গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়

ধারাবাহিক হ্যান্টেড কাহিনী--৪৩

    
কলকাতার আকাশবাণী ভবনের অলৌকিকতা
                                                            

তিন বন্ধুর মধ্যে অর্ণব মানসিক খানিকটা দুর্বল। আগ্রহ নিয়ে বন্ধুরা যখন রাতে কোন হ্যান্টেড প্লেসে সত্যাসত্য যাচাই করতে বের হন তখন তিনিই সব থেকে বেশী ভীত হয়ে পড়েন। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে অলৌকিক কিছুর আভাস পেয়েই অর্ণব ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। তবু তাঁর যাবার শক মনে থেকেই যায়। এবারও হল তাই। বন্ধু শশীভূষণের ফোন এলো, অর্ণব, রেডি থাকিস, আমরা আগামী শনিবার রেডিও স্টেশনের পুরানো বিল্ডিঙে যাবো।
অর্ণব মনের আগ্রহ চেপে থেকে ভয়ের তাড়নায় বলে উঠলেন, এই তো গত শনিবার বেগুনকোদর ঘুরে এলাম--
--হ্যাঁ, তাতে কি ? ভয় পেলি নাকি?
--না, মানে--
--তৈরি হয়ে আমার এখানে রাত নটায় চলে আসিস, বুঝলি ? জনান্তিক ও এসে যাবে--অর্ণবের  জবাবের অপেক্ষায় না থেকে শশীভূষণ মোবাইল কেটে দিলেন।
শশীভূষণ অকৃতদার। ঘর-সংসারের ঝঞ্ঝাট তার নেই, তাই তাঁর হাতে সময় থাকে প্রচুর।তাঁর জুটি জুটে যেতেও দেরি হয়নি। পাড়ার অর্ণব বাবু আর জনান্তিক বাবু হলেন তাঁর বন্ধু ও জুটি। প্রায় সময় শশী বাবুর সঙ্গ দেন তাঁরা। তাদের জীবন হল সাদামাটা। অর্ণব বিপত্নীক আর জনান্তিকের স্ত্রী আছেন কিন্তু ছেলেপুলে না হওয়ায় সংসার নিয়ে তিনি তত জড়িয়ে পড়েননি।
প্রসঙ্গত বলে রাখতে হয়, এই মাঝ বয়েসী তিন বন্ধুর হাতে অফুরান সময় থাকে। সময়ের অনেকটাই তাঁরা খরচ করেন নানা ভৌতিক, প্যারানর্মাল  সত্যাসত্য যাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে। খোঁজ খবর নিয়ে প্রায়ই ওঁরা হ্যান্টেড প্লেসের দিকে বেরিয়ে যান। এমনি অভিযানের প্রায় সবগুলিই চলে বেশ রাতে।
কলকাতার ভেতরে অনেক জাগাই তাঁরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন কলকাতার ছুটে যাওয়া যে জাগার হদিস পাওয়া গেলো সেটা হল কলকাতার পুরনো রেডিও স্টেশনের বিল্ডিং। শশীভূষণ ওঁদের মধ্যে সিনিয়র। তাঁর উৎসাহটাই বাকি বন্ধুদের চে অপেক্ষাকৃত বেশী। বলা যায় ওঁদের সব অভিযানগুলির পরিচালক হলেন শশীভূষণ।
শনিবার রাত নটার কাছাকাছি হবে। শশীভূষণের বাড়িতে এসে তিন বন্ধু মিলিত হলেন। জনান্তিক বললেন, দেখা তো এবারের ভিডিওটা--
তিন বন্ধু বিছানাতে গিয়ে বসলেন। শশীভূষণ ল্যাপটপে ভিডিও চালিয়ে দিলেন। রেডিও স্টেশনের অলৌকিক ও ভৌতিক গল্পের ভিডিও শুরু হয়ে গেলো--এক নারী কণ্ঠের বর্ণনা চলছে-- কলকাতার ভৌতিক ইমারতগুলির মধ্যে গ্যারিস্টন প্লেসের আকাশবাণী ভবনের নাম না করলেই  নয়। এখানে বেশ কয়েকটি স্টুডিওও ছিল...এখানে ভূত বাসা বেঁধে ছিল...হ্যাট কোট পরিহিত এক সাহেবকে রাত বেশী হলে দেখা যেত...রেকর্ড,ফাইল-পত্র নিয়ে সে ঘাঁটাঘাঁটি করত...এখানকার কর্মচারীরা বলেন যে রেডিও স্টেশনে নাকি দুটি ভূতের দেখা মিলত...একজন ভারতীয় আর একজন নাকি ব্রিটিশ...যে দিন রাতে স্টুডিও এলাকা নির্জন হয়ে পড়ত, স্টুডিওতে কোন গানের প্রোগ্রাম চলতে থাকত সে দিন প্রায়ই কোন অশরীরী ছায়া নাকি বাইরের রেকর্ডিং রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুনেযেত--ইত্যাদি ইত্যাদি..
