এ পাড়ায় আমি প্রতিদিন আসি । গলির মোড়ে গীতা মাসিদের বাসার সামনে বসার যে জায়গাটা সেখানে বসে আড্ডা দেই। কখনো
কখনো গীতা মাসি ডেকে পাঠায়,
পাড়ার অনেক কথা গীতা
মাসির গল্পে বেরিয়ে আসে,আমি শুনি। কখনো কখনো গীতা মাসি আমার ভবিষ্যত নিয়ে হাহুতাশ করে,উপদেশ দেয় তারপর কাঁদতে থাকে।গীতা মাসি আমার মার বান্ধবী আমার প্রতি তার স্নেহ অনেক বেশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার দুই ছেলের চেয়েও বেশি।গীতামাসির চিকন সুতার মতো পলা আলুভাজা আমার খুব প্রিয় তাই কোন কোন দিন চায়ের সাথে বেশ কিছু আলুভাজাও আমার কপালে জুটে যায়।এই গীতা মাসির কাছেই প্রথম বৈদেহীর কথা শুনি।বেশ কিছুমাস পর গীতা মাসির গল্পের রাজকন্যা বৈদেহীর সাথে আমার পরিচয় হবে ।
শরতের আকাশ জুড়ে পেঁজা তুলার মতো মেঘ।নদীর পাড়ে কাশের বনে হাওয়ার দোল।বর্ষা শেষের সজীবতায় সবুজ গাছপালা যেন টগবগে তারুন্য নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।আমি হেঁটে যাই গার্লস স্কুলের পাশ দিয়ে। তখনো আমি জানিনা এই স্কুলটায় বৈদেহী পড়ায় অথচ আমি স্কুলটার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে জয় গোস্বামীর বেনীমাধব আওড়াই আপনমনে। আমার তখনো জানা নেই বৈদেহী সাহিত্যের ছাত্রী । বৈদেহীর সাথে আমার এখনো পরিচয় হয়নি । অথচ রোজ
বিকেলে সাদামাটা সাজে কাঁধে কালোব্খুব মার্জিত শাড়ি,মুখে একরাশ গাম্ভীর্য নিয়ে যে মেয়েটি গলি দিয়ে ঢুকে যায় বিবর্ণ সাদা বাড়ীটির ভেতর অনেক পরে জেনেছি সে মেয়েটি বৈদেহী,আরো অনেক পরে জেনেছি গাম্ভীর্যের নীচে তার দুঃখের কথা।তারও অনেক পরে খুঁজে পেয়েছি বিবর্ণ চুনরঙের মাঝে ছোপ ছোপ বেদনার ফ্যাকাশে নীল । শরতাকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ,বলা নেই কওয়া নেই ঝুম বৃষ্টি । চোখ ঝাপসা, ঠোঁটে জীবনানন্দের বনলতা সেন। কে জানতো এমন দিনে বৃষ্টিভেজা কোনো জীবন্ত বনলতা রিক্সা থেকে নামবে কাকভেজা তার শ্রাবস্তীর কারুময় মুখে বৃষ্টির বিন্দু বিন্দু জলে মিশে থাকবে গোপন কান্নারা সংগোপনে।
বৈদেহীর সাথে এখনো আমার দেখা হয়নি। তবু আমি গীতা মাসির মুখে শুনে শুনে বৈদেহীকে অনেক বেশি চিনি এবং জানি।যদিও সংশয়থেকে যায়, কতটুকু?তবুও আমি আনমনে বৈদেহীর পাশে দাঁড়াই নির্মলেন্দু গুণ তন্নতন্ন করে বলি-'বলছি না ভালোবাসতেই হবে।' ওর ভাই হারানোর দুঃখে অসুস্থ বাবার পাশে মায়ের উদ্বিগ্নতা,মার সযত্নে গড়ে উঠা বৈদেহীর চোখ জুড়ে দিদার স্নেহ ভালোবাসার আড়ালে যে নীল বৈদেহীর বাস আমি তাকে ছুঁয়ে যাই বারবার। কিন্তু কি আশ্চর্য এখনো বৈদেহীর সাথে আমার সরাসরি দেখা হয়নি,কথা হয়নি অথচ স্বপ্নে বহুবার। শিউলি ফুলের গন্ধ মাখা সকাল।এমন সকালগুলোয় কেমন যেন ।
অচেনা অজানা একটা মন কেমন কেমন করা অনুভূতি ছড়িয়ে থাকে।বৈদেহীর সাথে আমার এখনো দেখা হয়নি। তবু গতরাতে একটা কবিতা পড়তে পড়তে মনে হ কথা ভেবেই শৌনক দত্ত লিখে গেছেন।
বৈদেহীকে আমি এমন কথাই হয়ত বলবো কিংবা বলতে চাই। শৌনক দত্ত তনুর কবিতাটা চোখের সামনে মেলে ধরি -
