গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

সংক্রান্তি

সারাদিন ঝর্ণাদিকে দেখেছি ছাদ থেকে যে জানালা খোলা ঝর্ণাদির বোধহয় খেয়াল ছিল না অথবা ইচ্ছে করেই দেখাতে চেয়েছে৷ পর্দাটা কবে ছিঁড়ে গিয়েছে খেয়াল নেই কারো মাঞ্জা দেবার জন্য লাটাই পাড়তে গিয়ে দেখলাম ঝর্ণার মতো নেমে এলো ঝর্ণাদি।
পট পট করে খুলে ফেলল পিছনের টিপ বোতাম তারপর সব হাঁ হয়ে গেছে চোখ খিদে চাগাচ্ছে।দেখার খিদে। মাঞ্জা দেওয়া, কাচগুঁড়ি , আঠা ,সুতো সব পড়ে রইল বেলের উপর কালো কুল
কেউ বসিয়ে দিয়েছে আর নাভির 
নীচ থেকে অদ্ভুত আরণ্যঘেরা রহস্যময় উপত্যকা। আমি যে দেখছি সেটা বোধহয় ঝর্ণাদি জানতো। আমার দিকে একবার সামনে একবার পিছনের অদ্ভুত পাহাড় দেখিয়ে নেচে ফিরছিল ঝর্ণাদি শরীরটা সাপ দেখলে যেমন হিম হয়ে যায় হিম হয়ে যাচ্ছিল আমার সারা শরীর ঝর্ণাদির বাড়ির আয়নাটাকে হিংসে
হচ্ছিল আমার আমি ছাড়া আয়না
কেন কেন ঝর্ণাদিকে দেখবে! ইট মেরে ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে হলো

সূতো আর ঘুড়ি অবশেষে তৈরি হলো ঝর্ণাদি জানল না ঘুড়ি ভোকাট্টা হলে ঝর্ণাদির বাড়ির নীচে
একটা মোমবাতি মিছিল এসে থামল অন্তঃসত্ত্বা ঝরণাদি দেখতে পেল না এখনো শাড়িটা ফেঁসে ফ্যানের গায়ে মাঞ্জা সূতো ছাড়লে
আকাশ পড়ে ফেলল ঘুড়িটার শরীরে বাংলা অক্ষরে ভালোবাসি ভালোবাসি কটি মাত্র সহজ শব্দ।
বিশ্বকর্মা পুজো একটা দিনেই হয়।
ভাদরের সংক্রান্তি চাঁদিয়াল কেটে
ফেলে পেটকাটা .....