গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০

আফরোজা অদিতি

রেবতি

আজ সকালেই চা খাওয়ার সময় লক্ষ্য করেছিল রেবতি চায়ের কোন গন্ধ আছে তা পাচ্ছে না! দুপুরে খেতে বসে মাছ-ডাল-নিরামিষ কিছুরই গন্ধ পাচ্ছে না! কাগজে যেন পড়েছিল বা শুনেছিল কোভিড হলে খাবারের গন্ধ পাওয়া যায় না! গত সপ্তাহে যে দুই পাটি দাঁতই মাড়িশুদ্ধ বের হয়ে এসেছিল পরে হাত দিয়ে ঠেলে ঢুকিয়েছে ভেতরে আর চেপে চেপে জায়গা মতো বসিয়ে দিয়েছে! বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল তবে এখন পর্যন্ত দাঁত নিজের জায়গায় ঠিকঠাকই আছে! একথা বলেনি কাউকে; বললে তো কেউ বিশ্বাস করবে না; বিশ্বাস করাতে পারবে না কাউকে। কেউ বিশ্বাস করুক না করুক নিজে তো জানে রেবতি দাঁত খুলে এসেছিল। দাঁত খুলে আসা, চায়ের গন্ধ না পাওয়া, দুপুরের খাবারেও কোন গন্ধ নেই এসব কথা ভাবতেই মনে ভয় হলো! কিন' ভয় পেলে তো চলবে না! ভয় পেলে অসুখ জেঁকে বসে শরীরে! 

করোনাকাল চলবে কতদিন বলা যাচ্ছে না! ওষুধ বের হয়নি এখনও। এই অসুখ ছোঁয়াচে! কাছাকাছি যাওয়া, ছোঁয়াছুঁয়ি করা বা লাগা ঠিক নয়। করোনা সম্পর্কে বিচিত্র সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে! কোথাও আক্রান্তের সংখ্যা কমছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে; কোথাও কোথাও করোনার উপসর্গ নেই কিন' পরীক্ষার পর করোনার উপসি'তি পাওয়া যাচ্ছে। কখনও বা মৃত্যুর আগে রোগী করোনা আক্রান্ত কিনা জানা যায়নি মৃত্যু হলে জানা গিয়েছে করোনা হয়েছে! কিন' এসব নিয়ে ভাবছে না রেবতি; ভাবছে অন্যকথা। করোনা হয়েছে কি হয়নি তা পরীক্ষা না করলে জানা যাবে না! কিন' রেবতি পরীক্ষা করাতেই চায় না! করোনা হোক বা না হোক, করোনা হয়েছে ধরে নিয়েই সাবধানে থাকবে! বাড়িতে ছেলেমেয়েরা রয়েছে ওদের থেকে একটু দূরে দূরে থাকবে; মাস্ক পরে থাকবে  কিন' মাস্ক পরতে পারে না রেবতি! দম আটকে আসে তবুও পরতে হবে; যাতে ওর শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ির আনাচ-কানাচ না ছড়িয়ে পড়ে। এবং ওদের যাতে ছোঁয়া না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে; কমপক্ষে তিনফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ছেলেমেয়েরা নানান প্রশ্ন করবে; ছুটোছুটি করবে! তবুও দূরত্ব রাখতে হবে, থাকতে হবে। ‘অসুখটা বড়ো ছোঁয়াচে’ কথাটা ঘন্টাধ্বনির মতো বেজে ওরঠ বুকে ভেতর পাজড় তলে! 