শরতের আকাশ জুড়ে পেঁজা তুলার মতো মেঘ।নদীর পাড়ে কাশের বনে হাওয়ার দোল।বর্ষা শেষের সজীবতায় সবুজ গাছপালা যেন টগবগে তারুন্য নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।আমি হেঁটে যাই গার্লস স্কুলের পাশ দিয়ে। তখনো আমি জানিনা এই স্কুলটায় বৈদেহী পড়ায় অথচ আমি স্কুলটার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে জয় গোস্বামীর বেনীমাধব আওড়াই আপনমনে। আমার তখনো জানা নেই বৈদেহী সাহিত্যের ছাত্রী । বৈদেহীর সাথে আমার এখনো পরিচয় হয়নি । অথচ রোজ
বিকেলে সাদামাটা সাজে কাঁধে কালোব্খুব মার্জিত শাড়ি,মুখে একরাশ গাম্ভীর্য নিয়ে যে মেয়েটি গলি দিয়ে ঢুকে যায় বিবর্ণ সাদা বাড়ীটির ভেতর অনেক পরে জেনেছি সে মেয়েটি বৈদেহী,আরো অনেক পরে জেনেছি গাম্ভীর্যের নীচে তার দুঃখের কথা।তারও অনেক পরে খুঁজে পেয়েছি বিবর্ণ চুনরঙের মাঝে ছোপ ছোপ বেদনার ফ্যাকাশে নীল । শরতাকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ,বলা নেই কওয়া নেই ঝুম বৃষ্টি । চোখ ঝাপসা, ঠোঁটে জীবনানন্দের বনলতা সেন। কে জানতো এমন দিনে বৃষ্টিভেজা কোনো জীবন্ত বনলতা রিক্সা থেকে নামবে কাকভেজা তার শ্রাবস্তীর কারুময় মুখে বৃষ্টির বিন্দু বিন্দু জলে মিশে থাকবে গোপন কান্নারা সংগোপনে।
বৈদেহীর সাথে এখনো আমার দেখা হয়নি। তবু আমি গীতা মাসির মুখে শুনে শুনে বৈদেহীকে অনেক বেশি চিনি এবং জানি।যদিও সংশয়থেকে যায়, কতটুকু?তবুও আমি আনমনে বৈদেহীর পাশে দাঁড়াই নির্মলেন্দু গুণ তন্নতন্ন করে বলি-'বলছি না ভালোবাসতেই হবে।' ওর ভাই হারানোর দুঃখে অসুস্থ বাবার পাশে মায়ের উদ্বিগ্নতা,মার সযত্নে গড়ে উঠা বৈদেহীর চোখ জুড়ে দিদার স্নেহ ভালোবাসার আড়ালে যে নীল বৈদেহীর বাস আমি তাকে ছুঁয়ে যাই বারবার। কিন্তু কি আশ্চর্য এখনো বৈদেহীর সাথে আমার সরাসরি দেখা হয়নি,কথা হয়নি অথচ স্বপ্নে বহুবার। শিউলি ফুলের গন্ধ মাখা সকাল।এমন সকালগুলোয় কেমন যেন ।
অচেনা অজানা একটা মন কেমন কেমন করা অনুভূতি ছড়িয়ে থাকে।বৈদেহীর সাথে আমার এখনো দেখা হয়নি। তবু গতরাতে একটা কবিতা পড়তে পড়তে মনে হ কথা ভেবেই শৌনক দত্ত লিখে গেছেন।
বৈদেহীকে আমি এমন কথাই হয়ত বলবো কিংবা বলতে চাই। শৌনক দত্ত তনুর কবিতাটা চোখের সামনে মেলে ধরি -
‘যদি কোনোদিন ইচ্ছে হাওয়ায় তুই
মরে যাওয়া চিঠির খামে ছুঁয়ে থাকার ঘোরে,
অক্ষরে পায়ে-পায়ে ফিরে আসিস
রাতজাগা চোখে যদি আসিস কোনোদিন
নেশাতুর লেখার টানে গাছের ছায়ার নীচে চুপচাপ
বহুদূর ধুলোবালি পথ ও পথিক চয়িত ফুল
রক্তিম যীশুর বেশে যদি রবি পরিক্রমায় কোনোদিন
ঝিঁঝিঁ পোকার কাছে রাতকে রেখে আবছায়া
অনুরাগ নিয়ে ডেকে যাস ভেজা চোখে যদি কোনোদিন
পাতায় পাতায় ছবি ফুটে ওঠে শ্রান্ত জলের গভীরে
যদি কোনোদিন আমি নেই কোথাও মরা নদীদের মতো
তুই আসিস যদি তখন কোনোদিন উজাড় করা
রঙের আকাশ কেড়ে নেয় যদি কংক্রিট নগরী
বারুদগন্ধ নিয়ে যদি জেগে থাকে
আধমরা মানুষের দল
সেখানেই খুঁজিস বুকের উঠোন আর্দ্ররেখার
উন্মনা উপহার তোকে লেখা
আমার তাবত কবিতা অস্ফুটে,অজ্ঞাতে’ !