প্রায় রাত দশটার দিকে তিন বন্ধু শশীভূষণের কারে চেপে বসলেন। এখন তাঁরা যাবেন কলকাতার ভৌতিক ইমারত গ্যারিস্টন প্লেসের আকাশবাণী ভবনের দিকে। এই ভবনে একটা সময় ছিল যখন রেডিও স্টেশনের খুব জনপ্রিয়তা ছিল। এখানকার বিল্ডিঙে ছিল বিরাট লম্বা লন। এখানে বেশ কয়েকটি স্টুডিওও ছিল।
দেখতে দেখতে ওঁরা পৌঁছে গেলেন সেই পুরানো জীর্ণ রেডিও   স্টেশন ভবনে। নিশ্চয় এখানে চৌকিদার থাকবে। শশীভূষণ একটু এগিয়ে গেলেন। প্রধান গেটটা বেশ বড়। বন্ধ দরজা। তার মানে এমন তো নয় এখানকার চৌকিদার এখন ভেতরে ঘুমিয়ে আছে। দরজায় ধাক্কা লাগালেন শশী। না কোন সাড়াশব্দ নেই। তবে মনে হচ্ছে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা নেই। শুধু ভেজানো আছে। জনান্তিক এবার ডাক দিলেন, ভেতরে কেউ আছেন ? সারা নেই। এ জাগাটা একেবারে যে নির্জন তা কিন্তু নয়। পাশের রাস্তা দিয়ে অনেকটা গ্যাপে হলেও গাড়ি যাতায়াত করছে। অর্ণব ভীতু হলেও মাঝে মধ্যে তিনি সাহসী হয়ে পড়েন। তিনিও এবার একটু উঁচু স্বরে ডেকে উঠলেন, কে আছো ভেতরে ?সাড়া দাও !
--কি চাই আপনাদের ? হঠাৎ বাইরের দিক থেকে একটা গলা এলো।
কে ? কে ?--ভয়ে থতমত খেলেন অর্ণব।
শশী ততক্ষণে পাশ ফিরে দাঁড়িয়েছেন। ওদের সামনে একটা সাদা পোশাকের লোক দাঁড়িয়ে আছে। সে বলল, আপনারা কারা ?
জনান্তিক বললেন, আমরা এখানে একটু কাজে এসেছি।
--কি কাজ?
শশী বললেন, আপনি কি এখানে থাকেন ?
--হ্যাঁ, আমি এখানকার ওয়াচমেন, লোকটা বলল।
শশী এবার বিনীত হয়ে বললেন, আমরা একটু ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলাম।
অবিশ্বাসের চাহনি নিয়ে তাকাল ওয়াচমেন, এতো রাতে ?
জনান্তিক ও শশীভূষণ এবার তাঁদের এখানে আসার ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতে চেষ্টা করলেন।
ওয়াচমেন শুরুতে একটু আশ্চর্য হলেও শেষে ব্যাপারটা বিশ্বাস্য বলেই ধরে নিলো। ও বলল, বলুন আপনারা কি চান ?
আপনি কি এখানে একা থাকেন ? শশী প্রশ্ন করলেন।
একটু ইতস্তত করে ওয়াচমেন বলল, আপনাদের সত্যি কথা বলি, আমি রাতে একবার ঘুরে যাই, একা একা ডিউটি দিতে ভয় হয়। অনেক লিখেছি, সরকার আর কাউকে দেয় না যে !
জনান্তিক বললেন, ভয়ের কি কিছু আছে এখানে ?
ওয়াচমেন কেন যেন খানিক চুপ করে থেকে বলল, আমি বাবু রাতে কখনও বিল্ডিঙের ভেতরে গিয়ে দেখিনি। তবে একদিন অনেক রাতে একবার ওয়াচ করতে এসে ছিলাম। দরজা খুলে ঢুকতেই--
--কি, কি হল ? অর্ণবের আর দেরী সয় না--ভয়ে কৌতূহলে তিনি যেন উৎকণ্ঠিত।
--একটা বেহালার সুর--কেমন যেন কেটে কেটে বাতাসে ভাসছিল, চৌকিদার ভয়ের কাঁপা গলা নিয়ে বলতে লাগলো।
--তারপর ? শশী বলে উঠলেন।
--শুরুতে আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম, তারপর কি হল জানি না সুরটা আমার কেন যেন ভালো লাগতে লাগলো। মনে হচ্ছিল আমি কোন অলৌকিক রাজ্যে আছি। অনেকটা সময় আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না। হঠাৎ যখন বুঝতে পারলাম, আস্তে করে আমি উঠে দাঁড়ালাম। তখন আর কোন শব্দ নেই। আমি সে দিন তাড়াতাড়ি গেটের দরজায় তালা না দিয়েই ঘরে পালিয়ে গিয়েছিলাম।
ওটা কিসের শব্দ ছিল ? জনান্তিক প্রশ্ন করলেন।
ওয়াচমেন বলল--আমি আগেই শুনেছি এ বাড়িতে ভূতের ব্যাপার আছে।
শশী বললেন--আপনি কি রোজ এসে তালা দিয়ে যান ?
