আমি শুধু
একটু সময় চুরি করেছি।মনের দুটো কথা কলমের আঁচড়ে শব্দর বুননে খাতায় আঁকব
বলে।মল্লিকা আমায় সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে যেতে বলে। কোন একটা বিষয় পেলে আমি নাকি
না কচলে ছাড়ি না। এ সবই আমার রোগ। অপদার্থ ঠাওরায় আমাকে ও আমার সাহিত্যকে। কখনও
ছাপা হয়নি কিনা। এটুকু বোঝে না সব লেখকই কোন না কোন সময় অনাবিষ্কৃত ছিল।এমন ভাবে
শুয়ে বিছানার পাশের টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে আমি লিখি; মল্লিকা ঘুমালে।
আঃ! ঘুম পেয়ে গেল; কটা বাজে? বাবা.....দুটো!
"দিন যায়.......ক্ষণ যায়........সময়
কাহারো নয় বেগে ধায় নাহি রহে স্থির, সহায় সম্পদ বল,
সকলি ঘুচায় কাল আয়ু যেন শৈবালের নীর!"
কার লেখা?
ধুর ছাই কোন ছোটবেলায় পড়েছি মনে থাকে। মল্লিকাকে জিজ্ঞাসা করি;মল্লিকা এই মল্লিকা;সত্যি
বাবা ঘুমাতে পারে;মেয়ে
কুম্ভকর্ণ।
একি বিছানায় মল্লিকা নেই ? এত রাতে
আবার গেল কোথায় ?
আগে একটা
সিগারেট ধরাই তারপর দেখেছি।সিগারেটের প্যাকেট টা আবার কোথায় গেল;এইতো বালিশের তলায় রেখেছিলাম।এখন দেখছি সিগারেট লাইটার কোনো কিছুই নেই। আঃ
জিনিসপত্র সব যায় কোথায় কে জানে।আচ্ছা মল্লিকা কি মেয়ের কাছে ?
দেখি যাই.....।
কাণ্ড
দেখেছো;বই খোলা;আলো জ্বলছে;মেয়েটা
দরজা ভেজিয়ে ঘুমাচ্ছে।মেয়েটা হয়েছে মায়ের মত........ঘুমকাতুরে;আরে বাবা ঘুম পেয়েছে তো ঘুমা;বই বন্ধ কর....লাইট অফ
কর। এদিকে ইলেকট্রিকের বিল দিতে দিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত।কদিন অন্তর অন্তর দেখি ঐ মোড়ের
মাথায় একদল লোক চোঙা ফোঁকে;বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজকের সমাবেশ সফল করে তুলুন।তারপর কাগজে
ধরে বেঁধে জনগণের স্বাক্ষর।পাশ কাটিয়ে যে পালাতে না পারে তিক্ততার ভঙ্গিতে একটু
কলম নেড়ে দেয়।হ্যাঁ চোঙা ফুঁকতে ফুঁকতে যখন গলা চিরে যায়;জিভ শুকিয়ে আড়ষ্ট হয়ে আসে;রাস্তার কলের দুই ঢোক জল খেয়ে চোঙা খুলে বাড়ি গিয়ে ঘুমায়।মনে মনে ভাবে
ভিমরুলে কামড়ে ছিল নাকি;এই মরার
দেশে প্রাণ খুঁজে বেড়াচ্ছি। ওদিকে ফলাও করে নিয়মিত টিভিতে উঁকি দেয় বিজ্ঞাপন।
বিদ্যুৎ চুরি দণ্ডনীয় অপরাধ।পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা এমনকি পাঁচ বছরের জেল অবধি
হতে পারে।হুকিং এর অভিযোগে এই তো আমাদের ফ্লাটের সামনের বস্তি থেকে টিভি,
পাখা খুলে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। কয়েকজন কে ধরেও নিয়ে
গিয়েছে নাকি।তবে এই সব হুড়কোর ব্যবস্থা শুধুমাত্র চুনোপুঁটি দের
জন্য।রাঘববোয়ালরা সত্যিই কি জালে ধরা পড়ে? আর ধরা পড়লেও পুঁটি মাছের নরম সুতোর জলে তাদের ধরে রাখার ক্ষমতা নেই।যাকগে.... এখনকার সোজা সমীকরণ হল; দেখ, শোন,
কিন্তু, বোঝার চেষ্টা টি বাপু করোনা।তাহলে কপালে কালী নাচবে।বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে কূল
কিনারা করতে পারছি না.....তা আবার ......এই করে
করেই তো দেশটা গেল;সব শালা আমার মত আখেরটা ভাবে।সমাজে থাকব অথচ সমাজ সংস্করণ করব না।ধরি মাছ না
ছুঁই জল।যে ঘরে থাক সে ঘরটা ঝাঁট না পড়লে ধুলো এসে জমবেই বাবা।জমছে কারো হুঁশ
নেই।
এই আমার একটা দোষ;
বড্ড পেঁচাল পাড়ি।
কি চলছে মোবাইলে ওটা?