আজকের বিকালটা যে আমার জন্য একটু অন্যরকম হবে তা জানা ছিলো না। গীতা মাসি যখন ডাকলেন তখনো আমি জানিনা ব্যতিক্রম কিছু আজ হতে যাচ্ছে।এখনো সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসেনি চারিদিকে,আবছায়া ধুসর আলো। আড্ডার ফাঁকে গীতা মাসি ডেকে উঠলেন। বৈদেহীর ছাত্রছাত্রীদের ছুটি হয়ে গেছে পাখির মতো তারাও ফিরছে। বৈদেহীর সাথে এখনো আমার পরিচয় না ঘটলেও তার ছাত্র ছাত্রীরা আমার বেশ পরিচিত । গীতা মাসির ডাকে ঘরে গিয়ে যা শুনলাম তা আজকের বিকাল ও সন্ধ্যাকে করে তুললো
অন্যরকম একটা দিনে।গীতা মাসি চায়ের সাথে আজ যে কাঁদলেন তা আমার সাথে বৈদেহীর তুলনা
করে।বৈদেহীর মতো একা একটা মেয়ে বাবার অসুস্থতা,মার উদ্বিগ্নতা বুকে চেপে নিজের সাধ আহ্লাদ দূরে রেখে সংসারের বোঝা কাঁধে তুলে নিয়ে সকাল থেকে বিকাল স্কুলে পড়িয়ে আবার বাসায় ছাত্রছাত্রী পড়াচ্ছে আর সেখানে
আমি বাউন্ডুলের
মতো সারাদিন রাত
আড্ডা আর কবিতা নিয়ে কাটাচ্ছি। আজ গীতামাসি এই তুলনা করে যখন কাঁদলেন তখন মনে হলো একটা মেয়ের এত ভাল হবার,এত সংসার নিয়ে ভাবার কি এমন প্রয়োজন ছিলো?এই প্রথম বৈদেহীর উপর আমার খুব রাগ হলো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এখন রাত।মোড়ের মুদিখানা পেরিয়ে একবার মনে হলো বৈদেহীদের বাসায় ঢুকে যাই কিছু বলে আসি বৈদেহীকে। কয়েক পা এগিয়ে ফিরে এলাম ছোট্ট খয়েরী রঙের গ্রীলের পাশে কে যেন ছিলো বৈদেহী নয়ত? অন্ধকারে দাঁড়ানো বৈদেহীকে আমি হয়ত ঠিক ঠাহর করতে পারিনি কিন্তু স্ট্রীটলাইটের আলোয় বৈদেহী তো নিঃশ্চয় আমাকে দেখেছে। তখন লজ্জায় মাথা ঠুকতে ইচ্ছে করলেও কিছুটা ভালো লাগছিলো এই ভেবে বৈদেহীকে তো দেখলাম, সেও দেখলো।যদিও পরে জেনেছিলাম বৈদেহী সেখানে ছিলো না সেইদিন।
নীল আকাশের বুকে ছানার মতো মেঘ। কয়েকটি চিল নীল মাখবে বলে যেন পাখা মেলে উড়ছে।একঝাঁক চড়ূই কিচিরমিচির করতে করতে উড়ে গেলো। বৈদেহীর প্রতি রাগটা অনেক কমে এসেছে।গীতা মাসির সেদিনের কথার পর গত এক সপ্তাহ আমি ঐ দিকে যাইনি।এর মাঝে একদিন আমি বৈদেহীকে দেখছি তার স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। খুব ইচ্ছে
করছিলো গিয়ে বলি,তুমি বৈদেহী আমার নাম পুরাণ। গীতামাসিদের বাসার সামনে বসি।আমি তোমার সব জানি এমন কি আজকের আকাশের মতো তোমার যে নীল তুমি তোমার বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখো আমি সে নীলের কথাও জানি। কিন্তু তখনই রিক্সায় চেপে বেরিয়ে গেলো বৈদেহী।
বৈদেহীর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে আমার আনমনে হেলাল হাফিজ বলে উঠলেন-'নিউট্রন বোমা বোঝো মানুষ বোঝো না।' বৈদেহীর সাথে আমার পরিচয়টা এখনো হয়নি।অথচ কখন যেন মনের কোণে বৈদেহী তার জায়গা করে বসে গেছে।স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের যেমন হয় পছন্দের মানুষটিকে একটু দেখবে বলে সুযোগ খোঁজে আমার অবস্থাও এখন তেমন। আমার চরিত্রের সাথে কিংবা বয়সের সাথে যা যায়না আমি এখন তাই করছি। রোজ সকালে স্কুল শুরুর আগে আর বিকেলে স্কুল ছুটির পর আমি বৈদেহীর স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। বৃষ্টিরপ্রার্থনা করি বৃষ্টি ভেজা বনলতা থেকে দেহীকে দেখবো বলে। কিছুদিন আগেও যদি আমায় কেউ বলতো ভালোবাসায় মানুষ এমন অবুঝ হয়ে ওঠে নির্ঘাত তাকে আমি হ্যাবলা নয়ত গাধা বলতাম। আমার এই অবস্থা কেউ না জানলেও