ওয়াচমেন বলল, না সার, আজও তালা দিতে ভুলে গেছিলাম। এই দেখুন আমার হাতে তালা চাবি আছে। সে তার হাতে রাখা বড় তালা চাবিটা ওঁদের সামনে তুলে ধরল।
শশী বললেন--আজ তো বেশ রাত করে তালা দিতে এসেছেন, ভয় করলো না ?
ওয়াচমেন বলল--ভয়ে ভয়ে বাইরে থেকে আমি তালা দিয়ে চলে যাব ভেবেছি--
তবে আজ দরজা খোলা পড়ে আছে কেন ?
ওয়াচমেন উত্তর দিল--মাসে এক আধ বার আমি আর আমার বৌ এসে দিনের বেলায় বাড়িটা পরিষ্কার করে যাই। আজকেও পরিষ্কার করে গেছি। আজ সরকারী বাবুরা দেখতে এসেছিলেন এই বিল্ডিং। তাই তাড়াহুড়োয় তালা দিতে ভুলে গেছিলাম। ভুলে তালা হাতে করে ঘরে চলে গিয়ে ছিলাম।
দিনের বেলায় আপনারা কিছু কি কোন দিন দেখেছিলেন বা শুনেছিলেন ? শশী প্রশ্ন করলেন।
ওয়াচমেন বলল--না, তবে আমার বৌ আমায় বলে ছিল, সে নাকি এক দিন এক সাহেবকে দোতালায় উঠে যেতে দেখেছে। বৌ ডাকাডাকি করলে আমি আর বৌ দুজনে মিলে সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে দেখেও কাউকে খুঁজে পাইনি।
--আর কিছু ? অর্ণব প্রশ্ন করলেন।
আমরা একবার ভেতরে যেতে পারি ? শশী প্রশ্ন করলেন।
ওয়াচমেন কিছু ভেবে বলল, দেখুন সার, আপনারা যেতে পারেন। তবে আমি কিন্তু সাথে যেতে পারবো না। আর একটা কথা সার, কিছু হয়ে গেলে আমি আবার ফেঁসে না যাই,সেটা দেখবেন।
দরজায় তালার কি হবে ? জনান্তিক বললেন।
এক রাতে ঘর খোলা থাকলেও চলবে, স্যার--চৌকিদার বলল।    
সঙ্গে সেই মোবাইল টর্চ আর মাঝারি ধরনের চাকু নিয়ে ওরা এগিয়ে গেলেন। সামনের দরজার পাট খুলতেই ঘড় ঘড় একটা শব্দ নির্জনতা ভঙ্গ করল।
অর্ণব আবার অবশ হতে লাগলেন, কাঁপা গলায় বললেন, আবার ভেতরে যেতে হবে ?সব তো জানা হয়ে গেলো।
--আমরা তো সব নিজের চোখে দেখতে এসেছি রে--জনান্তিক অর্ণবকে সামাল দিতে চেষ্টা করলেন।
একটা ভ্যাপসা গন্ধ নাকে এসে লাগছে। সারাদিন দরজা জানালা বন্ধ থাকায় এটা হতেই পারে। কান পাতলে খুটখাট শব্দ শোনা যাচ্ছে। অর্ণব ভয়ে চমকে চমকে উঠছেন। শশী ও জনান্তিকের মাঝে ঢুকে আছেন তিনি।
বন্ধুরা থমকালেন, ওঁদের কানের মধ্যে হাল্কা একটা সুর এসে প্রবেশ করছিল। সুরটা কিসের ? আসলেই কি ওটা কোন সুর ? নাকি বাতাসের তান ? সামনে লম্বা একটা লন চলেগেছে। তার দু’দিকেই ঘর আছে। একদিকে বড় একটা হল ঘর। ওঁরা তার ভেতরে প্রবেশ করলেন। এ ঘর এক সময় স্টুডিও ছিল হবে। ঘরের এক কোনায় ভাঙাচোরা যন্ত্রপাতি পড়ে আছে। কিছু ছেঁড়া মলিন ফাইল ও কাগজ পত্র পড়ে আছে।
জনান্তিক চমকে উঠলেন, তিনি সিগারেটের গন্ধ পাচ্ছেন না ? তিনি চাপা ডাক দিয়ে উঠলেন, সিগারেটের গন্ধ পাচ্ছিস, শশী !
