হা -ডু-ডু
মা ষষ্ঠীর কৃপায় আমার দিদিমায়ের
ছেলেপুলের অভাব ছিল না। পুত্রকন্যা সব মলিয়ে নয়টি সন্তান ছিল তাঁর। আমার মায়েরা
ছিল পাঁচবোন ও চার ভাই। সব ভাই বোনেদের প্রায় ছয়টি করে সন্তান। সন্তানে সন্তানে
ছয়লাপ একেবারে। প্রথম চারজনের চব্বিশটি, বাকি পাঁচজনের মিলিয়ে বারোটি। অর্থাৎ দিদিমার নাতি-নাতনীর সংখ্যা
ছত্রিশটি । এই বিশাল বাহিনী জমায়েত হত বছরে একবার পুজোর সময়। আমার মামার বাড়িতে
জগদ্ধাত্রী পুজোর রেওয়াজ ছিল,এখনও টিমটিম করে আছে। বছরে এইসময়
যাওয়া ছাড়াও বিয়ে, পৈতে , অন্নপ্রাশন এসব অনুষ্ঠানে যাওয়া তো
আছেই। তা বছরে একবার কেন,
কয়েকবার করে যেতেও
আমাদের কোন আপত্তি ছিল না । বলতে কি,আগ্রহই বেশি ছিল। মামাতো-মাসতুতো ভাইবোনেদের
বিশাল বাহিনী সকাল-সন্ধ্যে আড্ডা, দলবেঁধে
প্লাস্টিকের বালতিব্যাগে জামাকাপড় বোঝাই করে পায়ে চটি গলিয়ে পুকুরে চান করতে
যাওয়ার আনন্দই ছিল আলাদা। বাড়িতে একজন একজন করে কুয়োতে জল তুলে বাথরুমে চান করা
আমাদের পোষাত না। সত্যি কথা বলতে কি আমরা সব ভাইবোনেরা যেন গায়ে আঠা লাগিয়ে
ঘুরতাম। কেউ কাউকে একেবারেই ছাড়তাম না। যা করব সব একসঙ্গে করা চাই। বলা বাহুল্য, ছোটরা এ দলে জায়গা পেত না, কিম্বা বলা ভাল, বাড়ির বড়রা তাদের আসতেও দিতেন না
আমাদের সঙ্গে । সকাল দশটায় বেরিয়ে আমাদের বাড়ি ফিরতে প্রায় মাঝদুপুর । আমাদের সত্যি কথা বলতে কি চানের আগ্রহ তত বেশি ছিল না, তাড়া তো একেবারেই নয় । ধানক্ষেতের মাঝে কোন গাছতলায় বসে আড্ডা দেওয়া, কলাই ক্ষেতে ঢুকে কলাই খাওয়া, আখের সময় আখের রস খাওয়া, গরম শালের গুড় খাওয়া এসবই ছিল আসল।
এর মধ্যে অবশ্য বড় দাদাদের সিগারেট খাওয়াও ছিল। সদ্য বড় হয়ে উঠছে এমন ভাইদের
সিগারেট খাবার হাতেখড়িও হত বড় দাদাদের কাছে । কোন কোন ফাজিল দিদিও
যে দু/একটান দিত না এমন কথা বলি কি করে! আগামী কিছুদিনের মধ্যে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে এমন
কোন দাদা কিম্বা দিদির বিয়েতে যাবার প্ল্যানও করা হত সেই সময়েই ।
সে যাই হোক, এই আসরটুকু ছিল নিতান্তই আমাদের নিজস্ব । সেখানে মামা, মাসি, বা মামী দের কোন জায়গা ছিল না । মামাদের চারজনের মধ্যে চারজন চার রকমের। বড়মামা ছিলেন শান্ত। মেজমামা ছিলেন হাসিখুশি, দিলদরিয়া ধরনের। সেজ মামা খেলা ছাড়া আর প্রায় কিছুই বুঝতেন না। ছোট মামা সকলের ছোট কিন্তু ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভাইপো-ভাইঝিদের সকলের কাছে সবচেয়ে প্রিয়জন। তিন মামা ছিলেন পেশায় ইঞ্জিনীয়ার, শুধু সেজমামা ছিলেন কলেজের অধ্যাপক, পরে অধ্যক্ষ্য হন। সেজমামার ঘরভর্তি বই, গোটা পঁচিশেক কাগজ, পত্রিকা আসত বাড়িতে। সারাদিন ছাইদান সিগারেটের ছাইয়ে ভর্তি । একমাত্র সেজমামাকেই দেখেছি বাড়ির সকল বড়দের সামনে এমনকি দিদিমার সামনেও সিগারেট খেতে । বাড়ির উঠতি দাদাদের কাছেও দেশলাই চাইতে দেখেছি তাঁকে। নিজেও খেলাধুলো করতেন এবং একটি খেলার জগতের