গতকাল একবন্ধু স্কুলের সামনে দেখে বেশ অবাক হয়ে বললো'কি রে তুই এখানে কি করিস আরে ব্যাটা সময় মত বিয়ে করলে তোর মেয়ে এখন এখানে পড়তো আর তুই ব্যাটা এখানে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের সাথে টাংকি মারতে চাস।কি লজ্জার কথা চল শালা।'বন্ধুটিকে বলতে পারিনি বাচ্চা বাবার অসুস্থতা।মা ও দিদার কাছে বড় হওয়া বৈদেহীর মাঝে উচ্ছ্বলতা অন্যান্য মেয়েদের চেয়ে অনেক কম।তার একটা কারণ হতে পারে বাবার কাছ থেকে যতটুকু আদর যত্ন পাওয়ার কথা তা বৈদেহী পায়নি। বৈদেহীর চোখে তাকালে আমার বারবার মনে হয় বৈদেহীর চোখ যেন রবীন্দ্রনাথ আমার আগেই দেখেছেন আর তাই লিখেছিলেন'চোখে আমার তৃষ্ণা'। দুপুর গড়িয়ে বিকাল। কমলারঙা আভায় পশ্চিমের আকাশকে ম্লান করে সন্ধ্যা নামছে।দিনের শেষে পাখির ডানায় যতটুকু ক্লান্তি থাকে তার সব মুছে জ্বলে উঠছে স্ট্রীটলাইট ।
বৈদেহীর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে আমার আনমনে হেলাল হাফিজ বলে উঠলেন-'নিউট্রন বোমা বোঝো মানুষ বোঝো না।' বৈদেহীর সাথে আমার পরিচয়টা এখনো হয়নি।অথচ কখন যেন মনের কোণে বৈদেহী তার জায়গা করে বসে গেছে।স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের যেমন হয় পছন্দের মানুষটিকে একটু দেখবে বলে সুযোগ খোঁজে আমার অবস্থাও এখন তেমন। আমার চরিত্রের সাথে কিংবা বয়সের সাথে যা যায়না আমি এখন তাই করছি। রোজ সকালে স্কুল শুরুর আগে আর বিকেলে স্কুল ছুটির পর আমি বৈদেহীর স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। বৃষ্টিরপ্রার্থনা করি বৃষ্টি ভেজা বনলতা থেকে দেহীকে দেখবো বলে। কিছুদিন আগেও যদি আমায় কেউ বলতো ভালোবাসায় মানুষ এমন অবুঝ হয়ে ওঠে নির্ঘাত তাকে আমি হ্যাবলা নয়ত গাধা বলতাম। আমার এই অবস্থা কেউ না জানলেও
গতকাল একবন্ধু স্কুলের সামনে দেখে বেশ অবাক হয়ে বললো'কি রে তুই এখানে কি করিস আরে ব্যাটা সময় মত বিয়ে করলে তোর মেয়ে এখন এখানে পড়তো আর তুই ব্যাটা এখানে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের সাথে টাংকি মারতে চাস।কি লজ্জার কথা চল শালা।'বন্ধুটিকে বলতে পারিনি বাচ্চা বাবার অসুস্থতা।মা ও দিদার কাছে বড় হওয়া বৈদেহীর মাঝে উচ্ছ্বলতা অন্যান্য মেয়েদের চেয়ে অনেক কম।তার একটা কারণ হতে পারে বাবার কাছ থেকে যতটুকু আদর যত্ন পাওয়ার কথা তা বৈদেহী পায়নি। বৈদেহীর চোখে তাকালে আমার বারবার মনে হয় বৈদেহীর চোখ যেন রবীন্দ্রনাথ আমার আগেই দেখেছেন আর তাই লিখেছিলেন'চোখে আমার তৃষ্ণা'। দুপুর গড়িয়ে বিকাল। কমলারঙা আভায় পশ্চিমের আকাশকে ম্লান করে সন্ধ্যা নামছে।দিনের শেষে পাখির ডানায় যতটুকু ক্লান্তি থাকে তার সব মুছে জ্বলে উঠছে স্ট্রীটলাইট ।
