রাত বড় হচ্ছিল বাইরে, ভেতরে ।
মিমু টেবল ল্যাম্পটা অফ করল।অন্ধকার শয়তান হল। তার হাত ধরল ও নিচে,শূ-ন্যে তাড়াল।
সকাল কড়া নাড়ল । লম্বা হল। ডায়নিং টেবিল ফাঁকা।মিমুর খুর,কানি কিছুই চিহ্ণ নেই । দাম্বু একটু ভাবিত।মিমুর
সাথে কাল বেশ দাপাদাপি হয়েছে।তৃতীয় একজন এসে পড়ে তাদের দুজনের চিট-কে হেলিয়ে
দিচ্ছে ক-মাস হল । এটা বরদাস্ত করা যায়
না।অফিস গেল কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে।কারণ বাড়ির ওপারে মায়ের নিরামিষ রান্না ,খাওয়া আর না-খাওয়া ইজ ইকোয়াল টু জিরো !
অফিসে রুমেলা দাম্বুর ভাবনাটিকে টের পেল - কী ব্যাপার ! খাওয়া হয়নি
? দাম্বু বলল - জানলে কীভাবে ?
- জানতে হয় বলে !
রুমেলা দাম্বুকে ধরে ক্যান্টিনে এনে কষে খাওয়াল।প্রাণ পেল দাম্বু ।
ঘরের খচ্চর খাবারে ফুসফুস ফুটো হয়ে ওড়ে ।
প্রাণকৃষ্ণ,বড়বাবু ,ওদের একটু টুসকে দিল - টাটাচ্ছে কিন্ত্ত !
বিকেল বিকেল বাড়ি ফিরে দাম্বু সকালের চেহারাটাই দেখতে পেল - ফং
ফং।মায়ের ঘরে এসে সে খুঁজল - এ কোথায় গ ?
মা পানরাঙা ঠোঁট ভেঙে বলেন - দ্যাখ গে ,বাপের ঘর তো ওর জলভাত !
গরম মাথায় ফোন ছুটলো শশুরবাড়ি।শাশুমার ভাঙা ভাঙা গলা পৌঁছুল - নাতো
! কেন,কী হল আবার ?
ধক্ করল দাম্বুর বুকটা । যাচ্চলে , ভেগে গেল না তো !