কোভিড টেস্ট করাতে চায় না রেবতি; ওর কোভিড টেস্ট-এ ভয়! মনে হয় টেস্ট করতে গেলেই পজেটিভ রেজাল্ট আসবে! না,না কিছুতেই যাবে না! কিন' কোভিড টেস্ট করতে না গেলে কেমন করে হবে? এমনিতেই হাত ধোয়াধুয়ি; হাত ধোয়াতে ওর বিরক্ত নেই একটুও ; রেবতি একটু সুচিবায়ুগ্রস' ! ওর হাত ধোয়া দেখে হাসতো সকলে! কিন' এখন আর হাসে না। সবারই প্রয়োজন হাত ধোয়া এখন! হাত ধোয়া প্রয়োজন শুধু ওর একার নয়! এই নভেল করোনা নামের অসুখটা হঠাৎ করে এসে কীভাবে যেন মানবসমাজকে তার হাতের মুঠোয় ভরে নিয়েছে; মহামারি আকার ধারণ করেছে খুবই আশ্চর্যের বিষয়! আশ্চর্য হলেও টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা; প্রথমদিকে তো হাত ধোয়ার ব্যাপারে বলেছিল, ত্রিশ সেকেণ্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; সময় মাপার জন্য বলেছিল, ‘হ্যাপী বার্থ ডে টু ইউ” লাইনটি গাইতে কিন' সম্প্রতি বলেছে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ লাইনটি গাইতে যে ডপলেট চারপাশে ছড়ায় তাতে রোগ ছড়ানো আশংকা বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে; থেমে নেই ওরা। শুধু টিকা নয়, নানা রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন ওরা! ‘ হু’ (বিশ্ব স্বাস'্য সংস'া) বরাবর মহামারি সম্পর্কের বিধিনিষেধ, কী কী হতে পারে তার আপডেট দিয়ে যাচ্ছে অনবরত! কীভাবে চলতে হবে, কীভাবে চলা উচিত সে বিষয়েও প্রথম থেকে সচেতন করছে ‘হু’। প্রথমদিকে লকডাউন দিয়েছিল; এখনও কিছু কিছু দেশ-অঞ্চলে লকডাউন হচ্ছে; তবুও অনেকে মানছে, অনেকে মানছে না। আর মানবে কীভাবে? অর্থনীতি সচল রাখতে হলে তো অনির্দিষ্টকালের জন্য এই লকডাউন দিয়ে রাখা যাবে না; যায় না!  রেবতি বাংলাদেশের একটি জেলা শহরে থাকে, ছাপোষা ঘরের স্ত্রী, সন্তানের মা! রাজনীতি করে না, রাজনীতি বুঝেও না! তবুও দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, মন্দা এগুলো সম্পর্কে অল্পবিস্তর ধারণা আছে। সে বুঝতে পারে এভাবে কখনও দেশ বা বিশ্ব চলতে পারে না। সেহতু কী করতে হবে? সাবধান হতে হবে নিজেদের! মাঝেমধ্যে তাঁর মনে হয়, বাঙালি সংস্কৃতি একদিক দিয়ে ভালোই বলতে হয়, হাত মেলানোর প্রথা আছে কিন' কিস্‌ দেওয়ার প্রথা নেই! সামাজিক দূরত্বে বিদেশি এই ‘কিস্‌’ প্রথা  করোনাভাইরাস ছড়ানোর সহযোগি হিসেবে কাজ করে।  রেবতি ভাবে এই প্রথা নেই তবু অসুখটা তো বাড়ছে; বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যা। বাড়ছে ঠিক কিন' কোথাও বাড়ছে কোথাও আবার কমছে! কখনও বাড়ছে কখনও কমছে! ভালো একটা খেলায় মেতেছে কোভিড- ১৯! 

 রেবতির মনে খুট করে বেজে উঠলো,  সে তো কারও সঙ্গে হ্যাণ্ডশেক করেনি, কারও সঙ্গে আলিঙ্গন করেনি, কিস্‌ করেনি,  ঘর থেকেই তো বের হয়নি তবে ওর কেন করোনা হবে? নিজের চিন্তায় ব্যাকুল নয় রেবতি, ব্যাকুল ছেলেমেয়ের জন্য, স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য। একটা নিঃশ্বাস ফেলে রেবতি; ওর যে করোনা হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না, টেস্ট করা হয়নি; তবে হতে পারে। কয়েকদিন হাসপাতালে বোনের সঙ্গে থাকতে হয়েছিল। লকডাউনের পরে বোনের মেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল; আর যাওয়ার পরদিন মায়ের শরীর খারাপ হয়, যায়-যায় অবস'া! হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। কিন' মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিশেষ করে স্বামী আসতে দিতে চায়নি ওকে, ছোটোছেটো দুটি ছেলে আছে ওদের; ওদের জন্যই আসতে দেয়নি ওকে! আর বোনের ছেলেবউ প্রেগনেন্ট, ওকে তো হাসপাতালে যেতে দেওয়া যাবে না। ছেলেবউ আর মেয়ে দুজনের অসুবিধার জন্য বোনের সঙ্গে গিয়েছিল রেবতি, বোনের সঙ্গে হাসপাতালে থেকেছিল। বোন এখন ভালো। হাসপাতাল থেকে ফিরেছে চৌদ্দদিনও হয়নি; মাত্র সাতদিন এরমধ্যে সর্দি-কাশি, অল্প অল্প জ্বর! বুঝতে পারছে না রেবতি। 