পর্নোগ্রাফি !!
শ্রেয়া তুই ......!
অনেক বড়----হয়ে গেছে। আজকালকার ছেলে মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়!তাই না।
টিভিতে কাঁটা লাগা সর্বদাই চ্যানেল ঘুরলেই। দেহ দেখিয়ে ব্যবসা। বাপ ছেলে মেয়ে
একসাথে বসে দেখার দিন নেই।এম টিভি, জিটিভি চোখ মেলে রয়েছে মাথাগুলো চিবোবে বলে।বুঝতে পারি ওদের নেশায় আচ্ছন্ন
করা হচ্ছে। ....পত্র
পত্রিকায়, পোস্টারে পার্কে, বাসে-ট্রামে,
ঘরে বাইরে সর্বত্র রয়েছে এই দেহাত্মবাদের পসরা
সাজানো।শিক্ষা? শিক্ষা
এদের এতই দুর্বল যে বর্ম হতে পারে না। শ্রেয়ার মত ছেলে মেয়ে গুলোকে তাই আগুনের
শিকার হতে হয়েছে।ওরা তো পতঙ্গের মত। আগুনের আলোতে উৎফুল্ল হয়ে ছুটে আসে। বোঝে না
আগুনের তাপে ঝলসে যাবে;কিন্তু
যারা বিষ ছড়াচ্ছে;চুরি করে
নিতে চাইছে তারুণ্য...উদ্দামতা.... সুস্থ
জীবনটাকে বিকৃত করে দিতে চাইছে; সেই সব চোর গুলোকে আমরা কি চিনি
না।চিনতে পারি না।একটি অসভ্যতার বিষ আমাদের শিরা ধমনী বেয়ে উঠে চলছে দিন দিন;আর সেই বিষ.....