কয়েক রাতের বিনিদ্র চোখে যেভাবে ঘুম আসে। যেভাবে
সুখস্বপ্নে রাত কেটে ভোর হয়। তেমনি করেই
প্রতীক্ষায় দিন কাটাচ্ছি।এ কয়টা লাইন লিখে মনে হলো
বড্ড বেশি ছেলে মানুষী হচ্ছে। এ চিঠি বৈদেহীর ব্যক্তিত্বকে যদি আঘাত করে। ছিঁড়ে ফেলি চিঠি,উড়িয়ে দেই হাওয়ায়। বৃষ্টি
নামে।শরতের এই দিনে বৃষ্টি
বর্ষার মতো মায়া ছড়ায় না তবু আমার ভালো লাগে কেননা বৈদেহীকে প্রথম দেখেছিলাম বৃষ্টিতে ভিজে
রিক্সা থেকে নামতে। পরে অবশ্য
জেনেছিলাম বৃষ্টি বৈদেহীর খুব প্রিয়। বৃষ্টি মাথায় করে বের হতে মন চায় না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মনে হলো বৈদেহীর স্কুল ছুটি হবে এখন। যদি বৃষ্টিতে
বৈদেহী রিক্সা না পায়। ক্যামেলিয়া
কবিতা মনে মনে বলতে বল থেকে দেখি
বৈদেহী সত্যিই রিক্সার জন্য এদিক
ওদিক তাকিতুকি করছে। নিজেকে
প্রস্তুত করি কি বলবো। বৈদেহীর সামনে গিয়ে রিক্সা থামাই । এতদিন যাবত কিংবা একটু আগেও
যতকথা বলেছি বলবো বলে অবিশ্বাস্য ভাবে আমি তার
একটি শব্দও উচ্চারণ করতে
পারিনি।বোকা হ্যাবলা পাঁঠার মতো রিক্সা
থেকে নেমে পড়ি।
রিক্সাওয়ালার অদ্ভুত চাউনি আমার দৃষ্টি এড়ায় না।আমি মন্ত্রপুত মানবের মতো বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ভাড়া মিট গেটের ছাউনি থেকে দৌঁড়ে বৈদেহী রিক্সায় চেপে চলে যায়। আমার মনে হয় চোখের সামনে দিয়ে প্রজাপতি উড়ে গেলো। ঘোর কেটে গেলে আমার নিজেকে বড় বেশি বোকাবোকা লাগে আর তখনই খেয়াল হয় রিক্সায় আমার ছাতাটা রয়ে গেছে।
রিক্সাওয়ালার অদ্ভুত চাউনি আমার দৃষ্টি এড়ায় না।আমি মন্ত্রপুত মানবের মতো বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ভাড়া মিট গেটের ছাউনি থেকে দৌঁড়ে বৈদেহী রিক্সায় চেপে চলে যায়। আমার মনে হয় চোখের সামনে দিয়ে প্রজাপতি উড়ে গেলো। ঘোর কেটে গেলে আমার নিজেকে বড় বেশি বোকাবোকা লাগে আর তখনই খেয়াল হয় রিক্সায় আমার ছাতাটা রয়ে গেছে।
সেদিনের বৃষ্টিতে ভিজে খুব জ্বর এসেছিলো জ্বর থেকে উঠে নয়দিন পর আজ আবার বেরিয়েছি।দুপুরের রেশ এখনো কাটেনি,রাস্তা
প্রায় ফাঁকাই বলা যায়।এই কয়দিন শুয়ে থেকে বেশ কিছু বই পড়া হয়েছে কিন্তু মনটা পড়েছিলো দৌঁড়ে যাওয়া বৈদেহীর কাছে।এতদিন ধরে আমি গীতামাসির বাড়ী যাইনা বৈদেহী কি আমাকে মনে কথা জানতে চেয়েছে ? আমার নিজের ভাবনায় নিজেরই
হাসি পায়। বৈদেহী তো আমাকে চেনেই না।তবুও নিজেকে নিজেই সান্ত্বনা দেই হয়ত চেনে। এতদিন ওপাড়ায় যাই ধুলোবালিগুলো পর্যন্ত চেনে জানে। বৈদেহী এটলিস্ট নাম না জানলেও মুখটা তো চেনে। পরক্ষণেই হতাশ
হই এই ভেবে বৈদেহী কোনদিন আমাদের আড্ডার দিকে ফিরেও তাকায়নি কোনো
দিন মুখ চিনবে সে আশাও ক্ষীণ । বৈদেহীর স্কুল ছুটি হয়েছে।এক পলক স্কুল গেটের দিকে তাকিয়ে
হাঁটতে থাকি। বৈদেহীকে দেখতে একটু দাঁড়াবো নাকি ?
