খুব
জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতেই একদিন চলে যাবো খুব ভোরে। মাটি তখন কুয়াশাভেজা ,জল মাখা ঘাস, শীতের ঘুমচোখ আহ্লাদে অর্ধেক
বোজা ।ভাসমান সংসারের বউটি উনুনে চিতই পিঠা বানাচ্ছে আর ধোঁয়ায় কিছুতেই তোমার মুখ
দেখছি না যাবার আগে আগে। তুমি কি জেগে? মনে পড়ে রাতে হলদে
মৃদু আলো জ্বলছিলো মাটির ল্যাম্পশেডে মাথার কাছে। আমি বুঁদ হয়ে একা কবিতা পড়লাম
।পড়তে পড়তে আরো একা হতে থাকলাম। ঝরা পাতার মত একা অথবা কি যে ভীষণ একা গীর্জার ঢং
ঢং ঘড়িটার মত। এভাবে এক ভোরে গীর্জায় ঘন্টা বেজে উঠতেই লিন্ডা চলে গেছিলো। সে
প্রতি রবিবার প্রার্থনায় যেতো।তার মা-বাবা ছিলো না। অনাথ সেই নিষ্পাপ সুন্দর
মেয়েটা প্রতিরাতে তার চাচাতো ভাই দ্বারা রেপ্ট হতো। কাউকে কিছু বলতে পারে নি। একসময়
তার মুখে জুসের সাথে বিষ মিশিয়ে দেয় চাচী ।আশ্র্য়দাতা চাচী নিজের ছেলেকে এভাবেই
বাঁচায়। আর প্রতি রাতের ধর্ষনের হাত থেকে বেঁচে যায় আমার সহপাঠী লিন্ডা মেলিসা
গোমেজ।
লিন্ডা খুব আমার গান ভালবাসতো...'ওই গান টা শোনা না ,আনন্দলোকে মঙ্গলআলোকে গানটা''। আনুষ্ঠানিক সঙ্গীত । সবার মাঝে অনুষ্ঠান হয়ে গেল লিন্ডা। কিন্তু এই ভোরে আমি সেভাবে যাচ্ছি না জানো তো । আমার নিঃশ্বাস আর কিছুতেই আর থাকছে না দামী ইনহেলারের ভাঁওতায়।।প্রহরের রঙ শূন্য ভোরের অবগুন্ঠন ভেঙ্গে পায়ে পায়ে হনহন হাটছেন নিয়মিতরা।তারা আমাকে দেখেন নি।মাঝে মাঝে যুগলে হাটছেন স্বামী- স্ত্রী বাজার সারতে সারতে। আহা তারা বেঁচে থাকুন। এর মাঝেই নিঃশ্বাসরা চলে যাচ্ছে আমার বুক থেকে আমি ধরতে পারছিনা।তুমি কি পা্রো? তুমি কি আমার সব কথাই অবিশ্বাস করেছিলে? সব লেখাই? থাক বিশ্বাস নেই যখন আজ আর গাইতে বলো না। আর কখনও নাইবা গাইলাম। নাইবা হলো পারে যাওয়া। চলে যাবার পর নিঃশ্বাসের বাড়িতে আর নেই আমি। প্রেমহীনতায় আর নেই দেখে নিও। লিন্ডাও ছিলো না।
তুমি কিন্তু বিশ্বাস রেখো তার আবৃত্তিতে, আকুতিতে, আনুষ্ঠানিকতায় ......'আনন্দলোকে মঙ্গলআলোকে।'' আমি বরং যাই। গীর্জায় ঘন্টা বাজছে বাজছেই। ৩২নম্বর ব্রীজটা ক্রস করে, ফুটপাত ঘেঁষে ঘেঁষে, পানসীটা ডান দিকে রেখে, জলের পরে জল আর ভাসা শালুকে সবটুকু আমাকে জলে রেখে যাই গো। এই বসন্তে যাই গো ভোর।
লিন্ডা খুব আমার গান ভালবাসতো...'ওই গান টা শোনা না ,আনন্দলোকে মঙ্গলআলোকে গানটা''। আনুষ্ঠানিক সঙ্গীত । সবার মাঝে অনুষ্ঠান হয়ে গেল লিন্ডা। কিন্তু এই ভোরে আমি সেভাবে যাচ্ছি না জানো তো । আমার নিঃশ্বাস আর কিছুতেই আর থাকছে না দামী ইনহেলারের ভাঁওতায়।।প্রহরের রঙ শূন্য ভোরের অবগুন্ঠন ভেঙ্গে পায়ে পায়ে হনহন হাটছেন নিয়মিতরা।তারা আমাকে দেখেন নি।মাঝে মাঝে যুগলে হাটছেন স্বামী- স্ত্রী বাজার সারতে সারতে। আহা তারা বেঁচে থাকুন। এর মাঝেই নিঃশ্বাসরা চলে যাচ্ছে আমার বুক থেকে আমি ধরতে পারছিনা।তুমি কি পা্রো? তুমি কি আমার সব কথাই অবিশ্বাস করেছিলে? সব লেখাই? থাক বিশ্বাস নেই যখন আজ আর গাইতে বলো না। আর কখনও নাইবা গাইলাম। নাইবা হলো পারে যাওয়া। চলে যাবার পর নিঃশ্বাসের বাড়িতে আর নেই আমি। প্রেমহীনতায় আর নেই দেখে নিও। লিন্ডাও ছিলো না।
তুমি কিন্তু বিশ্বাস রেখো তার আবৃত্তিতে, আকুতিতে, আনুষ্ঠানিকতায় ......'আনন্দলোকে মঙ্গলআলোকে।'' আমি বরং যাই। গীর্জায় ঘন্টা বাজছে বাজছেই। ৩২নম্বর ব্রীজটা ক্রস করে, ফুটপাত ঘেঁষে ঘেঁষে, পানসীটা ডান দিকে রেখে, জলের পরে জল আর ভাসা শালুকে সবটুকু আমাকে জলে রেখে যাই গো। এই বসন্তে যাই গো ভোর।