আবার
হিমালয় প্রমাণ ভাবতে বসলাম।এই আমার এক বড় বদ অভ্যাস।সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে এড়িয়ে
চলা আমার পক্ষে একদম হয়ে ওঠে না। আসলে জীবনের প্রতিটি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালের মত
এত কথা জ্বলে ওঠে;যে থেমে
যেতে হয়।চেপে ধরে কথাগুলো;বিরক্ত
লাগে তবু মেনে নিতে হয় এই স্তব্ধতা কে।যেমন একটু আগে চেপে ধরেছিল শ্রেয়ার লুকিয়ে
লুকিয়ে বাজে ছবি দেখা; আচ্ছা
এটাও তো চুরি বলতে পারি?চুরি করে
দেখা। আমি যেন একটা কি! আসলে
অফিসে আমার ইম্পরট্যান্ট ফাইলটি চুরি যাবার পর থেকে সকলকে কেমন যেন চোর চোর মনে
হচ্ছে; নিজেকেও।ফাইল টা গায়েব করা হল।"ইট হ্যাভ ইনক্লুডে-ড লাস্ট টেন্ মান্থস জোন ওয়াইস সেলস রিপোর্ট।"কাজটা যে আমাদের মালিকই করছে সেটা আমরা সবাই জানি। কোম্পানির অডিটর
থেকে মাছি মারা কেরানিটি পর্যন্ত। কিন্তু কারো মুখ খোলার উপায় নেই।সকলে বোবা হয়ে
গিয়েছে।মালিকের সোজা কথা ;" যাদা হুঁশিয়ারি মত দেখাও।ফল খাও পেড় মাত গুনো।"আর এই ফল খেতে খেতে আমরা ফলিয়ে উঠছি।বাড়িতে ছেলে মেয়ে বউকে ফাঁকি।সব কাজ সামলে তাদের সময় দিতে পারিনা।পার্ট
টাইমার হিসেবে আরও দু জায়গায় হিসাবের খাতা দেখতে হয়। মানি মোর মানি। কি অসম্ভব
নেশা।ড্রাগের চেয়েও ভয়ঙ্কর। কি পাচ্ছি;না পাচ্ছি তলিয়ে দেখার প্রয়োজন নেই। জীবনের চাহিদা গুলো অনন্ত দিগন্তের মতো
সুদূর প্রসারী হয়ে উঠেছে।জীবনভর আস্ফালন করে চলেছি টাকার পিছনে।
আজকাল আরো
একটা নেশা চেপেছে মদ্যপানের।হালফ্যাশনের বাবু হওয়ার ঝোঁকে;
না মানসিক শান্তির প্রচেষ্টায়;ঠিক বলতে পারব না। মাঝে মাঝে পার্টিতে একটু আধটু চোনায় গলা ভেজাই।কখনো কখনো
রাতে দরজা বন্ধ করে বোতল খুলি। মল্লিকা বলে গুণ তোমার বাড়ছে দিন দিন।অথচ এই আমি
একদিন মদ্যপানের ঘোর বিরোধী ছিলাম।মানুষ কত পাল্টে যায় তাই না?এখন একটা যুক্তি খাড়া করেছি মনে মনে;হুইচ ডু, হোয়েন ডু,
হোয়ার ডু, হোয়াই ডু, এই
কথাগুলো মাথায় রেখে খেলে কোন দোষ নেই।দেবতারাও তো সোমরস খেতেন।
মল্লিকা বলে;তারা তো আর কিছু করতো উর্বশী...মেনকার সাথে ফষ্টিনষ্টি....সেগুলোও করো।
মানে
মদ্যপান টিকে সামাজীকরণ করে নিয়েছি।বাইবেলের কোন পৃষ্ঠায় যেন দেখেছিলাম মদকে
ওষুধের মত গ্রহণ করলে অধর্মাচরণ হয় না।মানে বলতে চাইছি সংস্করণে অতি গর্হিত বস্তু
বা ব্যক্তি সমাজের চোখে অনাচার থেকে আচারে পরিণত হয়।যেমন;
হিন্দুত্বের পুন: প্রতিষ্ঠা।ঐ যে কোন একটা দল ধরে ধরে হিন্দু ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া
মানুষ গুলোকে পুনরায় সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনছে না!সাধারণ
মানুষ হল জলের মত;যখন যে পাত্রে রাখবে তার আকার ধারণ করবে।মুঘল আমলে মুসলিম,ব্রিটিশ আমলে খ্রিষ্টান।আর এই আমলে.... ?