 কোভিড টেস্ট করা দরকার কিন' করতে চাইছে না; মনের ভেতর আকুলি-বিকুলি কেন কোভিড হবে? আবার মনের মধ্যে কেন হবে না কোভিড সে প্রশ্নটিও আছে। হাসপাতালে গিয়েছে, মানুষের অসহায় অবস'া দেখেছে! আগে তো শুনেছিল হাসপাতালে সীট নেই, সীট পাওয়া যায় না; তবে এসব কিছু নয়, সীট পেতে অসুবিধা হয়নি এখানে, কিন' রাতে তো শোয়ার অসুবিধা; কেবিন পাওয়া যায়নি, তাছাড়া শরীর এত খারাপ ছিল যে বোনকে সিসিইউ-তে রাখতে হয়েছিল। সিসিইউ-এর রোগীর স্বজনদের  থাকতে হয় বাইরে! নারী-পুরুষ সব এককাতারে কেউ বসে থাকে, কেউ বা মাটিতে চাদর পেতে শুয়ে থকে; আপনজন বলে কথা! রাতে না থাকলে তো চলে না আর ওভাবেই থাকতে হয় কারণ কখন কী লাগে কখন কী অসুবিধা হয়! দুইদিন ছিল ওভাবেই হাসপাতালে চেয়ারে বসে। দুইদিন পর বোনের ছেলেটি বলল, ও একাই থাকবে; একজন সিস্‌টার, একজন আয়া ঠিক করেছে যারা রাতের কাজটুকু করে দিবে। রাতে না থাকলেও তো সকাল থেকে রাত দশটা, তারপর বাড়ি এসেছে! ওখান থেকেই কী কোভিড-বীজ রোপিত হয়েছে ওর দেহে! রেবতির মস্তিষ্ক কোন কাজ করে না; রেবতি চিন্তা করতে পারে না। 

রেবতি শুধু নিজের কথা চিন্তা করছে; হাসপাতালে কি ও একাই ছিল! একা নয় কত মানুষ!  যত মানুষ, তত অসুখ! বিভিন্ন্ন ধরণের অসুখ। অসুস' মানুষ তো একা থাকে না, ওদের কাছে একজন না একজনকে থাকতেই হয়। আর সুস' মানুষ যারা থাকে তারা আরও কষ্টে আরও অসহায় অবস'াতে থাকে। অসুস' মানুষকে দেখলেই সেই গানের চরণ মনে পড়ে যায় “তুই নিয়তির খেলার পুতুল বুঝলি না কেন বল?”  মানুষের অবস্থা কখন কী হয় বলতে পারে না মানুষ! এক ঈশ্বর ছাড়া কেউ বলতে পারে না! কয়দিন হাসপাতালে থেকে রেবতির মনে এই বিশ্বাস পোক্ত হয়েছে! হাসপাতালে গেলে বুঝা যায় মানুষ কত অসহায়; অসুখ-বিসুখে মানুষ নিজে কষ্ট পায়, তাঁর ভেতরের যে কষ্ট সেই কষ্টের ভাগ কেউ নিতে পারে না; কাউকে সে দিতে পারে না! এইখানেই মানুষের অসহায়ত্ব। মানুষ যত অর্থ উপার্জন করুক, যত বাড়িগাড়ি হাঁকাক যখন সে চলে যাবে এ পৃথিবী থেকে তাঁর সঙ্গে কেউ যাবে না; যেতে চাইলেও যেতে পারে না, পারবে না! আগে সতীদাহ প্রথা ছিল, স্বামীর সঙ্গে একই চিতায় জীবন্ত পুড়ে মরা! এই কথাটি ভাবলেই আজও রেবতির মনে প্রশ্ন ওঠে কেন এই সতীদাহ প্রথা ছিল? মানুষের শুধু মাত্র নারীকে কষ্ট দেওয়া নাকি অন্য কোন কারণ ছিল। মাঝেমধ্যে রেবতির মনে হয় এটা কি তবে একটা বিশ্বাস যে পরপারে গিয়ে যেন সে নিঃসঙ্গ না থাকে; এই ভাবনটা যদিও পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থারই বহিঃপ্রকাশ তবুও মন থেকে সরাতে পারে না রেবতি।