ভাবনাটা মাথায় আসতেই আমার
বন্ধুর সেই বলা কথাগুলো কানে বাজে। হাঁটা থামিয়েও আবার হাঁটতে থাকি। -এই যে
শুনছেন? আবেগী ডাকটা কানে আসে। ইশ যদি এভাবে বৈদেহী আমায় একবার ডাকতো কোনোদিন। -এই যে
শুনুন। মেয়েটার মিষ্টি ডাকটা যতবার শুনছি বৈদেহীকে তত অনুভব করছি। আর মনে মনে
ভাবছি। যাকে মেয়েটি এভাবে ডাকছে সে যদি লাকি তখনই মনে হলো যদি ছেলে হয় ছেলেটা একটা গাধা। এভাবে একটা
মেয়ে ডেকে যাচ্ছে গদর্ভ একটু দাঁড়িয়ে
পিছনে দেখ। আমার মনে হলো আমার সামনে হেঁটে
যাওয়া ছেলেটিই হয়ত সেই গাধা।নাকি
পেছনেও কেউ আছে। থেমে গিয়ে ঘাড়টা ঘুরিয়ে দেখলাম কেউ নেই হাঁটতে শুরু করতে গিয়ে মনে
হলো বৈদেহী দৌঁড় আর হাঁটার
মাঝামাঝি এক গতিতে এদিকেই আসছে । -আরে দাঁড়ান,দাঁড়ান। আমাকে ডাকছে বৈদেহী! নয়দিন পরেও কি আমার
জ্বরের ঘোর কাটেনি, নাকি মাথায় বৈদেহী ঘুরছে বলে সিনেমার মতো সবকিছুতেই বৈদেহী দেখছি। -একটা
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে।আপনি সেদিন বৃষ্টির সময়
স্কুল গেইটে নেমে গেলেন তার পর থেকেই
আপনাকে খুঁজচ্ছি। মনে মনে
ভাবলাম এটা তো ঘোর নয়, বাস্তব । কিন্তু আমি এমন কি করলাম যার জন্য আমাকে বৈদেহী খুঁজছে । হেসে বললাম কেন রিক্সার জন্য ধন্যবাদ দেবেন বলে বুঝি ?
-না, আপনার ছাতার জন্য
-আমার ছাতা মানে ? এই ক'দিনে আমার খেয়ালই ছিলো না সেইদিন রিক্সায় আমি ছাতা রেখেছিলাম যা বৈদেহী চলে
যাওয়ার পর মনে হয়েছিলো।
-সেদিন রিক্সায় রেখে গেছিলেন।
-ও হ্যাঁ হ্যাঁ, আপনি পেয়েছেন বুঝি ?
- হুম । তা এ কয়দিন গীতাদির ওখানে যাননি যে ?
- জ্বর ছিলো ।
-এই নিন আপনার ছাতা । ছাতাটা হাতে দিয়ে একটা রিক্সা থামে । হুডটা তুলতে তুলতে একটা হাসি দিয়ে বলে ‘গায়ে সয় না তখন এত বীরপুরুষ সাজার কি দরকার ছিলো’ । আমি ছাতা হাতে
হাঁটতে থাকি আর কানে বাজতে
থাকে বৈদেহীর হাসি আর কথা'বৃষ্টি ‘যখন গায়ে সয় না তখন এত বীরপুরুষ
সাজার কি দরকার ছিলো ।'
গতকালের ঘটনাটা এখনো আমার মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছে না। সারারাত ঘুমাতে পর্যন্ত পারিনি। বারবার ছাতাটা নাড়ছি
শুঁকছি মনে হচ্ছে বৈদেহীর স্পর্শ নয় বৈদেহী লেগে আছে। বিকাল গড়িয়ে এলো।এই প্রথম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হলো লুকটা একটু চেঞ্জ করা দরকার। এলোমেলো
চুলগুলোকে কতদিন পরে যে চিরুনী
দিলাম মনে করতে পারলাম না। আলমারী খুলে মনে হলো আমার ভালো কোনো ড্রেস নেই পড়ার মতো। অনেক গুলো জামা
এলোমেলো করে আকাশীরঙের শার্ট পড়ে বের হলাম।নিজেকে একটু বোকা বোকা লাগলেও মনে মনে বেশ হিরো হিরো অনুভূতি।বৈদেহীর স্কুলের দিকে হাঁটছি গতকাল অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে বৈদেহীকে ধন্যবাদটা দেয়া হয়নি । স্কুল ছুটি হয়েছে।ছাত্রীরা