থুড়ি!সেকিউল্যার কান্ট্রি !ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।মধ্য কথা টা চুপি চুপি বলি জোর যার
মুল্লুক তার।দেখছেন না পৃথিবীর উপর মার্কিনী ছড়ি ঘোরানো; সাদ্দামের বিচার করবে
তারা।রাষ্ট্রসংঘ?তুড়িতে
উড়ে যাবে।
এই আমার
একটা দোষ অহেতুক পেঁচাল পাড়ি বড্ড। মল্লিকা তাহলে নিশ্চয়ই বুবুনের ঘরে;বুবুনের ঘুম আসছে না বলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।আলোটা নিভিয়ে দিই।
এ ঘরতো অন্ধকার তাহলে কি মল্লিকা
বুবুনের কাছে আসেনি?গেল কোথায়
?
সিগারেটের
গন্ধ বেরচ্ছে না?এই তো
টেবিলের উপর অ্যাস্ট্রেতে ধোঁয়া উড়ছে।এই তো সিগারেটের প্যাকেট টা,
এইতো মিউজিকাল লাইটার।বুবুন আজকাল!
না বলে
অপরের জিনিস নেওয়া তো চুরি;এর কোন
দ্বিমত নেই।উঃ!একটা
সিগারেট ধরাই।লাইটারের এই মিউজিক টা আমার খুব ভালো লাগে।কিন্তু মল্লিকা কোথায় গেল; তবে কি ও
ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে;ঘুম আসছে
না বলে। দেখি।
ঐ তো ব্যালকনির
রেলিং-এ ভর দিয়ে মল্লিকা দাঁড়িয়ে।হাতে একটা বাঁধানো ছবি না!বেডরুমে
রাখা আমাদের বিয়ের ছবিটি?আজ কত তারিখ ?আমাদের
বিয়ের দিন নাকি আজ?না!সে তো কনকনে ঠাণ্ডার সময়।অফিসে সাইন করার সময় ডেট টা কত
লিখেছিলাম;কি বার আজ? বুধবার।সোমবার
কুড়ি তারিখ ছিল আজ বাইশে জুলাই; মাথার ভেতর টা ধপ ধপ করছে;চোখ দুটো কালো ছোট ছোট বিন্দুতে ভরে গিয়েছে।দূরদর্শনের বিদ্যুৎ হানি হলে যেমন
হয় আমাদের টিভি স্ক্রিনে।
বাহাত্তর
সাল; অশান্ত আবর্ত সঙ্কুল সময়;প্রেসিডেন্সি কলেজ;বি.এস.সি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র অনিরুদ্ধ;আমি আর মল্লিকা।কলেজ দাপিয়ে বেড়াতাম
তিনজনে। অনিরুদ্ধ ওয়াজ জিনিয়াস;যেমন গানের গলা;তেমন
লেখার হাত; আবার
ফুটবলের মাঠে অনিরুদ্ধই ছিল আমাদের স্কোরার।মল্লিকা বলত সারাজীবন তোমাকে হাঁদার
মতন গোলেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।অনিরুদ্ধ যখন একটার পর একটা গোল করে টিম কে এগিয়ে
নিয়ে যেত;আমি বুক পেতে গোল আটকাতাম।মল্লিকার
কথায় আমার রাগ হতো না।কারণ শত জন্মে আমি অনিরুদ্ধ হতে পারবো না।মল্লিকার সঙ্গে
অনিরুদ্ধর ভালবাসা ছিল;শ্রেয়া
এসে পড়েছিল পেটে।বাইশে জুলাই রাত একটায় পুলিশের গুলিতে মারা যায় অনিরুদ্ধ।
আচ্ছা
অনিরুদ্ধর মল্লিকাকে আমি চুরি করিনি তো ওকে জোর করে বিয়ে করে?কিন্তু এ ছাড়া আর কোন পথ ছিল না;মল্লিকা সুইসাইড করতে গিয়েছিল।ওর হাতের ছবিটা অনিরুদ্ধর।মাসখানেক আগে আমি কলেজ
স্ট্রিট থেকে বাঁধাই করে এনে দিয়েছি।
মল্লিকা
আজ ও অনিরুদ্ধ কে ভোলেনি।এমন করে আমার বুকে মুখ গুঁজে আর কত রাত মল্লিকা অনিরুদ্ধর
কথা ভেবেছে। তবে কি
আমার ভালবাসা চুরি করে মল্লিকা অনিরুদ্ধকে ভালবাসে?আজ আমার কেন যেন হিংসে হচ্ছে অনিরুদ্ধ কে;রাগ হচ্ছে মল্লিকার উপর;মল্লিকা ও চোর; চোর
মল্লিকা!