গেজেট ছিলেন বলা যায় । মেজমামা ছিলেন অসম্ভব হুল্লোড়ে । রাত দুটোর সময়েও রেলস্টেশনে নেমে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগাতেন। লোকজন না উঠলে কানে শাঁখ বাজিয়ে ফুঁ দিতেও দেখেছি। দারুণ মজা র মজার কথা বলতে পারতেন। মেজমামার কাছে বাড়ির রান্নার লোক, কাজের লোক কারোর গম্ভীর হয়ে থাকার উপায় ছিল না। সারারাত জেগে ওয়ার্ড মেকিং খেলতে একমাত্র মেজমামাকেই দেখেছি । আমরা কোনদিন এই খেলায় তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারিনি। বড়মামা সম্মান, পদমর্যাদা , লেখাপড়া, ভদ্রতা, ব্যবহার, সৌজন্যবোধ ইত্যাদি যা যা গুণ থাকলে একজন বিশিষ্ট মানুষ হয়ে উঠতে পারে, তার সব গুলি ছিল। খুব শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি এলে হাতে রবীন্দ্রনাথের বই নিয়েই সময় কাটাতে দেখেছি। একজন প্রকৃত রবীন্দ্র ভক্ত ছিলেন। ছোটমামা সকলের ছোট। ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভাইপো-ভাইঝির দল তার কাঁধে চাপে, কোলে চড়ে। এদের কাছে সে আদরের মামা কিম্বা আদরের কাকামণি। কিন্তু এতবড় পরিবারের মধ্যে আমার দিদিমা আর সেজমামা ছাড়া এই বাড়িতে সারা বছর থাকার মধ্যে রান্না আর কাজের লোক । জমায়েত হোত পুজো আর কাজে -যোগে। হাসির আওয়াজ আর চীৎকার-গোলমাল শুনে পাড়ার লোকে জানত এ বাড়িতে লোক এসেছে।
সে যাই হোক, এই আসরটুকু ছিল নিতান্তই আমাদের নিজস্ব । সেখানে মামা, মাসি, বা মামী দের কোন জায়গা ছিল না । মামাদের চারজনের মধ্যে চারজন চার রকমের। বড়মামা ছিলেন শান্ত। মেজমামা ছিলেন হাসিখুশি, দিলদরিয়া ধরনের। সেজ মামা খেলা ছাড়া আর প্রায় কিছুই বুঝতেন না। ছোট মামা সকলের ছোট কিন্তু ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভাইপো-ভাইঝিদের সকলের কাছে সবচেয়ে প্রিয়জন। তিন মামা ছিলেন পেশায় ইঞ্জিনীয়ার, শুধু সেজমামা ছিলেন কলেজের অধ্যাপক, পরে অধ্যক্ষ্য হন। সেজমামার ঘরভর্তি বই, গোটা পঁচিশেক কাগজ, পত্রিকা আসত বাড়িতে। সারাদিন ছাইদান সিগারেটের ছাইয়ে ভর্তি । একমাত্র সেজমামাকেই দেখেছি বাড়ির সকল বড়দের সামনে এমনকি দিদিমার সামনেও সিগারেট খেতে । বাড়ির উঠতি দাদাদের কাছেও দেশলাই চাইতে দেখেছি তাঁকে। নিজেও খেলাধুলো করতেন এবং একটি খেলার জগতের গেজেট ছিলেন বলা যায় । মেজমামা ছিলেন অসম্ভব হুল্লোড়ে । রাত দুটোর সময়েও রেলস্টেশনে নেমে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগাতেন। লোকজন না উঠলে কানে শাঁখ বাজিয়ে ফুঁ দিতেও দেখেছি। দারুণ মজা র মজার কথা বলতে পারতেন। মেজমামার কাছে বাড়ির রান্নার লোক, কাজের লোক কারোর গম্ভীর হয়ে থাকার উপায় ছিল না। সারারাত জেগে ওয়ার্ড মেকিং খেলতে একমাত্র মেজমামাকেই দেখেছি । আমরা কোনদিন এই খেলায় তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারিনি। বড়মামা সম্মান, পদমর্যাদা , লেখাপড়া, ভদ্রতা, ব্যবহার, সৌজন্যবোধ ইত্যাদি যা যা গুণ থাকলে একজন বিশিষ্ট মানুষ হয়ে উঠতে পারে, তার সব গুলি ছিল। খুব শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি এলে হাতে রবীন্দ্রনাথের বই নিয়েই সময় কাটাতে দেখেছি। একজন প্রকৃত রবীন্দ্র ভক্ত ছিলেন। ছোটমামা সকলের ছোট। ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভাইপো-ভাইঝির দল তার কাঁধে চাপে, কোলে চড়ে। এদের কাছে সে আদরের মামা কিম্বা আদরের কাকামণি। কিন্তু এতবড় পরিবারের মধ্যে আমার দিদিমা আর সেজমামা ছাড়া এই বাড়িতে সারা বছর থাকার মধ্যে রান্না আর কাজের লোক । জমায়েত হোত পুজো আর কাজে -যোগে। হাসির আওয়াজ আর চীৎকার-গোলমাল শুনে পাড়ার লোকে জানত এ বাড়িতে লোক এসেছে।
এ হেন বাড়িটিতে একবার গরমের ছুটিতে দিদিমায়ের সবচেয়ে ছোট
সন্তান ছোটমামার বিয়ের ঠিক হল । খুব গরম...তা হোক, নইলে আমরা
যে আসতে পারব না। তখন গরমের ছুটি, সুতরাং
এটাই উপযুক্ত সময়। ওই বিশাল বাহিনী নাহলে জমবে কেন? বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত আসার পালা চলতেই থাকল। এটি দিদিমায়ের শেষ কাজ, যে যেখানে আছ, ঝেঁটিয়ে চলে এসো । এলোও তাই । আমাদের ভাই-বোনেদের বিশাল
বাহিনীর বড় দুই দিদির ততদিনে বিয়েও হয়ে গেছে তারা তখন প্লাস জামাইবাবু কিন্তু
মাইনাস ছানা, সুতরাং তারাও আমাদের দলের । আমাদের ওই বড়দের
দলটির শোবার জায়গা হল দোতলার বড় ঘর এবং দোতলার ছাদ। ছেলেদের শোবার জায়গা রাত্রিতে ছাদের মেঝেতে ঢালাই বিছানায়। আর
আমারা বোনেরা আদ্দেক রাত পর্যন্ত দাদাদের-ভাইদের সঙ্গে হা হা- হি হি করে বড় ঘরের মেঝেয় ঢালা
বিছানায়। বিয়ের দিন সকালে তখনও সকলে ঘুম থেকে
ওঠেনি । কেউ সবে উঠে বসেছে, কেউ ঘুমিয়ে, কেউ আবার কাউকে খোঁচা মারছে, এমন সময় ছোটমামা ওপরের ঘরে এসে
হাজির। এসেই জিজ্ঞেস করলে আমরা তাকে ঠিক কতটা ভালবাসি। আমরা ভাইবোনেরা হই-হই করে উঠলাম । আমাদের সকলের বড় যে
দাদা, যাকে আমরা দাদামণি বলি, তার গলা শোনা গেল সবচেয়ে বেশি।
মামার বক্তব্য--পাকা চুল তুলে দিতে হবে বিয়ে করতে
যাবার আগে। এটা আমাদের নাকি প্রেস্টিজের ব্যাপার।
আমার বড়মামার ছেলে, দিদিমার আদরের নাতি গোরামণি, সে বললে কাকীমণির মানে মামীর চুলও
নাকি পাকা । হবেও বা ! সে গিয়েছিল মামীমাদের সঙ্গে মেয়ে
দেখতে । মামা বলল, সেটাই নাকি আরো প্রেস্টিজের ব্যাপার
কারণ একটা হারজিতের ব্যাপার আছে তো ! হামলে পড়ে মামার পাকাচুল বাছা হল ঘন্টা খানেক ধরে ।
বরযাত্রী যাওয়া হল, বিয়ে চুকে গেল। পরের দিন মামা মামীকে নিয়ে এবাড়ি এল । মামী খুব চটপটে, দারুণ বকবক করে। আমাদের খুব পছন্দ হয়ে গেল মামীকে।
পরের দিন
খুব ভোরবেলা, বলা নেই-কওয়া নেই হঠাৎ সব
ভাইবোনেরা মিলে হাজির আমাদের মামার বাড়ির খামারে। বিরাট বড়
খামার । সাদা মাটি আর গোবর দিয়ে নিকোন হয়েছে। একপাশে বিয়েবাড়ির
প্যান্ডেল করা হয়েছে সেখানে। তাড়াতাড়ি পায়ের চপ্পল দিয়ে একটা লাইন করে ফেলা হল মাঝ
বরাবর। কে ঠিক করেছিল আজ আর মনে নেই । তবে যা হল, এককথায় দারুণ! বাড়ির বড়রা অনেকেই