সব বের হচ্ছে কিছুক্ষণ আগেও শীতল স্কুলটা এখন কথায় কথায় মুখোরিত যেন রাতের আঁধার কেটে ভোরের পাখিদের উড়ান কলতান। আমার বুকের ভেতর ঘন্টা বাজচ্ছে
গলা শুকিয়ে আসছে । স্কুল দালান পেরিয়ে সমুদ্রনীল শাড়িতে গেটের দিকে এগিয়ে
আসচ্ছে বৈদেহী । কথাগুলো যত গুছিয়ে নিতে চাইছি ততই গুলিয়ে যাচ্ছে। গেটের সামনে এসে দাঁড়ালো বৈদেহী মনে হলো একপলক দেখলো। রাস্তা পেরিয়ে এগিয়ে গেলাম। -কাল ছাতার জন্য আপনাকে ইয়ে
মানে ধন্যবাদ দেয়া হয়নি। বৈদেহী একটু হাসলো তারপর
ধীর গলায় বললো, ইটস ওকে । তা বীরপুরুষ এত সাজুগুজু করে কোথায় যাচ্ছে ? পাত্রী দেখতে ? - না,মানে ইয়ে আপনাদের দিকেই যাচ্ছি । - তা এতো
সাজুগুজু কেন ? - এমনি । অনেকদিন এগুলো পরা
হয়না তো তাই আজ পরলাম। - বেশ । তবে কি জানেন আপনার ন্যাচারাল
লুকটাতেই অনেক হ্যান্ডসাম লাগে আপনাকে । বৈদেহী হাতের ইশারায় একটা রিক্সা
ডাকলো। - হাঁটলে হয় না । মানে আপনার যদি কোন সমস্যা না
থাকে। - আপনার জ্বরের খবর কি ? - সেরে গেছে । - হুম।এবার একজন
পাগলের ডাক্তার দেখান। - কেন ? আমাকে কি পাগল মনে হচ্ছে ? - পুরোপুরি না, তবে কিছুটা । কথাটা বলেই হাসতে হাসতে
রিক্সায় উঠে গেলো বৈদেহী ।
মেজাজটা খিঁচড়ে গেলো । আমি পাগল ! সত্যিই কি আমি
পাগল ? কিন্তু কাকে জিজ্ঞাস করি । কাউকে তো বলা যাবেনা বৈদেহী আমাক বলে গেছে । গতরাতে লেখা কবিতাটা মনে করার চেষ্টা করলাম-
‘আজ আমি খুন হয়ে যাবো গোপনে সব নষ্টা দিনের চাঁদ ফেসবুকের ওয়েবক্যামেতে রেখে গভীর ও গোপন অসুখগুলো রক্তের বানে একগুচ্ছ গোলাপ হবে আজ আমি খুন হয়ে গেলে বিমানের হেডলাইটে রেখে যাবো
মনের কথা,সাদা থান আজ আমি ঘুমিয়ে যাবো তীব্র পাগলামিতে পাখির ডানায় পাগলী,তুই থাক সদ্য ভাঙা এরিকসন মিনি প্রো মোবাইলে মিসড কলে আমি আজ খুন হয়ে যাবো ব্যাগ ভর্তি অভিমান আর মিশরীয় নীল চুম্বনে চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিতে ভুল ঠিকানায়,ভুল বিপ্লবে’..!
‘আজ আমি খুন হয়ে যাবো গোপনে সব নষ্টা দিনের চাঁদ ফেসবুকের ওয়েবক্যামেতে রেখে গভীর ও গোপন অসুখগুলো রক্তের বানে একগুচ্ছ গোলাপ হবে আজ আমি খুন হয়ে গেলে বিমানের হেডলাইটে রেখে যাবো
মনের কথা,সাদা থান আজ আমি ঘুমিয়ে যাবো তীব্র পাগলামিতে পাখির ডানায় পাগলী,তুই থাক সদ্য ভাঙা এরিকসন মিনি প্রো মোবাইলে মিসড কলে আমি আজ খুন হয়ে যাবো ব্যাগ ভর্তি অভিমান আর মিশরীয় নীল চুম্বনে চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিতে ভুল ঠিকানায়,ভুল বিপ্লবে’..!