রাতের
কথাগুলো প্রায় ভুলেই বসেছিলাম।খবরের কাগজ খুলেই দেখি আমাদের শিল্পমন্ত্রীর
ছবি।জগন্নাথ মিত্র। জগাদা; আজকের
সরকারের মন্ত্রী।অথচ এই জগাদা আমাদের কত মন্ত্রণা দিত লড়াইয়ের।যাদের বিরুদ্ধে
ধিক্কার জানাতো মিছিলে আজ তাদের সাথেই হাত মিলিয়েছে। ক্যানসারের মতো পচে যাওয়া
সুবিধাবাদীর রাজনীতির স্তূপের উপর মন্ত্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে।কি সহজেই ভোল পাল্টে যায়;গিরগিটির মত বদলে যাই আমরা।সবকিছু কে ধান্দা বানিয়ে নিই।দেশ,
জাতি, মা, বাবা,
বন্ধু, প্রেমিকা, সব
সবকিছুকেই।
আমাদের
সাউথ জোনের অফিস উদ্বোধনের সময় জগাদা এসেছিলেন অতিথি হিসেবে।যেচে কথা বললাম।মাথায়
টাক পড়েছে; চেহারায়
বেশ চাকচিক্য এসেছে।আগে তো একটা বিড়ি দুটান অর্ধেক নিভিয়ে রেখে খেত।কোন একটা
ম্যাগাজিনে দেখেছিলাম কণিকা দিকে বিয়ে করেছে।বিয়েটা ও ধান্দা;
যুব নেত্রী হিসাবে কণিকাদির জগাদার চাইতে জনপ্রিয়তা ছিল
বেশি;সেটাকে কাজে লাগিয়ে ভোট
বাড়িয়েছে আর কি।আমাকে দেখে এমন একটা ভাব করল যেন ভুত দেখেছে।অনিরুদ্ধর কথা বলায়
বলল; কোন অনিরুদ্ধ ?যাদের লাশ কে সিঁড়ি করে আজকের গদিতে চড়ে বসলে তাদেরকে ভুলে গেলে?সব শালা চোর......চিটিংবাজ।
আচ্ছা
এভাবে কেন ভাবতে পারছি না;আমি যেমন
আত্মতুষ্টির জন্য চুরি করে লিখি ঠিক তেমনি আত্ম সন্তুষ্টির জন্যই অগরওয়াল সাহেব
অফিসে ফাইল সরিয়ে ফেলে;শ্রেয়া
লুকিয়ে লুকিয়ে বাজে ছবি দেখে;বুবুন সকলের অলক্ষ্যে সিগারেট খায়; মল্লিকা আজও অনিরুদ্ধকেই ভালবাসে।জগদা অনিরুদ্ধর প্রাণ চুরি করে আদর্শের মুখোশ
পরে মন্ত্রী হয়ে বসে। এ সবই আত্মতুষ্টির জন্য; আত্মার জন্য?নাকি ভোগ
সর্বস্ব দেহটার জন্য?আহার,
নিদ্রা আর মৈথুন যার মূল ব্রত।কাম,
ক্রোধ, লোভ, মোহ,
মদ, মাৎসর্য
ছটি রিপুর তাড়নায় যে প্রতিনিয়ত ছটফট করছে।
শুধু আবদ্ধতা। আর আবদ্ধতা?কিন্তু আত্মা মুক্ত; তার কোন
আবদ্ধতা নেই।সে সৎ, চোর
জোচ্চোর নয়; তাই না?