে যায় । এ তোমার দোষ না গো । শ্রমিকের অদৃষ্টের দোষ । সেদিনের শ্রমিক এভাবেই প্রতিশোধ তোলে আজকের শ্রমিকের ওপর । অন্য মালিকরা তোমাদের বন্ধু হয় । আসি । আরও বড় হও ।‘’
স্বপন একথা বললে নিতাই উত্তর দিলো সখেদে,’’তুমি সেই স্বপন না ? অনেক অন্ধকার পেরিয়ে এসেছ বলেছিলে । তাই না ? আসলে মালিক হয়ে গেলে সবাই সব কথা ভুলে যায় । এ তোমার দোষ না গো । শ্রমিকের অদৃষ্টের দোষ । সেদিনের শ্রমিক এভাবেই প্রতিশোধ তোলে আজকের শ্রমিকের ওপর । অন্য মালিকরা তোমাদের বন্ধু হয় । আসি । আরও বড় হও ।‘’
নিতাই যখন ধীর-পায়ে চলে যাচ্ছে,তখন
স্বপনের বৌ মিনু এসে তার পা চেপে ধরল । কান্না শুরু করলো । দেখে অবাক স্বপন ।
বলল,’’আরে,কী হল তোমার ?’’
তখন মিনু চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলল স্বপনকে,’তুমি নিজের বাবাকে খেতে দাওনি । বিনা চিকিৎসায় তাকে মেরেছ । নিতাইকাকু তোমার বাবার মতো । পাপের প্রায়শ্চিত্তের সুযোগ ছেড়ো না ।‘’
হঠাৎ স্বপ্নের চোখের সামনে ভেসে এলো বাবার শেষের সেদিনের কথা । বড় বিষণ্ণ সে মুখ । অথচ চোখেমুখে তার ক্ষমার আভাস । স্বপন সেভাবে কিছুই বুঝতে পারেনি । শুধু ব্যস্ততা দেখিয়েছে তার কারখানার কাজে । কারখানা থেকে ফিরেই দেখে,বাবা আর নেই ।
সাথে-সাথে স্বপনের দু’চোখ জলে ভরে গেলো । নিতাইকে বুকে চেপে ধরে বলে উঠলো,’’সেই সুযোগ আমি পাবো তো ? কতদিন পর আবার আজ আপনি আমার বাবার কথা মনে করিয়ে দিলেন আমাকে ।‘’
বলল,’’আরে,কী হল তোমার ?’’
তখন মিনু চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলল স্বপনকে,’তুমি নিজের বাবাকে খেতে দাওনি । বিনা চিকিৎসায় তাকে মেরেছ । নিতাইকাকু তোমার বাবার মতো । পাপের প্রায়শ্চিত্তের সুযোগ ছেড়ো না ।‘’
হঠাৎ স্বপ্নের চোখের সামনে ভেসে এলো বাবার শেষের সেদিনের কথা । বড় বিষণ্ণ সে মুখ । অথচ চোখেমুখে তার ক্ষমার আভাস । স্বপন সেভাবে কিছুই বুঝতে পারেনি । শুধু ব্যস্ততা দেখিয়েছে তার কারখানার কাজে । কারখানা থেকে ফিরেই দেখে,বাবা আর নেই ।
সাথে-সাথে স্বপনের দু’চোখ জলে ভরে গেলো । নিতাইকে বুকে চেপে ধরে বলে উঠলো,’’সেই সুযোগ আমি পাবো তো ? কতদিন পর আবার আজ আপনি আমার বাবার কথা মনে করিয়ে দিলেন আমাকে ।‘’
তারপর দেখা গেলো
তিনজনের চোখের জল দেখে বুঝি আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমে গেলো । অনেকক্ষণ তিনজন মিলে
বৃষ্টির জলে ভিজতে থাকলো ।