হুবুহু মনে পড়লো, পাগলরা কি কবিতা লেখে! লিখলেও কি এভাবে হুবুহু সব মনে করে বলতে পারে? গোলক ধাঁধায় পড়ে গেলাম। এই জট বৈদেহীই খুলতে পারবে । নাকি পাড়ার মোড়ের পাগলা দাদুর
কাছে যাবো ? সব গুলিয়ে যাচ্ছে কানের কাছে কেবল শুনছি- 'এবার একজন পাগলের ডাক্তার দেখান।'
রিক্সায় ফিরতে ফিরতে বৈদেহীর মনে হলো গত দুই দিনের অস্বাভাবিক এই আচরণ তার ব্যক্তিত্বের সাথে যায় না । তার এই অস্বাভাবিকতা কি অন্যকিছু ইংগিত করছে ? কোথাও ছেলেটি কি তার মনের কোণে দাগ কেটে আছে। কিন্তু নামটাই তো জানা হলো না । নাম না জানা একজন কে বীরপুরুষ বা পাগল বলা কি ঠিকহলো ? হাসিখুশি মুখটায় বর্ষা দিনের মতো বিষন্নতা ছেয়ে গেলো । একরাশ দ্বিধার সাথে বাড়ি ফিরলো বৈদেহী । সন্ধ্যায় আমার ডাক পড়লো। গীতামাসি আমায় দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত। - এই তো আজ তোকে দেখতে রাজপুত্তরের মতো লাগছে । কি একটা পাগল পাগল চেহারা বানিয়ে রাখিস সবসময় ।
আমার মনের জিজ্ঞাসাটা আবার জেগে উঠলো । তোমার কি মনে হয় আমি পাগল?
- বালাই ষাট তা হবি কেন?
- এই যে বললে
তুমি।
-আরে পাগল সেটা তো তোর বেশভূষার কথা বললাম । তা এতদিন আসিসনি যে, রাগ হয়েছে ?
– না । জ্বর ছিলো তাই আসিনি । আচ্ছা মামন, না থাক।
- কী ?
- না,কিছু না।
- বল,কি বলতে চাইছিলি ?
- আলু ভাজা
খাওয়াবে আজ ।
- সে খাওয়াবো । কিন্তু তুই অন্যকিছু একটা বলতে
চেয়ে থেমে গেছিস। সেটা বল আগে।
- না তো এটাই
বলতে চেয়েছিলাম ।
- পুরাণ, তোকে আমি পেটে
ধরিনি ঠিকই কিন্তু তোকে তোর মা র চেয়ে আমি কম চিনি না । কি হয়েছে বল বাবা ?
গীতা মাসিকে বলাটা কি ঠিক হবে ? অনেক ভেবে চিন্তে বলেই ফেলাম ।
- মামন, তোমার বৈদেহী কিছুক্ষণ আগে বললো আমার
নাকি পাগলের ডাক্তার দেখানো দরকার। তার মানে কি আমি
পাগল ।
গীতামাসি একটু গম্ভীর হয়ে হেসে উঠলো । তা তুই বৈদেহীকে
কোথায় পেলি।
- ওর স্কুলের
সামনে।
- তা বৈদেহীর
স্কুলে তুই কেন গেলি ?
- ধন্যবাদ
জানাতে।
- তুই তো ওকে
চিনিস না । তো ধন্যবাদ জানাতে মানে ?
- ধুর! তোমাকে বলাটাই
ঠিক হয়নি। উকিলের মতো
জেরা করছো ।
- বারে কাল যদি
বৈদেহীর মা কিংবা বৈদেহী এসে বলে তুই বৈদেহীকে
বিরক্ত করছিস । তখন
আমি কি বলবো ? কি মুখ দেখাবো ? তুই তো এমন ছিলিনা রে ।
আমি কি বলবো ? কি মুখ দেখাবো ? তুই তো এমন ছিলিনা রে ।
বলেই গীতামাসির আঁচল চাপা
কান্না শুরু হয়ে গেলো। একটু উচুঁ গলাতেই বললাম । ‘মামন আমি
কান্নাকাটির মতো কিচ্ছু করিনি। সেদিন ভুলে
ছাতাটা ফেলে গেছিলাম বৈদেহী পেয়ে
ফেরত দিয়েছে তাই ধন্যবাদ
জানিয়ে বললাম আপনার সমস্যা না
থাকলে চলুন হাঁটি আর বৈদেহী
রিক্সায় চেপে বসে বললো মাথার ডাক্তার দেখাতে ব্যাস । অবাক কান্ড’ ! কান্না থামিয়ে গীতামাসি হেসে উঠলো ‘আমার পাগল ছেলে তুই যে কবে বড় হবি ? একজন
স্কুলশিক্ষিকা স্কুলের সামনে একজন
অপরিচিত কিংবা পরিচিতের সাথে হেঁটে আসবে এটা ভাল দেখায় কি ? পাগল
- কিন্তু মামন, জয় গোস্বামী যে
লিখেছেন 'দিদিমনির পাশে দিদিমনির স্বামী '
-ধ্যাত । বলে হাসতে
হাসতে মামন কিচেনে ঢুকে গেলো । আমারও খুব হাসি পেলো। বৈদেহীর মুখটা ভেসে উঠলো,কানে
বাজলো বৈদেহ কন্ঠ ‘বীর পুরুষ’ !
[ শেষাংশ আগামী সংখ্যায় ]