তখনো ওঠেনি । কিন্তু মেজমামা, সেজমামা, ছোটমামা সব হাজির। হাজির বাড়ির নতুন
বৌ । চটপট ভাগাভাগি হয়ে গেল দুটো দলে। একদিকে মেজমামা, অন্যদিকে ছোটমামা। সেজমামা রেফারি।
আমরা ভাইবোনেরাও ভাগাভাগি করে দু দলে চলে গেলাম। ছোট মামী মাঝখানে দাঁড়িয়ে। পরনে
লাল জরি পাড় তাঁতের শাড়ী। এক গা গয়না পরা মামী একবার এদিক, একবার ওদিক দেখছে। ভাবছে হয়ত এ কি
বাড়ি রে বাবা! সকালে উঠে মুখ ধোয়া নেই, চা খাওয়া
নেই , সবাই মিলে খেলতে লেগে গেল! সেজমামার দারুণ
উৎসাহ। চীৎকার করছে, কেউ কোন রকম চোট্টামি যেন না করে।
বড়মামীও উঠে এসেছে
। মেজমামাকে বলছে, নতুন বৌ বলে ওকে কেও যেন না ঠকায়। মেজমামা একটা ফোল্ডিং চেয়ার নিজের পিছনে ধরে
রেখেছে। কে একজন জিজ্ঞাসা করল, একি! এভাবে কি খেলে যায়
নাকি! মেজমামা কিছুতেই চেয়ার ছাড়তে রাজী
নন। যদি খেলার পর চেয়ার হাতছাড়া হয়ে যায়! খেলা শুরু হল। মামী চুপচাপ পিছনের দিকে দাঁড়িয়ে। আমারাই খেলছি। মেজমামা একবার কিছুক্ষন ছোটে আর একবার করে চেয়ারে বসে। কি হল, শরির খারাপ ? না। হঠাৎ দেখি মামী শাড়ীর আঁচলকে কোমরে বেঁধে বুনো মোষের মত হা ডু-ডু বলে ছুটে এসে
মেজমামাকে তাড়া করেছে। মামা পড়িমরি করে ছুটতে গিয়ে চেয়ার নিয়ে উলটে পড়ে চেয়ারটা কে
ফেলে কোনরকমে উঠে একেবারে বাইরে । মামী চেয়ার টাকে গুটিয়ে নিয়ে এপারে চলে এল। আরে, মামী তো দম ছেড়ে দিয়েছিল, কেউ আউট
করল না কেন? আমরা চীৎকার করছি। সেজমামা খুব খুশি । বাঃ,
এতো দারুণ মেয়ে ! খুব ভাল খেলে তো ! মামী ততক্ষণে শাড়ী -টাড়ি গুছিয়ে আবার নতুন বৌ। ছোটমামা
জুলজুল করে তাকিয়ে রয়েছে মামীর দিকে, জয়েন ঠিক কি বলবেন বুঝতেপারছেন না।
একটু বেলা হয়েছে। গোলমালে বাড়ির আরো অনেকেই সেখানে এসে হাজির। বড়মামা মেজমামাকে
বল্লেন---'ইস, তুই এটা কি করলি, হেরে গেলি !' মেজমামা অপ্রস্তুতের হাসি হেসে বললে--'দ্যাখোই
না, সন্ধ্যেবেলা কি করি। তুমি ওই মেয়েটা
আমার সঙ্গে ওয়ার্ড মেকিং এর খেলায় পারবে, ভাবছ? বসুক না আমার সঙ্গে, কেমন খেলে দেখা যাবে। তবে বুঝব
স্কুল-ফাইনালের স্ট্যান্ড করা ছাত্রী ।'
ছোটমামী সত্যি স্কুল
ফাইনালের স্ট্যাণ্ড করা ছাত্রী। মামী কলেজেও খুব ভাল রেজাট করেছিল। বড়মামা নিজে
খুব ভাল ছাত্র ছিলেন বলে মামীর ওপর খুব খুশি । আমরা সন্ধ্যেতেও কিছু একটা হবে বলে আশায় রইলাম...
সেদিনের বিশাল বাহিনীর মামার বাড়ির সেই বড়, মেজ, ছোট মামাদের আজ আর কেউ নেই। ফাঁকা হয়ে গেছে সেই বাড়ি । দিদিমা চলে গেছেন অনেক আগেই। খেলা পাগল সেজমামা শুধু একাই
আছেন । দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত । তিন মামাই তাঁদের
জীবনের খেলায় হেরে গিয়ে চলে গেছেন । সেজমামা প্রাণপণে লড়ে
যাচ্ছেন তাঁর হা-ডু-ডু খেলায় । আর সেদিনের ছোটমামীকে দেখলে এখন আর চেনা যায় না। ছোটমামা
সবটাই যেন তার নিয়ে চলে গেছে।
আমারও
মামার বাড়ি যাওয়া হয় না ক-ত-দিন... ।