শশী স্বর নামিয়ে বললেন, হ্যাঁ রে--মিষ্টি একটা গন্ধ !
গন্ধ ! ততক্ষণে অর্ণব কাতরে উঠলেন, ওরে বাবা বিদেশী সিগারেটের গন্ধ !
অর্ণবকে দুই বন্ধু কাছ থেকে ধরে নিলেন। তা না হলে ওঁ যে জ্ঞান হারাবেন। একটু পরেই আর কিছু নেই, গন্ধ সরে গেছে কিন্তু মচ মচ একটা বুট জুতোর খুব হালকা চাপা শব্দ ওদের কানে এলো। কেউ যেন চলে যাচ্ছে না ! তার মানে সেই সাহেব এসেছিল হবে যে কিনা রেডিও সেন্টারে এসে ফাইলপত্র ঘাঁটত ! সে হেট্ বুট পরিহিত এক ইংরেজ ছিল।
এখন চারদিক স্তব্ধ। ওঁরা ওপরে ছাদ ঘুরে এলেন। না আর কিছু অনুভব করা যাচ্ছে না। নিচের দিকে নামতে গিয়েই আবার ওঁদের কানে ধরা পড়লো একটা মিষ্টি সুরের লহরী। যেমনটা খানিক আগেই ওঁরা শুনতে পেয়েছিলেন। শশী তাড়াতাড়ি মোবাইলের ফোকাসে এগিয়ে গেলেন একটা জানালার দিকে। জানলার সামান্য ফাঁকা দিয়ে বাইরের ক্ষীণ আলো ঘরে এসে প্রবেশ করছে। শশী সেই ফাঁকে গিয়ে কান পাতলেন। হ্যাঁ, তাঁর ধারণা ঠিক হলেও হতে পারে। জানলার ফাঁক দিয়ে বাতাস গতি বেগে ঢুকছে আর হতে পারে এ কারণে সোঁ সাঁ সোঁ সাঁ শট শট একটা শব্দের সৃষ্টি হচ্ছে। আর হতে পারে সেটাই ওঁদের কাছে হালকা কোন সুর বলে মনে হচ্ছে ! এ ব্যাপারে ওঁরা কেউ নিশ্চিত হতে পারলেন না।
অর্ণব এবার বলে উঠলেন, আমার ভীষণ ভয় হচ্ছে, চল এবার বাইরে বেরুই !
হ্যাঁ, যা দেখার তা দেখা হয়ে গেছে। সিগারেটের গন্ধ কিংবা জুতোর মচ মচ আওয়াজ কোন অলৌকিক ব্যাপার বলতেই হবে। ওঁরা ধীরে ধীরে নিচে নেমে যাচ্ছেন। আর ঠিক সেই সময় আবার ওঁদের নাকে এসে ঠেকল সেই সিগারেটের মিষ্টি গন্ধটা--গন্ধটা বেশ অলৌকিক নেশাময় বলে মনে হল। ওঁরা তখন সদর দরজার কয়েক সিঁড়ি ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন। গন্ধ সরে যেতেই দু’পা এগিয়ে ওঁরা সমতলে নামলেন আর ঠিক সেই সময়ে ওঁরা ওপর তলায় শুনতে পেলেন জুতোর মচ মচানো শব্দ। কেউ যেন হেঁটে যাচ্ছে। এর মধ্যে অর্ণব ওপরের সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে ভয়ে চাপা শব্দে চেঁচিয়ে উঠলেন,ওই সাহেব ভূত, সাহেব ভূত !
তৎক্ষণাৎ শশী ও জনান্তিক অর্ণবের দৃষ্টি মিলিয়ে ওপর দিকে তাকালেন, কিন্তু কৈ, কিছু তো নেই ?
অর্ণব ভয়ের সুরে তুতলে বলে চলেছেন, আমি, আমি, স্পষ্ট দেখলাম...সাহেব...ভূত ছিল। ওর মাথায়...গোল, গোল একটা টুপি...পরা ছিল।
আর না, অর্ণবের সাহেব ভূত দেখার কথা কতটা বিশ্বাস যোগ্য তা বলা মুশকিল হলেও আজ ওঁদের প্রাপ্তি কিন্তু নেহাত কম নয়। অলৌকিক ঘটনার সব কিছু স্পষ্ট দেখা যাবে এমনটা হয় না। কিছু আভাস, অস্পষ্ট অনুভূতি, ছায়া দর্শন, শব্দ শ্রবণ--এ সব কিছু মিলিয়ে বলতে হবে আজের এখানে আসা ওঁদের অনেকটাই সার্থক হয়েছে।