সারাদিন ঘরের কাজ  করে রেবতি; আজ দ্বিধা হচ্ছে; ভাবছে করবে কী করবে না! কিন' ঘরের কাজ না করলেও তো চলবে না। ছেলেমেয়ে অফিসে গেছে; মেয়ে পাশের ফ্ল্যাটে থাকে। অফিস গেলে নাতনি ওর কাছে থাকে। স্কুল যেতে হয় না কিন' অনলাইন ক্লাস হয়। আজ ক্লাস হচ্ছে না। নাতনির কোন জ্বালাতন নেই, ওর মতো লেখাপড়া খেলাধূলা করে কিংবা ট্যাব নিয়ে বসে থাকে। ইউ-টিউব দেখে। রেবতির শরীরটাও ম্যজম্যাজ করছে। ভালো লাগছে না! কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকে। চিন্তা করে। ঘুমিয়ে যায়। ঘুমের ভেতর মাকে দেখতে পায়; মাথার কাছে বসে আছে মা। বলছে, ‘কী হয়েছে রেবু মা, শুয়ে আছিস কেন?’ ‘মাগো, শরীরটা ভালো লাগছে না। বুঝতে পারছি না।’ ‘ঘুমিয়ে থাক, ঘুমালে শরীরটা ভালো হয়ে যাবে। আমি একা থাকি, তবুও তোকে নিতে পারবো না। আমার সবসময় মনে হয় তোকে নিয়ে যাব, নিয়ে যাব আমার কাছে। দুজনে কাছাকাছি থাকবো। তোকে বুকে আগলে রাখবো। কিন' এখানে তো তোর অনেক দায়িত্ব রেবতি।’ স্বপ্ন দেখে মা, মা করে চিৎকার ডেকে ওঠে। মায়ের স্পর্শ যেন এখনও লেগে আছে মাথায়, মুখে। মা কি তবে সত্যিই এসেছিল? প্রশ্নটা নাড়া দিয়ে যায়। “এসেছ কি আসনি বুঝিব কেমনে?” কেঁদে ফেলে রেবতি; ও যেন ছোট একটা বাচ্চা মেয়ে; মায়ের হাত ধরে চলছিল এখন হারিয়ে গেছে! 

ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। ছোটবেলা লাইট চলে গেলেই মাকে ডেকে বলতো, মাগো হারিয়ে গেছি আমি। এই কথা শুনলেই ওর মা দৌড়ে এসে কোলে নিতো ওকে। গল্প শোনাত, শোনাত কবিতা ছড়া। ওর বাবার কথাও মনে পড়ছে, বাবার আদুরে মেয়ে ছিল ও। এখন কোথায় বাবা, কোথায় মা। জীবনের একটা সময় আসে যখন বাবা-মা কেউ থাকে না কাছে। ছেলেমেয়ে স্বামী  নিয়ে দিন চলে যায়; তারপর ছেলেমেয়ে বড়ো হয়ে গেলে এই জীবন একা হয়ে যায়। স্বামী কাছে থাকলে তো দুজনে চলে যায় আর না থাকলে তো একলা জীবন বয়ে যায় নদীর মতো; তখন নদী বহতা থাকে না হয়ে যায় মরা নদী! মানুষ একা আসে একাই যায়! সঙ্গের সাথী হয় না কেউ, হতে চাইলেও পারে না! টাক-কড়ি-ধন-দৌলত কিছুই নিতে পারে না। তাহলে, মানুষ কেন এমন লোভে-লালসার মধ্যে দিন কাটায়? দান-খয়রাতে অনীহা কেন মানুষের? কেন অনীহা ভালো কাজ করার?  রেবতির মন এলোমেলো ভাবনার বেড়াজালে আটকে আছে। শরীর মন কিছুই ওর বশে থাকতে চাইছে না! কী করবে ছেলেমেয়েকে ফোন করবে। ওদের বলবে বাড়িতে আসার জন্য! কিন'... মন কিন'র ঘেরাটোপে আবদ্ধ হয়ে রইল। রেবতির শরীর-মন ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, উঠতে চেয়েও উঠতে পারছে না রেবতি! দরোজার কাছে নাতনি, মধুপা ডাকছে, আপুনি, আপুনি! ওর ডাকেও সাড়া দিতে পারছে না। হাত বাড়িয়ে শুধু মোবাইল দেখিয়ে দেয়। মধুপা দৌড়ে মা আর মামাকে মোবাইল করে; তারপর এসে রেবতির মাথায় হাত রাখে মধুপা। রেবতি নিষেধ করতে পারে না ওকে; নিষেধ করার জোরটুকু হারিয়ে ফেলেছে রেবতি।