সুন্দরী
কে বলেছিল ঠিক মনে নেই--অহনাকে হাসলে নাকি সুন্দরী দেখায়। তাই সব জায়গায়, সব কিছুতেই সে হাসে। সকলেই তাকে তাকিয়ে তাকিয়ে দ্যাখে। কদিন আগে রমেশের বিয়েতে গিয়েছিল সাজগোজ করে। সুন্দরী অহনা আরো সুন্দরী হয়ে উঠেছিল বেনারসী শাড়ী আর গয়নায়। পাশাপাশি বিকাশের বুকটাও ফুলে উঠেছিল, সত্যি, সুন্দরী বটে অহনা! হঠাৎই খাবার হলের এককোণে বসে থাকা একজনের দিকে চোখ গেল বিকাশের...আরে, ওটা বিজয় না, ওখানে বসে কি করছে! কাছে গিয়ে টেনে নিয়ে এল নিজেদের টেবিলে। কেমন যেন মনমরা, দুঃখী, অন্যমনস্ক লাগছে বিজয়কে। --কি রে, এমন হয়ে আছিস কেন? অনেক বলায় জানাল...অদিতি মারা গেছে আজ প্রায় তিনমাস, কিছুই আর ভাল লাগেনা। রমেশ একেবারে স্কুলের বন্ধু, না এলে...তাই...’ মুখ নীচু করে বিজয়। অদিতি বিজয়ের মেয়ে, মাত্র ৬ বছর বয়স। স্ত্রী মারা যাবার পর বড় কষ্টে মানুষ করছিল ওকে। খারাপ লাগে বিকাশের, জানলে জিজ্ঞেস করত না। সুন্দরী অহনা তার হাসি হাসি মুখখানা আরো হাস্যময়ী করে জিজ্ঞেস করে বিজয়কে...কবে মারা গেছে?’ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল বিজয়। আর দুঃখে, লজ্জ্বায় এই প্রথম মনে হল বিকাশের...অহনা সুন্দরী না হয়ে সংবেদনশীল হলে কি ক্ষতি ছিল!