গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩

ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

সুন্দরী

 কে বলেছিল ঠিক মনে নেই--অহনাকে হাসলে নাকি সুন্দরী দেখায়তাই সব জায়গায়, সব কিছুতেই সে হাসেসকলেই তাকে তাকিয়ে তাকিয়ে দ্যাখেকদিন আগে রমেশের বিয়েতে গিয়েছিল সাজগোজ করেসুন্দরী অহনা আরো সুন্দরী হয়ে উঠেছিল বেনারসী শাড়ী আর গয়নায়পাশাপাশি বিকাশের বুকটাও ফুলে উঠেছিল, সত্যি, সুন্দরী বটে অহনা! হঠাৎই খাবার হলের এককোণে বসে থাকা একজনের দিকে চোখ গেল বিকাশের...আরে, ওটা বিজয় না, ওখানে বসে কি করছে! কাছে গিয়ে টেনে নিয়ে এল নিজেদের টেবিলেকেমন যেন মনমরা, দুঃখী, অন্যমনস্ক লাগছে বিজয়কে --কি রে, এমন হয়ে আছিস কেন? অনেক বলায় জানাল...অদিতি মারা গেছে আজ প্রায় তিনমাস, কিছুই আর ভাল লাগেনারমেশ একেবারে স্কুলের বন্ধু, না এলে...তাই...মুখ নীচু করে বিজয়অদিতি বিজয়ের মেয়ে, মাত্র বছর বয়সস্ত্রী মারা যাবার পর বড় কষ্টে মানুষ করছিল ওকেখারাপ লাগে বিকাশের, জানলে জিজ্ঞেস করত নাসুন্দরী অহনা তার হাসি হাসি মুখখানা আরো হাস্যময়ী করে জিজ্ঞেস করে বিজয়কে...কবে মারা গেছে?’ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল বিজয়আর দুঃখে, লজ্জ্বায় এই প্রথম মনে হল বিকাশের...অহনা সুন্দরী না হয়ে সংবেদনশীল হলে কি ক্ষতি ছিল!